About us    Contact us Find us on:    Facebook Twitter YouTube

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

শরীরের ঘাম

    

গরমে আমরা সবাই ঘামি। আবার প্রচন্ড পরিশ্রম করলে খুব শীতেও আমরা ঘামি। কেউ কেউ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ঘামেন। কেন এই ঘাম বা এর কাজ কি?

     আমাদের চামড়ার ভেতরের দিকে ডার্মিস নামক লেয়ারে রয়েছে অসংখ্য ঘর্মগ্রন্থি। সেই ঘর্মগ্রন্থিতেই ঘাম তৈরী হয়। ঘর্মগ্রন্থি সমস্ত শরীরেই চামড়ায় বিদ্যমান। তবে কপাল, মাথা, গালে, হাত ও পায়ে খুব বেশি পরিমানে থাকে। ঘামের মধ্যে অধিকাংশ পানি, তবে সামান্য পরিমান লবনও থাকে। এর মুলকাজ হল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। ঘাম যখন গা শুকায় তখন তা চামড়া থেকে তাপ শোষণ করে তাকে শীতল করে, প্রচন্ড গরমে যদি ঠিকমত ঘাম না হয়, সে ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক হবার ঝুকি থাকে। ঘাম স্বাভাবিকের  à¦šà§‡à§Ÿà§‡ বেশী হলে তাকে

হাইপার হাইড্রোসিস, আর কম হলে হাইপোহাইড্রোসিস বলে। একেবারে না হলে তাকে এনহাইড্রোসিস বলে।

 

স্বাভাবিক ঘামের কারণঃ

সাধারণভাবে স্বাভাবিক ঘাম nq-

-         গরম আবহাওয়ায়

-         শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামে

-         অসুস্থতার কারণে

-         মানসিক চাপে

-         গরম ও ঝাল খাবার খেলে

 

হাইপার হাইড্রোসিসঃ

স্বাভাবিকের তুলনায় বেশী ঘাম হলে তাকে হাইপার হাইড্রোসিস বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর কারণ জানা যায় না। তবে কিছু কিছু কারণে তা হতে পারে, যেমনঃ

-         স্থুলকায়, ওজন বেশী হলে।

-         জ্বর, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি অসুখে।

-         মোনোপজ, হরমোন জনিত পরিবর্তন।

-         হাইপারথাইরয়েডিজম।

-         ডায়বেটিস।

-         অন্য কিছু কিছু অসুখে।

 

রোগ নির্ণয়ঃ

সাধারণত: তেমন কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। কেবল রক্তে থাইরয়েড ফাংশন পরীক্ষা করা যেতে পারে।

 

ইডিওপ্যাথিক হাইপার হাইড্রোসিসঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাইপার হাইড্রোসিসের কারণ পাওয়া যায় না, তাদেরকে ইডিওপ্যাথিক হাইপার হাইড্রোসিস বলা হয়। ছোট বেলা থেকেই তা হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে বড় হয়ে দেখা দেয়। তবে হাত, পা এর তালু, বগলে বেশি হয়। গরমকালেতো হয়ই এমনকি শীতকালেও ঘামে আর মানসিক চাপে থাকলে আরও বেশী ঘামে।

 

চিকিৎসাঃ

কারণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেয়া হয়। যেমন -

-         ওজন কমানো

-         মেনোপজ হবার কারণে (হট ফ্লাস) ঘাম হলে হরমোন চিকিৎসা।

-         পাউডার, সেপ্র ব্যবহার করা।

-         আয়োনটোফেরোসিস : চামড়ার মধ্য দিয়ে কম মাত্রায় ইলেক্ট্রিক কারেন্ট প্রবাহের ফলে ঘাম কম উৎপন্ন হয়।

-         বটোক্সি ইঞ্জেকশন

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

ঘুম

অক্সিজেন, পানি বা খাদ্যের মতই ঘুমও সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক একটি উপাদান। ঘুম ঠিক কিভাবে কাজ করে তা জানা নেই, তবে সকল বিজ্ঞানীই এ ব্যপারে একমত যে, আমাদের শারীরিক ও মানসিক সতেজতার জন্য ঘুম আবশ্যক। ঘুম না হলে বা পর্যাপ্ত না হলে শরীর অবসাদ গ্রস্ত হয়, স্মৃতিশক্তি ও মনোনিবেশ করার ক্ষমতা কমে যায়, মানসিক ভারসাম্য পোয়, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয় না। একং শরীরিক  ভারসাম্যও নষ্ট হয়।

     আমাদের শরীরের অভ্যন্তর থেকে ঘুমের মাত্রা, পরিমাণ, সময় নিয়ন্ত্রিত হয় এবং তার অনেকটাই নির্ভর করে আলোর প্রাচুর্যতা বা ঘাটতির উপর। সুর্য ডুবে গেলে, অন্ধকার হয়ে এলে মস্তিস্কে এক ধরনের হরমোন নি:সৃত হয় যা ঘুম আসতে সাহায্য করে, অন্যদিকে সকালে সূর্য উঠলে, আলোকিত হলে মস্তিস্কে ঘুমের হরমোনগুলি হ্রাস পায় ও উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয় যা আমাদেরকে জাগিয়ে তোলে ও সতেজ করে।

 

ঘুমের পরিমাণ :

বিদ্যুতের আবিষ্কারের আগে মানুষ সূর্যের আলো থাকা বা না থাকার উপর ভিত্তি করে ঘুমাত, গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘন্টা। বর্তমানে যান্ত্রিক জীবনে শহরে সাধারণভাবে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিরা ঘুমান ৬-৭ ঘন্টা।

ঘুম কম হলে অবসাদ আসে। গবেষনায় প্রমাণিত যে, প্রতি ৬টি সড়ক দূর্ঘটনার মধ্যে ১টি দূর্ঘটনা ঘটে ক্লান্তি থেকে। বর্তমানে ঘুম কম হবার অন্যতম কারণ কাজের ব্যস্ততা ও ইন্টারনেট, ছাড়াও অসুস্থ্যতা, চাকরীজনিত পরিবর্তন, স্বাভাবিক ঘুমের সময়ের পরিবর্তন, কিছু কিছু ঔষধের ব্যবহার এবং শিশুদের যত্ন নেয়া পিতা-মাতার ঘুমের ব্যাঘাতের অন্যতম কিছু কারণ। বাবা-মা প্রথম সন্তানের জন্মের ১ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০০-৭০০ ঘন্টা ঘুম কম  ঘুমান।

 

ঘুমের বিভিন্ন পর্যায় :

ঘুমের মধ্যে মানুষের সচেতন বা সচেতনতার পর্যায় সব সময় একই রকম থাকে না। প্রতিটি রাতে একেক সময় একেক পর্যায় মস্তিস্ক একেক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যায়। মূলত ঘুমের ২টি পর্যায় লক্ষণীয়।

১। ‌রেপিড আই মুভমেন্ট (REM) ঘুম।

২। নন-রেপিড আই মুভনন্ট (NREM) ঘুম।

রেপিড আই মুভমেন্ট (REM) ঘুম।

ঘুমের এই পর্যায়টি প্রতি  দেড় থেকে দুই ঘন্টা পর পর আসে। মোট ঘুমের প্রায় এক চতুর্শাংশ ভাগ সময় এই ঘুম হয়। এই ঘুমের পর্যায়ে মস্তিস্কে বিশেষ ধরেনর বৈদুতিক তরঙ্গ খেলা করে। এ অবস্থায় চোখের পাতার নিচে চোখ এদিক সেদিক দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকে বলে এই নাম।

অধিকাংশ ¯^cœ মানুষ এই পর্যায়ে দেখে এবং চোখের এদিক-সেদিক নড়াচড়া মূলত ¯^‡cœi বিষয় বস্তুর উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে শিশুদের ঘুমের অধিকাংশ সময়ই REM ঘুমের সময়। তাই বোঝা যায় যে, এই ধরনের ঘুমে বা ¯^‡cœ মস্তিস্কের বৃদ্ধি Z¡ivwš^Z হয়।

নন-রেপিড আই মুভনন্ট (NREM) ঘুম।

তিন চতুর্থাংশ সময়ই নন রেম স্লিপ। তবে এই ধথরনের ঘুমের সময়, পরিমাণ, মাত্রা সবই ব্যক্তির বয়স ও ঘুমের চাহিদার উপর  

    এ অবস্থায় হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস ও তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি কমে যায়, মাংশপেশি শিথিল হয়ে যায়। শরীরের বৃদ্ধি ও পুনর্গঠন এই পর্যায়ে ঘটে।

 

ঘুমের ব্যাঘাত জনিত সমস্যা

কোনো কারণে স্বাভাবিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে আমরা তাকে ঘুমের সমস্যা বলে চিহ্নিত করি। যেসব কারণে তা ঘটতে পারে এর মধ্যে নিচে উল্লেখিত সমস্যাগুলো প্রধান:

ক) ভালো ঘুম না-হওয়া

অনেক পথ বিমানে অতিক্রম করার পর, রোগের কারণে, মানসিক চাপ বা মানসিক অসুস্থতার জন্য ভালো ঘুম না-হতে পারে। রোগীর রোগ নিরাময় বা মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটলে ঘুমের সমস্যা এমনিতেই কমে যায়। অহেতুক চিন্তা না-করা, ঘুম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পরিহার করা এবং ভালো ঘুমানোর উপায়সমুহ মেনে চললে ভালো ঘুম হতে পারে। এ-সমস্যায় চিকিৎসার মৌলিক বিষয়টি হলো ঘুমকে একটি নিয়মিত কাঠামোর মধ্যে নিয়ে-আসা। স্বল্প সময়ের জন্য মানসিকভাবে আচ্ছনড়ব করার উপাদান (hypnotic agents) বা ঘুমের টেবলেট দেওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘ-মেয়াদী চিকিৎসা বা মানসিক অসুস্থতার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।

খ) ঘুমের মধ্যে আতঙ্কগ্রসত্ম হওয়া বা হাঁটা

ঘুমের মধ্যে চোখের নড়াচড়া যখন কম হয় (যে-প্রবণতা প্রধানত ৩-৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে দেখা যায়) তখন হঠাৎ করে শিশু ভয় পেয়ে জেগে উঠতে পারে এবং চিৎকার করতে পারে। অথচ সে কিছুই মনে করতে পারে না কেন ভয় পেয়েছে। কখনো হয়তো এটুকু বলতে পারে: সে ঘুমের মধ্যে ভয়ঙ্কর কিছু দেখেছে।

এছাড়া, কোনো শিশু, এমনকি বয়স্ক লোকও, ঘুমের মধ্যে হাঁটে, ঘুমন্ত অবস্থায় এরা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় বা চুলায় আগুন জ্বালায়। এদের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। এ-সমস্যা এমনিতেই সেরে যেতে পারে; তবে কখনো কখনো চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এসব সমস্যায় আক্রান্ত লোকদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। রাতে দরজায় তালা দিয়ে রাখা, দিয়াশলাই বা ছুরিজাতীয় জিনিষ নাগালের বাইরে রাখা অত্যন্ত জরুরী।

গ) ঘুমের মধ্যে নাক-ডাকা ও শ্বাসকষ্ট

কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন তার মাংসপেশী শিথিল হয়ে পড়ে। গলার মাংসপেশী শিথিল হয়ে পড়ার কারণে নাক-ডাকা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যারা বয়স্ক বা স্থূলদেহী তাদের এ-সমস্যা বেশি হতে পারে। নিচে উল্লেখিত উপায়সমুহ অনেক ক্ষেত্রে উপকারে আসতে পারে:

নাক-ডাকার উপসর্গ নিরাময়ের উপায়

·        এক-পাশে কাত হয়ে শুয়ে ঘুমানো

·        সিগারেট ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা

·        অত্যন্ত প্রয়োজন দেখা না-দিলে ঘুমের অষুধ না-খাওয়া

·        এলার্জি, হাঁপানী বা নাকের সমস্যার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা

ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট নিরাময়ের উপায়

·        ওজন কমানো

·        ডাক্তারের পরামর্শমত একধরনের মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করা

ঘ) দুঃস্বপ্ন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

ঘুমের মধ্যে যখন চোখের নড়াচড়া খুব বেশি চলতে থাকে তখন আমরা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে থাকি। দুঃশ্চিনত্মা, মানসিক চাপ, কিংবা কোনো কোনো অষুধ সেবন এধরনের স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের কারণ হতে পারে। কখনো কখনো বিনা কারণেও এ-অবস্থা ঘটতে পারে। কারণগুলো পরিহার করতে পারলে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

ঙ) অত্যধিক ঘুমজনিত সমস্যা

কেউ কেউ দিনের বেলায়ও এমনভাবে ঘুমে আক্রাত্ম হন যে, না-ঘুমিয়ে উপায় থাকে না। এরা একটু ঘুমিয়ে নিলে আবারও নিয়মিত কাজ করতে পারেন। এধরনের ঘুমের সমস্যায় আক্রাত্ম ব্যক্তিদের নিজের বা অন্যের জন্য ঝুকিপূর্ণ কাজ (যেমন গাড়ি-চালনা, যন্ত্র-চালনা) থেকে বিরত থাকা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শমত অষুধ সেবন করা উচিত।

 

শেষ কথা

যেকোনো ধরনের ঘুমের সমস্যায় উপরোলিস্নখিত ভালো ঘুমানোর উপায়গুলো মেনে চলুন। যদি এতে কাজ না-হয় তবে ৫-৭ দিন ডায়াজিপাম গোত্রের অষুধ খেয়ে দেখুন। তাতেও কাজ না-হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

যা যা মনে রাখতে হবে :

১। ঘুম সুস্থ্যতার জন্য অতি আবশ্যক। এটি মন ও শরীরকে সতেজ রাখে।

২। ঘুমের ঘাটতি হলে অবসাদ, দুর্বলতা, চিন্তাশক্তি, স্ম্রিতিশক্তি লোপ পায়, ভারসাম্য ও কাজের ছন্দ নষ্ট হয়।

3। শিশু বাচ্চার লালন পালন, চাকরীর পরিবর্তন,অসুস্থ্যতা, দুঃশ্চিন্তা, বিভিন্ন ঔষধ, ইন্টারনেটের ব্যবহার।

৪। ঘুমের পর্যায়কে REM এবং NREM এই দুটি মূল ধাপে চিহ্নিত করা যায়।

 

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

জরুরী প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা

 

উচ্চমাত্রার জ্বর

মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কারো শরীরের তাপমাত্রা এর চেয়ে বেশি হলে এ-অবস্থাকে আমরা জ্বর বলে থাকি। এই তাপমাত্রা বেড়ে যখন ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়েও বেশি হয় তখন তাকে উচ্চমাত্রার জ্বর বলা হয়। উচ্চমাত্রার জ্বর বেশিক্ষণ থাকলে মস্তিস্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ক্ষতির পরিমাণ বেশি। তাই জরুরী ভিত্তিতে উচ্চমাত্রার জ্বর কমানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

কিভাবে উচ্চমাত্রার জ্বর কমাবেন

প্রথমে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপুন।

জ্বর কমাবার অষুধ প্যারাসিটামল খাইয়ে দিন।

যদি রোগী শীত অনুভব করে তবে বুঝতে হবে জ্বর আরো বাড়বে।

মাথায় ট্যাপের পানি ঢালুন বা আইস-ক্যাপ দিন এবং শরীর Kuv_v/K¤^j/†jc দিয়ে ঢেকে রাখুন যতক্ষণ রোগী শীত অনুভব করে।

অষুধ খাওয়াবার আধঘণ্টা পর শীত-অনুভব করার ভাবটা কমে যাওয়ার কথা।

যদি তাই ঘটে তবে শরীরের ভারী কাপড় সব খুলে ফেলুন। ফ্যান ছেড়ে দিন।

এবার ট্যাপের পানিতে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিয়ে আস্তে আস্তে সমস্ত শরীর মুছতে থাকুন যতক্ষণ না জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট-এ নেমে আসে।

জ্বর কমে গেলে মাথা ভালো করে মুছে দিন এবং রোগীকে স্বাভাবিক কাপড় পরিয়ে রাখুন।

 

খিঁচুনি

খিঁচুনি অনেক কারণে হতে পারে। তার মধ্যে মৃগী রোগীর যে-খিঁচুনি হয় তার সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কমবেশি পরিচিত। এছাড়া শিশুদের উচ্চমাত্রার জ্বরের সময় খিচুঁনি হতে পারে। যে কারণেই হোক, পরিবারে কারো খিঁচুনি হতে দেখলে-

প্রথমে রোগীকে বিছানায় শোয়াতে হবে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস যাতে ঠিকমত নিতে পারে সেজন্য শ্বাসনালীর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মুখে লালা, খাবার বা ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে।

জিহ্বা যেন পিছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করে না-দেয় বা দাঁত দিয়ে জিহ্বা না-কাটে সেজন্য মুখে চামচ দিয়ে দাঁত থেকে জিহ্বাকে সরিয়ে রাখতে হবে।

মৃগী রোগীর খিঁচুনি বেশিক্ষণ থাকলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

উচ্চমাত্রার জ্বরের জন্য শিশুর খিঁচুনি হলে জ্বর কমাবার সব ব্যবস্থা নিতে হবে।

কয়েক মিনিটের মধ্যে খিঁচুনি না-থামলে রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে।

সাধারণত শিশুদের ৬ বছর বয়স পর্যন্ত উচ্চমাত্রার জ্বরে খিঁচুনি হতে পারে। সেজন্য ৬ বছর বয়স পর্যন্ত এসব শিশুর জ্বর হলেই চিকিৎসকের পূর্ব-নির্ধারিত ডোজে ডায়াজিপাম টেবলেট খাওয়ানো শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ৫ দিন বা যতদিন জ্বর থাকে ততদিন খাওয়াতে হবে।

জ্বর যাতে ১০০ ডিগ্রির উপরে উঠতে না-পারে সেজন্য প্যারাসিটামল প্রয়োজনে ৪ ঘণ্টা পরপর খাইয়ে যেতে হবে।

যাদের মৃগী রোগ আছে তাদের জন্য আরো কিছু পরামর্শ হলো:

·        মৃগী রোগীকে একা কোথাও যেতে দিবেন না

·        পুকুর-নদীতে একা গোসল করতে দিবেন না

·        চুলার কাছে যেতে দিবেন না

·        একা-একা কোনো মেশিনে কাজ করতে দিবেন না

·        মৃগীরোগগ্রস্ত লোক কখনো গাড়ি চালাবে না

·        বাথরুম ব্যবহারের জন্য ভিতরে ঢুকলে সিটকিনি লাগাবে না

·        চিকিৎসকের পরামর্শ মত অষুধ চালিয়ে যেতে হবে (খিঁচুনিমুক্ত অবস্থায়ও কমপক্ষে ৩ বছর)

 

পুড়ে-যাওয়া

দৈনন্দিন কাজে, বিশেষ করে রান্না ঘরে যারা কাজ করেন তাদের সতর্কতা সত্ত্বেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। শরীরের চামড়া পুড়ে যায়, কাপড়ে আগুন লাগে।

কাপড়ে আগুন লাগলে কখনো দৌড়াবেন না বা কাপড় ঝাড়বেন না। দ্রুত শরীর থেকে কাপড় খুলে ফেলবেন অথবা K¤^j, কাঁথা, বস্তা, ইত্যাদি দিয়ে আগুন-লাগা জায়গাটাতে চেপে ধরবেন।

এরপরও যদি শরীরের কোনো অংশ পুড়ে যায় তবে সে-অংশটি সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন বা কমপক্ষে আধাঘণ্টা ধরে ঠান্ডা পানি ঢালতে থাকবেন ।

চামড়ায় ফোস্কা পড়লে নিজেরা গালাবেন না। পোড়া জায়গায় সিলভার সালফাডায়াজিন জাতীয় মলম লাগাতে পারেন। ফোস্কা গলে গেলে পরে এন্টিবায়োটিক মলম লাগাবেন।

ধনুষ্টংকারের প্রতিষেধক টিকার পূর্ণ ডোজ অবশ্যই আগে থেকে সবার নিয়ে রাখা উচিত। না নিয়ে থাকলে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে টিটেনাস ইনজেকশন দিয়ে দিতে হবে।

পোড়ার পরিমাণ যদি বেশি হয় তবে রোগীকে দ্রম্নত হাসপাতালে নিতে হবে।

পোড়া জায়গায় যন্ত্রণা বেশি হলে প্যারাসিটামল ও ঘুমের অষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুদেরকে ফেনারগন সিরাপ ও প্যারাসিটামল সিরাপ দেওয়া যেতে পারে।

 

নাক দিয়ে রক্ত-পড়া

অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে পরিবারের কারো নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। আতঙ্কিত না-হয়ে বরং জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

যদি উচ্চ রক্তচাপের রোগীর এ-অবস্থা দেখা দেয় তবে তাড়াতাড়ি রক্তচাপ মাপার ব্যবস্থা করতে হবে এবং বেশি রক্তচাপ হলে তা কমাবার পদক্ষেপ নিতে হবে।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাকের ভিতরের ময়লা জোর করে সাফ করার পর একটু ছুলে গিয়ে রক্ত-পড়া শুরু হতে পারে। নাকের এ-অংশে রক্ত চলাচল খুব বেশি হয়, তাই সহজে রক্ত-পড়া বন্ধ হতে চায় না।

যে কারণেই নাক দিয়ে রক্ত পড়ুক না কেন, রক্ত-পড়া বন্ধ করতে হলে আপনাকে দুই আঙুল দিয়ে নাক চেপে ধরতে হবে এবং মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। ১ মিনিট পরপর কয়েক সেকেন্ডের জন্য চাপটা একটু ঢিলা করতে হবে। তারপর আবার চেপে ধরতে হবে। এভাবে ২০ মিনিট ধরে রাখতে হবে এবং এ-সময়টিতে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। আশা করা যায়: এসময়ের মধ্যে রক্ত-পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

 

যদি না-হয় তবে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে অথবা নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

 

 

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

রক্তের গ্রুপ-রিসাস ফ্যাক্টর

 

রিসাস ফ্যাক্টর এক ধরনের প্রোটিন, যা মানুষের লোহিত রক্ত  কনিকার পৃষ্ঠদেশে  উপস্থিত অথবা অনুপস্থিত থাকে। রিসাস ডিজিজ সাধারণত তাদের হয় যেখানে মা ও তার গর্ভের সন্তানের রিসাস ফ্যাক্টরের অসঙ্গতি থাকে। এ রোগের আর একটি নাম হলো হেমোলাইটিক ডিজিজ অফ নিওবর্ন। উন্নত দেশগুলোতে এ রোগের হার কম, কারণ প্রথম সনৱান জন্মদানের পর নিয়মিত মা কে এন্টি-ডি ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়।

এই রিসাজ  ফ্যাক্টরের অসংগতি তখনই দেখা দেয়, যখন একজন রিসাস বা আর এইচ পজেটিভ বাবা এবং একজন আর এইচ-নেগেটিভ মা একটি আর এইচ পজেটিভ সন্তান গর্ভে ধারণ করে। একজন নবজাতকের রক্ত সংক্রান্ত এই অসুখ সময়মত চিকিৎসা না করালে সে ক্ষেত্রে নবজাতকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

 

রক্তের গ্রুপের ব্যাখ্যা:

একজন মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে তার বাবা ও মার কাছ থেকে যে জীন পায় তার রক্তের গ্রুপ নিশ্চিত করে বা চিহ্নিত করে। রক্তের গ্রুপ বর্ণনা করা হয় (এ, বি, এবি এবং ও ) এবং আর-এইচ ফ্যাক্টর এর মাধ্যমে। মেডিকেল বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই রিসাজ ফ্যাক্টরকে সংক্ষেপে প্লাস চিহ্ন (+) অথবা মাইনাস চিহ্ন (-) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন: ব্লাড গ্রুপ ০+ মানে তার রক্তের গ্রুপ ০ এবং পৃষ্ঠতলে আর-এইচ ফ্যাক্টর উপস্থিত। লোহিত রক্ত কনিকার পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত এন্টিযেন সমূহ দ্বারা ব্লাড গ্রুপ চিহ্নিত করা যায়। এই এন্টিজেন এবং রিসাজ ফ্যাক্টরই এজনের রক্তের গ্রুপ থেকে অন্যের রক্তের গ্রুপ পৃখক করতে সাহায্য করে।

ব্লাড গ্রুপ এবং বংশ সম্বন্ধে আলোচনা :

শতকরা ৮৫ ভাগের লোকেরই আর-এইচ পজেটিভ বাকী ১৫ ভাগ  আর এইচ নেগেটিভ। এই আর এইচ নেগেটিভ জীন নিভৃতে বাস করে, অন্যদিকে আর-এইচ পজেটিভ জীন প্রধানভাবে থাকে। শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে আর-এইচ নেগেটিভ মা, আর এইচ পজেটিভ বাচ্চা ধারন করে। বাবার জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বাচ্চা আর-এইচ পজেটিভ হবে কিনা, তার পূর্ব সংকেত পাওয়া যায়। জীন সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় আসে। যদি বাবার একটি আর-এইচ পজেটিভ এবং এর একটি আর-এইচ নেগেটিভ জীন বহন করে, তাহলে বাচ্চার আর-এইচ পজেটিভ হওয়ার সম্ভাবনা  তাকে অর্ধা অর্ধি। আবার যদি বাবা দুটোই আর-এইচ পজেটিভ জীন বহন করে, তাহলে সব সনৱানই আর-এইচ পজেটিভ হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা :

যে ব্যক্তি আর-এইচ নেগেটিভ জীন বহন করে, সেক্ষেত্রে আর-এইচ পজেটিভের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটে। এটি সাধারণত বাচ্চা জস্ম দেয়ার সময়ের মধ্যে হতে পারে। কারণ আর-এইচ পজেটিভ বাচ্চার রক্ত, আর-এইচ নেগেটিভ মার রক্তে চলে যায়। তখন মা আর-এইচ পজেটিভ কোষের জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য এন্টি-ডি (আর পজেটিভের বিরূদ্ধে এন্টিবডি) তৈরী করে। এরপর যদি আর-এইচ নেগেটিভ মা আবার আর-এইচ পজেটিভ <

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন

 

নিরাপদ রক্ত কী?

যে রক্তে কোনো জীবাণু †hgb ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা অন্যান্য কেমিক্যাল বস্তু নেই , যা রক্তগ্রহীতার জন্য বিপজ্‌নক বা সংক্রামক নয়। নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রক্ত গ্রহীতাকে নিরাপদ রক্ত সরবরাহ করা।

রক্তের বিকল্প নেই। নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন জীবন বাঁচাতে পারে, মানুষের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে পারে। শুধু যথাযথ প্রয়াজনেই রক্ত পরিসঞ্চালন করা উচিত। যেসব ক্ষেত্রে রক্ত পরিসঞ্চালন ছাড়াই চিকিৎসা করা যায়, সেসব ক্ষেত্রে রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রয়োজন নেই।

 

নিরাপদ রক্ত সরবরাহের জন্য প্রয়োজনঃ

·        গণমাধ্যমে প্রচারের  মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কর॥

·        নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী গ্রহণ করা।

·        বিভিন্ন সময়ে ভ্র্‌ম্যমাণ রক্ত সংগ্রহ কর্মসূচী গ্রহণ করা।

·        কম ঝুঁকিপূর্ণ রক্তদাতা থেকে রক্ত সংগ্রহ করা।

·        কম ঝুঁকিপূর্ণ রক্তদাতাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা।

·        সঠিক রক্তদাদা নির্বাচনের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

·        রক্তদাতার সাথে সমনা-সামনি আলাপ করা, সঠিক ইতিহাস জানা ইত্যাদি।

·        রক্তদাতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।

·        প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রক্তদাতাকে রক্তদান থেকে বিরত রাখা।

·        রক্তদাতাকে রক্তদান এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে অবহিত করা।

·        রক্তদাতার রক্তের যে পরীক্ষাগুলো করা হবে তা সম্বন্ধে তাকে অবহিত এবং স্ক্রিনিয়ের ফলাফল জানানো।

·        কোনো কারণে স্ক্রীনিং এর ফলাফল অনুযায়ী রক্তদাতার রক্ত অযোগ্য বলে বিবেচিত হলে কর্তপক্ষ তা বাতিল করার অধিকার রাখে।

 

 

রক্তদাতা নির্বাচন :

রক্তদাতা নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রাথমিক শর্ত। স্বেচ্ছায় রক্তদান করে রক্তদাতা নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেযে পারে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান করার জন্য রক্তদাতাকে উদ্বুদ্ধ করে নিরাপদ রক্ত পরিরসঞ্চালন করা সম্ভব। পেশাদার রক্তদাতা থেকে কখনই রক্ত নেয়া উচিত নয়। কারণ পেশাদার রক্তদাতা রক্ত পরিসঞ্চালন জনিত রোগের বাহক এবং এরা অনৈতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত।

যদি কোনো রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় তার অসুস্য্থতার জন্য (Immune Compromised patient)  à¦¸à§‡à¦¸à¦¬ ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় থেকে রক্তদানে বিরত রাখা উচিত।

উচ্চ ঝুকিপূর্ণ রক্তদাতাকে রক্তদানে বিরত রাখা  উচিত।

 

রক্তদানের উপকারিতা :

·        নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে রক্ত দানে শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না বরং রক্তদান শরীরের জন্য উপকারী।

·        রক্তদাতা থেকে যৌক্তিক রক্তের ব্যবহার বিস্তারিত

-->

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

কোলেস্টেরোল

 

কোলেস্টেরল এক প্রকার চর্বি যা অনেক ধরনের বিপাক প্রক্রিয়ার অত্যাবশ্যিক উপাদান। কোলেস্টেরল দুই প্রকার। HDL (High Dansity Lipxoprotein) কোলেস্টেরল,  LDL (Low Dansity Lipxoprotein কোলেস্টেরল । স্যাচুরেটেড চর্বি জাতীয় খাবার আমাদের শরীর LDL  à¦•à§‹à¦²à§‡à¦¸à§à¦Ÿà§‡à¦°à¦² বৃদ্ধি করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কোলেস্টেরল প্রতিটি কোষের অত্যাবর্শক অংশ। হরমোন ও পিত্তর উপাদানসহ অনেক শ্বসন প্রক্রিয়ার আবশ্যিক উপাদান। শরীরে ভিটামিন-ড ব্যবহারেও সাহায্য করে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের দরকার নাই, কারণ শরীর নিজেই প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল তৈরী করে নিতে পারে। অধিক কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার হৃদরোগ ডেকে আনে।

কোলেষ্টরোল অত্যাবশ্যক:

যকৃত ও শরীরের বিশেষ কোষ দ্বারা কোলেস্টেরল তৈরী হয়। লাইপো প্রোটিন নামক বাহকের মাধ্যমে সারা শরীরের রক্তে ছড়িয়ে থাকে। আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল প্রয়োজন কারণ ইহা-

-          কোষ প্রাচীরের কাঠামো তৈরী করে।

-          হরমোন তৈরী করে। যেমন-  ইসট্রোজেন, টেষ্টোসটেরোন, এডরেনাল হরমোন

-          শ্বসন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। যেমন- ভিটামিন-ডি তৈরীতে কোলেস্টেরল অতি প্রয়োজনীয়।

-          চর্বি পরিপাক ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান শোষণ প্রয়োজনীয় বাইল এসিড (পিত্তরসের উপাদান) তৈরী করে।

কোলেষ্টরোল পরিবহনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পথ:

কোলেস্টেরল একটি সাদা, অদ্রবনীয়, মোমের মত উপাদান। রক্তে দুইটি প্রধান পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে কোলেস্টেরল সারা শরীরে বাহিত হয়।    

-          LDL  à¦•à§‹à¦²à§‡à¦¸à§à¦Ÿà§‡à¦°à¦² - অধিকাংশ কোলেস্টেরল  à¦¬à¦¹à¦¨ করে এবং কোষে পৌছে দেয়। ইহাকে খারাপ কোলেস্টেরল বলে, যখন রক্ত প্রবাহে মাত্রা উচ্চ হয়। কারণ LDL ধমনীকে বন্ধ করতে পারে।

-          HDL কোলেস্টেরল - ইহাকে ভাল কোলেস্টেরল বলে। কারণ HDL  à¦§à¦®à¦¨à§€à¦¸à¦¹ অন্যান্য কোষ হতে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূরীভুত করতে সাহায্য করে।

নিরাপদ রক্ত কোলেষ্টরোল এর মাত্রা:

¯^v¯’¨ কর্তৃপক্ষের মতে, অন্য কোন ঝুঁকির নিয়ামক না থাকলে কোলেষ্টোরলের মাত্রা  ৫.৫ মিলি মোল/লিটার এর অধিক গ্রহণ যোগ্য নয়। কিন্তু পূর্বের হৃদরোগ বা ঝুঁকির কারণ  থাকলে কোলেষ্টরোলের লক্ষ্য মাত্রা ২.৫ মিলি মোল/লিটার এর নীচে।

উচ্চ মাত্রার কোলেষ্টরোলের প্রভাব:

কোলেস্টেরল ও খাদ্য চর্বির প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হলো যকৃত। যখন আমরা প্রাণীজ  চর্বি খাই তা যকৃত লাইপোও প্রোটিন হিসাবে কোলেস্টেরল সহ চর্বিকে রক্তে পরিবহন করে। রক্তস্রোতের অধিক মাত্রার কোলেস্টেরল ধমনীতে জমতে থাকে। যা ধমনী ও শিরাকে সরু করতে থাকে এবং পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোক সংঘটিত হয়।

কোলেষ্টরোলযুক্ত খাদ্য:

কোলেস্টেরল প্রধানত আসে ডিম, চর্বি যুক্ত  à¦®à¦¾à¦‚স এবং দুদ্ধজাত খাদ্য হতে। প্রতিটি প্রাণীজ খাদ্যে কোলেস্টেরল রয়েছে। কিন্তু উদ্ভিজ খাদ্যে তা নাই।

কিভাবে স্যাচুরাটেড চর্বি বর্জন করবেন?

স্বাস্থ্যকর মাত্রার মধ্যে কোলেস্টেরল রাখতে উচ্চ স্যাচুরাটেড চর্বিযুক্ত নিম্নোক্ত খাদ্যগুলো এড়িয়ে চলবেন-

-          চর্বিযুক্ত মাংস

-          প্রক্রিয়াজাত মাংস। যেমন- সলামি এবং সসেজ

-          ফাস্টফুড 

-          কেক, বিস্কুট, পেষ্ট্রি

-          অধিক পেড়ানো  খাদ্য।

খাদ্য তালিকা সংক্রান্ত পরামর্শ:

স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের মাধ্যমে কোলেষ্টরোলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

-          কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ কম খাওয়া।

-          অধিক পরিমাণ তাজা ফলমূল, শাকসব্জি ও খোসাযুক্ত খাদ্য শস্য প্রতিদিনের খাদ্য তালকায় রাখা।

-          কম চর্বিযুক্ত অথবা দুধ ও মাংস খাওয়া।

-          সপ্তাহে দুই দিন মাছ খাওয়া।

-          দ্রবীভূত তন্তু ও স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাদ্য যেমন-সীমের বিচি, শস্য ইত্যাদি খাদ্য তালিদায় যোগ করা।

-          মাখন ও আইসক্রিম সপ্তাহে দুইবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।

 

জীবন-যাপন সংক্রান্ত পরামর্শ:

কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসেরাইডের মাত্রা  নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন-

-          এলকোহল পান বন্ধ করা এবং করলেও দিনে এক আ ২ বারের বেশী নয়।

-          ধুমপান না করা। ধুমপান ধমনীর কোষে LDL কোলেস্টেরল এর ঢোকার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং কোষগুলোকে ধ্বংস করে।

-          নিয়মিত ব্যায়াম করা (যেমন-প্রতিদিনি কমপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে হাঁটা) ব্যায়াম শরীরে HDL এর মাত্রাকে বৃদ্ধি করে এবং LDL এর মাত্রাকে কমায়।

-          শরীরে অতিরিক্ত চর্বি ঝরানো অধিক ওজনের শরীরে LDL ও ট্রইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ে।

-          ডাঢাবেটিসের রোগী হলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

সব দুগ্ধজাত খাদ্য বাদ দিবন না:

অনেকে মনে করে সব দৃগ্ধজাত খাদ্য বাদ দেওয়ি বরং নিরাপদ। কিন্ত ইহা সত্য নয়। দুগ্ধজাত খাদ্যে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা অত্যাবশ্যকীয় অনেক পুষ্টি উপাদান যেমন- ক্যালশিয়াম এর উৎস। এজন্য আমাদের কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য বাছাই করা  উচিত। এতে স্যাচুরাটেড চর্বির ঝুঁকি কমবে।

ডিম ও সামৃদ্রিক খাদ্য বর্জনের প্রয়োজন নাই: কিছু খাদ্য আছে যা অধিক কোলেস্টেরল যুক্ত স্যাচুরাটেড চর্বির পরিমাণ কম। যেমন-

ডিমের কুসুম: একটি ডিমের কুসুমে ২০০-২৫০ মি.গ্রা. কোলেস্টেরল রয়েছে যা প্রতিদিনের সর্বাধিক কোলেস্টেরল গ্রহণের গ্রহণযোগ্য মাত্রার কাছাকাছি। স্বাস্থ্যবান ও স্বাভাবিক কোলেস্টেরল মাত্রাযুক্ত লোকের ডিম কম খাওয়ার প্রয়োজন নাই।

সামুদ্রিক মাছ:

সামুদ্রিক খাদ্যে কিছু কোলেস্টেরল আছে কিন্তু স্যাচুরাটেড চর্বির পরিমাণ কম।  ইহা একটি পুষ্টিকর খাদ্য, শুধু কোলেস্টেরল আছে বলেই বাদ দেওয়া উচিত নয়।

যে খাদ্যগুলো কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায়:

 LDL  à¦•à§‹à¦²à§‡à¦·à§à¦Ÿà¦°à§‹à¦²à§‡à¦° মাত্র কমানোর জন্য শক্তিশালী খাদ্য হল - পলিআনস্যাচুরেটেড তেল। যেমন- সূর্যমুখীর তেল। কিছু গবেষনায় দেখা যায় ওট এবং সীমের বিচি LDL  à¦•à§‹à¦²à§‡à¦¸à§à¦Ÿà¦°à§‹à¦² কমায়।

উদ্ভিদ ষ্টেরল কোলেষ্টরোল মাত্র কমাতে পারে:

উদ্ভিদ স্টেরল সাধারণত: উদ্ভিজ খাদ্যে পাওয়া যায়। যেমন- সূর্য্যমুখী ও বজি, উদ্ভিদজ তেল, সীমের বিচি, শস্য, ফল ও শাকসব্জি ইত্যাদি।

চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

অনেকের ক্ষেত্রে খাদ্য ও জীবনযাপনের পরিবর্তনেই যথেষ্ট নয়। কোলেষ্টরোলের উচ্চ মাত্রা অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক কারণে হতে পারে। যদি কেউ হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকে এবং LDL উচ্চ মাত্রা হয়, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরও তাহলে চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিতে পারেন। LDL এর মাত্রা কমানোর জন্য। চিকিৎসার নেওয়ার পরও ব্যায়াম ও খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ । প্রয়োজনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

 

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

ক্যালসিয়াম

 

 

ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের একটি অতি প্রয়োজনীয় খনিজ লবন। সুস্থ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির শরীরের ওজনের শতকরা ২ ভাগ ওজন হল ক্যালসিয়ামের। শক্ত ও মজবুত হাড় ও দাঁতের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যাবশ্যক। এ ছাড়াও মাংশপেশী, রক্তে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়ামের অভাবে শরীরে হাড় ও দাঁতের ক্ষয়সহ বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দেয়। মাংসের সংকোচন, প্রসারন, স্নায়ুর কার্যক্রম, রক্তের জমাট বাধা ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশু কিশোর ও বয়স্ক মহিলাদের জন্য ক্যালসিয়াম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের শতকরা ৯০ জন  মহিলা এবং শতকরা ৭০ ভাগ বাচ্চাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ক্যালাসিয়াম গ্রহন করে না।

ক্যালসিয়াম শরীরে কি কাজ করে?

¨      দাঁত হাড় শক্ত ও মজবুত করে।

¨      মাংসপেশির সংকোচন ও প্রসারনে সাহায্য করে।

¨      হৃদপিন্ডের কার্যক্রমে সাহায্য করে।

¨      রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

¨      স্নায়ুর তথ্য আদান প্রদানে কায্যকর ভূমিকা রাখে।

¨      বিভিন্ন এজাইমে এর নিঃসরণে সাহায্য করে।

ক্যালসিয়াম কতটুকু প্রয়োজন?

     শারীরিক প্রয়োজন বয়স ও লিঙ্গভেদে ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদায় তারতম্য রয়েছে। যেমন-

শিশু: ৭-১২ মাস, শিশুর প্রতিদিন ২৭০মি:গ্রা: (যে সব মিশুরা বুকের দুধ খায়) এবং ৩৫০ মি:গ্রা: যারা বোতল বা কৌটার দুধ খায়। কেননা, কৌটার দুধে থাকা ক্যালসিয়াম বুকের দুধের ক্যালসিয়ামের মত অত সহজে হজম হয় না। ১-৩ বছর বয়সে প্রয়োজন প্রতিদিনি প্রায় ৫০০মি: গ্রা:।

ছোট বাচ্চা: বাড়ন্ত বয়সে ক্যালসিয়ামের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ৪-৮ বছরে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।  আর এই পরিমাণ ৯-১১ বছরে গিয়ে প্রতিদিন ১০০০ মি:গ্রা: এ গড়ায়।

টিন এজার: এই বয়সে চাহিদা আরও বেড়ে যায়। প্রতিদিন নূন্যতম ১৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম দরকার। যাদের বয়স ১২-১৮ বছর।

পূর্ণ যৌবন (হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির বয়স): ১৮-২০ বছরে হাড়ের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে যার হাড় যত মজবুত হয়, বয়সকালে তার অস্টিওপরোসিস হবার সম্ভাবনা তাদের সবচেয়ে কম। তাই এ বয়সে প্রতিদিনি ১০০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

গর্ভবতী মহিলা: যদিও এই সময় গর্ভস্থ বাচ্চার জন্য অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম দরকার। যা  ভু্রন, মায়ের শরীর, হাড় থেকে নিয়ে নেয়।  অবশ্য মায়ের বুকের দুধ বন্ধ করার পর খুব দ্রুত শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে। তবে এ সময় উঠতি বয়সের যাদের প্রতিদিন ১৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

দুধদানকারী মা: এ সময় খুব  বেশি অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন নেই। বয়স অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা পূরণ করলেই হয়। আর যে সব মায়েদের বয়স ২০ বছরের কম তাদের জন্য অতিরিক্ত ১৩০০ মি:গ্রা:।

বয়স্ক ব্যক্তি:  à¦¬à§Ÿà¦¸ বাড়তে থাকলে সাথে সাথে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ক্ষয় পেতে থাকে। মহিলাদের    মেনোপসের ৫ বছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়। যদিও এ বয়সে ক্যালসিয়াম ক্ষয়পূরণ করতে পারে, তবে ক্ষয়ের হার কমাতে পারে। তাই এ ধরনের বয়সে বাড়তি ক্যালসিয়াম দরকার। ৫০ বছরের বেশি মহিলাদের এবং ৭০ বছরের বেশি পুরুষদের দৈনিক ১৩০০ মি: গ্রা: বাড়তি ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

ক্যালসিয়ামের উৎস:

¨      দুধ ও দুদ্ধজাত খাবার যেমন- দুধ, দই, পনির, মাখন ইত্যাদি ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস। এক কাপ দুধ, বা ২০০ গ্রাম দুধ এ ৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম থাকে। অন্যদিকে ক্যালসিয়াম ফর্টিফাইভ দুধে ২০০ মিলিতে প্রায় ৫০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম থাকে।

¨      সবুজ শাকসব্জি: পালংশাক, বাধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদিতে অনেক ক্যালসিয়াম থাকে। তবে এক কাপ রান্না করা পালংশাকে ১০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম থাকলেও এর মাত্র ৫% হজম হয় কারণ এতে অক্সালেট থাকে যা ক্যালসিয়াম হজমে বাধা দেয়। অন্যদিকে  এক কাপ সিদ্ধ ব্রকলিতে ৪৫ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম থাকে তবে এর ৫০% হজম হয়।

¨      মাছ: ছোট মাছ, স্যামন মাছ (কাটাসহ) ক্যালসিয়ামের একটি উন্নতমানের উৎস। কেননা, এক কাপ স্যামন মাছে প্রায় ৪০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম থাকে।

¨      বাদাম: বিভিন্ন বাদামে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট:

মনে রাখতে হবে, খাবারের সাথে পাওয়া ক্যালসিয়াম সর্বোৎকৃষ্ট। তবে অনেক কারণে ক্যালসিয়াম সমুদ্ধ খাবার পরিমাণ মত খাওয়া হয়ে উঠে না, তাই বাড়তি ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দরকার। তবে অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট (দৈনিক ৬০০-১৫০০) এর অধিক গ্রহণ করলে পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।

জীবনযাত্রার লাইফস্টাইল, হাড়ের মজবুতিতে যে ভূমিকা রাখে:

যে সব অভ্যাস বা জীবন যাপন পদ্ধতি হাড়ের ক্যালসিয়াম কমিয়ে হাড়কে দুর্বল করে-

¨      অতিরিক্ত লবন খাওয়া

¨      প্রতিদিন ৬ কাপের বেশি চা, কফি ইত্যাদি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খাওয়া।

¨      অতিরিক্ত মদ্যপান।

¨      খূব কম ওজন

¨      অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাদ্য গ্রহণ।

¨      খুব কম শারীরিক পরিশ্রম করা অলস জীবন যাপন।

¨      ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কম থাকা (যারা একরবারেই রোদে যায় না।)

খুব কম ক্যালসিয়াম হাড়কে দূর্বল করে:

শরীরে ক্যালসিয়াম কমে গেলে হরমোন বের হয় যা ক্যালসিয়ামের হজম বৃদ্ধি করে এবং কিডনী দিয়ে প্রসাবের ক্যালসিয়ামের  বের হওয়া কমায়। এতেও চাহিদা পূরণ না হলে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে।  ফলে ধীরে ধীরে হাড় নরম ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

যা মনে রাখা দরকার :

ক. শরীরের ওজনের শতকরা ২ ভাগ ক্যালসিয়াম

খ. দুধ, দৃদ্ধজাত খাবার, ক্যালসিয়াম ফটিফাইভ খাবার, সবুজ শাকসিব্জ ক্যালসিয়ামের উৎস, ছোট হাড়সহ মাছ।

গ. খাদ্যে নিয়মিত ক্যালসিয়াম খুব কম হলে শরীরের হাড় নরম, ভঙ্গুর হয়।

 

10-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

এন্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া

যে সকল জীবানুকে এন্টিবায়োটিক দ্বারা মারা বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না -তাদেরকে এন্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়া বলে। যেমন- স্ট্যাফাইলোক্ককাস অরিয়াস (M R S A) ,ভ্যানকোমাইসিন রেসিসট্যান্স এন্টেরোকক্কাস (VRE), এবং মাল্টি ড়্রাগ রেসিস্ট্যান্ট টি.বি (MDRTB)

 

 

     ব্যাকটেরিয়া জীবানু ধ্বংসে এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এন্টিবয়োটিকের ব্যবহারে মানব স্বাস্থ্যের চিকিৎসার যে বিশাল উপকার হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আগে যে সব রোগে প্রচুর মানুষ মারা যেত এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারে সে সব রোগে বর্তমানে লাখে ১ জনও মারা যায় না। কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়া এসব সাধারণ এন্টিবায়োটিকে নিয়ন্ত্রণ হয় না। এরা হল এন্টিবায়োটিকের রেসিসট্যান্ট ব্যকটেরিয়া।  এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারে  মধ্যেও এরা ঠিকই টিকে থাকে এবং বংশ বিস্তার করে ও রোগ সৃষ্টি করে। অনেক জীবানুই কিছু কিছু এন্টিবায়োটিকে রেসিসট্যান্ট। কিন্তু যখন কোন ব্যাকটেরিয়া অধিকাংশ এন্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রেই রেসিসট্যান্ট -এখন তাকে মাল্টি রেসিসট্যান্ট অর্গানিজম (MRO) বলে। এসব জীবানু মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে এবং জনজীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্য  à¦¸à¦®à¦¸à§à¦¯à¦¾ সৃষ্টি করে। এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশনের সময় যথাযথ নিয়ম  মেনে চললে এ ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

 

এক সময় কাজ হতো এমন এন্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্ট:

কোন কোন ব্যাকটেরিয়া স্বাভাবিকভাবেই কোন কোন এন্টিবায়োটিকে রেসিসট্যান্ট বা অকার্যকর হয়। এন্টিবায়োটিকের গঠন ও কার্যপদ্ধতির জন্য এমন ঘটে। কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়া বর্তমানে এমন কিছু এন্টিবায়োটিকে রেসিসট্যান্ট, যা একসময় ঐ জীবানুকে মারতে পারত বা নিয়ন্ত্রণ  করত। যেমন- স্টেফাইলো কক্কাস অরিয়াস এবং নেইসেরিয়া গনোরিয়া নামক জীবানু বর্তমানে বেনজাইল পেনিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হত যা বর্তমানে একেবারে হয়না বললেই চলে। তবে বেশি ভয়ংকর হয় যে, সব ব্যাকটেরিয়া যা অধিকাংশ এন্টিবায়োটিকে রেসিসট্যোন্ট যেমন: MRSA, MBR-TB VRE.

প্রতিরোধের উপায়:

অন্যতম উপায় হলো:

১। অযথা অধিক মাত্রায় ভুল মাত্রায় এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে। এটি ঘটে সাধারণত যখন রোগীরা ভাইরাল অসুখে  অথবা এমন সব রোগে দ্রুত আরোগ্যের আশায় ডাক্তার কর্তৃক এন্টিবায়োটিকের প্রেসক্রিপশন আশা করে যেখানে  এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই ।

২। এন্টিবায়োটিকের শুরু করে অবশ্যই পুরো কোর্স শেষ  করতে হবে। কেননা কোর্স অসম্পূর্ণ থাকলে জীবানু পুরোপুরি মরে না বরং রেসিসট্যান্স তৈরী করে।

৩। জীবানু অনুযায়ী এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার।

হাসপাতালে এ জীবানু যেভাবে ছড়ায়:

সাধারণ ভাবে হাসপাতালে এ ব্যাকটেরিয়া যেভাবে ছড়ায় তা হল:

ক) হাসপাতালের কর্মচারী, ডাক্তার, নার্সের অপরিচ্ছন্ন হাতের মাধ্যমে।

খ) হাসপাতালের দরজা, টেবিল, কলিংবেল ইত্যাদিতে জীবানু লেগে অনেকের মাধ্যমে হাতে হাতে  ছড়িয়ে পড়ে।

গ) হাসপাতালে ব্যবহার্য্য যন্ত্রপাতি যেমন- স্টেথস্কোপ, প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে ছড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন :

রোগ জীবানুর প্রসার নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী দেরকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাতে এ ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে না পারে। যেমন-

v     পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন - প্রতিটি রোগী দেখার পর। এলকোহল সমৃদ্ধ হ্যান্ড ড়্যাব  à¦¦à§à¦¬à¦¾à¦°à¦¾ হাত জীবানু মুক্ত করা।

v     গ্লাভস, মাস্ক, গগলস্‌ ইত্যাদি ব্যবহার করা।

v     সুই, সিরিঞ্জ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদির সাবধান ব্যবহার ও নিরাপদ বর্জ নিষ্কাশন।

v     সর্বক্ষেত্রে  à¦œà§€à¦¬à¦¾à¦¨à§à¦®à§à¦•à§à¦¤ পদ্ধতি অবলম্বন।-

বাড়তি সতর্কতা:

 à¦¯à§‡ সব রোগের জীবানু সম্বন্ধে জানা আছে যে এটি অতি সংক্রামক বা মাল্টিড্রাগ রেসিসট্যান্ট সে সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধান থাকতে হবে। যেমন:

v     এ সব রোগীর জন্য আলাদা রুম, আলাদা টয়লেট, প্লেট, গ্লাস।

v     রোগীর জন্য আলাদা যন্ত্রপাতি।

v     অযথা স্বাস্থ্যকর্মীর, রোগীর আত্মীয়দের  প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ।

 

মুক্ত পরিবেশে- সমাজে এই রোগের বিস্তার:

এই ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সমাজে একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। এভাবেই এই জীবানু সতর্কতার অভাবে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি প্রতিরোধের জন্য-

v     খাবার রান্না, পরিবেশনা বা খাবার আগের ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস।

v     হাঁচি, কাশির সময় মুখে নাকে রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার।

v     নাক, চোখ, মুখ মোছার জন্য ব্যক্তিগত রুমাল ব্যবহার।

v     যেখানে সেখানে থুথু, কাশি না ফেলা।

v     অসুস্থ  থাকলে যতটা সম্ভব অন্যদের সন্নিকটে অবস্থান না করা।

v     বাচ্চাদের অসুস্থ অবস্থায় স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টারে না পাঠান।

v     এন্টিবায়োটিকের পুর্ন কোর্স সম্পন্ন করা।

v     নিজে নিজে বা অল্প প্রয়োজনে বা  ভাইরাল রোগে অযথা এন্টিবায়োটিক খাবার প্রবণতা কমানো।

যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে:

v     এন্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্ট একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা

v     বিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া যারা মারাত্মক অসুস্থতা সৃষ্টি করে ধীরে ধীরে সাধারণ এন্টিবায়োটিকে রেসিসট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে।

v     এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখিন করছে।

v     রোগ জীবানু ছড়ানোর প্রতিরোধে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সতর্কতা অবলম্বন একান্ত জরুরী।

v     ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা পালন একান্ত জরুরী।

v     এন্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে এই অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে।

 

13-08-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

বয়স্ক মানুষের তাপ সংক্রান্ত সমস্যা

গরমজনিত তাপ অন্যান্নদের চেয়ে বয়স্ক মানুষের উপর বেশী প্রভাব ফেলে । ৬৫ বছরের বেশী বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরো বেশী হয় এবং গ্রীষ্মকালে বিশেষ যত্ম প্রয়োজন হয়। তাপ এর ফলে তাপজনিত স্ট্রোক  হতে পারে, যার কারনে মৃত্যুও ঘটে থাকে।  http://t0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcRIqj0srJn0lb07f0ACfX3oBpZAMhkoa9SgmV3MN7voaWw_e5iM

 

আমাদের শরীর সাধারনত নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে । গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা হয়। কিন্তু কিছুকিছু ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বেশী থাকলে ঘামের দ্বারা শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। একে বলা হয় হাইপারথার্মিয়া।

উপসর্গ

সাধারনত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো লক্ষ্য করা যায়ঃ

১.গরম ও শুকনা ত্বক

২.ফ্যাকাশে

৩.হৃৎপিন্ডের গতি বেড়ে যাওয়া।

৪.মাংশপেশীতে টান পড়া

৫.অবচেতন অবস্থা

৬.অজ্ঞান হওয়া

http://t3.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcTyaQHEVIDoMXNM7xUth1bRM8g0jJ7PwSGZgRbWR7IQViAUvi7V

 

যে সকল কারনে সমস্যা বাড়তে পারেঃ

১.একাকী বসাবাস করাঃ  

যদি যত্ম নেবার মত কেউ না থাকে ।

২.শরীরিক পরিবর্তনঃ

বয়স্ক মানুষের শরীর যুবকদের মত পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারেনা।

৩.দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাঃ

দীর্ঘদীন ধরে অসুস্থদের জন্য তাপজনিত সমস্যা মারত্মক হয়ে থাকে।

৪.ঔষধঃ

কিছু কিছু ঔষধ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে বাধা প্রদান করে।

৫.কিডনী সমস্যাঃ  

কিডনী সমস্যার ক্ষেত্রেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে সমস্যা হয়।

গরম কালীন সময়ে ঔষধ সেবনঃ নিম্নোক্ত ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ জরুরী। কারন সকল ঔষধ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে সমস্যা করতে পারেঃ

১.বিষন্নতা ও অন্যান্য মানসিক রোগের জন্য প্রদত্ত ঔষধ সমূহ যা মস্তিস্কের হাইপোথ্যালামাসে কাজ করে।

২.এন্টি হিস্টামিন

৩.বিটা-ব্লকার

(উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য হৃদরোগ জনিত সমস্যার ব্যবহৃত হয়)

৪.এম্ফেটামিন শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়)

৫.ডাইউরেটিকস- শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।

৬.ঘুমের ঔষধ সমুহ

সচেতন হতে হবে নিজেকেঃ

১.গরম কালে সুস্থতার জন্য সচেতন হোন।

২.ঘরের ভিতরে বেশীর ভাগ  সময় থাকুন।

৩.হালকা কাপড় ব্যবহার করুন।

৪.ঠান্ডা পানীয় খেতে পারেন।

৫.ক্যাফেইন অর্থাৎ চা, কফি এবং এলকোহল খাওয়া কমান।

৬.প্রসাবের রং এর দিকে নজর রাখুন।

৭.আবহাওয়া পুর্বাভাসের দিকে খেয়াল রাখুন। তাপমাত্রা  সাভাবিক এর বেশী হলে শীরের বিশেষ যত্ন নিন।

৮.যে কোন সমস্যা নিয়ে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ

·        তাপজনিত সমস্যার রোগীকে প্রথমেই দ্রুত ঠান্ডা করতে হবে।

·        যে কোন ভাবে তাকে বাতাস করতে হবে।

·        দ্রুত গোসল বা শরীরে পানি ঢালার ব্যবস্থা করতে হবে।

·        শরীর ঠান্ডা করার পর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মনে রাখতে হবেঃ

o       ৬৫ বছরের বেশী বয়স্করা তাপজনিত সমস্যার বেশী আক্রান্ত হয় এবং তাদের বিশেষ যত্ম প্রয়োজন।

o       একাকী বসবাস, দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও কতিপয় ঔষধ তাপজনিত সমস্যা বাড়াতে পারে।

o       গরম আবহাওয়ায় নিজেকে রক্ষা করতে বিশেষ সচেতনতা প্রয়োজন।

13-08-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

টিন এজ বয়সে টিকা

 

১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য যেমনি টিক গ্রহণ অত্যাবশ্যকীয়, এমনি বাড়ন্ত বয়সেও কিন্তু  কিছু রোগের টিকা নেয়া উচিত । কারণ এ বয়সেও অনেক ধরনের  রোগ হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অথচ টিকা নিয়ে সে সব রোগ থেকে বেচে থাকা যায়। তাছাড়া ছোট বেলায় নেয়া টিকার বুষ্টার ডোজ টিন এজ বয়সে নিলে ঐ টিকার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

এই বয়সে  যেহেতু স্কুলে অনেক বাচ্চা একত্রিত হয়, তাই ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া পরিপুর্নভাবে ইমুনাইজ না হলে তার  কাছ থেকে অন্য বাচ্চার বিশেষত পরিবারের নবজাতক শিশুর ইনফেকশন হতে পারে। তাই টিন এজ বয়সে সব রোগের  সম্পূর্ণ টিকা নিতে হয়।

 

বয়স

টিকা

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

 

৭ বছর             

হোপাটাইটিস-বি (এনজেরিক্স-বি,ইউভ্যাক্স-বি)

ইনজেকশনের স্থান লাল হওয়া,ব্যাথা হয়ে ফুলে উঠা। অস্থি সন্ধিতে ব্যাথা

চিকেন পক্স

( ভ্যারিল রিক্স)

বেশী জ্বর(১০২ ফা:) গায়ে লাল  লাল দানা, বা চামড়ায় চিকেন পক্সের মত দাগ ।

 

ডি, পি, টি (না দেয়া থাকলে)

হালকা জ্বর, বাচ্চা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করতে পারে, ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে। এনাফাইল্যাকটিক রিএকশন,সিরাম সিকনেস

৭ বছরের মেয়েদের           

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস                         

(সার্ভারক্সি)

হালকা জ্বর, ইনজেকশনের স্থান লাল হওয়া,ব্যাথা হয়ে ফুলে উঠা।

১০ বছর

ডি, পি, টি

হালকা জ্বর, বাচ্চা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করতে পারে, ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে। এনাফাইল্যাকটিক রিএ্যাকশন,সিরাম সিকনেস

                    

টিকা দেবার আগে যে সমস্যাগুলি থাকলে ডাক্তার বা টিকাদানকারীকে জানাতে হবে :

 

-         আগে কোন টিকা নেবার পরে মারাত্মক কোন সমস্যা হয়ে থাকলে

-         কোন কিছুতে প্রচন্ড এলার্জি থাকলে

-         গর্ভবতী হলে

-         গত ১ মাসে কোন টিকা নিয়ে থাকলে।

-         ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন

-         ক্যান্সার, এইডস্‌, লিউকেমিয়া থাকলে।

-         উপরোক্ত কারণে চিকিৎসাধীন থাকলে -স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ খেলে

-         এমন কারও সাথে বসবাসরত যিনি গ্ররুতর অসুস্থ বা কম প্রতিরোধ  ক্ষমতা  সম্পন্ন।

-         দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ্য থাকলে ।

-         রক্তক্ষরণ জাতীয় অসুস্থ্য থাকলে।

-         স্প্লীহা/স্প্লীন অপারেশন হযে থাকলে।

-         সুই দেখলে  অজ্ঞান হয়ে যাবার  সম্ভাবনা থাকলে।

সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহ :

সামান্য পার্শ প্রতিক্রিয়া যেভাবে কমানো যায় :

-         বরফ বা ঠান্ডা ভেজা কাপড় ইনজেশনের স্থানে  লাগান।

-         বেশী করে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ান।

-         জ্বর, ব্যাথা, ফেলা কমাতে শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ দিন।

 

অন্যান্য টিকা বা এই বয়সে দেয়া যায় :

-         হাম, মাম্‌স, রুবেলা, পোলিও টিকা সময়মত দেয়া না থাকলে দ্রুত দেবার ব্যবস্থা করবেন। এসব টিকা যে কোন সময়ে দেয়া যায় ।

-         মেনিনগোকক্কাস-সি ভ্যাক্সিন

-         হিব ভ্যাক্সিন (ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন)

 

ভ্রমনের সময়কালীন টিকা :

যে  স্থানে বেড়াতে যাবেন সে স্থানের যে রোগের  উপদ্রব বেশী সেই রোগের অগ্রিম  টিকা নিতে হবে।  সাধারনত ২-৩ মাস পূর্বে দিতে হয়।

 

04-07-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

স্তন সমস্যায় সচেতনতা

স্তনে যে কোন ধরনের পরিবর্তনের ব্যপারে মহিলাদের  খুব সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সকল পরিবর্তন ক্যান্সার নয় কিন্তু তা অবশ্যই ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে  নিশ্চিত হতে হবে। সাধারনত সে সকল পরিবর্তন হতে পারে।

·        ব্যথা

·        স্তনে শক্ত মাংসপিন্ড অনুভুত হওয়া

·        বোটায় পরিবর্তন দেখা যাওয়া

·        বোটা দিয়ে পূজ বা অন্য কিছু নির্গত হওয়া।

http://t3.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcTJi56onuIKrMq2Xh-ImXySbUzvCzpEmKyLu4OtabAgMPm-_mky

স্তন সংক্রান্ত কোন সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয়, সে জন্য  মহিলাদের নিজেদের স্তনের কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা- সে ব্যপারে সচেতন হতে হবে। স্তনে কোন কোন ধরনের পরিবর্তন পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।  সকল বয়সী মহিলাদেরই সমস্যা হতে পারে তবে বয়স্ক মহিলাদের ক্যান্সার হওয়া হার বেশী।

নিম্নলিখিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই  ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে;

·        স্তনের কোন অংশ শক্ত পিন্ডের মত হয়ে গেলে

·        আকারে পরিবর্তন হলে

·        আকৃতিতে কোন পরিবর্তন হলে

·        স্তনের চামড়ায় কোন পরিবর্তন দেখা দিলে

·        কোন অংশে চামড়া মোটা হয়ে গেলে

·        বোটায় কোন পরিবর্তন হলে

·        বোটা দিয়ে কোন কিছু  নির্গত হলে

·        কোন অংশ অন্যান্য অংশের মত মনে না হলে

·        যে কোন ব্যথা অনুভুত হলে।

যদি এ সকল সমস্যা বগলের নিচেও দেখা যায় তাহলেও অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 

জানতে হবে স্বাভাবিক অবস্থাঃ

সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাবার জন্য স্বাভাবিক স্তন সমন্ধে ভাল ধারনা রাখা জরুরী।

·        নিয়মিত আয়নায় দেখে নিজের স্তনের স্বাভাবিক আকার সম্বন্ধে  à¦§à¦¾à¦°à¦¨à¦¾ নিতে হবে।

·        হাত দিয়ে স্পর্শ করে স্তন সম্বদ্ধে স্পষ্ট ধারনা নিতে হবে। গোসলের সময, কাপড় বদলানোর সময় অথবা রাতে ঘুমানোর সময় এটা সহজেই কারা যেতে পারে ।

·        কন্ঠাস্থি থেকে ব্রা লাইন এর নিচ পর্যন্ত স্তনের মাংশপেশী দেখতে হবে কোন জায়গায় শক্ত হয়ে গেছে কিনা।

·        আঙ্গুল একত্রিত করে উপরের অংশ দিয়ে  স্পর্শ করে স্তন পরীক্ষা করতে হবে।

http://t0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcT02SCe9rmVO9Qkn7YQfH_Q6RU-ulZp2SbgUoaZbrJuSvOM6H8T

 

যে কোন পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া জরুরী?

    স্তন ক্যান্সার যত দ্রুত ধরা পড়ে চিকিৎসায় ভাল হবার সম্ভবনা ততবেশী থাকে। তবে স্তনের সকল পরিবর্তনই ক্যন্সার নয়। ক্যান্সার ব্যতিত নিম্নলিখিত কারনে স্তনের পরির্তন হয়।

·        হরমোনঃ

সাধারনত মাসিক এর সময় হয়ে থাকে

·        সিস্টঃ

ছোট তরলপূর্ন থলের মত হয়ে থাকে ।

·        ফাইব্রো এডেনোমাঃ

ফাইব্রাস ও গ্রন্থির টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে হয়ে থাকে।

·        মাইক্রোক্যালেসিফিকেশনঃ

স্তনে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে।

 

সনাক্ত করনঃ

সাধারনত: ৫০-৭০ বছরের মহিলাদের

প্রতি দুই বছরে একবার ম্যামোগ্রফি করা উচিত।

পুরুষের  à¦•à§à¦·à§‡à¦¤à§à¦°à§‡ স্তন ক্যান্সারঃ

পুরুষের সাধারনত স্তন ক্যান্সার হয়না । হলে ৫০ উর্ধি বয়সীরা হুমকির মুখে । কোন পুরুষের  বুকে যদি গোটা দেখা যায় বা কোন পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরী ।

মনে রাখতে হবেঃ

·        নিজের স্তনের গঠন ও আকৃতি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।

·        স্তনের যে কোন পরিবর্তনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

·        সকল পরিবর্তনই ক্যান্সার নয়।

·        ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী  মহিলাদের অবশ্যই প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর ম্যামোগ্রাফি করতে হবে।

 

04-07-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা

হাড়ের শক্তি নিরুপন করার জন্য এর ঘনত্ন পরীক্ষা করা হয়ে থাকে । এ পরীক্ষা থেকে হাড়ের ক্ষয় এবং ভবিষ্যতে হাড়ের ভাংগন সম্পর্কে ধারনা করা যায়। http://t0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQjgM7hP1Gn1MyaBcvE1afQEirYpBTf1WF29cgk8DTtuOFhYUDKFQ

বিভিন্ন ভাবে হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করা যায় । এর মধ্যে বেশীর ভাগ সম্পূর্ন ব্যথামুক্ত এবং অল্প সময়েই করা যায়। একটি বিশেষ ধরনের এক্স-রে পরিক্ষার মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব দ্রুত এবং সঠিকভাবে  পরিমাপ করা যায়।

কখন করা হয়?

সাধারনত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হয়ে থাকেঃ

o       ওস্টিওপোরোসিস

o       মেরুদন্ডের সমস্যা

o       হাড় ক্ষয়

o       পুর্বে হাড় ভাঙ্গা ছিল এমন ক্ষেত্রে

o       মহিলাদের মাসিক সম্পূর্নভাবে বন্ধ হয়ে যাবার পর।

ওষ্টিও পোরোসিস বয়স্ক মহিলাদের বেশী হয়।হরমোন ঘটিত সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী যকৃৎ রোগ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং কিডনী সমস্যা অস্টিও পোরোসিস কে প্রভাবিত করে।

যে সব বিষয় বিবেচ্যঃ

পরীক্ষার পূর্বে নিম্নবর্নিত বিষয়গুলো নিয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে।

১.রোগের ইতিহাস

২.হাঁড়ের সমস্যার ঝুকি

৩.গর্ভবর্তী কিনা

৪.পরীক্ষার পূর্বে কোন বিশেষ পরামর্শ আছে কিনা

পরীক্ষার ধরনঃ

পরীক্ষার জন্য সকল কাপড় বদলিয়ে মেডিকেল গাউন পড়তে হবে। সকল প্রকান অলংকার খুলে ফেলতে হবে। হাড়ের  ঘণতৃ যে সকল পরীক্ষায় মাধ্যমে নির্নয় করা যায় -

১.ডুয়েল এনার্জি এক্সরে অস্টিওমেট্রি।

২.সিংগল এনার্জি এক্সরে অস্টিওমেট্রি।

৩.আল্ট্রাসাউন্ড অস্টিওমেট্রি।

 

পরীক্ষার পর-

সাধারনত পরীক্ষা করতে আধঘন্টা সময় লাগে এবং পরীক্ষায় পরপরই বাড়ী চলে যাওয়া যায় ।

পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।

পরীক্ষার ফলাফলঃ

হাড়ের ঘনত্ব গ্রাম/সে,মি, এককে পরিমাপ করা হয়।এছাড়া টি স্কোর ও জেড স্কোর দেখা হয়।টি স্কোর ও জেড স্কোর হলো একই বয়সের সমজাতীয় রেফারেন্স্স ব্যক্তির হাড়ের ঘনত্ব সাথে পরীক্ষাধীন ব্যক্তির হাড়ের ঘনত্বের তুলনা টি স্কোর ২.৫ বা এর কম হলে অস্টিওপোরোসিস হিসাবে ধরা হয়।

সম্ভাব্য জটিলতাঃ

সাধারনত এটি খুবই নিরাপদ। এতে তেজষ্ক্রীয়তার পরিমানও এক্স-রে এর তেজষ্ক্রীয়তার সমান।

ভবিষ্যতের জন্যঃ

অষ্টিওপোরোসিস রোগীর ক্ষেত্রে বার বার হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

 

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ভ্যাক্সিন

 

ভ্যাক্সিন আমাদের শরীরে বেশ কিছু সংক্রামক রোগ হবার ঝুঁকি কমায়, কিছু কিঝু ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ জীবন ঐ সব রোগের সুরক্ষা দেয়। আর বেশীরভাগ রোগের জন্য একটি টিকা  à¦¨à¦¿à¦°à§à¦¦à¦¿à¦·à§à¦Ÿ সময় পর্যন্ত দেয়, তাই মাঝে মাঝে  বুষ্টার দেয়া লাগে। ভ্যাক্সিন এবং  ইমিউনাইজেশন যদিও কিছুটা ঝুকিপূর্ণ তদুপরি এর উপকারীতা ঝুকির তুলনায় অনেক বেশী।

যে জীবানুর বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিন দেয়া হয় সেই জীবানুকে দূর্বল করে বা মেরে বা অংশবিশেষ নিয়ে শরীরে প্রবেশ করিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ  ক্ষমতা বৃদ্ধি বা সক্রিয় করা হয়।

 à¦ ক্ষেত্রে  প্রথমে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে শরীরকে  জীবানুকে চিনতে সাহায্য করে। পরবর্তীতে শরীর  যখন সত্যিকার জীবানুর সংস্পর্শে আসে, তখন  দ্রুত তাকে  চিনতে পারে  এবং তার বিরুদ্ধে দ্রুত এবং শক্তিশালী ব্যবস্থা নেয। এভাবে ভ্যাক্সিনেশন শরীরের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ভ্যাক্সিনেশেন বেশ কিছু সংক্রামক রোগপ্রতিরোধের সর্বোৎকৃষ্ট উপায় । কিছু কিছু ক্ষতিকর দিক থাকলেও এর উপকারীতা এত বেশী বিশেষ করে এর মাধ্যমে পোলিও ডিপথেরিয়া ইত্যাদি রোগ থেকে নিরাপদে থাকা যায়। অন্যথায় মানুষ দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগ্রস্থ থাকে, এমনকি মারা যায়।

 

কিভাবে কাজ করেঃ

 à¦®à¦¾à¦¨à¦¬ দেহের রোগ প্রতিরোধে বিশেষ কিছু  ধরণের কোষ ও  কেমিক্যাল অংশ গ্রহণ করে। এরা সরাসরি জীবানুকে ধ্বংশ করে বা জীবানুকে আটকে ফেলে। মানবদেহে কিছু কিছু রোগ থেকে প্রাকৃতিকভাবে সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে বা রোগের কারণে অথবা ভ্যাক্সিনেশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা লাভ করে।

যে সকল  জীবানু শরীরে রোগ প্রতিরোধ করে সে সব জীবানুকে মেরে অথবা রোগ তৈরীর ক্ষমতা হ্রাস  করে অথবা জীবানুর শরীরের কোন বিশেষ অংশকে আলাদা করে মানুষের শরীরে ইনজেকশন বা খাবার মাধ্যমে প্রবেশ  করানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে যেখানে জীবানু কর্তৃক নিঃসৃত বিষ দিয়ে রোগ হয়, সেক্ষেত্রে সেই বিষয়কে নিস্ক্রীয় করে শরীরে প্রবেশ করানা হয। শরীর সেই দূর্বল/মৃত বা জীবানুর নিস্ত্রীয় বিষ বা শরীরের অংশকে প্রকৃত জীবানু হিসেবে চিহ্নিত করে  তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে (এন্টিবডি তৈরী করে)। এক্ষেত্রে মানব শরীর অসুস্থ  না হয়েও রোগ প্রতিরোধকারী এন্টিবডি তৈরী করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে শরীরের কিছু কিছু রোগ প্রতিরোধকারী কোষ  সদা সতর্ক প্রহরী রুপে রক্তে বিরাজ করে।  যখনই সেই জীবানু শরীরে প্রবেশ করে তখন সেই প্রহরী খুব দ্রুত তাকে চিনতে পারে এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা করে। অর্থাৎ অনেক দিন ধরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতার মূল চাবি সংরক্ষিত থাকে, যাকে রোগ প্রতিরোধের স্মৃতি বা মেমোরী সেল বলে।

 

ভ্যাক্সিন প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধের সম্পূরকঃ

আমাদের শরীরের প্রকৃতি প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা লাইব্রেরীর মত, যেখানে সমস্ত জীবনে শরীর যত ধরণের  জীবানুর সংস্পর্শে আসে ততধরণের  জীবানুর সম্পর্কে তথ্য  জমা থাকে। তাই ২য় বার যখনই কোন জীবানু ঢোকে, তখনই শরীর আগের  স্মৃতি থেকে দ্রুত বুঝে যায় কিভাবে এই জীবানুকে আটকাতে হবে  এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরে কোন লক্ষণ প্রকাশ হবার আগেই ঐ জীবানুকে মেরে ফেলে। যে কারণে অনেক রোগ জীবনে  ১ বারই হয় যেমনঃ মামস্‌ এবং রুবেলা (জার্মান মিসেলস)} যদিওবা মানুষ সমস্ত জীবনে হয়তো বহুবার ঐ জীবানুর সংস্পর্শে আসে।

 

জীবানু  যেভাবে রোগ সৃষ্টি করে, তা প্রতিরোধের মত করেই সাধারণতঃ ভ্যাক্সিন তৈরী করা হয়। যেমন- হামের টিকা জীবানুর কাজ করে অন্যদিকে  টিটেনাসের টিকা টিটেনাসের জীবানু দ্বারা তৈরী টক্সিন /বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে।

 

ইমুইনাইজেশনের/ভ্যাক্সিন তৈরীর ইতিহাসঃ

প্রায় ২০০ বছর পূর্বে ভ্যাক্সিনেশেনের উৎপত্তি। যখন গুটি বসন্ত  ছিল এক ভয়াবহ রোগ । ১৮ শত শতাব্দীতে ডা: এডওয়ার্ড জেনার প্রথম লক্ষ্য করেন যারা খামারী, গরুর ফাউলপক্স রোগের সংস্পর্শে এসেছে তাদের গুটিবসন্ত বা স্মলপক্স হয়না, এর কারণ  হিসেবে বের nq যে ফাউলপক্স ও স্মলপক্সে জীবানু দেখতে একই রকম হওয়াই খামারীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।

 

কোন ভ্যাক্সিনই শতভাগ কার্যকর নয়ঃ  

পরীক্ষায় দেখা গেছে যদি ১০০ জনকে ভ্যাক্সিন দেয়া হয় এর মধ্যে ১০-১৫ জনের ঐ রোগটি হবার সম্ভাবনা থাকে যদি তারা জীবানুর সংস্পর্শে আসে। এর কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঐ ভ্যাক্সিনের দ্বারা সক্রিয় হতে পরেনি এবং এন্টিবডিও তৈরী করতে পারেনি, বা এমনও হতে পারে যে, ঠিকমত সংরক্ষনের অভাবে ভ্যাক্সিন ঠিকমত কাজ করেনি।

অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন নেবার পর সবারই সেই রোগটি হতে পারে কিন্তু ভ্যাক্সিন না নিলে যে পরিমাণ মারাত্মক হত সেই পরিমাণ হয় না। অর্থাৎ ভ্যাক্সিন সেরকম রোগ প্রতিরোধ করে তেমনি রোগের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয় ক্ষতি বা পরবর্তি সমস্যার পরিমাণ হ্রাস করে।

 

ভ্যাক্সিনের কি ঝুঁকি আছেঃ

 à¦…ন্যান্য  যে কোন ঔষধের যতই ভ্যাক্সিনে ১০০% নিরাপদ নয়।  তবে ঝুকির তুলনায়  উপকারীতা অনেক অনেক বেশী । যেমন  MMR Vaccine  (মামস্‌, মিসেলস ও বেলা ভ্যাক্সিন) যারা নেয় তাদের মধ্যে ১০,০০০০০ ; ১ জন এনকেফালাইটিস (ব্রেইনের ইনফেকশন) এ ভুগে। অন্যদিকে মামস্‌ রোগ হলে এনকেফালাইটিস হবার সম্ভাবনা  ২০০ জনে ১ জনের ।

 

বাংলাদেশে পাওয়া ভ্যাক্সিনসমূহঃ

 à¦¸à¦°à¦•à¦¾à¦°à§€ ভাবে-

1.      পেন্টাভেলেন্ট (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, নুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি, হিব-একত্রে)

2.     টি.টি (টিটেনাস টক্সয়েড)

3.     হামের টিকা

4.     পোলিও টিকা

বেসরকারী ভাবে-

1.      পেন্টাভেলেন্ট (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, নুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি, হিব-একত্রে)

2.     টি.টি (টিটেনাস টক্সয়েড)

3.     এম,এম,আর (মামস, হাম এবং রূবেলার টিকা একত্রে)

4.     রোটা ভাইরাসের টিকা

5.     হেপাটাইটিস এ টিকা

6.     হেপাটাইটিস বি টিকা

7.     হিব এর টিকা

8.     মেনিনগোকক্কাস এর টিকা

9.     চিকেন পক্স এর টিকা

10. জরায়ু মুখের ক্যান্সার এর টিকা

11.  জলাতঙ্কের টিকা

12. টাইফয়েড এর টিকা

 

যেখানে টিকা দেয়া হয়

আমাদের দেশে সরকারী ভাবে যে টিকা গুলি দেয়া হয় তা-

·        সকল থানা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে,

·        সরকারী মেডিকেল কলেজ সমূহে,

·        শিশু হাসপাতাল বা ইনস্টিটিউট,

·        শিশু-মাতৃ সদন সমূহে প্রতিদিন বা সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে বিনামূল্যে দেয়া হয়।

·        জাতীয় টিকা দিবসে একই দিনে সারা দেশে প্রতিটি থানার প্রতিটি ওয়াডে আট টি স্থায়ী বা অস্থায়ী  কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে টিকা দেয়া হয়।

 

বেসরকারী ভাবে যে টিকা গুলি দেয়া হয়, তা

·        বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক সমূহে

·        শিশু বিশেষঞ্জের চেম্বারে

·        বিভিন্ন মেডিসিন স্টোরে

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ধনুষ্টাংকার

 

 

 

ধনুষ্টাংকার বা টিটেনাস একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগে মাংসে  প্রচন্ড খিচুনী হয় এবং শ্বাস কষ্ট হয়। ইহা একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ  যার bvg ক্লসট্রিডিয়াম টিটানী। আমাদের দেশে ব্যাপক টিকার প্রচলনের কারণে রোগটি  খুব একটা দেখা না গেলেও, একেবারে নিশ্চিন্ন হয়নি। তাছাড়া যারা টিকা নেননি তাদের সবারই এই রোগ হবার ঝুকি থাকে।

 

কিভাবে হয় ?

টিটেনাস ব্যাকটেরিয়া সাধারণতঃ মাটি, কাদা, ময়লা, গোবর (বিশেষত ঘোড়ার গোবর) পুরোনো  জং ধরা ধাতব পদার্থ ইত্যাদির মধ্যে থাকে । কোন কারণে শরীরের চামড়ার কাটা কোন অংশ দিয়ে এ জীবানু প্রবেশ করলে রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। মারাত্মক  ধরনের জখম, প্রাণীর কামড়, আগুনে পোড়া অথবা কোন ঘা যেখানে মাটি বা ময়লা লেগেছে ইত্যাদি স্থলে এই জীবানু  দ্রুত রোগ সৃষ্টি করে।

 

লক্ষণসমূহ :

 

- শরীরের মাংসপেশীতে খিচুনী যা প্রথমে  মুখ ও ঘাড় থেকে শুরু হয়।

-  মুখ ও দাত লেগে খাওয়া, মুখ খুলতে না পারা (লক জ)

-  গিলতে সমস্যা হয়।

-  শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয।

-  প্রচন্ড ব্যাথা ও খিচুনী ।

-  ঘাড় পিঠ টান হয়ে যায় ।

-  হৃদ স্পন্দন এলামেলো  হয়।

 

ধনুষ্টাংকারজনিত জটিলতাঃ

মারাত্মক  রকমের  ইনফেকশন  হলে  বা ঠিকমত চিকিৎসা না করলে রোগী মারা যায়

এছাড়াও -  

·        দম বন্ধ হয়ে যাওয়া।

·        শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়া ।

·        নিউমোনিয়া

·        উচ্চ রক্তচাপ/নিম্ন রক্তচাপ

·        হার্ট এটাক ইত্তাদি হতে পারে।

 

ধনষ্টংকারের ঝুকিপূর্ণ গ্রুপ ঃ  যারা ধনুষ্টংকারের টিকা নেননি, তাদের যে কারও যে কোন  সময় এই রোগ হতে পারে । বিশেষত যারা,

·        মাটি, ময়লা, গোবর ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন।

·        মাদকাশক্ত যারা নিজেরা ইনজেকশনের মাধ্যমে  মাদক নেয় ।

·        মারাত্মক ধরণের জখম (নিচে উল্লেখিত)।

·         

 

যে সব আঘাতে টিটেনাস হবার  সম্ভাবনা বেশী

-  গুরুতর আঘাত-হাড়ভাঙ্গা (যেখানে হাড় ভেঙ্গে চামড়া ছিদ্দ্র করে বাইরে বের হয়ে পড়ে)।

-  à¦†à¦—ুনে পোড়া

- শিশুর নাভি অপরিষ্কার ধারারল দ্রব্য দিয়ে কাটলে।

-  পশু পাখিতে কামড়ানো ক্ষত।

-  ধারাল বর্জ  দ্বারা খোচা মেরে রক্ত বের হলে।

-  ক্ষতস্থানে ময়লা, মাটি, গোবর, কাঠের টুকরা পড়লে (সড়ক দূর্ঘটনা)।

 

রোগ নির্ণয় :

 à¦®à§‚লত রোগীর লক্ষণ দেখে এবং আঘাতের ইতিহাস নিয়ে রোগ নির্ণয় করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্যাথলজি পরীক্ষার খুব একটা ভুমিকা নেই।

 

চিকিৎসা :

এটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। সঠিক  সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

          টিটেনাস ইমিইনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন (শরীরের ভেতরের টিটেনাস টক্সিঙ্কে নিস্ক্রীয় করে)

           à¦–িচুনী বন্ধের ইনজেকশন ।

          এন্টিবায়োটিক।

           à¦­à§à¦¯à¦¾à¦•à§à¦¸à¦¿à¦¨/টিক- যদি গত ৫ বছরে না দিয়ে থাকে।
          লাইফ সাপোর্ট ।

 

প্রতিরোধ :

এই রোগের সর্বোত্তম প্রতিরোধক হল ধনুষ্টংকারের টিকা  এবং সাথে  সাথে চামড়া যাতে না  ফাটে বা ক্ষততে যেন ময়লা না লাগে সেদিকে সতর্ক থাকা ।

যদি এমন ধরনের কোন আঘাত পান সেক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের  স্মরণাপন্ন হন। প্রয়োজনে ১টি বুস্টার টিকা গ্রহণ করুন। আর সঠিক নিয়মে টিকা না দেয়া থাকলে টিকার কোর্স সমাপ্ত করুন । প্রয়োজনে টিটেনাস ইমুইনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন গ্রহণ  করুন।

ইমুনাইজেশন/ভ্যাক্সিন দ্বারা প্রতিরোধ :

বাংলাদেশে ১ ১/২ মাস, ২ ১/২ মাস ও  ৩১/২ মাস  বয়সে পেন্টাভেলেন্ট  ইনজেকশন দ্বারা ধনুষ্টাংকার বা টিটেনাস সহ মোট ৫ টি টিকা বিনামূল্যে দেয়া হয়। বুস্টার ডোজ ৩য় ডোজের ১ বছর পরে দিতে হয়। অথবা ৪ বছর বয়সে স্কুলে যাবার পূর্বে দিতে হয়। আর ১৫ বছর বয়স থেকে মেয়েদের ৫ টি টিকা দিতে হয়।  à¦¨à¦¾ হলে নবজাতকের ধনুষ্টাংকার বা টিটেনাস হবার সম্ভাবনা থাকে।

 

টিকার পূর্বে বলবেন

 à¦¨à¦¿à¦šà§‡à¦° সমস্যাগুলি ডাক্তার/নার্সকে বলুন ।

-  অসুস্থতা , জ্বর।

-  কোন টিকায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকলে।

-  কোন টিকায় মারাত্মক এলার্জি হযে থাকলে।

 

সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া /টিকার বিরুপ প্রতিক্রিয়া

সাধারণভাবে কার্যকর এবং নিরাপদ। বিরুপ প্রতিক্রিয়া একেরাবেরই বিরল, তবু যা হতে পারে তা হল-

-  অতি মাত্রায় জ্বর, লাল দাগ, ক্লান্তি বা অবসাদ।

-  সর্দি বা ঠান্ডা, কাশি, চোখ ফোলাবিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

রুবেলা

 

রুবেলা ভাইরাস জনিত একটি রোগ। এ রোগ মূলত চামড়য় লাল লাল দাগ  হয় এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যাথা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগে মানুষের অসুস্থ্যতা সামান্য পর্যায়ে থাকে, কিন্তু গর্ভবতী মহিলারা এই রোগে আক্রান্ত হলে এর পরিণতি মারাত্মক রুপ ধারণ করে। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার মারাত্মক জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয়।একে আমরা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম বলি।

এই রোগকে প্রায়ই জার্মান মিসেলস বলা হলেও এটি মিসেলস বা হাম থেকে আলাদা প্রকৃতির রোগ। এই রোগের খুব প্রাদূর্ভাব না থাকলেও গর্ভবতী মহিলাদের কথা বিবেচনায় রেখে এবং যে কোন সময় মারাত্মকভাবে  ছড়িয়ে পড়ার  ভয়ে এই রোগের প্রতিষেধক টিকা নেয়া উচিত।

 

লক্ষণ ;

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগে খুব সামান্য লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাও আবার জীবানু দ্বারা ইনফেকশনের ২ - ৩ সপ্তাহ পরে।

লক্ষণসমূহ হল :

-         জ্বর, মাথাব্যাথা ।

-         সর্দি বা নাক দিয়ে পানি পড়া।

-         চোখ জ্বালা করা।

-         চামড়ায় লালচে দাগ।

-         অস্থি সন্ধির ব্যাথা।

-         গ্রন্থি ফুলে যাওয়া -ব্যাথা করা।

 

রোগ পরবর্তী জটিলতা ;

যদিও এই রোগে মানুষের খুব কমই অসুস্থতা পরিলক্ষিত হয় এবং সাধারণঃ ২-৩ দিনে সম্পূর্ণ  সুস্থ হয়ে যায় তবু কিছু ক্ষেত্রে যে সব জটিলতা দেখা দিতে পারে । তা হল

১। আর্থালজিয়া/অস্থিসন্ধিতে ব্যাথা - এই ব্যাথা ১ মাস দীর্ঘ সময় থাকতে পারে।

২। মধ্যকর্নের প্রদাহ ।

৩। এনকেফালাইটিস বা মস্তিকের প্রদাহ ।

 

জীবানুটি কিভাবে ছড়ায়  ?

 à¦¸à¦¾à¦§à¦¾à¦°à¦£à¦¤à¦ƒ অসুস্থ ব্যক্তির হাঁচি/ কাশির সাথে জীবানু ছড়ায়  এবং সেই সাথে খাবারের সাথে কোন সুস্থ ব্যক্তি শরীরে প্রবশে করলে তার এর রোগ হতে পারে।

 

কাদের হবার ঝুকি বেশী :

যারা এ রোগের প্রতিষেধক টিকা নেননি, তাদের  সরারই এই রোগ হতে পারে । বিশেষত 

          রুবেলা প্রবল এলাকায় কেউ বেড়াতে গেলে বা ওখান থেকে কেউ বেড়াতে আসলে।

          যারা বচ্চাদের দেখাশুনা করেন।

          যারা হাসপাতালে, ক্লিনিক ইত্যাদিতে কাজ করেন, রোগীর সংস্পর্শে থাকেন।

          যে সব গর্ভবতী মায়েরা রুবেলার টিকা নেননি তাদের  গর্ভস্থ বাচ্চারা ।

                  

করনজনিটাল  রুবেলা সিনড্রোম (CRS)

 

গর্ভবতী মা যদি রুবেলা রোগে আক্রান্ত হন,  সেক্ষেত্রে জীবানু গর্ভস্থ  বাচ্চাকেও আক্রান্ত করে  নানারকম সমস্যা তৈরী করে যেমন : জন্মগত ত্রুটি, গর্ভপাত । বিশেষত যদি মা প্রথম ৩ মাসে আক্রান্ত হয় সেই ক্ষেত্রে সমস্যা হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। এক্ষত্রে প্রতি ১০টি গর্ভস্থ শিশুর ৯ টিই কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়।

এ ক্ষেত্রে যে সব জন্মগত  ত্রুটি দেখা দেয় -তা হল

- অন্ধত্ব।

- বধির।

- হৃৎপিন্ডে সমস্যা ।

- বুদ্ধি প্রতিবন্ধি।

- শারিরিক বৃদ্ধি কম হওয়া।

- ব্রেইন, লিভার,ফুসফুস ইত্যাদিতে প্রদাহ ।

 

রোগ নির্ণয় ;

রুবেলা রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় করা খুব কঠিন। কেননা এই রোগে এমন সব উপসর্গ দেখা দেয় যা বেশিরভাগ ভাইরাসের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি, চামড়ায় লালচে দাগ ইত্যাদি ।

তবে

-   রোগীর টিকা নেয়া আছে কিনা ?

-         রুবেলা হয় এমন স্থানে ভ্রমনের ইতিহাস আছে কি না ?

-         কিছু শারিরিক পরীক্ষা ও

-         রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডক্তাররা এই রোগ নির্ণয় করতে পারেন ।

 

চিকিৎসা ;

 à¦¬à§‡à¦¶à§€à¦­à¦¾à¦— ক্ষেত্রেই এই রোগে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না । ২-৩ দিনে  অপানা  আপনি ভাল হয়ে যায়। এই রোগে এন্টিবায়োটিকে কোন কাজ হয় না কারণ, জীবানুটি ভাইরাস। তবে

-         পূর্ণ বিশ্রাম

-         প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা ।

-         জ্বর ও ব্যাথার জন্য প্যারাসিটামল এবং

-         গায়ে লালচে দাগ হবার  পর ৪ দিন অন্যান্য লোকদের সংস্পর্শ  থেকে  দূরে থাকা উচিৎ ।

তবে গর্ভবতী মহিলা আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকৎসকের পরামর্শ নিবেন। চিকিৎসায় মায়ের উপকার হলেও গর্ভস্থ শিশুর কতটুক উপকার হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।

 

প্রতিরোধ ;

প্রতিষেধক টিকা গ্রহণই সর্বোত্তম প্রতিরোধ  পদ্ধতি এবং জীবনে ১ বার এই রোগ হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পুনরায় হবার সম্ভাবনা কম ।

আমাদের দেশে ১ বছর বয়সে ও ৪ বছর বয়সে এই টিকা বেসরকারী ভাবে কিনে দেয়া যায় ।

MMR  ভ্যাক্সিন 

গর্ভবতী মহিলাদের এই ভ্যাক্সিন নেয়া সম্পূর্ন নিষেধ ।

এই টিকা নেবার ১ মাসের মধ্যে গর্ভধারণ নিষেধ ।

 

যে সব ব্যক্তি এই টিকা নিতে পারবেন না :

-         যারা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ খাচ্ছেন।

-         যারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর চিকিৎসা পাচ্ছেন।

-         লিউকেমিয়া, হজকিনস লিমেফামা জাতীয় ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি

-         <

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

পোলিও

 

 à¦ªà§‹à¦²à¦¿à¦“ ভাইরাস ঘটিত মারাত্তক রোগ। বেশ কিছু বৎসর পূর্বেও বাংলাদেশ, ভারত সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই রোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হত এবং দীর্ঘমেয়াদী  জটিলতাসহ মুত্যুবরণ করত। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকার ব্যবহারের ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ও পরবর্তী জটিলতা  অনেকংশে  হ্রাস পেয়েছে। তাই নিজের, পরিবারের ও দেশের মানুষকে এই রোগ থেকে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে প্রত্যেক শিশুর সময়মত  পোলিও টিকা  খাওয়া দরকার।

 

কিভাবে  ছড়ায়ঃ 

পোলিও  জীবানু মানুষের  অন্ত্রে বাস  করে  এবং পায়খানার মাধ্যমে প্রকৃতিতে ছড়ায়। ঐ আক্রান্ত/জীবানুযুক্ত পায়খানা খাবার পানি বা ময়লা হতের মাধ্যমে মানুষের পেটে  প্রবেশ করে এই রোগের সৃষ্টি করে।

চিত্রঃ পোলিও জীবানু

লক্ষণসমুহ :

পোলিও একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগে সাধারণ সর্দি কাশি থেকে শুরু করে মারাত্মক প্যারালাইসিসও হয়ে মানুষ  মারাও যেতে পারে। যাদের প্যারালাইসিস হয়ে যায় তাদের মধ্যে শতকরা ২-৫% ভাগ মারা যায়। বাকিদের অধের্কের সারাজবিন প্যারালাইসিস বা থলথলে  অবশ হাতে পা  নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।

 

আমাদের দেশে পোলিওর প্রকোপ ;

বাংলাদেশে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ই. পি. আই  কার্য্যক্রমের এবং পোলিও কাম্পেইনের মাধ্যমে পোলিও রোগের প্রকোপ প্রায় শূণ্যের কাছাকাছি । তবে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত ও বার্মা থেকে এই রোগটি আমাদের দেশে প্রবেশ করে। তাই সবারই টিকা নিয়ে সচেতন থাকা দরকার।

 

পোলিও টিকা :

আমাদের দেশে জন্মের ১১/২ মাস বয়স থেকে সকল শিশুকে ২ ফোটা পোলিও টিকা খাওয়ানো হয় নিয়মিত। ঐ টিকার মধ্যে সামান্য পরিমাণ জীবিত কিন্তু রোগ সৃষ্টি ক্ষমতাহীন পোলিও ভাইরাস থাকে। এই টিকা অত্যন্ত কার্য্যকর। তবে খুবই সামান্য ক্ষেত্রে যেমন  ২৫ লক্ষ জনে ১ জনের ক্ষেত্রে এই টিকা পোলিও ঘটিত প্যারালাইসিস করতে পারে। অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক উন্নত দেশে  বর্তমানে এই টিকার পরিবর্তে ইনজকেশনের মাধ্যমে IPV (ইনএকটিভেটেড পলিও ভ্যাক্সিন) দেয়া হয়। অনেক স্থানে এই ইনজেনশনটি ডি, পি, টি টিকার সাথে  একত্রে দেয়া হয।

 

সময়সূচী :

বাংলাদেশে ১ ১/২ মাস, ২ ১/২ মাস ও  ৩১/২ মাস  বয়সে পেন্টাভেলেন্টে  ইনজেকশন দেবার পাশাপাশি মুখে ২ ফোটা করে  পোলিও টিকা দেয়া হয় এবং ৯ মাসে  হামের টিকা দেবার সমং ২ ফোঁটা পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। তাছাড়া বছরে ২ বার  ০ - ৫ বছর  বয়সী বাচ্চাদের এই টিকা দেয়া হয়।

 

বড়দের ক্ষেত্রে টিকাঃ

 à¦¬à§œà¦°à¦¾ টিকা নিলে ৩টি  ডোজ নিবেন। প্রতিক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪ সপ্তাহের সময় পার্থক্য থাকতে হবে। আর ১০ বছর পর পর বুস্টার ডোজ নেয়া উচিত, যারা

-         পোলিও প্রবন এলাকায় ভ্রমন.কাজে যাবেন।

-         যারা পোলিও রোগী নিয়ে কাজ করবেন এমন স্বাস্থ্যকর্মী ।

 

 

এই টিকা নেবার পূর্বে স্বাস্থ্যকর্মীকে  à¦¬à¦²à¦¤à§‡ হবে

-         যদি পূর্বে কোন ভ্যাক্সিনে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে।

-         টিকা দিলে যদি মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য থাকে।

 

পার্শ্বপতিক্রিয়াঃ

উপকারীতা বা কার্যকারীতার তুলনায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই নগন্য। প্রতি ২৫ লাখ ওপিডি খাওয়া বাচ্চাদের মধ্যে ১টি শিশু প্যারালাইসিস পোলিওতে আক্রান্ত হতে পারে।

 

যা অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ

1.      পোলিও  জীবানু মানুষের  অন্ত্রে বাস  করে  এবং পায়খানার মাধ্যমে প্রকৃতিতে ছড়ায়

2.     মূলত পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত ও বার্মা থেকে এই রোগটি আমাদের দেশে প্রবেশ করে।

3.     এই রোগে মারাত্মক প্যারালাইসিস হয়ে মানুষ  মারাও যেতে পারে।

4.     পোলিও টিকার মধ্যে সামান্য পরিমাণ জীবিত কিন্তু রোগ সৃষ্টি ক্ষমতাহীন পোলিও ভাইরাস থাকে যা অত্যন্ত কার্য্যকর।

         

 

 

 

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

নিউমোকক্কাস রোগ এর টিকা

 

নিউমোকক্কাস ঘটিত রোগ অত্যন্ত মারাত্মক -বিশেষত শিশু ও নবজাতক, বৃদ্ধ এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীর জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। তবে সঠিক সময়ে টিকা নিলে এই  রোগের জঠিলতা থেকে  মৃক্তি পাওয়া যায়। তাই এই রোগের টিকা সবার জন্য বিশেষত শিশু, নবজাতক, অতি বৃদ্ধ ও মারাত্মক অসুস্থ রোগীর অবশ্যই নিতে হবে। নতুবা তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পরে।

চিত্রঃ নিওমোকক্কাস

 

টিকা-জটিলতা হ্রাস করে ও মৃত্যুর ঝুকি কমায়

নিউমোক্কাসের প্রতিষেধক টিকা সব সময় রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলেও রোগ পরবর্তী  জটিলতা অনেকাংশে হ্রাস করে। যেমন -

-  à¦¨à¦¿à¦‰à¦®à§‹à¦¨à¦¿à§Ÿà¦¾à¥¤

-   à¦¸à§‡à¦ªà¦Ÿà¦¿à¦¸à§‡à¦®à¦¿à§Ÿà¦¾ (রক্তে ইনফেকশন)।

-   à¦®à§‡à¦¨à¦¿à¦¨à¦œà¦¾à¦‡à¦Ÿà¦¿à¦¸ ( মস্তিস্কে পর্দার প্রদাহ)

 

কি কি ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়ঃ

স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া জীবানু ঘটিত রোগের জন্য ২ ধরনের টিকা/ ভ্যাক্সিন পাওয়া যায় ।

ক) প্রিভেনার :

এটি বিশেষভাবে শিশুদের জন্য তৈরী । যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক কম এবং অন্য ভ্যাক্সিনে তেমন কোন উপকার হয় না। এই ভ্যাক্সিন দিয়ে জীবানুটির শতকরা ৮০ ভাগ প্রজাতি যারা বিভিন্ন রোগ তৈরী করে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব । বিশেষত ২  বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের নিউমোকক্কাস জনিত রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব । এটি ২ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য।

খ) নিউমোভ্যাক্স - ২৩ : 

এটি বড়দের জন্য (৫ বছরের উপরের) তৈরী। স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনির সবচেয়ে জটিল রোগ সৃষ্টিকারী কিছু প্রজাতির রোগ প্রতিরোধ সক্ষম এই ভ্যাক্সিন।

 

কারা নেবেন ? কখন নেবেন ?

এই রাগ যে কোন সময় হতে পারে । তবে শীত ও বসন্তকালে এই রোগ বিশী দেখা যায় । যদিও সারা বছর যে কোন সময়ই  এই  রোগের টিকা নেয়া যায়, তবু শীতের শুরুতে নেয়াই শ্রেয়। একবার টিকা নিলে ৫ বছরের জন্য রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা পাওয়া যায় । যাদের এই রোগ  হবার সম্ভাবনা বেশী বা যাদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে, তাদের অবশ্যই বুস্টার ডোজ নেয়া উচিত । যেমন  :

-         ২ মাস, ৪ মাস ও ৬ মাস বয়সের শিশু।

-         ৬৫ বছরের বেশী বৃদ্ধ ।

-         হাসপাতালে কর্মরত ব্যক্তিগণ।

-         যাদের দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন: হৃদরোগ, কিডনী রোগ, ডায়াবেটিস আছে, হাপানী আছে।

-         যারা  দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রেরয়েড জাতীয় ঐষধ  খাচ্ছেন।

-         যাদের স্প্লীন/প্লীহা নেই বা কাটা হয়েছে।

-         যাদের কৃত্রিম অংগ সংযোজন করা হয়েছে।

-         ধুমপায়ী ।

 

যারা এই টিকা নিতে পারবেন না :

-         পূর্বে এই টিকা নিয়ে মারাত্মক রিএকশন হয়ে থাকলে।

-         গত ৩ বছরে এই টিকা নিয়ে থাকলে।

-         গর্ভবতী মহিলা।

-         যারা মারাত্মক ভাবে অসুস্থ।

 

টিকা নেবার পূর্বে :

নিচের ক্ষেত্রে টিকা নেবার পূর্বে কর্মী/ডাক্তার/নার্সকে জানান

-         ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চা ।

-         অসুস্থতা / জ্বর।

-         পূর্বে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে খাকলে।

-         যদি রোগের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।

 

টিকা পরবর্তী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

খুব সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হত পারে-

যেমন ; - ইনজেকশনের স্থানে লাল, ফোলা ও ব্যাথা হাওয়া ।

-         হালকা  জ্বর

-         ঘুম ঘুম ভাব  

-         বিরক্তি

এ ছাড়াও  খুবই অপ্রতুল হলেও       

-   শ্বানালী ফুলে যাওয়া
-   এলার্জিক রিএকশন হতে পারে।

তাই টিকা দেবার পর টিকা কেন্দ্রে ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে।

 

পার্শ প্রতিক্রিয়া হলে করণীয় : 

-   জ্বর বা ব্যাথার  à¦œà¦¨à§à¦¯ প্যারাসিটামল

-   প্রচুর পরিমাণে পানি পান।

-   ইনজেকশন স্থানে বরফ/ঠান্ডা ভেজা কাপড় ।

 

কোথায় পাবেন?

·        বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক সমূহে

·        শিশু বিশেষঞ্জের চেম্বারে।

·        বিভিন্ন মেডিসিন স্টোরে।

তবে কেনার সময় তার মেয়াদ, ও সঠিক ভাবে সংরক্ষন করা হয়েচে কি না তা দেখে নিতে হবে।

 

যা অবশ্যই মনে রাখবেনঃ

১. নিউমোকক্কাস ঘটিত রোগ বিশেষত শিশু ও নবজাতক, বৃদ্ধ এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীর জন্য অত্যন্ত বিপদজনক।

২. একবার টিকা নিলে ৫ বছরের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাওয়া যায়।

৩. এই টিকার মাধ্যমে ২  বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের নিউমোকক্কাস জনিত রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৪. এই টিকার ফলে খুব সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হত পারে।

 

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

মামস্‌

মামস্‌ ভাইরাস জনিত একটি ছোয়াচে রোগ। এই রোগে রোগীর জ্বর হয় এবং কানের সামনের ও একটু নিচের অংশ ফুলে যায়। রোগী ব্যাথা পায়, মুখ হা করতে পারে না। এই রোগ থেকে মারাত্মক ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে এই রোগের প্রকোপ অনেক বেশী, কেননা এই রোগের প্রতিষেধক সবাই নেয় না।

 

লক্ষনসমূহ :

জ্বর,

মাথা ব্যাথা,

দূর্বল লাগা,

উভয় পাশে লালাগ্রন্থি (কানের ঠিক সামনে অবস্থিত) একপাশে বা উভয় পাশে ফুলে যাওয়া ।

হা করতে, চাবাতে ও গিলতে কষ্ট/ না পারা ।

মাম্‌স্‌ থেকে সৃষ্ট জটিলতা :

প্যারোটিভ গ্রন্থি থেকে এই রোগ শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়লে সে ক্ষেত্রে যে সব জটিলতা দেখা দিতে পারে তা হল :

-         মাস্টাইটিস - স্তনের  প্রদাহ

-         অরকাইটিস - অন্ডকোষের প্রদাহ

-         উফুরাইটিস - স্ত্রীর ডিম্বাশয়ের প্রদাহ।

-         মেনিনজাইটিস -  মস্তিস্ক পর্দার প্রগাহ।

-         এনকেফালাইটিস - মস্তিস্কের প্রদাহ।

-         মায়োকার্ডাইটিস - হৃৎপিন্ডের মাংসপেশীর প্রদাহ।

-         প্যানক্রিয়াটাইটিস - অগ্নাশয়ের প্রদাহ ।

-         হেপাটাইটটস -লিভারের প্রদাহ।

-         থাইরয়ডাইটিস -থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ

-         কানে কম শোনা।

-         গর্ভপাত।

 

রোগী/জীবানু কিভাবে ছড়ায়?

রোগটি ইনফ্লুয়েঞ্জা (সাধরণ সর্দি, কাশির মত)মত ছড়ায়। সাধারণ অসুস্থ রোগীর থুতু, কাশি, লালা, হাচির মাধ্যমে জীবানু যদি সৃস্থ ব্যক্তি বা খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে এই রোগ হয। প্রস্রাবের সাথেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। সাধারণত জীবানু  দ্বারা আক্রান্ত হবার ২-৩ সপ্তহ পরে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়।

অনেক ক্ষেত্রে (প্রতি ৩ জনে ১ জন) রোগীর কোন লক্ষণ প্রকাশ হয় না, তবু তার মাধ্যমে জিবানু ছড়াতে পারে। এ কারণে স্কুলে  এক বাচ্চার হলে ঐ ক্লাসে অন্যান্য অনেক  বাচ্চার  মামস্‌ হয়।

 

যাদের হবার ঝুকিবেশী ;

টিকা নেয়নি, অথচ রোগীর সংস্পর্শে এসেছে তাদের সবারই এই রোগ হতে পারে।

 

রোগ নির্ণয় :

 -   রোগের ইতিহাস, টিকা নেবার ইতিহাস

 à¦“ শারিরিক পরীক্ষার মাধ্যমেই রোগ নির্নয় করা যায়। এ ছাড়া প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করা যায়।

 

চিকিৎসা :

সাধারণতঃ কোন জটিলতা না হলে এই রোগের কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই । তবে জটিলতা যাতে না দেখা দেয় সেজন্য চিকিৎসা করা প্রয়োজন । ২ সপ্তাহে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে।  

       পূর্ণ বিশ্রাম।

       পর্যাপ্ত পানি বা তরল খাবার গ্রহণ।

       ব্যাথা বা জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ।

       ঠান্ডা বা ভেজা কাপড় দিয়ে ফোলা অংশে লাগানো।

       নরম, তরল, সহজ পাচ্য, সহজে গেলা যায় এমন খাদ্য।

       রোগীকে আলাদা রাখা ।

 

কখন বিশেষ চিকিৎসা দরকার ;

-         যদি রোগী কানের সামনে ছাড়া  অন্যস্থানে ফোলা বা ব্যাথা অনুভব করে।

-         যদি খুবই উচ্চমাত্রার জ্বর হয়।

-         যদি ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

 

প্রতিরোধ;

 à¦‡à¦®à§à¦¨à¦¾à¦‡à¦œà§‡à¦¶à¦¨ বা টিকা দেয়াই হল প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়। MMR  à¦­à§à¦¯à¦¾à¦•à§à¦¸à¦¿à¦¨ এর মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব । এ ছাড়াও যারা রোগীর যত্ন বা পরিচর্যা করবেন তাদেরকে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অতি সাবধান হতে হবে। যেমন ;

-         বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।

-         খাবার তৈরী ও পরিবেশনার পূর্বে হাত ধোয়া।

-         রোগীর  কাপড়চোপর, থালা বাসন, গ্লাস ধোয়ার পর হাত ভাল করে ধোয়া।

-         রোগীর ব্যবহার্য্য জিনিস ব্যবহার না করা

-    রোগীকে টিস্যু বা রুমালে মুখ ঢেকে হাচি, কাশি দিতে বলা।

-         খাবার, পানিয় আলাদা  রাখা ।

 

যে সব ব্যক্তি এই টিকা নিতে পারবেন না :

-         যারা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ খাচ্ছেন।

-  বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

হাম বা মিসেলস

 

হাম একটি ভাইরাস ঘটিত মারাত্মক ছোয়াচে রোগ। আমাদের দেশে অনেক প্রচীনকাল থেকেই এ রোগ আছে গ্রামে হাম, নুনতি, ভাপী ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই রোগে মূলত অল্প জ্বর হয় এবং গায়ে লাল লাল দানা দেখা যায়। মাঝে মাঝে মারাত্মক ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। যেমন- নিউমোনিয়া, এনকেফালাইটিস(ব্রেইনের ইনফেকশন)।

 

লক্ষণসমূহ :

-  জ্বর, গা ব্যাথা।

-         সর্দি, নাক দিয়ে পানি পড়া।

-         শুকনো কাশি।

-         চোখ লাল হওয়া, চোখ উঠা ।

-         মুখের ভেতরে মাড়িতে নীলচে বাদামী দাগ।

-         শরীরে চামড়ায় লালচে দানা প্রথমে মুখ, চুলের গোড়া, কানের পেছন থেকে শুরু হয়ে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

হাম থেকে সৃষ্ট জটিলতা :

-         মধ্যকর্নে প্রদাহ।

-         পাতলা পায়খানা, বমি।

-         শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন- ব্রঙ্কাইটিস, ক্রুপ, ল্যারিঞ্জাইটিস

-         নিউমোনিয়া

-         এনকোফালাইটিস- প্রতি ১০০০ জনের হামে আক্রান্ত শিশুর ১ জনের মস্তিস্কে প্রদাহ হয় এবং তাদের মধ্যে শতকরা ১৫-২০  à¦­à¦¾à¦— মারা যায় । বাকিদের শতকরা ৩০-৪০  à¦­à¦¾à¦—ের চিরস্থায়ী মস্তিস্কে সমস্যা থেকে যায়।

-         গর্ভবতি মহিলাদের গর্ভপাত বা সময়ের পূর্বে বাচ্চা হয়ে যায়।

-         SSPE (সাব একিউট স্কেরসিংপ্যান এনকেফালাইটিস) :  প্রতি ১০০০০০ : ১ জন রোগীর ক্ষেত্রে ঘটে। এতে ধীরে ধীরে ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। এটি হাম হবার বহু বছর পর (প্রায় ৭-৮ বছর) ধীরে ধীরে শুরু হয়।

 

কিভাবে রোগটি হয় বা  ছড়ায় :

হাম আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে জীবানু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং  সুস্থ মানুষের  দেহে খাবার বা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করে। থুতু বা কাশির সাথে থাকা জীবানু বেশ কয়েক ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। জীবানু প্রবেশের ১০-১২ দিন পর  রোগ লক্ষণ প্রকাশ হতে খাকে।

          এটি মারাত্মক  ছোয়াচে রোগ। বলা হয়ে থাকে হামে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা প্রতি ১০ জন র্বক্তির মধ্যে ৯ জনই আক্রান্ত হতে পারে (যদি না টিকা দেয়া থাকে বা পূর্বে কখনও হাম হয়ে থাকে)।

 

কারা বেশী ঝুকিপূর্ণ :

-         ৫ বছরের কম বয়সী শিশু।

-         যারা অপুষ্টির শিকার ।

-         দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ্যতায় ভুগছেন।

 

রোগ নির্ণয় :

-         রোগের ইতিহাস

-         শারিরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যায়।

-         প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করা যায়।

 

চিকিৎসা :

সাধারণত:  ১-২ সপ্তাহে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠে। তারপরও   যা দরকার-

-         পূর্ণ বিশ্রাম ।

-         পর্যাপ্ত পরিমানে পানি বা তরল খাবার  খাওয়া।

-         ব্যাথা, জ্বর এর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয়  ঐষধ।

-         রোগীকে সুস্থ মানুষের সংস্পর্শ থেকে র্দরে  রাখা ।

 

জটিলতাপূর্ণ হামের চিকিৎসা :

মাঝে মাঝে হাম পরবর্তি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা  না করলে রোগী মারাও যেতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে

-         দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করুন।

-         ইনফেকশনের জন্য এন্টিবায়োটিক।

-         অন্যান্য ঐষধ ও যত্ন প্রয়োজন।

 

প্রতিরোধের উপায় :

টিকা বা ভ্যাক্সিনেশন হল প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়। যারা একবার আক্রান্ত হয়, সাধারণত  তারা আজীবনের জন্য পরবর্তীতে আবার হাম হওয়ার আশংকামুক্ত। এ ছাড়া  যারা নিয়ম অনুযায়ী ২ ডোজ টিকা নিয়েছেন তারাও হাম থেকে ৯৯ ভাগ মৃক্ত থাকতে পারেন।

 

বাংলাদেশে টিকা :

সরকার কর্তৃক ৯ মাস থেকে প্রতিটি বাচ্চাকে হামের টিকা দেয়া হয়। আবার ২/১ বছর পর পর ৯ মাস  থেকে ৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে হামের টিকা দেয়া হয। এ ছাড়াও বেসরকারীভাবে MMR ভ্যাক্সিসন পাওয়া যায় যা একই সাথে ৩টি রোগ (মামস্‌, হাম ও রুবেলা) প্রতিরোধ করে।

 

যারা এই টিকা নিতে পারবেন না :

ক.  à¦¯à¦¾à¦¦à§‡à¦° রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে রাখার ঔষধ খাচ্ছেন তারা।

খ.  à¦¯à¦¾à¦°à¦¾ দীর্ঘদিন স্ট্রেরয়েড (প্রেডনিসোলন) খাচ্ছেন।

গ.  à¦²à¦¿à¦‰à¦•à§‡à¦®à¦¿à§Ÿà¦¾, হজকিনস লিম্ফোমা নামক  ক্যান্সার -এ আক্রান্ত ব্যক্তি।

ঘ.  à¦¹à¦¾à¦‡à¦ªà§‹ গামাগ্লোবিউলিনেমিয়ায় আক্রান্ত (এ ক্ষেত্রে শরীরে খুবই কম পরিমাণে এন্টিবডি থাকে)।

ঙ.  à¦—র্ভবতী মহিলা ( এই টিকা নেবার  ২৮ দিনের মধ্যে গর্ভধারণ করা  ঝুকিপূর্ণ)

 

টিকা নেবার পূর্বে :

নিচের সমস্যাগুলি ডাক্তার/নার্সকে বলুন ।

-         অসুস্থতা , জ্বর।

-         কোন টিকায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকলে।

-         কোন টিকায় মারাত্বক এলার্জি হযে থাকলে।

-         গত ১ মাসে কোন  লাইভ টিকা নিযে থাকলে।

-         গর্ভবর্তী হলে।

 

টিকার বিরুপ প্রতিক্রিয়া :

সাধারণভাবে কার্যকর এবং নিরাপদ। বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

হুপিংকাশি বা পারটুসিস (Pertusis)

 

একটি মারাত্মক এবং ছোয়াচে  রোগ যা শ্বাসনালীতে ইনফেকশন করে। এটি বরডেটেলা পারটুসিস নামক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। মূলতঃ মিশুদেরকেই এই জীবানু আক্রমণ এবং এই রোগে প্রতি ২০০ জন অসুস্থ বাচ্চার মধ্যে ১-২ টি বাচ্চা মারা যায়। সরকারীভাবে টিকাদানের মাধ্যমে এই রোগের প্রকোপ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। ৬ মাসের কম শিশুদের জন্য এই রোগ অত্যন্ত মারাত্মক। এই রোগ অনেকসময় প্রায়  ১ মাস ব্যাপী থাকতে পারে। তবে সঠিক চিকিৎসায় রোগী সম্পূর্ণ  ভাল হয়।

চিত্রঃ বরডেটেলা পারটুসিস

 

লক্ষণসমূহ :

সাধারণ ঠান্ডা কাশির মত রোগটি শুরু হয়। পরবর্তীতে দ্রুত খারাপ হতে থাকে। লক্ষণসমূহ হল :

-   প্রচন্ড কাশি, থেমে থেমে দফায় দফায় অনেকক্ষন ধরে কাশি।

-   কাশি শেষে একটি  বিশেষ  à¦¹à§à¦ª ধরনের শব্দ হয়।

-   প্রচন্ড কাশির শেষে প্রায়ই রোগীর বমি করে।

-   অনেকসময় কাশি শেষে রোগীর দম আটকে যায় ও রোগী নীল বর্ণ ধারন করে।

-   সাথে ক্ষুদামন্দা, আলস্য, দূর্বলতা থাকতে পারে।

 

 

দম বন্ধ হওয়া ছাড়াও রোগীর-

-  রক্তক্ষরণ,

-  শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হওয়া,

-  নিউমোনিয়া

-  মস্তিস্কে প্রদাহ,

-  খিচুনী,

-  মস্তিস্কে স্থায়ী ক্ষত এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

 

কিভাবে ছড়াবে :

রোগীর হাঁচি, কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছাড়ায় এবং সুস্থ দেহে নিঃশ্বাস বা খাবারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। জীবানু প্রবেশ করে রোগ বা লক্ষণ প্রকাশ করতে প্রায় ১-৩ সপ্তাহ সময় লাগে এবং কাশি শুরু থেকে ২১ দিন পর্যন্ত একজন রোগী রোগ জীবানু ছড়াতে সক্ষম। এমনকি এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা চলাকালীন ১ম ৫দিন রোগী জীবানু ছড়াতে পারে। একটি গবেষনায় দেখা গেছে যে, মা-বাবা বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই মূলত শিশুদের মাঝে জীবানুর সংক্রামণ হয়।

 

শিশুদের ঝুকি বেশী ;

১২ মাসের বয়সের কম  শিশুদের অধিক ঝুকির মধ্যে থাকে।  বিশেষতঃ ৬ মাসের কম  বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে এতই মারাত্মক হয়  যে চিকিৎসা না হলে রোগী মারা যেতে পারে।

 

রোগ নির্ণয় :

মূলত ইতিহাস ও শারিরিক পরীক্ষা ও  রোগের বর্ণনা থেকে রোগ নির্নয় করা যায়। প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করা যায়, তবে রিপোর্ট আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।

 

চিকিৎসা :

এন্টিবায়োটিকের চিকিৎসায় রোগী যেমন  সম্পূর্ণ সুস্থ হয় তেমনি পরিবারের লোকদের মধ্যেও জীবানু ছড়ানোর সম্ভাবনা হ্রাস পায়। ইরাইথ্রোমাইসিন জাতীয় ঐষধ দিয়ে কমপক্ষে ১০ দিন চিকিৎসা করতে হয়।

ইমুনাইজেশন/ভ্যাক্সিন দ্বারা প্রতিরোধ :

বাংলাদেশে ১১/২  à¦®à¦¾à¦¸, ২ ১/২মাসও ৩১/২  à¦®à¦¾à¦¸  বয়সে পেন্টাভেলেন্ট  ইনজেকশন দ্বারা হুপিংকাশি সহ মোট ৫ টি টিকা বিনামূল্যে দেয়া হয়। বুস্টার ডোজ ৩য় ডোজের ১ বছর পেও দিতে হয়। অথবা ৪ বছর বয়সে স্কুলে যাবার পূর্বে দিতে হয়। 

 

টিকার পূর্বে বলবেন

 à¦¨à¦¿à¦šà§‡à¦° সমস্যাগুলি ডাক্তার/নার্সকে বলুন ।

-  অসুস্থ, জ্বর।

-  কোন টিকায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকলে।

-  কোন টিকায় মারাত্মক এলার্জি হযে থাকলে।

 

সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া /টিকার বিরুপ প্রতিক্রিয়া

সাধারণভাবে কার্যকর এবং নিরাপদ। বিরুপ প্রতিক্রিয়া একেরাবেরই বিরল, তবু যা হতে পারে তা হল-

-  অতি মাত্রায় জ্বর, ক্লান্তি বা অবসাদ।

-  সর্দি বা ঠান্ডা, কাশি, চোখ ফোলা, গ্রন্থির প্রদাহ।

-  ইনজেকশনের স্থানে ব্যাথা, ফোলা,লাল হওয়া।

সাধারণতঃ  এই  সকল সমস্যা ২-৩ দিনেই কেটে যায়। এক্ষেত্রে করণীয় :

-  ইনজেকনের স্থানে ঠান্ডা ভেজা কাপড় দিয় চাপ দেবেন।

-  প্রচুর পরিমানে তরল খাবার খাবেন।

মারাত্বক পার্শপ্রতিক্রিয়া:

1.      সেরাম সিকনেস

2.     এনাফাইলেকটিক রিএকশন।

 

যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে:

১। পারটুসিস একটি মারাত্মক এবং ছোয়াচে রোগ যা শ্বাসনালীতে ইনফেকশন করে।

২। বিশেষতঃ ৬ মাসের কম  বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে এতই মারাত্মক হয়  যে চিকিৎসা না হলে রোগী মারা যেতে পারে।

৩। রোগীর হাঁচি, কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছাড়ায় এবং সুস্থ দেহে নিঃশ্বাস বা খাবারের মাধ্যমে প্রবেশ করে।

৪। টিকা সাধারণভাবে কার্যকর এবং নিরাপদ।

 

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

হেপাটাইটিস বি ও এর টিকা

লিভারের প্রদাহকে হেপাটাইসিস বলা হয়। স্থান-কাল পাত্রভেদে বিভিন্ন কারনে হেপাটাইটিস হতে পারে। যেমন-ভাইরাস, মদ্যপান, বিপাকে অসংগতি ইত্যাদি। বাংলাদেশে সাধারণত- এ, বি, সি ও ই ভাইরাস দ্বারা লিভারের হেপাটাইটিস হয়ে থাকে। ১৯৬৫ সালে এক অস্ট্রেলীয় আদিবাসীর রক্তে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ২০০ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস-বি দ্বারা আক্রান্ত, যার মধ্যে ৩৫ কোটি লোক হেপাটাইটিস-বি সংক্রান্ত, দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছে এবং প্রতিবছর এ সম্পর্কিত জটিলতায় ছয় লাখ লোক মারা যাচ্ছে। এই ভাইরাস এইডস ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। বাংলাদেশে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শিরায় নেশাগ্রস্তদের মধ্যে আট শতাংশ, পতিতাদের মধ্যে নয় দশমিক সাত শতাংশ, পেশাদার রক্তদাতাদের মধ্যে ২০ শতাংশ ও অপেশাদার রক্তদাতাদের মধ্যে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ ব্যাক্তি এ ভাইরাস বহন করছে।
হেপাটাইটিস-বি দ্বারা আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীর দেহে ভাইরাসটি বাহক হিসেবে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। দেখা যাক, বাল্যকালে যেসব ব্যক্তি এ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ লোকের পরবর্তীকালে এ ভাইরাসটি শরীরে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাসা বাঁধে। এ ধরনের রোগীর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের ক্ষেত্রে এক থেকে চার বছরের দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি রোগে আক্রান্ত হয় এবং এদের ২৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাক্কালে লিভার সিরোসিস বা ক্যানসারে মারা যায়। যেসব লোক প্রাপ্ত বয়সে হেপাটাইটিস-বি দ্বারা সংক্রমিত হয়, তাদের ৯০ শতাংশ লিভারের জন্ডিস হওয়ার পর ভালো হয়ে যায়।


চিত্রঃ হেপাটাইসিস বি ভাইরাস

কীভাবে এ জীবাণু ছড়ায়
রক্ত ও রক্তজাত পদার্থ হেপাটাইটিস-বি এর বাহক। কোনো ব্যক্তির যদি হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস থাকে, তবে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত রোগীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করলে, আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, সংক্রমিত রোগীর ব্যবহার করা টুথব্রাশ, ব্লেজার বা ব্লেড ব্যবহার করলে, সংক্রমিত রোগীর কাছ থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে এ জীবাণু ছড়াতে পারে। ঐতিহ্যগতভাবে সেলুনে ব্যবহূত ক্ষুর বিভিন্ন জনের ব্যবহারকালে হেপাটাইটিস-বি সংক্রমিত হতে পারে। গর্ভবতী মায়ের শরীরে হেপাটাইটিস-বি থাকলে প্রসবকালে নবজাতকের হেপাটাইটিস-বি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে সংক্রমিত রোগীর সঙ্গে করমর্দন করলে, হাঁচি দিলে, রোগীর পাশাপাশি বসলে এ ভাইরাস ছড়ায় না।

উপসর্গ
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস রোগীর দেহে বাহক হিসেবে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় না বলে এ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা না দিলে রোগীরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। কিছু কিছু রোগী সর্দি, জ্বর, দুর্বলতা, খাবারে অরুচি, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে পারেন।

চিকিৎসা
ক্ষণস্থায়ীভাবে আক্রান্ত (Acute) রোগীর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা দিতে হয় না। এ রোগীকে অন্যদের মতো স্বাভাবিক খাবার দিতে হয়। আমাদের মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা আছে, স্বল্প মেয়াদি জন্ডিস হলে রোগীকে আখের রস, গ্লুকোজ বেশি খাওয়াতে হবে। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ এতে রোগীর পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব ও বমি বেড়ে যায়। 


দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি প্রদাহের জন্য কয়েকটি খাওয়ার ওষুধ ও ইনজেকশন আছে। তবে এ ওষুধগুলো কোন রোগীকে কত দিন দেওয়া যাবে, তা অবশ্যই পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত হওয়া উচিত। কারণ এ ওষুধ সব রোগীর বেলায় সমানভাবে প্রযোজ্য নয় এবং ওষুধগুলোর কার্যকারিতা, ওষুধ-সংক্রান্ত জটিলতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ীভাবে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে খাওয়ার ওষুধ বা ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পাà¦

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

হেপাটাইটিস এ এবং এর টিকা

 

 

হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসজনিত একটি লিভারের  রোগ। সাধরণতঃ অসুস্থ ব্যক্তির সাথে সরাসরি বা রোগীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র, কাপড়, মলমূত্রের সংস্পর্শে এসে এই রোগের সংক্রামণ হয়। খাবার, পানীয় ইত্যাদির মাধ্যমেও জীবানু ছড়ায়। আমাদের দেশের যত উন্নয়নশীল বা গরীব দেশে এই রোগের সংক্রামণ অত্যন্ত বেশী। কেননা এখানে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতনতার চরম অভাব । অসুস্থ রোগী বিশেষ করে ৫ বছরর কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে প্রায়ই কোন লক্ষণ দেখা না গেলেও সে বিভিন্নভাবে রোগ ছড়াতে পারে। রোগটি অনক ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হলেও সম্পূর্ণ  ভাল হয় । তবে ২% লোক মারাত্বক হেপাটাইটিস এ অক্রান্ত হতে পারে।

 

হেপাটাইটিস এ, বি, সি সব কি একই  ধরনের না আলাদা ;

হেপাটাইটিস এ, বি, সি সবই ভাইরাসজনিত রোগ হলেও প্রত্যেকেটির  রোগের ণক্ষণ, অর্ন্তবতীকালীন সময়, চিকিৎসা, প্রতিরোধের উপায়, ছড়ানোর উপায় সবই ভিন্ন। তাই এ সব রোগের প্রতিষেধক টিকাও ভিন্ন  ভিন্ন।

 

লক্ষণসমূহ :

ভাইরাস দেহে প্রবেশ করা পর ১৫-৫০ দিন এর মধ্যে (সাধারণতঃ ২৮ দিন) লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে-

-  জ্বর, বমিভাব, পেটে ব্যাথা, ঘন/ হলুদ প্রস্রাব।

-  চামড়া, চোখে হলুদ ভাব।

-  অনেক সময় রোগটি প্রায় ১ মাস স্থায়ী হলেও  আপনা আপনি ভাল হয়ে  যায়

 

একটি ছোঁয়াচে রোগ :

 à¦­à¦¾à¦‡à¦°à¦¾à¦¸à¦œà¦¨à¦¿à¦¤ রোগ। ভাইরাসটি মুখ দিয়ে প্রবেশ করে এবং পায়খানার সাথে প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই অপরিচ্ছন্নতার কারণে পায়খানা থেকে জীবানু কোনভাবে হাতে, খাবারে, পানির মাধ্যমে মুখ দিয়ে প্রবেশ করে । এছাড়া যৌনমিলনেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। আর রোগী লক্ষণ প্রকাশের ২ সপ্তাহ পর থেকে হলুদভাব পকাশের ১ সপ্তাহ পর পর্যন্ত জীবনু ছড়াতে পারে।

 

চিত্রঃ হেপাটাইটিস এ ভাইরাস

 

পরিচ্ছন্নতা অতি গুরুত্বপূর্ণ :

 à¦¹à§‡à¦ªà¦¾à¦Ÿà¦¾à¦‡à¦Ÿà¦¿à¦¸ এ  থেকে বেঁচে থাকার জন্য-

-  নিয়মিত  সাবান দিয়ে, গরম পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে বিশেষ করে টয়লেটে যাবার পর, এবং খাবার ধোয়া, প্রস্তুত বা খাওয়ার আগে।

-  টয়লেট, বেসিন, কমোড, সব সময নিয়মিত পরিষ্কার রাখকে হবে।

-  পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে  পান করুন।

 

 

 

ভ্যাক্সিন/টিকা :

হেপাটাইটিস -এ  ভ্যাক্সিন নিয়ে রোগ  অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব । যাদের জন্য বেশী প্রযোজ্য :

-  শিশু, বাচ্চা।

-  যারা বাচ্চা লালন পাণর করে।

-  যাদের লিভারের রোগ আছে।

-  যারা খাবার প্রস্তুত করে।

-  ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবী ।

 

রোগ নির্ণয় :

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস -এ নির্ণয়  করা যায়। সাধারণতঃ বিশ্রাম নিলে, কিছুদিনেই রোগী সুস্থ হয়ে  উঠে।  তবে রোগীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিবর্গের সবাইকে সংস্পর্শে  আসার ১০ দিনের মধ্যে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন দিতে হবে। এতে রোগ ছড়াবে কম এবং রোগ হলেও তার পরিণতি কম মারাত্মক হবে।

যে নামে পাওয়া যায়:

হ্যাবেরিক্স, এভ্যাক্সিম

 

সিডিউল:

১-১৫ বছর বয়সে-(৮০ ইউনিট)

- এক বছর বয়সের পর থেকে- একটি ডোজ

-  ৬ মাস -১ বছরের মধ্যে ১ টি বুস্টার ডোজ

 

১৫ বছরের পরে-(১৬০ ইউনিট)

- এক বছর বয়সের পর থেকে- একটি ডোজ

-  ৬ মাস -১ বছরের মধ্যে ১ টি বুস্টার ডোজ

 

যা মনে রাখতে হবে:

1.      হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসজনিত একটি লিভারের  রোগ

2.     জ্বর, বমিভাত, পেটে ব্যাথা, ঘন/ হলুদ প্রস্রাব এর প্রধান লক্ষন।

3.     বিশেষ করে ৫ বছরর কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে এ রোগ হবার ঝুকি বেশি।

4.     অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে এ রোগ বেশি ছড়ায়।

 

 

 

 

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-

টাইপ-বি (হিব)

 

 

হেমোফাইলাস ইনফ্লুওয়েঞ্জা-টাইপ-বি (হিব) এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা মানুষের দেহে অতি মারাত্মক কিছু রোগ তৈরী করে। যেমন: মেনিনজাইটিস ( মস্তিস্কের পর্দার প্রদাহ) এপিগ্লটাইটিস (শ্বাসনালীর মুখের পর্দার প্রদাহ) এবং  নিউমোনিয়া । এ সব রোগে রোগীর প্রচন্ড মাথা ব্যাথা, ঘাড়শক্ত হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী, অজ্ঞান হয়।  à¦à¦®à¦¨à¦•à¦¿ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগী মৃত্যুবরন করে।

এসব রোগে বিশেষত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা এত মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে যে দ্রুত চিকিৎসা দরকার হয়। প্রতিষেধক টিকার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়।

 

লক্ষণসমূহ:

এই জীবানুতে রোগীর যে সব রোগ ও লক্ষণ প্রকাশ পায় তা হল  নিমরুপ:

১। মেনিনজাইটিস :

জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ঝিমুনী, খিটখিটে মেজাজ, খাবারে অনিহা এমনকি অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

২। এপিগ্লটাইটিস :

প্রচন্ড জ্বরে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট, রোগী ছটফঠ করে বিরক্তি করে।

৩। নিউমোনিয়া :

জ্বর, কাশি, বুকে ব্যাথা, ঘন ও দ্রুত শ্বাস ও শ্বাসকষ্ট ।

৪।  সেপটিক আর্থাইটিস :

হাড় ও অস্থিসন্ধির ব্যাথা, ফোলা, নরাচড়া করতে না পারা।

৫।  সেলুলাইটিস :

চামড়ার নিচে  ইনফেকশন হয়, বিশেষত মুখে। এবং এই রোগে এত দ্রুত রোগী অসুস্থ হয়ে যে, মারাও যেতে পারে।

চিত্রঃ সেলুলাইটিস  

 

জীবানু কিভাবে ছড়ায় :

এই ব্যাকটেরিয়া স্বাভাবিক ভাবে আমাদের নাকে, গলায়, শ্বাসনালীর উপরের অংশে থাকে এবং কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না। তবে হেমোফাইলাস ইনফ্লুএঞ্জা-বি সাবটাইপ দিয়ে হলে মারাত্মক  রোগের সৃষ্টি করে।

মূলত মানুষ থেকে মানুষের হাঁচি, কাশির মাধ্যমে সুস্থ মানুষের দেহে জীবানু প্রবেশ করে।  জীবানু প্রবেশের পর ২ - ৪ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে, গলায় যতদিন জীবানু বেঁচে থাকে, ততদিন এ  রোগ ছড়াতে পারে । তাই দ্রুত এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা জরুরী এবং এ ক্ষেত্রে অসুস্থ রোগীকে  স্কুল বা ডে-কেয়ার সেন্টার থেকে আলাদা রাখতে হবে যাতে অন্য বাচ্চারা অসুস্থ না হয়।

 

রোগ সনাক্তরণ :

অনেক ধরনের জীবানু থেকে এসব রোগ লক্ষণ হতে পারে বিধায় জীবানু সনাক্ত করা জরুরী। তাই-

- স্বাস্থ্যপরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, পিঠের মেরুদন্ডের ভেতরের পানি পরীক্ষা, অন্যান্য ক্ষত/রস পরীক্ষা ।

 

চিকিৎসা :

হাসপাতালে  ভর্তি করে দ্রুত এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা তরতে হবে। আর এপিগ্লটাইটিস হলে রোগীকে আই, সি, ইউ -তে ভর্তি রেখে কৃত্রিম শ্বাস দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

 

প্রতিরোধ বা টিকা :

সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো টিকা।

বর্তমানে আমাদেও দেশে সরকারী ভাবে পেন্টাভেলেন্ট টিকার মাধ্যমে দেড় মাস, আরাই মাসে, এবং সাড়ে তিন মাসে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হয়। মোট ৩ টি ডোজ। ১ মাস অন্তর অন্তর।

৫ বছরের নিচের সকল বাচ্চাকে হিব টিকা দিতে হবে (যদি টিকা দেয়া না থাকে)।

এ ছাড়াও বড়দের যাদের স্প্লীন/প্লীহা নষ্ট/দূর্ঘটনায়/অপারেশন করে কেটে ফেলতে হয়েছে বা যারা ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা রোগী তাদের এই টিকা নেয়া অতি জরুরী।

 

টিকা নেবার পুর্বে :

নিচের সমস্যাগুলি ডাক্তার/নার্সকে বলুন ।

-         অসুস্থ, জ্বর।

-         কোন টিকায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকলে।

-         কোন টিকায় মারাত্মক এলার্জি হযে থাকলে।

 

 

টিকার বিরুপ প্রতিক্রিয়া ;

সাধারণভাবে কার্যকর এবং নিরাপদ। বিরুপ প্রতিক্রিয়া একেরাবেরই বিরল, তবু যা হতে পারে তা হল-

-         অতি মাত্রায় জ্বর, লাল দাগ, ক্লান্তি বা অবসাদ।

-         সর্দি বা ঠান্ডা, কাশি, চোখ ফোলা, গ্রন্থির প্রদাহ।

-         ইনজেকশনের স্থানে ব্যাথা, ফোলা ও লাল

সাধারণতঃ  এই  সকল সমস্যা ২-৩ দিনেই কেটে যায়। এক্ষেত্রে করণীয় :

-  ইনজেকনের স্থানে ঠান্ডা ভেজা কাপড় দিয় চাপ দেবেন।

-  প্রচুর পরিমানে তরল খাবার খাবেন।

 

যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে:

1.      হেমোফাইলাস ইনফ্লুওয়েঞ্জা-টাইপ-বি (হিব) যা মানুষের দেহে অতি মারাত্মক কিছু রোগ তৈরী করে। যেমন: মেনিনজাইটিস, এপিগ্লটাইটিস এবং  নিউমোনিয়া ।

বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ডিপথেরিয়া

 

 

ডিপথেরিয়া একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা মানুষের নাক, গলা শ্বাসনালীতে মারাত্মক প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। আমাদের দেশ সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে টিকার পর্যাপ্ত ব্যবহারের ফলে এই রোগের প্রকোপ নেই বললেই চলে।

চিত্রঃ করনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরী

 

করনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরী - নামক এই ব্যাকটেরিয়া  এক ধরণের বিষ তৈরী করে যার ফলে নাক, গলার ভেতরে ও শ্বাসনালীতে এক ধরণের আবরন তৈরী হয় এবং সঠিক সময়ে  চিকিৎসা না হলে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে রোগীর দম বন্ধ হতে পারে। এ ছাড়াও প্যারালাইসিস বা  হার্ট ফেইলরের মত মারাত্মক জটলিতা দেখা দিতে পারে। ডিপথেরিয়া আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের ১ জন মারা যায়।

 

লক্ষণসমূহ :

১. নাকদিয়ে পানি পড়া, সর্দি

২. কাশি, গলা ব্যাথা

৩. জ্বর, গা ব্যাথা

৪. গলার গ্রন্থি ফুলে যাওয়া

৫. গলার ভেতরের  দিকে মাটি রং এর পর্দা বা  আবরন

৬. গিলতে কষ্ট হওয়া

7.     শ্বাস কষ্ট হওয়া

8.     কোন কোন ক্ষেত্রে চামড়ায় ক্ষত তৈরী করে।

 

জঠিলতা সমূহ :

সঠিক সময়ে চিকৎসা

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ইমুনাইজেশন বা টিকা সম্বন্ধে

সাধারণ ভুল ধারনা

 

 

ইমুনাইজেশন বা টিকাদান কমূসূচী সম্বন্ধে অনেক ধরনের কথা ও ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত। বাচ্চাদের পিতা-মাতা উহার কার্যকারীতা, উপকারীতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন। যদিও কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ, তদুপরি মিসেলস বা হামের ক্ষেত্রে টিকা না নিলে যে পরিমাণ ঝুঁকি, তা টিকার ঝুঁকির তুলনায় বহু বহু গুন বেশী। আবার অনেক ক্ষেত্রে টিকা পরবর্তী সমস্যা ব্যাপকভাবে পত্রিকায় প্রচার হওয়ার বাবা-মারা অতিরিক্ত  আতঙ্কিত থাকেন। যদিও বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষনা করেও টিকার সাথে বাচ্চাদের অর্টিজম, ডায়াবেটিস বা শিশুর হঠাৎ মৃত্যুর কোন যোগাসাজস খুজে পায়নি।

 

ভ্যাক্সিন এবং রোগ প্রতিরোধ :

যে সকল  জীবানু শরীরে রোগ তৈরী করে সে সব জীবানুকে মেরে অথবা রোগ তৈরীর ক্ষমতা হ্রাস  করে অথবা জীবানুর শরীরের কোন বিশেষ অংশকে আলাদা করে মানুষের শরীরে ইনজেকশন বা খাবার মাধ্যমে প্রবেশ  করানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে যেখানে জীবানু কর্তৃক নিঃসৃত বিষ দিয়ে রোগ হয়, সেক্ষেত্রে সেই বিষয়কে নিস্ক্রীয় করে শরীরে প্রবেশ করানা হয। আমাদের শরীর সেই দূর্বল/মৃত বা জীবানুর নিস্ত্রীয় বিষ বা শরীরের অংশকে প্রকৃত জীবানু হিসেবে চিহ্নিত করে  তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে (এন্টিবডি তৈরী করে)। এক্ষেত্রে মানব শরীর অসুস্থ  না হয়েও কোন প্রতিরোধকারী এন্টিবডি তৈরী করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে শরীরের কিছু কিছু রোগ প্রতিরোধকারী কোষ সদা সতর্ক প্রহরী রুপে রক্তে বিরাজ করে।  যখনই সেই জীবানু শরীরে প্রবেশ করে তখন সেই প্রহরী খুব দ্রুত তাকে চিনতে পারে এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা করে।

 

শিশুদের/নবজাতকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ

 

জন্মের সাথে সাথেই একটি শিশুর  দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী শুরু করে। শিশু জন্মের সময় থেকেই বিভিন্নভাবে নানা ধরনের জীবানুর সংস্পর্শে আসতে থাকে। যেমন: মায়ের প্রসব পথে জীবানু, দুধ খাবার সময় বা প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদি হতে । জন্ম থেকেই শিশু  এসব জীবানুর সাথে লড়তে প্রস্তুত থাকে। তবে বড়দের তুলনায শিশুদের প্রতিরোধ  ক্ষমতা অনেক দূর্বল, অনভিজ্ঞ যা কিনা লক্ষ লক্ষ জীবানুর বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম নয়। শিশু কিছু কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মের পূর্বেই জড়ায়ুতে থাকাকালীন জন্ম নালীর মাধ্যমে  মায়ের কাছ থেকে লাভ করে। আর জন্মের পর বুকের দুধের মাধ্যমে যা থেকে আরও কিছু জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী এন্টিবডি লাভ করে যা মূলত: খাদ্যনালীর ভেতরকে বিশেষ সুরক্ষা করে। তবে জন্মনালী দ্বারা বা দুধ হতে প্রাপ্ত এন্টিবডি মাত্র  কয়েকমাস শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এর মধ্যে শিশুকে নিজ থেকে এন্টিবডি তৈরী করতে হয়।

 

টিকার মাধ্যমে শিশুর প্রতিরোধক্ষমতা  কমে নাঃ

যদিও প্রচলিত আছে যে, টিকার মাধ্যমে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। কথাটি ভিত্তিহীন । তবে একত্রে কয়েকটি ভ্যাক্সিন দিয়ে দিলে শরীরের উপর চাপ পড়ে, তাই কিছুদিন পর পর ভ্যাক্সিন দিতে হয় এবং আলাদা আলাদা আলাদা  করে দিতে  পারলে বেশী উপকার । তবে অনেকদিন পর পর দিলে এই মধ্যবর্তী সময়ে শিশুর  রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়, বিধায় বিজ্ঞানীরা একেক  রোগের টিকার একেকটি সময়, মেয়াদ ঠিক করেছেন যাতে করে দ্রুতম  সময়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় । আর যেহেতু সব রোগ একত্রে আক্রমণ করে না, বরং একক বয়সে একেক  ধরনের জীবানুর আক্রমণ বেশী হয় তাই বেশী হয় তাই সময়মত নির্দিষ্ট টিকা গ্রহণ জরুরী ।

 

ভ্যাক্সিনের/টিকা পরবর্তী সমস্যাঃ

আমাদের দেশে প্রায় টিকাই বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। বিদেশ থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হবার পরই আমাদের দেশে আসে। তদুপরি দেশে কয়েক দফায় ঐ টিকা পরীক্ষা করার পরই তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। যদিও সংরক্ষণ, পরিবহন বিভিন্ন কারণে টিকা পরবর্তী কিছু সমস্যা হতে পারে তাই প্রতিটি শিশুকে টিকা দেবার কেন্দ্রে অন্তত ৩০ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে।

 

টিকা ও আর্টিজম, ডায়াবেটিস, শিশুর হঠাৎ  মৃত্যুঃ

 

কোন কোন গবেষনাবিদ দাবী করেছেন যে, টিকা দিলে কোন কোন শিশু অর্টিজম, ডায়াবেটিস বা হঠাৎ মৃত্যু হতে  পারে। তারপর থেকে বহু গবেষনা হয়েছে, কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই টিকা দেবার পর সামান্য জ্বর ব্যাথ্যা ইত্যাদি হয় যা কোন চিকিৎসা ছাড়া এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। জরুরী/মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সংখ্যা খুব নগন্য।

 

শিশুর ইনফেকশনঃ

ভয়ে যদি টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকে তাহলে পরবর্তীতে   হাম, সর্দি-কাশ,যক্ষা ইত্যাদি মারাত্মক রোগ হতে পারে যাতে মৃত্যু অথবা আজীবনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

 

ভ্যাক্সিনের কার্য্যকারীতাঃ

 à¦Ÿà¦¿à¦•à¦¾ ১০০% কার্যকর না হলেও এর কর্যকারীতা অনেক বেশী। যেমন-

ডিপথেরিয়াঃ ১০০ জনের মধ্যে ৮৪ জন সম্প্যর্ণ প্রতিরোধ  ক্ষমতা পায় ।

Hib (হিব) -  à§§à§¦à§¦ -  ৯৫ %

Pertusis (ûwcs কাশি): ১০০ - ৮০ %  à¦ªà§‹à¦²à¦¿à¦“ : ৯৫ %

মেনিনগোকক্কাস: ৯৬- ৯৮ %

 

যেখানে টিকা দেয়া হয়ঃ

আমাদের দেশে সরকারী ভাবে যে টিকা গুলি দেয়া হয় তা-

·        সকল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,

·        সরকারী মেডিকেল কলেজ সমূহে,

·        শিশু হাসপাতাল বা ইনস্টিটিউট,

·        শিশু-মাতৃ সদন সমূহে প্রতিদিন বা সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে বিনামূল্যে দেয়া হয়।

·        জাতীয় টিকা দিবসে একই দিনে সারা দেশে প্রতিটি থানার প্রতিটি ওয়াডে আট টি স্থায়ী বা অস্থায়ী  কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে টিকা দেয়া হয়।

 

বেসরকারী ভাবে যে সব স্থানে টিকাদেয়া হয়

·        বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক সমূহে

·        শিশু বিশেষঞ্জের চেম্বারে

·        বিভিন্ন মেডিসিন স্টোরে

·        বিভিন্ন এন,জি,ও ক্যাম্প করে টিকা দেবার ব্যবস্থা করে।

 

 à¦¯à¦¾ অবশ্যই মনে রাখতে হবে :

 

·        যদিও টিকা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ  তদুপরি মিসেলস/হামের ক্ষেত্রে টিকা না নিলে যে পরিমাণ ঝুঁকি, তা টিকার ঝুঁকির তুলনায় বহু বহু গুন বেশী।

·        টিকার মাধ্যমে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় না।

·        বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই টিকা দেবার পর সামান্য জ্বর ব্যাথ্যা ইত্যাদি হয় যা কোন চিকিৎসা ছাড়া এমনিতেই ভাল হয়ে যায়।

·        টিকা ১০০%কার্যকর না হলেও এর কর্যকারীতা অনেক বেশী।

·        টিকা দেবার সময় অবশ্যই টিকার কার্যকারীতার সময়, মান এবং যে সব টিকা রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষন করতে হয় তা ঠিকমত করা হয়েছে কিনা, তা জেনে নিতে হবে।

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

শিশুকে সময়মত টিকা দিন

 

টিকা দিন, জীবন বাঁচান । সুস্থ শিশুর জন্য সময়মত টিকা দিন। টিকা শিশুকে বেশির ভাগ ক্ষতিকর রোগ-জীবানু থেকে রক্ষা করে। বাংলাদেশে সরকারী ভাবে সব শিশুর জন্য ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশ, ধনুষ্টংকার, যক্ষা, পোলিও হাম ও হেপাটাইটিস বি এর টিকা দেয়া হয়। কিন্তু এছাড়াও বেসরকারীভাবে রোটাভাইরাস, চিকেনপক্স, মামস, হেপাটাইটিস-এ   à¦‡à¦¤à§à¦¯à¦¾à¦¦à¦¿à¦° টিকা বাংলাদেশে পাওয়া যায় । অল্প বয়সেই টিকা দিলে বাচ্চার রোগের ঝুকি অনেক কমে যায় । তাই এ ক্ষেত্রে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়েই টিকা গ্রহণ জরুরী । এ ছাড়াও মাঝে  মাঝে সরকার কিছু অতিরিক্ত টিকা দেবার ব্যবস্থা করে। অথবা বিভিন্ন মহামারীতে (যেমন- সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু) বেসরকারী ভাবে টিকা পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সময়মত যে সব টিকা নেয়া  উচিৎ।

 

জন্মের পর থেকে শিশুর টিকা ;

বাংলাদেশ সরকারীভাবে টিকা দেবার সময়সূচী ;

 

১ বছরের নিচের বাচ্চার-

 

বয়স

রোগের নাম

টিকার নাম

শরীরের কোন অংশে

পার্শ প্রতিক্রিয়া

জন্মের

পর

যক্ষা

বি সি জি

পোলিও ১ম

বাম হাতে

চামড়ায় ঘা, লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, ঘা পাকা ।

১১/২ মাস

ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, ইনফ্লুয়েঞ্জা,

পোলিও

পেন্টাভেলেন্ট

১ম ডোজ

পোলিও ২য়

ডান উরুতে

মাংসে

হালকা জ্বর, বাচ্চা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করতে পারে, ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে।

২১/২ মাস

ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, ইনফ্লুয়েঞ্জা,

পোলিও

পেন্টাভেলেন্ট

২য় ডোজ

পোলিও ৩য়

বাম উরুতে

মাংসে

হালকা জ্বর, বাচ্চা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করতে পারে, ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে।

৩১/২ মাস

ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, ইনফ্লুয়েঞ্জা,

পোলিও

পেন্টাভেলেন্ট

৩য় ডোজ

পোলিও ৪র্থ

ডান উরুতে

মাংসে

হালকা জ্বর, বাচ্চা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করতে পারে, ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে।

৯ মাস

হাম, পোলিও

মিসেলস্‌ ভ্যাক্সিন

পোলিও ৫ম

ডান উরুতে

মাংসে

জ্বর, ব্যাথা, কান্নাকাটি, লালদা, সর্দি, কাশি, লালাগ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।

 

বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন কর্তৃক সিডিউল

 

বয়স

রোগের নাম

টিকার নাম

বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

স্ট্রেসের যন্ত্রণা

 

প্রতিটি মানুষই কমবেশি দৈনন্দিন সমস্যার মূখোমুখি হয়ে থাকেন। এসব সমস্যা বা ঝামেলা বা বিপদ মোকাবেলায় সবাই কমবেশি প্রতিক্রিয়ান্বিত  à¦¹à§Ÿà§‡ থাকেন। যারা কোনো ঘটানার প্রতি তীব্র নেতিবাচক টিন্তা-চেতনা মনে পোষণ করে থাকেন তারা প্রায়ই সাধারণ ঘটনায় বেশি প্রতিক্রিয়ান্বিত হন বা ভীত হযে পড়েন। আর তখনই সেটি তার ওপর স্ট্রেস হিসেবে কাজ করা শুরু করে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি অনেকটা দুষ্টচক্রের মতো ক্রমাগত বেড়েই চলে। অথচ স্ট্রেসকে ইতিবাচক ভঙ্গিতে দায়িত্ববোধের সাথে গ্রহণ করলে তা মানুষের সামনের দিকে এগিয়ে চলা, মনে সাহস ও মানসিক ইচ্ছাশক্তি আগের চেয়ে অনেক বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের বেলায় স্ট্রেসের ভালো গুণের চেয়ে খারাপ গুণের প্রভার বেশি দেখা যায়। স্ট্র্রেসের কারণে ব্যক্তির জীবন হয়ে উঠে জটিল।

 

কিভাবে সমস্যা তৈরী হয়:

অতিরিক্ত মানসিক চাপে আমাদের শরীরে Adernaline নামক দুটো হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, ৯০ শতাংশ অসুখ মানসিক চাপের সাথে সম্পর্কিত। মানুষের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর দিক হলো এড্রোনাল গ্রন্থির বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

দৈনন্দিন কাজে মানসিক চাপ

 

Stress অর্থাৎ প্রচন্ড মানসিক চাপ। যখন কেউ বোধ করে যে, কোন ১ টি সমস্যা সমাধানে তার কিছু করার নেই, তখন  তিনি তীব্র মানসিক চাপ বোধ করেন, যার নাম ডাক্তারী ভাষায় Mental stress. আমাদের মধ্যে অনেকেই দৈনন্দিন কাজ কর্মে, অফিস আদালতের কাজে প্রায়শই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।  অন্যান্য রোগের মত প্রতিরোধই সর্বোত্তম পন্থা। নিয়মাফিক জীবন যাপন, পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও পরিমিত ঘুম স্ট্রেস প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

    

স্ট্রেস বা মানসিক  চাপ বোধ তখনই শুরু হয়, যখন কেউ দেখতে পান যে, তার  চাহিদা/সমস্যা  প্রচুর, কিন্তু তার সমাধানের উপাদান বা পথ খুব  সীমিত। তবে এই মানসিক অবস্থা প্রচন্ডভাবে ব্যক্তিনির্ভর এবং অবস্থা নির্ভর। একই ধরনের সমস্যায় একজন যেখানে প্রচন্ডভাবে মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, অন্যদিকে আরেকজন হয়তো ঘুমের সামান্য ঘাটতি হচ্ছে।

          তবে, এই মানসিক  চাপ সবার জন্য সবসময়ই খারাপ তা বলা যাবে না। আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক আছেন যারা মানসিক চাপে না থাকলে বড় কোন কাজ করতে পারেন না। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে Stress বলা হয় সেটি এমন সমস্যা যা ব্যক্তিকে অস্থির,  করে, অস্বস্তিতে ফেলে এমনকি  উদ্বিগ্ন করে বা হাতাশাগ্রস্থ করে।

 

 à¦•à§‹à¦¨ কোন বিষযের উপর নির্ভর করেঃ

 à¦¯à¦–ন সমস্যা মানুষের সমাধানের ক্ষমতার চেয়ে বেশী হয় বা বেশী বোধ হয় তখনই মানুষ মানসিক চাপ/ Stress বোধ করে। বিভিন্ন কারণে এই ধরণের Stress হতে পারে। যেমন

-         ঘরে, অফিসে এবং স্কুলে ।

-         দৈনন্দিন কাজকর্মে

-  à¦®à¦¾à¦¨à¦¬à§€à§Ÿ ব্যক্তিগত কাজ কর্মে। ব্যক্তি আচার আচরনে, পারসোনালিটি এবং সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা সবই মানসিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে‌।

 

যে যে বিষয়গুলো এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে

-  ব্যক্তি সমস্যাকে কিভাবে দেখছেন।

-  ব্যক্তি সমস্যা সমাধানে আচরণগত পার্থক্য।

-  ব্যক্তির পূর্বাপর অভিজ্ঞতা ও পারিবারিক  ঐতিহ্য।

-  মানসিক দৃঢ়তা।

- সাহায্য করার মত জনবল, সম্পদ ও পারিপার্শ্বকতা ।

 

কর্মস্থলে Stress :

 

কর্মস্থলে মানসিক চাপ বা  Stress খুবই সাধারণ ঘটনা এবং তা বিভিন্ন ইস্যুতে তৈরী হয়, অনেক অবস্থার  উপর নির্ভর করে। এই সমস্যা বেশী হলে ব্যক্তি সাথে অন্যদের দূরত্ব তৈরী হয়, যদি ব্যক্তি নিজেকে আলাদা মনে করতে থাকে। অনেক সমস্যা এমন যে কোনদিন হয়তো  পুরোপুরি সমাধান সম্ভব না। অনেকেই হয়তো তার অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বা সহকর্মীদের আচরণের কারণে মানসিক  চাপে থাকেন। যার সমাধান হাতে নেই । অথবা আপনি আপনার  যোগ্যতা অনুযায়ী সুবিধা না পেলেও অন্যজন কম যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে আপনার চেয়ে বেশী সুবিধা ভোগ করছেন।

এক্ষেত্রে যার মানিয়ে নেবার ক্ষমতা যত বেশী তিনি তত ভালভাবে সমস্যা মোকাবেলা করতে পারেন।

 

কিভাবে সমাধান/মোকাবেলা করবেন:

 à¦ªà§à¦°à¦¤à¦¿à¦°à§‹à¦§à¦‡ সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান কথাটি Stress এর মোকাবেলায় চরমভাবে সত্য। এক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন । যেমন

○ নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ

 à¦¨à¦¿à§Ÿà¦®à¦¿à¦¤ পরিমিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে দারুনভাবে কার্যকর। বিভিন্নভাবে এই ব্যায়াম আপনাকে সাহায্য করবে । চিন্তামুক্ত করতে করতে হাটা নয় বরং এমনভাবে ব্যায়াম করুন যাতে আপনার  বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম দরকার। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন আধা ঘন্টা করে ব্যায়াম করুন।

○ বিরোধীতা পরিহার করুনঃ

যে সকল অবস্থার সম্মুখীন হলে আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়   সে সব যতটুকু সম্ভব পরিহার করা চেষ্টা করুন। অযথা তর্ক, ঝগড়া পরিহার করুন। তবে সময় সবকিছু ছাড় দেয়া ঠিক হবে না।

○ কিছু সময় রিলাক্স করুনঃ

প্রতিদিনের কাজের চাপে কিছু সময় বের করে নিয়ে একদম নিশ্চিন্ত হয়ে রিলাক্স করার চেষ্টা করুন এবং আপনাকে সাহায্য করবে বা যাদের সাথে মিশতে ভাল লাগে এমন লোকদের সাথে সময় কাটান।

○ স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ

পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তেল চর্বি ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পরিহার করুন এবং প্রচুর  পরিমাণে ফল ও শাকসব্জি খান।

○ ঘুমঃ

প্রতিদিন নিয়মিত নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম দরকার । তাই ঘুমের পূর্বে  ঠান্ডা মাথায় কিছুক্ষণ রিলাক্স করুন, গান শুনুন বা ধর্মীয় বই পড়ুন।

○ জীবনকে উপভোগ করুনঃ

কিছু সময় বের করে হাসি, ঠাট্টা, আনন্দ আহলাদ করুন। জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন।

 

যা মনে রাখতে হবেঃ

1.      চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে Stress বলা হয় সেটি এমন সমস্যা যা ব্যক্তিকে অস্থির,  করে, A¯^w¯—‡Z ফেলে এমনকি  উদ্বিগ্ন করে বা হাতাশাগ্রস্থ করে।

2.     নিয়মিত পরিমিত ব্যায়াম gvbwmK চাপ কমাতে দারুনভাবে কার্যকর।

3.     অযথা তর্ক, ঝগড়া পরিহার করুন।

4.     হাসি, ঠাট্টা, আনন্দ আহলাদ করুন। জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন।

 

 

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

মেডিটেশন 

 

 

নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মেডিটেশন একটি বিষয়, উদ্দেশ্য কিংবা প্রক্রিয়া যা একজনের মনোযোগ ধরে রাখে। মন ফুরফুরে রাখতে ইহা সাহায্য করে থাকে। ইহা অনুভূতিকে আরো সজিব করে, নিরবতার অনুভূতি বৃদ্ধি করে এবং এবং সতর্কতা বৃদ্ধি করে। মেডিটেশন দীর্ঘ মেয়াদী স্বাস্থ্য সুবিধাসমূহ প্রদান করে, যেমন, মানসিক চাপ হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ  à¦¹à§à¦°à¦¾à¦¸, এবং আরোগ্যতা উন্নত করে।

 

বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন খ্রিস্টান, জুদা, বৌদ্ধ, হিন্দু এবং ইসলাম সহ পৃথিবীর বেশীরভাগ বড় ধর্মে দেখা যায়। সাধারণভাবে, আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা অনুধাবনের একটি উপায় হিসাবে প্রাচ্যের ধর্মসমূহ মেডিটেশনের উপর কেন্দ্র করে বলে ধরে নেয়া হয়েছে। ইহা সাধারনত অনেক ¯^v¯’¨ উন্নয়ন অনুশীলন অন্তর্ভূক্ত করেছে। প্রাশ্চাত্যে উভয় কারনেই মেডিটেশন গ্রহণ করা হয়েছে, উত্তম ¯^v¯’¨ এবং ব্যবস্থাপনা উন্নতির জন্য যদিও প্রাশ্চাত্যের অনেক লোক একে স্ব-সাহায্য যন্ত্র হিসাবে জানে।

 

বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশনের ফলে একজন মানুষের মন ফ্রেশ হয়, যা শান্ততা বা নিরবতার একটি মনোভাব উন্নত করে এবং সতর্কতা উন্নত করে। মেডিটেশনের সময় মস্তিষ্কের কার্যকারিতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়, যা ইলেক্ট্রো এনসেফালো গ্রাফ (ইইজি) এবং ম্যাগনেটিক রেজন্যন্স ইমেজিং (এমআরআই) দ্বারা  পরীক্ষিত।

 

 à¦…তীতে বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশনের সময় সবচেয়ে সুপরিচিত মস্তিষ্ক তরঙ্গ স্পস্টত প্রকাশিত হতো, এগুলোকে আলফা তরঙ্গ বলা হয়। এই মস্তিষ্ক তরঙ্গসমূহ একত্রিত হওয়ার ফলে সম্পুর্ন নার্ভাস সিস্টেমের রিলাক্সেশন বা সিথিলতা আনয়ন করে। গামা, ডেল্টা এবং থেটা মস্তিষ্ক তরঙ্গ অন্য ধরনের মেডিটেশনের সাথে একত্রিত হয় এবং বিভিন্ন পরিবর্তিত সতর্কাবস্থার সাথে যুক্ত হয়।

 

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায় যে, মেডিটেশনের নিয়মিত অনুশীলন একটি শক্তিশালী অরোগ্য যন্ত্র হতে পারে। বস্তুত, দীর্ঘ মেয়াদী মেডিটেটরগণের গবেষণা থেকে এখন পরিষ্কার প্রমাণ যে মেডিটেশন মস্তিষ্কে গভীর পরিবর্তন সৃষ্টি করে, এবং তা কিছু দৈহিক এবং আবেগ সংক্রান্ত অসুস্থতা থেকে আরোগ্য করে বা উদ্ধার করে, যা মেডিটেশনের অনুশীলনের সহায়তার ফল।

অনিয়ম বা বিশৃংলার মাত্রা কমাতে মেডিটেশন

নিয়মিত মেডিটেশন নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো সহ অনিয়ম বা বিশৃংখলার মাত্রা সহায়তার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে:

·        উদ্ভিগ্নতা

·        দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা

·        বিষন্নতা

·        মাথা ব্যথা

·        উচ্চ রক্তচাপ

·        তন্দ্রালুতা

·        মাইগ্রেইনস

·        জীবন হুমকিদায়ক দৈহিক অসুস্থতা

·        দূর্ঘটনা কিংবা অসুস্থতা থেকে মুক্তি

·        ভবঘুরতা কিংবা উদ্দেশ্যহীনতার মনোভাব বা অনুভূতি।

 

মেডিটেশনের লাভ বা সুবিধাসমূহ

মেডিটেশনের প্রত্যক্ষ বা সরাসরি সবিধাসমূহের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত হতে পারে:

·        উন্নত দৈহিক, আবেগ সংক্রান্ত এবং মানসিক স্বাস্থ্য

·        আলোকিত এবং পরিষ্কার বা নির্ভেজাল চিন্তাশক্তি

·        নিজস্ব এবং ব্যাক্তিগত উপস্থিতির একটি মনোভাব বৃদ্ধি করা

·        বর্ধিত আবেগ সংক্রান্ত স্থিতি ভারসাম্য

·        উন্নততর সিথিলতা এবং আরাম

·        চ্যালেঞ্জের মুখে আরো স্ব-নিয়ন্ত্রনত

·        জীবনে সন্তোষ্টি

·        আত্মিক পরিপূর্ণতা এবং জাগ্রতার একটি উন্নত মনোভাব।

 

স্নায়ু তন্ত্র প্রশান্ত করা

মনের বিশ্রাম মস্তিষ্কের কার্যকমের উপর একটি নাটকীয় প্রভাব আছে। যখন মস্তিষ্ক একটি আলফা তরঙ্গ অবস্থার দিকে যায়, তখন অনেক মনস্তান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে, যা স্বয়ংক্রীয় স্নানুতন্ত্র নিয়ে শুরু হয়। স্বয়ংক্রীয় স্নানুতন্ত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট হল এটি আমাদের সজাগ বা অবচেতন মন হতে কোন প্রচেষ্টা ছাড়াই মাংস গ্রন্থি এবং অঙ্গসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করে।

 

স্বয়ংক্রীয় স্নানুতন্ত্র দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত, ক) সিম্প্যাথেটিক স্নানুতন্ত্র এবং

খ)  প্যারা সিম্প্যাথেটিক স্নানুতন্ত্র ।

এই সব পদ্ধতি বিপরীতে কাজ করে কিন্তু সম্পূরকভাবে: সিম্প্যাথেটিক স্নানুতন্ত্র দেহ সক্রিয় রাখে, এদিকে প্যারা সিম্প্যাথেটিক স্নানুতন্ত্র একে শান্ত রাখে। সিম্প্যাথেটিক স্নানুতন্ত্র যখন দীর্ঘ সময়  প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘ উদ্ভিগ্নতা কিংবা নি:শেষিত দুর্ভোগের ঘটনা ঘটতে পারে।

 

একটি আলফা তরঙ্গ অবস্থার সময়  à¦¸à§à¦¬à§Ÿà¦‚ক্রীয় স্নানুতন্ত্রের প্যারা সিম্প্যাথেটিক স্নানুতন্ত্র পূর্বে আসে। এর ফলে নিম্ন রক্ত চাপ এবং হৃদ হার কম হয়, স্ট্রেস হরমোনের হ্রাস এবং দেহ মধ্যে সজীব রাসায়নিক উপাদানের বিপাক ধীর করে। যদি মেডিটেশন নিয়মিত অনূশীলন করা হয়, তবে এই সব সুবিধাজনক পরিবর্তন আপেক্ষিকভাবে স্থায়ী হয়।

 

ইতোমধ্যে ইইজি এবং এমআরআই এর  à¦¸à¦®à¦¨à§à¦¬à§Ÿ করে গবেষণা এবং দীর্ঘ মেয়াদী মেডিটেটরগণের মেধা মস্তিষ্ক কার্যক্রম এবং কাঠামো উভয়ে লক্ষণীয় পরিবর্তন প্রকাশ করেছে। এই ধরনের পরিবর্তনের অনুসন্ধান করে প্রাপ্ত প্রমাণ বেশ কিছু শতাব্দী ধরে অগ্রগামী মেডিটেডরগণের মাধ্যমে অনেক দাবিতে প্রাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক বৈধতা যোগ করে।

 

বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন বিভিন্ন ধর্ম এবং দর্শন থেকে  উৎকর্ষতা লাভ করেছে, যার অর্থ বাছাই করার জন্য অনেক ভিন্ন ভিন্ন কৌশল রয়েছে। নিচে কিছু উদাহরণ অন্তর্ভূক্ত হলো:

 

·        শ্বাস প্রশ্বাসে মনোনিবেশ-স্বেচ্ছায় বায়ূ চলাচল লক্ষ্য করে বায়ূ ভিতরে নেয়া এবং আপনার নাকের ছিদ্র দিয়ে বের করে দেয়া, কিংবা বিভিন্ন ভাবে শ্বাস- প্রশ্বাস গণণা করা।

·        মনকে পরিষ্কার করা- মনকে পরিস্কার করতে গিয়ে যে কোন ভবঘুরে চিন্তা ভাবনা দূরে ঠেলে  à¦¹à¦¾à¦²à¦•à¦¾à¦­à¦¾à¦¬à§‡ মনকে ভাসতে দিন, কিংবা সতর্কতার মধ্যে এবং বাইরে আপনার ভাবনাগুলোকে ভাসতে দিন।

·        একটি বস্তুর দিকে তাকিয়ে- আপনার মনোযোগকে কেন্দ্র করুন, কিন্তু প্রয়োজনীয়ভাবে আপনার ভাবনাগুলোকে নয়, একটি বস্তুর কাঠামো, শব্দ এবং উপরিভাগ বা অনভূতির উপর, যেমন একটি গাছ, একটি মোমবাতির শিখা, কিংবা আত্মিকভাবে তাৎপর্যপুর্ন চিত্র বা পেইন্টিং কিংবা চিত্র বা নকশা।

·        নড়াচরা- হালকা নড়াচড়া করে শ্বাস প্রশ্বাস এবং শরীরের সমন্বয়ের মাধ্যমে যোগ শাস্ত্র, কিংবা এর  à¦®à¦¤à§‹ পদ্ধতি ব্যবহার করে মনকে স্থির করা।

·        মন্ত্র ব্যবহার- উচ্চ স্বরে কিংবা নিরবভাবে বার বার  à¦à¦•à¦Ÿà¦¿ শব্দ কিংবা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে, মনোযোগকে কেন্দ্রস্থ করা।

 

মেডিটেশন অনুশীলন করা

আপনার বাছাইকৃত কৌশল যা-ই হোক, শুরুতে একটি শান্ত জায়গায় , একটি আরামদায়ক বসার স্থান এবং বাইরের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া পরিবেশে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট থেকে আধা ঘন্টাবিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

স্মৃতি ভ্রম বা আলঝাইমার

 

( সংগৃহীত) ( সংগৃহীত) ( সংগৃহীত)

 

 

প্রিয়জনের যখন বয়স হয়, বুড়ো হন তখন তারা ভুলোমন তো হতেই পারে তাঁদের । সিনিয়র সিটিজেনদের এই সামান্য চ্যুতি তেমন ক্ষতির কারণ তো নয়ই। জুনিয়রদের তা মানিয়ে চলতে হয়। তবে যদি হয় আরো গুরম্নতর মনের বিকলতা যেমন-আলঝাইমার রোগ। ৬৫ উর্দ্ধ ৮ জনের মধ্যে ১ জনের এমন ডিমেনশিয়া হতে পারে। প্রথম দিকে হয়ত এই বৈকল্য তেমন নজরে পড়েনা বন্ধু স্বজনদের, তবে আছে কিছু আগামসংকেত।

সতর্কসংকেত ; স্মৃতি ও বাকশক্তি:

আলঝাইমার রোগের সূচনার দিকে, দীর্ঘমেয়াদী স্মরণশক্তি অটুট থাকলেও ক্ষন্ডকালীন স্মৃতিগুলো কেমন যেন ঝাপসা হয়ে যায়। যে আলাপ হলো মাত্র, সেই আলাপের কথা বেমালুম ভুলে যেতে পারেন প্রিয়জন। যেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে সেসব প্রশ্ন হয়ত বারবার করতে থাকেন তারা। বাকশক্তি একটু ব্যহত হয়, তাই এরা সাধারণ অনেক শব্দ মনে করতে হিমসিম খান।

আচরণ:

স্মরণশক্তির হানি তো ঘটেই, আলঝাইমার হলে বিহ্বলতা ও আচরণ পরিবর্তনও ঘটতে পারে। পরিচিত কোনও স্থানে হারিয়ে যেতে পারেন তারা পথ ভোলা পথিকের মত। মেজাজের চড়াই উৎরাই, বিচারশক্তি লোপ- এসব হতে পারে। এককালে যে লোক থাকতেন ফিটফাট, তিনি ছেড়া, নোংরা জামা ও উস্কুখুস্খু চুল নিয়ে বেরোন বাইরে।

সংকেতগুলো অবহেলা করা ঠিকনয়:

প্রিয়জনের আলঝাইমার রোগের মত বিধ্বংসী রোগ হলে একে মোকাবেলা করা কষ্ট বটে, তবু এজন্য দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । আসলে আলঝাইমার কিনা তাও তো নিশ্চিত হতে হবে। হয়ত তেমন কিছু নয়, থাইরয়েড বিকল হয়েছে মাত্র, চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলা  à¦¯à¦¾à¦¬à§‡à¥¤ আর আলঝাইমার হলেও আগাম চিকিৎসায় বেশ সুফল পাওয়া যায় আজকাল।

আলঝাইমারস নির্ণয়:

এরোগের জন্য সহজ কোনও চেষ্টা নেই। তাই প্রিয়জনের শরীর ও মনে কি কি পরিবর্তন হলো ডাক্তার তা জেনে নেবেন আত্মীয়ের কাছ থেকে। একটি মেন্টাল স্ট্যাটাস টেস্ট, ও অন্যান্য স্ক্রিনিং টেস্ট রোগীর মানসিক কর্মের মূল্যায়ণ করতে পারে, করতে  à¦¸à§à¦¬à¦²à§à¦ªà¦¸à§à¦¥à¦¾à§Ÿà§€ স্মৃতিশক্তির মূল্যায়ণও। এছাড়া রয়েছে নিউরোলজিক্যাল পরীক্ষা ও ব্রেন স্কান। স্ট্রোক বা টিউমার থেকে একে আলাদা করার জন্য।

আলঝাইমারস মগজ:

 

 

আলঝাইমারস রোগ হলে ঘটে স্নায়ু কোষের মৃত্যু এবং সারা মগজ জুড়ে টিস্যুর ক্ষতি ও হানি। রোগ যত অগ্রসর হয়, মগজের টিস্যু সংকুচিত হতে থাকে আর ভেনট্রিকল গুলো আকারে বড় হতে থাকে। ভেনট্রিকল হলো মগজের ভেতরে এমন সব প্রকোষ্ট যা ধারণ করে সেরেব্রস্পাইনাল তরল বা (সিএসএফ) এই ত্রুটির কারণে স্নায়ুকোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বিপর্যসত্মহয়, স্মৃতিশক্তি, বাকশক্তি, বোধ সবই লোপ পাওয়ার মত অবস্থা হয়।

অগ্রসরহয় আলঝাইমারস:

প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রে আলঝাইমারস এর অগ্রগতি ও প্রকৃতি হয় আলাদা কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো শোচনীয় হতে থাকে দ্রুত, গুরুতর স্মৃতি হীনতা ও বিহ্বলতা ঘটে কয়েক বছরের মধ্যেই। অন্যদের ড়্গেত্রে পরিবর্তনগুলো হয় ক্রমে ক্রমে, হয়ত বিশ বছরে দেখা দেয়, পরিপূর্ণরূপ। আলঝাইমারস নির্ণয় হবার পর রোগীর বেচে থাকার সম্ভাবনার গড় হলো ৩-৯ বছর।

আলঝাইমারস কেমন প্রভাব ফেলে প্রাত্যহিক জীবনের উপর:


আলঝাইমারস প্রভাব ফেলে মন সংযোগের উপর, রোগীরা দৈনন্দিন কাজ যেমন রান্না করা, বিল পরিশোধ করা এগুলো সামলানোর ক্ষমতা হরিয়ে ফেলে। প্রথমে দেখা যায় চেকবুকে ব্যালেন্স কত তা বোঝা কষ্ট হয়। ক্রমেক্রমে রোগী চিনতে পারেনা পরিচিতজন, পরিচিত স্থান। সহজে হারিয়ে যেতে পারে কোথাও, এমনকি পরিচিত স্থানে তৈজসপত্রের যথাযথ ব্যবহার করতে পারেন না। দেখা যায় কাঁটা চামচ দিয়ে চুল আঁচড়াচ্ছেন। ভারসাম্য হানি, অনেক সময় যততত্র প্রস্রাব পায়খানা করে দেন, এক সময় ভাষার ব্যবহার শক্তিও লোপ পায়।


আলঝাইমারস ও ব্যায়াম:

ব্যায়াম বেশ সহায়ক এ রকম রোগীর জন্য। পেশি শক্তি বজায় রাখতে ব্যায়াম উপকারী। মন মেজাজ ভালো করে, উদ্বেগ কমায়। কি ধরনের ব্যায়াম তাদের জন্য ভালো তা ডাক্তারের কাছে জেনে নেয়া ভালো। পুন:পুন করা যায় এমন ব্যায়াম যেমন হাঁটা, ঘাস তোলা এগুলো বেশ কার্যকর হতে পারে, প্রশানিত্মর জন্য।

আলঝাইমারস ও ওষুধ:

এরোগ নিরাময় করা যায়না। মগজের মধ্যে স্নায়ুর ক্ষতিকে ধীরগতি করারও কোন উপায় জানা নেই। তবে মানসিক কাজ কর্ম বজায় রাখার জন্য আছে কিছু ওষুধ, রোগের অগ্রগতি একটু ধীর করলে করতেও পারে। রোগের সূচনাপর্যায়ে দিলে কিছু সুফল আশা করা যায়। রোগী স্বনির্ভর থাকা ও দীর্ঘদিন দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে।

যাঁরা এসব রোগীর দেখভাল করবেন:

 à¦†à¦²à¦à¦¾à¦‡à¦®à¦¾à¦°à¦¸ রোগীর পরিচর্যাকারী হিসেবে অনেক দায়িত্ব তো নিতে হতে পারে-রাধুনীর দায়িত্ব, শোকাবের দায়িত্ব এমনকি একাউন্টেন্ট এর দায়িত্বও। আহার পরিকল্পনা, ঘরকন্না, আয় ব্যয় এসব ব্যসত্ম হলেও রোগীকে কিছু কিছু কাজ নিজে নিজে করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।

রোগীর দেখভাল করা একটি চ্যালেজিং কাজ:

আলঝাইমারস রোগীদের সূচনার দিকে রোগী বোঝেন কি ঘটছে এবং এনিয়ে বিব্রত, লজ্জিত ও উদ্বিগ্নও হন। যদি এ কারণে বিষন্নতা হয় তা নজর করতে হবে এবং একে সামলানো যাবে ওষুধ দিয়ে। রোগীর রোগের অগ্রগতি বেশি হয়ে গেলে তিনি প্যারানয়েড হতে পারেন, একে বলে ভ্রম বা তুলতা। অথবা হতে পারেন আক্রমনাত্মক। আঘাতও করতে পারেন পরিচর্যাকারীকে। এই পরিবর্তনের জন্য রোগটি দায়ী, রোগী নয়। ডাক্তারের পরামর্শ চাই ত্বরিৎ।

সূর্যডোবা সিনড্রোম:

Sundown syndrome বা সূর্য ডোবা সিনড্রোম ঘটে অনেকের। বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

শান্ত হয়ে সহজ করে কথা বলার অভ্যাস

 

 

শান্ত হয়ে সহজ করে কথা বলার অভ্যাস এক ধরনের গুন যা যে কোন ব্যক্তির পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। শান্ত হয়ে সরাসরিভাবে কথা বললে মনোমালিন্য বা দ্বন্দ সৃষ্টির আশঙ্কা কমে যায় এবং যে কান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। শান্ত সোজাসুজি কথা নিজের আত্তবিশ্বাস গড়ে তুলে এবং সম্পর্ক জোরালো করে। শান্ত সহজ করে কথা বলা বাচ্চারা খুব কমই জেদী বা উগ্র স্বভাবের হয়।

 

কিছু কিছু লোক সহজ পষ্টা-পষ্টি করে কথা বলার গুনকে আক্রমনাত্তক স্বভাব বলে ভূল করেন, তারা ভাবেন সোজাসাপ্টা কথা বলার অর্থ কোন তর্ক বা কথা কাটাকাটির ক্ষেত্রে নিজে এক বিশেষ অবস্থান নেয়া অথবা নিজের অবস্থানে অনড় থাকা কিংবা কোন প্রশ্নে সমঝোতা না করে তর্ক করতে থাকা। বস্তুত শান্ত সহজভাষী থাকার অর্থ হচ্ছে আপনি আপনার প্রয়োজন, দরকার বা অনুভূতি বিশ্বাসের কথাগুলো অথবা আপনার মতামত খুব শান্ত সহজভাষায় খোলাখুলিকরে অন্যের কাছে বলবেন আবার একই সাথে অন্যের কথাও ঠান্ডা মাথায় শুনবেন ও ইচ্ছাকৃতভাবে তার মনে আঘাত না দিয়ে তার সমস্যাগুলো মেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

 

শান্ত সহজ থাকার বিষয়টি কেমন তা ভালোভাবে বুঝতে আক্রমনাত্তক ভাব ও খুব বেশি চুপচাপ থাকার মাঝামাঝি একটি অবস্থার কথা কল্পনা করুন। অন্যকে দমানোর জন্য উগ্রভাবে গলাচড়িয়ে কথা বলার কৌশল অবলম্নন করলে তা সম্পর্ক নষ্ট করবে এবং শেষ পর্যন্ত নিজের সম্মান ক্ষুন্ন করবে। আবার চুপচাপ থেকে ঝামেলা এড়াতে পারলেও এর ফলাফলে আপনি নিজে অসহায়ত্ববোধ করবেন এবং পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকবে না। সোজা স্পষ্ট করে কথা বলার গুন দ্বন্দ কমায় ও নিজের আত্তবিশ্বাস গড়ে তোলা সহ নিজের ব্যক্তিত্ব ও সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করে। নিচে এই বিষয়ে ছোট ছোট কিছু পরামর্শ দেয়া হলো, এই গুনগুলো শিখে আপনি অন্যের কাছে আরও বেশি স্পষ্টভাষী হয়ে উঠতে পারেন।

 

শান্ত সহজ আচরনের সুবিধা সমূহ

 

মুখে জোর গলায় হম্বি-তম্বি^ করে বা শারীরীক মারমুখী আচরনের মাধ্যমে আপনি কিছু সময়ের জন্য নিজের ইচ্ছা চরিতার্থ্য করতে পারেন বা জয়ি হতে পারেন তবে এতে করে আপনার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অন্য দিকে খুব বেশি নিরুৎসাহী আচরনও আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে কারন এই ধরনের আচরনে তর্কের সময়ে আপনার প্রয়োজন, আপনার দরকার ও অনুভূতির কথাগুলো গুরুত্ব পায় না।

 

অন্যদের সাথে কথা বলার সময়ে সব ক্ষেত্রে সহজ শান্ত আচরনের যেসব সুবিধাগুলো রয়েছে তা হলোঃ

 

অন্যে আপনার কথা, প্রয়োজন ও সমস্যাগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে 

ইচ্ছাকৃতভাবে আর কারও মন ভাঙ্গবে না

সকল পক্ষই মনে করবে তাদের কথা শুনা হচ্ছে ও তাদেরকে সম্মান দেখানো হচ্ছে

কথা আদান প্রদানের ফলে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরালো হবে

দ্বন্দ ও বাদানুবাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা কম হবে 

আপনি আপনার জীবনে নিজেকে খুব নিরাপদ সুশৃঙ্খল মনে করবেন

নিজের উপর আস্থা ও আত্তসম্মানবোধ আরও জোরালো হবে

আপনি যা চান তা পাওয়ার একটি চমৎকার সুযোগ তৈরী হবে

 

একটি পান্ডিত্যপূর্ন গুন

 

অন্য সব দক্ষতা অর্জনের মতই শান্ত সোজা আচরনের অভ্যাস শিখতে সময় লাগে। এই সম্পর্কে নিচে কিছু পরামর্শ দেয়া হলোঃ

 

মনে মনে সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি মারমূখী বা খুব বেশি নিরুৎসাহী না হয়ে শান্ত সহজ থাকবেন। নিজেকে বদলানোর প্রতিশ্রুতী হচ্ছে এই শিক্ষা অর্জনের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

আপনার কারো সাথে সাম্প্রতিক সময়ে তিক্ত কোন ঝগরার কথা মনে করুন যেখানে আপনার দরকার, প্রয়োজন ও অনুভূতির কথাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। একবার ভেবে দেখুন আরও বেশি স্থির শান্ত থেকে কিভাবে আপনি পরিস্থিতি আপনার অনুকুলে নিতে পারতেন।  

নিজে নিজে বা কোন বন্ধর সাথে স্থির শান্তভাবে কথা বলার অভ্যাস করুন। নিজের শারীরীক হাবভাব, মৌখিক অভিব্যক্তি ও কথার ভাষার প্রতি মনোযোগ দিন। 

অন্যের দরকার, প্রয়োজন ও তিনি যা বুঝাতে চাইছেন তাকে সম্মান দিন এবং তার মত আপনার চেয়ে ভিন্ন হলেও তা শ্রদ্ধা করতে শিখুন।  

দ্বন্দ বা তর্কের সময়ে যেভাবে সমাধানের দিকে যাওয়া যায় সেই চেষ্টা করুন এবং কিভাবে সকলের স্বার্থই রক্ষা হয় সেই উপায় খোজার চেষ্টা করুন। অন্যকে নিজের প্রতিদ্বন্দী হিসাবে না দেখে নিজের সহযোগী বন্ধু হিসাবে দেখার চেষ্টা করুন। 

অন্যের সাথে কথা বলার সময়ে অভিযোগ না করে বা তার মধ্যে অপরাধী ভাব আনার চেষ্টা না করে বরং নিজে যা ভাবছেন তা সহজে শান্তভাবে বুঝিয়ে বলুন। 

কথা বলতে সহজ স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করুন যেমন  -আমার মনে হয় বা আমি মনে করি , এতে আপনাকে একজন দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তি বলে মনে হবে এবং অন্যে আপনার অনুভুতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে। কখনই আক্রমনাত্তক ভাষা যেমন  তুমি সব সময়ে  à¦¬à¦¾  তুমি আর কখনই  à¦¬à¦¾ এ জাতিয় কথা ব্যবহার করবেন না। এতে অন্যের মনে ক্ষোভ সঞ্চার হবে এবং দ্বন্দের সৃষ্টি হবে।  

অন্যে কথা বলার সময়ে তার কথার মাঝে বাঁধার সৃষ্টি করবেন না। কষ্ট করে হলেও তার কথা শুনুন এবং তার কথার যুক্তি বোঝার চেষ্টা করুন। অন্যকে বিনয়ের সাথে বলুন সেও যাতে একই ধরনের সম্মান ও মনোযোগ দেখায়।   

অন্যকে বলুন আপনি সকলে মিলেই এই সমস্যার একটি সমাধানের কথা ভাবছেন।

যদি কথা বার্তার পরিস্থিতি ভালো না হয় তবে এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন এবং পরবর্তীতে কিভাবে সব কিছু একটু ভিন্নভাবে করবেন সে বিষয়ে চিন্তা করুন। 

 

 

শরীরের ভাষা

 

কথা বলার সময়ে নিজেকে স্থির শান্ত দেখাতে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুনঃ

 

তার চোঁখে চোঁখ রাখুন।

শরীরকে সোজা রাখুন।

কাঁধ থাকবে ঠান্ডা শান্ত।

স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন, কোনভাবেই দম খিচরে থাকবেন না।

চেহারা শান্ত স্বাভাবিক রাখুন। 

স্বাভাবিক আলাপ আলোচনার মত করে কথা বলুন (কথার সময়ে চিৎকার বা ফোসফোস করবেন না) 

 

মাথা যে অবস্থায় থাকবে

 

আপনি নিজেকে খোলামেলা ও শান্ত রাখার যতই চেষ্টা করুন না কেন, অপর ব্যক্তি কখনও কখনও আপনি তর্ক করছেন মনে করে রাগে উচ্চ গলায় চেচিয়ে আপনাকে মন্দ কথা বার্তা বলতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কি করবেন তার কিছু পরামর্শ নিচে দেয়া হলোঃ      

 

তার সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আপনি পরে আবারও কথা বলবেন বলে সেখান থেকে চলে আসুন। 

আপনি যদি বিষয়টি সেখানেই ফয়সালা করে ফেলতে চান তবে শান্ত স্থির থেকে সমস্যার মূল বিন্দুতে আলোচনায় ফিরে যান এবং তার কথার যুক্তি বুঝার চেষ্টা করুন। 

অন্য বিভিন্ন কারনে তার এই আচরন হতে পারে ভেবে শান্ত থাকুন।

উত্তেজিত অবস্থার কথাবার্তা মনে রাখবেন না।

এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তা পরবর্তিতে এরকম পরিস্থিতিতে কাজে লাগান।

 

ছেলেমেয়েদের এই গুনটি শিক্ষা দিন

 

 

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

রাগ- ইহা কিভাবে মানুষকে প্রভাবিত করে

 

 

রাগ বা জিদ একটি শক্তিশালী আবেগ। যদি ইহা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে তা আপনার নিজের জন্য এবং আপনা প্রিয়জন উভয়ের জন্য এর ধ্বংসাত্মক ফলাফল হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত রাগ তর্কাতর্কি, দৈহিক মারামারা, দৈহিক আক্রমণ, হামলা এবং নিজস্ব ক্ষতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। অপরপক্ষে, রাগের সুনিয়ন্ত্রিত পরিচালনা একটি উপকারী আবেগ হতে পারে, ইতিবাচক পরিবর্তন করতে যা আপনাকে অনুপ্রেরণা দান করে।

 

দৈহিক প্রভাব সমূহ

রাগ বা জিদ দেহে একটি লড়াই কিংবা লড়াইয়ে জবাব দেয়ার একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে বা উৎসাহিত করে। অন্যান্য আবেগসমূহ এই সাড়া প্রদানে উৎসাহ যোগায় তার মধ্যে ভয়, উত্তেজনা এবং উদ্বিগ্নতা অন্তর্ভূক্ত। এড্রেনাল গ্রস্থি থেকে প্রচুর পরিমানে স্ট্রেস হরমোন, যেমন- এড্রেনালিন ও করটিসল নি:সৃত হয়। দৈহিক শক্তির প্রস্ততির জন্য মস্তিষ্ক পাকস্থলী বা অন্ত্র থেকে রক্ত প্রেরণ সরিয়ে রাখে পেশীতে রক্ত প্রেরণ করে । হৃদপিন্ডের হার, রক্ত চাপ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস এর গতি বৃদ্ধি করে, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক ঘামে, মন তীক্ষ্ণ হয় এবং কেন্দ্রীভূত হয়।

স্বাস্থ্য সমস্যাসমূহ;

 

 

চাপ উপাদানের অবিরত রক্ত  এবং যুক্ত বিপাকী পরিবর্তন এক সঙ্গে মিলে বার বার অনিয়ন্ত্রিত রাগ বা জিদ ঘটনাক্রমিকভাবে দেহের বিভিন্ন সিস্টেমের ক্ষতির কারন হয়। কিছু স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা যা অনিয়ন্ত্রিত রাগের সাথে যুক্ত, এতে নিম্নবর্নিত উপাদানগুলো যুক্ত:

 

·        মাথাব্যথা

·        হজমশক্তি সমস্যা, যেমন পেটের ব্যথা

·        তন্দ্রালুতা

·        বর্ধিত উদ্বিগ্নতা

·        হতাশা

·        উচ্চ রক্ত চাপ

·        ত্বকের সমস্যা, যেমন একজিমা

·        হার্ট এটার্ক

·        স্ট্রোক

 

রাগ বা জিদের ব্যাপারে সহায়হীন পথ

অনেক লোক অযথাযথ এবং ক্ষতিকর উপায়ে তাদের রাগ বা জিদ প্রকাশ করে, এর মধ্যে নিম্নবর্ণিতগুলো:

 

১। রাগ বিস্ফোরন-

কিছুর লোকের তাদের রাগের ব্যাপারে খুব কম নিয়ন্ত্রণই আছে এবং তাদের রাগ বিস্ফোরন করার প্রবণতা দেখায়। এই ভয়াবহ বদমেজাজ তাকে দৈহিক  নির্যাতন কিংবা সহিংসতায় পরিচালিত করতে পারে। একজন লোক যিনি তার রাগ বা জিদ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন  হয়ে যায়। কিছু লোক যারা তাদের বদমেজাজের মধ্যে দিয়ে চলে তারা নিজেদেররকে নিম্ন মূল্যায়ন করে, এবং অন্যাদেরকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের রাগ ব্যবহার করে এবং ক্ষমতাধর বলে মনে করে।

২। রাগ দমন-

কিছু লোক মনে করেন যে রাগ একটি অযথাযথ কিংবা মন্দ আবেগ, এবং ইহা দমন করতে পছন্দ করে। কিন্তু রাগ বা জিদ প্রাৎয়ই হতাশা এবং উদ্বিগ্নতায় পরিবর্তিত হয়। কিছু লোক তাদের রাগ বা জিদ নির্দোষ পার্টিতে প্রকাশ করে, যেমন শিশু এবং আদুরে জন্তুর।

 

স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে রাগ প্রকাশ

আপনি কিভাবে আপনার রাগ বা জিদ প্রকাশ করবেন তার পরামর্শ নিম্নে অন্তর্ভূক্ত করা হলো:

 

·        আপনি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে অনুভব করেন তবে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি থেকে হেঁটে চলে যান, যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি ঠান্ডা বা শান্ত হন।

·        আবেগকে শনাক্ত করুন এবং গ্রহণ করুন স্বাভাবিক ভাবে এবং জীবনের অংশ হিসাবে গ্রহণ করুন।

·        আপনি কেন রাগ অনুভব করেন তার সঠিক কারন সমূহ খূঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

·        একবার আপনি সমস্যা শনাক্ত করলে , তবে কিভাবে পরিস্থিতির প্রতিকার করা যায় তার জন্য বিভিন্ন কৌশল খুঁজে।

·        কিছু শরীর চর্চা করুন, যেমন দৌঁড়ানো এবং খেলাধূলা করা।

 

দীর্ঘ মেয়াদী রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরামর্শ

যে ভাবে আপনি আপনার রাগ প্রকাশ করেন তা রুপান্তরের জন্য কিছু সময় নিন। পরামর্শগুলো নিম্নে অন্তর্ভূক্ত করা হলো:

 

·        কিভাবে এবং কেন আপনি পাগলামী করেছেন তা বুঝার চেষ্টা করতে এ  ব্যাপারে আপনার রাগ বহি:প্রকাশের  একটি ডায়েরী রাখুন।

·        জোরদার প্রশিক্ষণ বিবেচনা করুন, কিংবা সংঘর্ষ সমাধানের কৌশল সম্পর্কে শিক্ষা।

·        রিলাক্সেশন কৌশল শিখুন, যেমন মেডিটেশন কিংবা যোগ ব্যয়াম।

·        অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আপনি যদি এখনো রাগান্বিত অনুভব করেন তবে আপনি একজন বিশেষজ্ঞ কিংবা মনস্তাত্মিকের শরনাপন্ন হোন।

 

 

ভাব ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত অনুশীলনের সুবিধাসমূহ

 à¦¯à§‡ সকল লোক চাপযুক্ত থাকে তারা তুলনামূলকভাবে বেশী রাগে ভোগে। বিশ্বজুড়ে অনেক গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত অনুশীলন মোড বা ভাব উন্নয়ন করতে পারে এবং চাপ মাত্রা হ্রাস করে। এর প্রভাব দুই গুন হতে পারে: দৈহিক শক্তি চাপ উপাদানকে পুড়িয়ে ফেলে, এবং এন্ডোরফিন এবং ক্যাটেকোলামিনস সহ ইহা মস্তিষ্কে মোড নিয়ন্ত্রণ নিউরোট্রান্সমিটারের উৎপাদনও বৃদ্ধি করে। 

 

 

কিভাবে রাগ প্রকাশ করা যায় তা শিশুদের শিক্ষা দান

যথাযথভাবে রাগ প্রকাশ করা একটি মার্জিত ব্যবহার। শক্তিশালী অনুভূতি কিভাবে সমাধান তা আপনার শিশুদের সহায়তার পরামর্শ নিম্নে অন্তর্ভূক্ত করা হলো:

 

·        উদাহরণের মাধ্যমে পরিচালনা

·        এ কথা তাদের জানতে দেয়া যে রাগ একটি প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি এবং প্রকাশ করা উচিৎ।

·        সম্মানের সাথে আপনার শিশুদের অনূভূতিগুলো বিবেচনা করুন।

·        বাস্তব সমস্যা-সমাধান দক্ষতা শিক্ষা দান।

·        বাড়িতে উন্মুক্ত এবং আন্তরিক যোগাযোগে উৎসাহ প্রদান।    

·        যথাযথ উপায়ে তাদের রাগ বা জিদ প্রকাশ করতে দেয়া।

·        সহিংস ব্যবহার এবং রাগের মধ্যে পার্থক্যের ব্যাখ্যা।

·        সহিংসতার শাস্তি, কিন্তু যথাযথভাবে প্রকাশিত রাগের জন্য নয়।

·

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

নারীদের জন্য চাই বারতি পুষ্টি

 

পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের কিছু কিছু পুষ্টি বা খাদ্যকনা  বেশী দরকার। যেমন : আয়রন ও ক্যালসিয়াম। মহিলাদের মাসিক, ঋতুস্রাব, গর্ভকালীন সময় বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো ও মেনোপজের সময় আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরী হয। আর অনেকদিন এই অভাব পূরণ না হলে দেখা দেয় ঘাটতি সহ বিভিন্ন  জটিলতার । তাই একজন মহিলার প্রজন বয়সে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু অতিরিক্ত খাদ্য পুষ্টি দরকার। তার উপর অতিরিক্ত  ¯^v¯’¨ সচেতনতার কারণে ডায়েটিং বা দারিদ্রের কারণ অপুষ্টি-উভয়ই ঘাটতি তৈরীতে সাহায্য করছে।

 

খাবার এবং  মাসিক পূর্ব লক্ষণসমূহ

 

মাসিক ঋতুস্রাবের পূর্ববর্তি সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই খাদ্য ও ক্যালরীর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং অনেক মহিলাই ঋতু আসার পূর্বে বেশী পরিমাণ খাবারের দিকে ঝুকে যায়। কারণ শরীরের হরমোনের উঠানামা-তারতম্যই শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। অধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার কয়েক ঘন্টা পর পর খেলে অতিরিক্ত খাবার চাহিদা হ্রাস  পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্করা জাতীয় খাদ্যের পরিমাণও ঠিক রাখতে হবে।

ঋতুকালীন সময়ে শরীরে কিছুটা পানি কমতে পারে। কারণ হরমোনের প্রভাবে শরীরে কিছু পারিমাণ লবন সংরক্ষণ করে যা পরবর্তীতে কোষে/টিস্যুতে পানি ধরে রাখে।

মাসিক পূর্ব অন্যান্য লক্ষণসমূহ nj মানসিক অস্থীরতা, অল্পতেই দূর্বলতা এবং কোষ্টকাঠিন্য। এক্ষেত্রে বি-ভিটামিন বিশেষত ভিটামিন বি-৬ এবং প্রতিদিন ৩০ মি: হাটাহাটি করলে কিছুটা ভাল থাকা যায়।

 

আয়রণ ও রক্তশূন্যতা : 

আয়রন বা লৌহজাত খনিজ অন্যান্য বস্তুর সাথে মিশে শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরী করে যা শরীরে অক্সিজেন বহন  করতে সাহায্য করে। যদিও পুরুষ ও মহিলা একইভাবে খাদ্য থেকে আয়রন হজম করে। তথাপি যেখানে একজন পুরুষের চাহিদা ৮ মি:গ্রা: সেখানে মহিলার প্রয়োজন ১৮ মিলি গ্রাম । কারণ মাসিক ঋতুস্রাবে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ আয়রন রক্তের সাথে শরীর থেকে রেরিয়ে যায়।

 

 

          মহিলাদের আয়নের ঘাটতি সবচেয়ে বেশী হয, যা কিনা পরবর্তিতে রক্তশূন্যতায় রুপ নিতে পারে। রক্তশূন্যতার লক্ষণ সমূহের মধ্যে অন্যতম হল:

          দূর্বলতা ও শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট। গর্ভকালীন রক্তশূন্যতার ফলে অল্প ওজনের অপরিপক্ক (Pre-term,LowWeight Baby)  জন্ম  নিতে পারে। প্রচুর আয়রনযুক্ত খাবারসমূহ হল-

১।  লাল মাংস, মুরগী. মাছ

২।  à¦¡à¦¿à¦®à§‡à¦° কুসুম

৩।  à¦¬à¦¾à¦¦à¦¾à¦® ও সিম জাতীয় খাদ্য

৪।  সবুজ শাকসব্জি

 

যে সব খাবারের কারণে আয়রনের হজম কম হতে পারে-

ক.  à¦…ধিক পরিমাণে আশ  জাতীয় খাবার

খ.  à¦®à¦¦

গ.  à¦šà¦¾, কফি

ঘ.  à¦…ধিক ক্যালসিয়াম খাবার

         

ভিটামিন, খনিজ লবন ও গর্ভাবস্থা :

গর্ভকালীন সময়ে ভালভাবে খাদ্যগ্রহণ করা মা ও শিশু ও বাড়ন্ত শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে দুজনের সমান পরিমান খাবার খেতে হবে- ব্যাপারটি পরিমাণের দিক দিয়ে ততটা নয় বরং পুষ্টির বিচারে হতে হবে ।

          ৫টি প্রধান  খাদ্য  উপাদান থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেলে  মা ও পোটের সন্তান উভয়েই চাহিদা পূরণ হবে। তদুপরি কতগুলি খাদ্য উপাদানের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে।

ক) ক্যালিসিয়াম :

যদিও বাড়ন্ত শিশু মা থেকে ক্যালিসিয়াম নিয়ে নেয়, তদুপরি  শরীর হজমশক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে  ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে। তবুও প্রতিদিন অন্তত ২ বার দুগ্ধজাত খাবার যেমন: দুধ, পনির, ছানা, ছোট ছোট কাটাযুক্ত মাছ গ্রহণ করতে হবে।

         

খ) ফলিক এসিড:

শিশুর বৃদ্ধির জন্য এবং মস্তিস্কের সুগঠনের জন্য ফলিক এসিডের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। গর্ভধারনের পূর্ব থেকে ১ম ৩মাস পর্যন্ত বেশী পরিমান ফলিক এসিড গ্রহণ করলে বাচ্চার  নিউরাল ডিফেক্ট (স্পার্নো বাইফিটা) হবার  সম্ভাবনা থাকে ৭০% ভাগ হ্রাস পায় ।

নিম্নোক্ত খাবারে ফলিক এসিড রয়েছে-

সবুজ শাকসবজি,

বাদাম,

ইস্টযুক্ত খাবার,

 à¦¬à§à¦°à§‡à¦¡

 

আয়রন :

বাচ্চার খাবার বৃদ্ধি ও সাথে সাথে মায়ের রক্তে বৃদ্ধির কারণে শরীরে আয়রনের চাহিদা সৃষ্টি হয়। গর্ভাবস্থায় অধিকাংশের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। মূলত: আয়রনের অভাবই এ জন্য দায়ী। আয়রনের অন্যতম উৎসগুলি কলিজা, মাংস, কচু শাখ, কাচাকলা,আপেল  ইত্যাদি। ভিটামিন সি শরীরে আয়নের হজমে সহায়তা করে।

 

জিঙ্ক : 

শরীরের কোষের সুগঠনের জন্য জিঙ্ক দরকার। আয়রনযুক্ত খাবারে প্রচুর জিঙ্ক থাকায় ঐ খাবারগুলিই অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।

 

আয়োডিন :

শিশুর  সুস্থ্য বিকাশের জন্য আয়োডিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিধায় এই সময় অধিক আয়োডিনযুক্ত খাবার সমূহ হলো - আয়োডিন সমৃদ্ধ লবন, সামূদৃক মাছ

 

 

ভিটামিন সি :

ভিটামিন সি- সুস্থ দাত, মাড়ি, হাড় এবং দেহপেশি গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমলকি, কমলা, লেবু এবং শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

দুধদানকালীন সময়ের খাদ্য :  এই সময়ে পৃষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী, কেননা মা তার শরীর থেকে দুধের মাধমে শিশুর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করে।

 

 

বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে-প্রোটিন/ আমিষ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ও পানির প্রতি । এ সময় খাবার  গ্রহণকরতে হবে দুটি দিক লক্ষ্য রেখে

(ক) চাহিদা পূরণ ও  ক্ষুধা নিবৃত্ত

(খ) ওজন কমানো (গর্ভকালীন  বৃদ্ধিকৃত ওজন ৬ মাসে কমিয়ে নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় যাদের আয়রনের অভাব ছিল- এই সময় তাদের আয়রনযুক্ত খাবার  বা ঔষধ খেতে হবে।

 

ক্যালিসিয়াম এবং অস্টিওপোরেসিস (হাড়ক্ষয়) :

অস্টিপোরেসিস  বা হাড়ক্ষয় এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দূর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজে ভেঙ্গে যায়। মহিলারা এই রোগে পুরুষের চেয়ে অধিক ভোগেন । কেননা মেনোপজের পরে তাদের ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায় । আরও কিছু বিষয় জড়িত যেমন:

১বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

ভিটামিন ও খনিজ লবন

 

আমাদের মধ্যে একটি ধারণ আছে- ভিটামিন শক্তি যোগায়। আসলে সেটা রয়। ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থের কাজ হলো শরীরের  শরীর বৃত্তীয় কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং দেহ সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করা। ফলে যে কোন একটি ভিটামিনের অভাব হলেই নির্দিষ্ট উপাদানের  কার্যক্রাম বাধাগ্রস্থ হবে।

ভিটামিন হল এক ধরনের উপাদান যা খুব অল্প পরিমাণে আমাদের দরকার হয় এবং আমাদের বিপাক ক্রিয়ার সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রকার খাবারে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। তাই যারা বিভিন্ন প্রকারের খাবার নিয়মিত গ্রহণ করে তাদের বাড়তি ভিটামিন খাবার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যারা গর্ভবতী এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ  খাওয়ান এবং যারা সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোজী, অধিক বয়স্ক এবং মদ্যপান ও নেশায় আক্রান্ত তাদের ভিটামিন  পরিপূরকরুপে গ্রহণ করতে হয়। তবে এ কথা  অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে খাদ্যের সাথেই ভিটামিন পর্যাপ্ত থাকে, খাবার বাদ দিয়ে শুধু ভিটামিন ট্যাবলেট খেলে বিশেষ কোন উপকার পাওয়া যাবে না।

 

ভিটামিন ও খনিজ লবনের ঘাটতি :

 à¦†à¦®à¦¾à¦¦à§‡à¦° শরীরের দৈনন্দিন বিপাক প্রক্রিয়ায় খুব সামান্য পরিমাণ ভিটামিন প্রয়োজন যা পুরোপুরি  খাদ্য থেকেই পাওয়া সম্ভব। তারপরও বিভিন্ন কারণে অনেকের  অতিরিক্ত ভিটামিনের প্রয়োজন হতে পারে। যেমন:

1.      গর্ভবতী মহিলা।

2.     বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান এমন মহিলা।

3.     ধুমপায়ী, মদ্যপানকারী, নেশাকারী।

4.     যারা মাত্রাতিরিক্ত ডায়েট করেনবিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

শিশুদের খাবার

শিশুরা ছয়মাস বয়স থেকে শক্তখাবার খেতে পারে। শক্তখাবারের আগে মায়ের বুকের দুধ শিশুর পুস্টি হিসাবে কাজ করে । চালের গুড়া, ডাল, শাকসবজি , ভালভাবে সিদ্ধ করা মাংশ, নরম করে মাখানো ফল শিশুদের প্রাথমিক খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এক বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত গরুর দুধ খাওয়ানো ঠিক নয়। বিভিন্ন খাবারের প্রতি শিশুর চাহিদা এবং পরিমান কম বেশী হতে পারে । যদি শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক ভাবে হয় তাহলে এটা চিন্তার বিষয় নয়।

http://t2.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQMcRI31MgGWXbQVdiWe4yvOnZYy-cPxFPXaKxb3-DleVWt-djA

শক্ত খাবার খাওয়া শুরু:

ছয়মাস পর থেকেই বাচ্চাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য শক্ত খাবার দেয়া যায়। এক বছর বয়সের সকল শিশুকে পরিবারের স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত করে তোলা উচিত।

মায়ের দুধ বা কোটার দুধ একবছর পর্যন্ত  à¦¶à¦¿à¦¶à§à¦° পুষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে ।তবে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য সঠিক সময়ে শক্ত খাবার শুরু করা খুবই জরুরী ।ছয়মাস বয়সের শিশুর লোহার সঞ্চয় প্রায় শেষ হয়ে যায়। তাই লৌহ ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় শিশুকে বাইরে থেকে দেয়া অতিরিক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই।

বেশী অথবা শক্ত খাবারের সমস্যাঃ

ক্ষুধার্ত শিশুকে বুকের দুধ এবং কোট্টার দুধের মাধ্যমে তার প্রয়োজন পূরন করতে হবে। কিছু মা শিশুর বেশী বৃদ্ধির জন্য চারমাস বয়সের প্রবেই শক্ত খাবার দেয়। এতে করে শিশুর বৃদ্ধির চেয়ে নানা বিধ সমস্যা দেয় ।  যেমনঃ-

o       খাবারের প্রতি এলার্জি

o       বৃদ্ধি কম হওয়া

o       খাবার পরিপাক না হওয়া এবং ডায়রিয়া

শক্ত খাবার দেরীতে শুরুর ক্ষতিঃ-

বেশী দেরীতে শক্ত খাবার শুরু করার ফলে নিয়লিখিত ক্ষতি হতে পারে।

o       বৃদ্ধি কম হওয়া

o       লৌহ ঘাটতি জনিত রক্তসল্পতা

শিশু শক্ত খাবারের জন্য প্রস্তুত কিনা

যখন শিশুর বাইরের শক্ত খাবারে প্রয়োজন হয় তখন কিছু বিষয় দ্বারা এটা বুঝা যায়।

o       শিশু তার পাশের খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং অনেক সময় খাবারের দিকে হামাগুড়ি দেয়।

o       মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুষে।

o       তাকে খাবার সাধলে হা করে খাবার মুখে নিতে চায়।

o       জিব্বাকে উপরে নিচে করতে থাকে

o       খাবার এবং চামচ ধরতে চায়।

খাওয়া শিখাঃ

সাধারনত ৯ থেকে ১২ মাসের মধ্যে শিশু খাবার খাওয়ার কৌশল রপ্ত করে থাকে । যেমন

o       নিজে তুলে খাবার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় ।

o       খাবার চিবাতে পারে।

o       কাপ ধরে খেতে পারে।

o       অল্প সহযোগীতায় একাই খেতে পারে।

শক্ত খাবারের শারীরিক প্রস্তুতিঃ

শিশুর শরীরে চার থেকে  ছয়মাসের মধ্যে কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়। এর মাধ্যমে শিশু শক্ত খাবারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। এর মধ্যে:

o       পরিপাকতন্দ্র: পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরী হয়।

o       রোগ প্রতিরোধ তন্ত্র: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়।

o       মুখ ও জিব্বা : শিশু খাবার মুখের পিছন দিকে নিতে শিখে এবং নিরাপদে গিলতে পারে।

o       মাথা ও ঘাড় : ঘাড় শক্ত হয়, মাথা সোজা উপরে ধরে রাখতে পারে এবং খাবার গিলতে পারে।

o       কিডনী: শিশুর কিডনী অধিক পরিমানে তরল পরিশোধন করতে পারে। 

শিশুর পেট  ভরে গেলেঃ

শিশুর পেট ভরে গেলে সে মুখ শক্ত করে বন্ধ করে রাখে এবং মাথা অন্য দিকে বাকিয়ে ফেলে । অনেক সময় তারা কান্না করে এবং হাতদিয়ে খাবার দরে ঠেলে দেয়। যদি প্রথমেই তারা এমন করে তাহলে তৎক্ষনাত তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা না  করে কিছুক্ষন পরে আবার চেষ্টা করা উচিত। শিশুরা সাধারনত প্রথমে শক্ত খাবার মুখ থেকে ফেলে দেয় তবে তারা দ্রুতই গিলতে শিখে যায়। 

শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানোর কৌশলঃ

o       শিশুকে খাওয়ানোর সময় মাকে শান্ত থাকতে হবে।

o       শিশুকে আরামের সাথে বসাতে হবে।

o       শিশু যেন অতিরিক্ত ক্ষুর্ধাত না হয়।

o       খাবার সময় পরিবারের সকলের সাথে শিশুকে রাখা উচিত যাতে সে দেখে শিখতে পারে।

o       ধৈর্যধারন করতে হবে। শিশু প্রথমে খুবই অল্প খাবে। আস্তে আস্তে পরিমান বাড়াতে হবে।

o       শিশু খাবার ফেলে একাকার করে দিতে পারে । এর জন্য মাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

o       খাবার গলায় যেন আটকে না যায় এজন্য মাকে সাবধান থাকতে হবে।

o       শিশু খেতে না চাইলে কিছুক্ষন পরপর চেষ্টা করতে হবে।

o       নতুন খাবার শুরু করতে চাইলে কয়েকদিন অপেক্ষা করা উচিত।

শিশুর প্রাথমিক খাবারঃ

শিশুর খাবার খুব সহজেই এবং সস্তায় ঘরেই তৈরী করা যায়। এতে লবন মিষ্টি যোগ না করাই ভাল ।খাবার খুব ভাল মত পিষে নরম করতে হবে।

প্রথমে মিশ্রনের চেয়ে যে কোন একটি খাবার দেয়া উচিত। 

o       প্রথমে চাল, ডাল ও লৌহ সংযোগে তৈরী খাবার একটি আদর্শ খাবার ।

বিস্তারিত

-->

15-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস:

 

ভিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবারের সমন্বয় হলে তাকে আমরা আদর্শ  স্বাস্থ্যকর খাবার বলতে পারি, এর মধ্যে ভাত/রুটি, শাকসব্জি, ফলমূল এবং আমিষ জাতীয় খাবারের সমন্বয়  থাকাটা  জরুরী। সময করে নিয়মিত খাদ্যগ্রহণ -যেমন সকালে নাস্তা করাটাও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের অর্ন্তভূক্ত। বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার  খাওয়া, যেমন- (Whole Grain) শস্য, সব্জি, ডাল জাতীয় খাবার এবং ফলমূল, পানি এবং অল্প পরিমাণ লবন খাওয়ার অভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের অন্তর্ভূক্ত।

 

শারিরিক পরিশ্রম :

খাদ্যগ্রহনের পাশাপাশি প্রদিদিন শারিরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম জরুরী । সাস্থ্যকর  খাদ্যভাস ও শারিরিক পরিশ্রম ও ব্যায়অমের mgš^‡q my-¯^v‡¯’¨i অধিকারী হওয়া যায়। এ দুই এর সমন্বয়ে শরীরের ওজন ঠিক রাখা সম্ভব। প্রতিদিন নূনতম ৩০ মিনিট শারিরিক পরিশ্রম যেমন: হাটা/ ব্যয়াম একান্ত জরুরী।

 

খাদ্যের  চর্বির/ তেলের পরিমাণ খুব কম রাখুন :

বড়দের খাদ্য তালিকায় তেল, চর্বির পরিমাণ খুব কমিয়ে রাখা দরকার। বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট -যা কিনা প্রাণীজ তেল-চর্বির উল্লেখযোগ্য অংশ। কারণ এই ধরনের  স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুব সহজেই মানুষের শরীরে চর্বিরুপে জমা হয়। অন্যদিকে আন- স্যাচুরেটেড (অধিকাংশ উদ্ভিদ তেল) ফ্যাট সহজেই জমা হয় না। আর প্রাণীজ তেল/চর্বির এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুব সহজেই কোলেষ্টেরোলে রুপ নেয় এবং রক্তে কোলেষ্টেরোলের  মাত্র বাড়ানো সহ জটিল রোগের স্যষ্টি করে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকায় তাই সামান্য পরিমাণ আন-স্যাচুরেটেড (পলি অথবা মনো) ফ্যাট থাকা প্রয়োজন, কেননা উহা রক্তে কোলেস্টেরোলের পরিমাণ কম রাখতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছে পলি আন স্যাচুরেটেড ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা রক্ত জমাটসহ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তাই  খাদ্যাভ্যাসে গরু, মহিষ, খাসির মাংস কমিয়ে সামুদ্রিক মাছ বাড়ানো উচিত।

 

অধিক ক্যালরীযুক্ত খাদ্য কমিয়ে দিন:

অধিক ক্যারীযুক্ত খাবার (মিষ্টি, ছানা, আইসক্রিম, চকলেট ও চর্বিজাতীয় (কেক) খাওয়া মানে আপনার খাদ্যে চর্বির পরিমাণ বড়িয়ে দেয়। তাই কম ক্যালরীযুক্ত খাবার যেমন- শাক সব্জি ফল ইত্যাদি খাবার পরিমাণ বাগেয়ে দিন । এতে শরীর একদিকে যেমন বিভিন্ন পুষ্টি পরবে, তেমনি আপনার  পেট ভারা খাকবে ও ক্ষুধা কম লাগবে।

ক্যালসিয়াম  আয়রনযুক্ত খাবার গ্রহণ করন :

সবার জন্যই ক্যালিসিয়াম ও আয়রন জাতীয় খাবার গ্রহণ প্রয়োজন তদুপরি-

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধখাবার - শিশু, বাচ্চা এবং মহিলাদের জন্য আয়রন সমৃদ্ধ  খাবার অধিক হারে  গ্রহণ করা উচিত।

 

শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য:

-   ১ বছরের কম বাচ্চাদের বুকের দুধের প্রতি সবচেয়ে বেশী গুরুত্ত দিতে হবে। বিশেষ করে প্রথম ৬ মাস কেবল বুকের দুধই শিশুর খাদ্য।

বাচ্চাদের খাবারে কিছু পরিমাণ চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকা দরকার।

 

চর্বি জাতীয় খাবার :

২ বছরের কম  বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাবারে চর্বি /তেল জাতীয় অংশ বিশেষ করে পলি অন স্যাচুরেপেড ফ্যাট কমানোর কোনই প্রয়োজন নেই বা বড়দের ক্ষেত্রে অবশ্যই কমানো দরকার।

বেশী করে পানি খাবার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার।

 

সকালের নাস্তা যেন বাদ না যায় :

দেরী করে ঘুম থেকে উঠা এবং সকালের নাস্তা খেতে না চাওয়া যেন বর্তমান যুগের বাচ্চাদের একটি নিয়মিত অভ্যাস । কিন্তু আপনার  বাচ্চা যেন প্রতিদিন নাস্তা করে তা অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন। কেননা যে সকল বাচ্চারা সকালের  নাস্তা করে না, তাদের পুষ্টি অন্য বাচ্চাদের চেয়ে কম। স্কুলে  যাবার তাড়াহুড়োতে নাস্তা খাওয়া বাদ পড়তে পারে।

সকালের  নাস্তায় উপকারী ভিটামিনগুলি (রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন জাতীয় ভিটামিন), খনিজ লবন ( ক্যালসিয়াম, আয়রন) এবং আঁশ জাতীয় খাবার( ফল্মূল, সবজি) যেন থাকে, তা লক্ষ্য রাখবেন।

 

সহজে নাস্তার উপকরণ: 

সহজে তৈরী করা যায় এমন স্বাস্থ্যকর নাস্তা হল

-  ব্রেড বা রুটির সাথে মারগারিন এবং তাজা ফলমুল

-   টোস্ট এবং সাথে কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, টমাটো, পনির।

-   কমলার রস, দুধ টোস্ট ।

-   মটরশুটি/সিমের বিচি সিদ্ধ, আপেল।

 

যে বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখতে হবে:

-   ক্যালসিয়াম এবং আয়রন খাবারের অতি প্রয়াজনীয় খাদ্য উপাদান।

-   ২ বছরের কম বয়সীদের জন্য খাদ্যে তেল/চর্বির পরিমাণ কমানো যাবে না।

-   বাচ্চাদেরকে সকালে নাস্তার ব্যাপারে উৎসাহ দিন।

-   বড়দের খাবারে প্রাণীজ চর্বি জাতীয় তেল কমিয়ে উদ্ভিজ তেল বা  সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।

-   হাই ক্যালরীযুক্ত খাবার বর্জন  করুন।

-   খাবারের সাথে সাথে প্রতিদিন নিয়মিত ৩০ মিনিট বায়্যাম করুন।

 

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

হৃদরোগ এবং খাদ্য

 

হৃদরোগ অনেকাংশে খাদ্য ও খাদ্যাভাসের উপর নির্ভর করে। কিছু কিছু  খাদ্য  হার্টডিজিজ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস করোনারী হার্ট ডিজিজ এর জন্য অনেকাংশে দায়ী । অন্যদিকে তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ, শাক-সব্জি, ফলমূল, আদা, রসুন, শস্য, বাদাম  প্রকৃতির খাদ্য হার্টকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশে হৃদরোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। আমাদের দেশেও বহু সংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হৃদরোগে মারা যায়।

বিভিন্ন ধরনের খাবার হার্টের রক্তনালীর রোগের সাথে সরাসরি যুক্ত । তাই খাদ্যাভাসের পরিবর্তন হৃদরোগে মৃত্যুর হাত থেকে বাচার অন্যতম হাতিয়ার। পথ্য পরিবতর্ন ও ওজন নিয়ন্ত্রনের পদ্ধতিকে বলা হয় Non-pharmacologic measures বা অষুধ ব্যবহার না-করে প্রাক্রিতিক উপায়ে সমস্যার নিরসন। ধুমপান ত্যাগ, মানসিক চাপ কমানো, মদ্যপান নিয়ন্ত্রন ও নিয়মিত ব্যায়াম, ইত্যাদি বিষয়গুলো এ-পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত । বিষয়গুলো একসাথে মেনে চললে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

 

হৃদরোগের বৈশিষ্ঠ : 

করোনারী হার্টডিজিজ বলতে মূলত হার্টের রক্তনালী চিকন হওয়ার ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলিকে বোঝায় । হৃৎপিন্ডকে যে  রক্তনালী রক্ত সরবরাহ করে সেই রক্তনালীর ভেতরে চর্বি জমে নালীপথকে সরু করে তোলে, এমনকি বন্ধ করে দেয়। রক্ত জমাট বেধে যখন এ রকম কোন রক্তনালীকে বন্ধ করে দেয়, তখনই হার্ট এটাক হয়বিস্তারিত

-->

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

মাথা ব্যাথা ও খাদ্য

 

বিভিন্ন খাবার  কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা বা মাইগ্রেনের কারণ হয়। রক্তে  গ্লুকোজের তারতম্য, ক্যাফেইন জাতীয় (চা, কফি) খাবার হঠাৎ বন্ধ করা, খাবারের সাথে মেশানো আলগা রং বা কেমিক্যাল ইত্যাদি সবই মাথাব্যাথা হতে  সাহায্য করে। হাইপোগ্লাইসোমিয়া বা রক্তে  গ্লুকোজের ঘাটতির কারণে  তীব্র  মাথা ব্যাথা হতে পারে। খাবারের মোনসোডিয়াম গ্লুটামেট, এমাইন নাইট্রেট ইত্যাদি মাথা ব্যাথা করাতে কাজ করে।

            মাথার রক্তনালীর অতিমাত্রার সংকোচন ও  সমপ্রসারণ এই মাথা ব্যাথার জন্য দায়ী। তাছারা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাতিরিক্ত উঠানামা, মাথা ব্যাথার সাথে সরাসরি যুক্ত। তবে চা ও  কফির মধ্যেকার ক্যাফেইন অল্প মাত্রায় খেলে তা মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

 

রক্তে ইনসুলিনের সাথে মাইগ্রেনের/ মাথাব্যাথার সম্পর্ক :

খাদ্য গ্রহণের ফলে রক্তে সুগার বৃদ্ধি পায় যা কিনা প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন বের হতে উৎসাহিত করে। ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায় যদি গ্লুকোজ বেশি কমে যায় তখন মাথার রক্তনালী সংকুচিত হয় ফলে মাথা ব্যাথা  হয় । বিস্তারিত

-->

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

গর্ভাবস্থায় খাদ্য

 

গর্ভাবস্থায় শরীরে বাড়তি খাবারের যেমন দরকার হয়, তেমনি কিছু বিশেষ খাদ্য উপাদানের (প্রাটিন , আয়রন, ফলিক এসিড, আয়োডিন) বিশেষ চাহিদার সৃষ্টি হয়। তাই গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকায়  শুধু বেশী ক্যালরীযুক্ত খাবার নয় বরং বিশেষ পুষ্টিকর ও খাদ্য উপাদানের দিকে সতর্ক দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। যেমন : গর্ভাবস্থার শুরু থেকে প্রথম তিন মাস পর্যন্ত স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমান ফলিক এসিড গ্রহণ করলে শিশুর জন্মগত ক্রুটি (নিউরাল টিউব ডিফেক্ট স্পাইনোবাইফিডা) হবার ঝুকি অনেক কমে যায়। আবার গর্ভাবস্থায় অনেকের সকালে বমি হয় যা শুকনো খাবার (স্নাকস) খেলে অনেকটা কম হয়। তাই গর্ভাবস্থায় শুধু ক্ষুধা নিবারনই না বরং নিয়মিত ওজন বৃদ্ধির জন্য পরিমাণমত খাদ্য গ্রহণ করা দরকার। পুরো গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার ১০-১৩ কেজি ওজন বৃদ্ধি হওয়াটা স্বাভাবিক |

          নানাবিধ খাবার খেলে আমাদের দেহের ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ চাহিদা পূর্ণ হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কিছু কিছু বিশেষ ভিটামিন বা খনিজ লবনের অধিক চাহিদার সৃষ্টি হয় যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

 

প্রসূতি মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

-  প্রচুর পরিমাণে ফল শাকসব্জি,  ডাল শস্য।

-  পরিমিত পরিমাণ অল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার ।

-  সামান্য পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার, চিনি ও লবন।

-  মাছ, মাংস মুরগী।

-  শুকনো ডাল, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার, সবুজ, হলুদ শাকসব্জি।

 

১। ফলিক এসিড (ফলেট):

ফলেট (খাবারের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় ফলিক এসিড) একটি বি-গ্রুপের ভিটামিন । যা বিভিন্ন  ধরণের খাবারে বিদ্যমান। স্বাভাবিক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সাথে সাথে গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রথম ৩ মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত কিছু পরিমাণ ফলিক এসিড গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর দ্বারা গর্ভস্থ শতকরা ৭০ ভাগ শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (যেমন: স্পাইনা বাইফিডা) প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাভাবিক খাবারে  নূন্যতম   ০.৬ মি:গ্রা: ফলিক এসিড থাকলেও গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ৪ মি:গ্রা: ফলিক এসিড গ্রহণ করা দরকার।

 

যে সব খাকারে ফলিক এসিড থাকে : 

ক) বেশী পরিমাণে থাকে :

শুকনো শিমের বিচি, বাধা কপি, ফুলকপি, কমলা, কমলার রস, লাল গম, শস্য, পাউরুটি ।

খ) পরিমিত পরিমাণে থাকে :

আলু, টমেটো, বাদাম,  স্ট্রবেরি ইত্যাদিতে ।

 

কলিজায়  প্রচুর ফলিক এসিড থাকা সত্ত্বেও গর্ভাবস্থায়  শুরুর তিন মাসে খেতে বলা হয় না। তার কারণ সেখানে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে।

২। আয়রন :

গর্ভাবস্থায় খাবারে আয়নের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কারণ পেটের মধ্যে বাড়ন্ত শিশু তার নিজের বৃদ্ধির জন্য মায়ের শরীর থেকে আয়রন সংগ্রহ করে। যদিও গর্ভাবস্থায় মাসিক বন্ধ থাকার কারণে শরীর থেকে রক্ত ও আয়রনের ঘাটতি কমে যায় -তবুও অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য আয়রনযুক্ত খাবার  অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা জরুরী। এবং সাথে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকা দরকার যা আয়রনের হজমে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন নূন্যতম ২৭ মি:গ্রা: আয়রন গ্রহণ খাবারের সাথে গ্রহণ করতে হবে যা গর্ভাবস্থায় ছাড়া অন্যান্য মহিলার দৈনিক গ্রহণের ৫০% ভাগ ( ৯ মি:গ্রা:) বেশী। তবে শরীরের গর্ভবস্থা পূর্বেও যদি আয়রনের অভাব থাকে তাহলে আরও অধিক পরিমাণে তা গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, কারণ মাত্রাতিরিক্ত আয়রন শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

৩। আয়োডিন  :

আয়োডিন শরীরে থাইরয়েড নামক হরমোন তৈরীর জন্য দায়ী, যা কিনা শিশু ও মায়ের শরীরের বৃদ্ধি ও মানসিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরে আয়োডিনের অভাব থাকলে শিশুর মারাত্মক বৃদ্ধিহীনতা অথবা  ক্রিটিনিজম নামক রোগ হতে পারে।

          সামুদ্রিক খাবার, সামুদ্রিক মাছ, শৈবাল আয়োডিনের একটি  ভাল উৎস। আয়োডিনযুক্ত  লবন ও শরীরে  আয়োডিনের  চাহিদা পূরণে সাহায্যকরে।

 

৪। ভিটামিন : কেবলমাএ কিছু বিশেষ গ্রুপের গর্ভবতীদের ভিটামিন গ্রহণ জরুরী

-  যারা সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী।

-  অল্প বয়সী মা -যারা খাদ্যগ্রহণে ঘাটতি  রয়েছে।

-  যারা নেশাগ্রস্থ (তামাক, সিগারেট, মদ)।

-  স্থুলকায় যারা ওজন কম রাখতে খাদ্য কম গ্রহণ করে।

-  অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৫। ভিটামিন -এ :

গর্ভকালীন সময়ে শরীরে ভিটামিন-এ গ্রহণে বাচ্চার জন্মগত ক্রটি হবার সম্ভাবনা থাকে। যদি শরীরে ভিটামিন-এ  এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন: দুধ, মাছ, মাংস ইত্যঅদি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করাই যথেষ্ঠ ।

 

৬। ক্যালসিয়াম : (অধিক গ্রহণ কি জরুরী?) ২০০৬ সালের  আগ পর্যন্ত গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার  কথা বললেও পরবর্তী গবেষনায় জানা যায় যে, স্বাভাবিক খাবার থেকেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পুরণ করা সম্ভব। যদিও গর্ভকালীন শেষের ২ মাসে বাচ্চার হাড় ও  দাতের গঠনে মায়ের শরীর থেকে অনেক ক্যালসিয়াম খরচ হয়ে যায়,তবে সাথে সাথে মা এর খাবারের ক্যালসিয়াম হজমশক্তি বেড়ে খাবার কারণে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের প্রয়োজন হয় না। ১৯-৫০ বছর বযসী মহিলাদের প্রতিদি;ন ১০০০ মি:গ্রা: এবং ১৯ এর কম  ও ৫১ এর উর্দ্ধ মহিলাদের প্রতিদিন ১৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম গ্রহণই যথেষ্ট (গর্ভাবস্থায় হোক বা না হোক)।

দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য, দুধ,পনির, ছানা , গুড়া মাছ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।

 

দুইজনের জন্য খাদ্য গ্রহণ :

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস অতিরিক্ত খাবার না লাগলেও পরবর্তী ৬ মাসে প্রতিদিন স্বাভাবিক চাহিদার চেয়ে অন্ত ৬০০ কি:জু খাবার বেশী খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন বেশী পরিমাণ ফল (স্বাভাবিক অবস্থায়-২টি) খেলেই সেই অতিরিক্ত ক্যালরী পাওয়া সম্ভব।

 

ডায়েট এর মারাত্মক দিক :

বিস্তারিত

-->

04-02-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন

  

 à¦°à¦•à§à¦¤à§‡à¦° গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়াকে বলে ডায়াবেটিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(১৯৮৫) মতে, খাওয়ার আগে প্লাজমা গ্লুকোজ লিটার প্রতি ৭.৮ মি. মোল (১৪০) এবং খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে প্লাজমা গ্লুকোজ ১১.১ সোল বা ২০০ মি.গ্রাম হলে তাকে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র  বলে। ইনসুলিন নামক হরমোনের কার্য্যকারীতা কমে গেলে  বিপাক জটিলতার জন্য এ রোগ হয়।

 

চিকিৎসা  দ্বারা ডায়াবেটিস পুরোপুরি সারানা যায় না, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে ত্রুটিপূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ, নিয়মিত শারিরিক পরিশ্রম এবং ওজন কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 à¦¯à¦¾à¦¦à§‡à¦° ডায়বেটিস আছে তাদের জন্য আঁশযুক্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন: আবরণযুক্ত শস্য, গম, যব,শাকসব্জি ফলমূল খাওয়া এবং চর্বিজাতীয় খাদ্য কম খাওয়ার একান্ত কর্তব্য। খাবারে লবন কম খাওয়া, খাদ্যে অল্প সুগার খাওয়া এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাদ্য পরিহার করা। অন্যদিকে খাবারের পরিমাণ কমানোও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ডায়েটিশিয়ান এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

 

নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় :

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখর জন্য তিনটি ডি র কথা মনে থাকা দরকার।

১। ডায়েট অর্থাৎ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ

২। ডিসিপ্লিন অর্থাৎ নিয়ম মাফিক চলা

৩। ড্রাগস

ডিসিপ্লিনের মধ্যে পড়ে-

(ক) ব্যায়াম

(খ) শিক্ষা বা ডায়াবেটিস সম্পর্কে জ্ঞান।

শতকরা ৩০জন ডায়াবেটিস রোগীর শুধু ওষুধ ছাড়া অর্থাৎ  শুধু ব্যায়াম ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দ্বারা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ থাকে। পরিমিত আহার ও নিয়মিত ব্যায়ামে যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয় না তাদের ঔষুধ লাগে।

 

স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস :

ডায়াবেটিস রোগীর  জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার ও খাদ্যাভ্যাস যে উপকার করবে তা হল :

-   শরীর সুস্থ রাখবে।

-   রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখবে।

-   রক্তে চর্বি/লিপিডের  পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখা।

-   রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

-   সঠিক ওজন বজায় রাখা ।

-   ডায়াবেটিক জনিত জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করা।

 

খাদ্য নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য হলো-

১। ওজন আদর্শের কাছাকছি রাখা

২। ২৪ ঘন্টার রক্তের গ্লুকোজ ওঠানামা করতে না দিয়ে স্বাভাবিক রাখা এবং

৩। এথেরোজিনিক খাবার (অর্থাৎ যে খাবার রক্তনালীকে শক্ত করে, ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট এটাক হবার সম্ভাবনা বাড়ায়) পরিহার করা।

 

খাদ্য নিয়ন্ত্রণ :

    উচ্চতা অনুযায়ী সম মানুষের একটা স্বাভাবিক ওজন থাকে, যাকে বলে আদর্শ ওজন। যে কোনো সুস্থ মানুষের জন্য ওজন আর্দশের কাছাকাছি থাকতে হবে। রক্তচাপ,রক্তের গ্লুকোজ, কোলস্টেরল সব কিছু নিয়ন্ত্রনে এবং স্বাভাবিক রাখার জন্যই এটা দরকার।     

ডায়াবেটিক রোগীকে দিনে ৫/৬ বার খেতে বলা হয়বিস্তারিত

-->

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

হাপানি ও খাদ্যাভ্যাস

 

খাবারে এলার্জি কারও কারও ক্ষেত্রে হাপানীর সমস্যাকে হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। খাবারের এলার্জি একেক জনের ক্ষেত্রে একেক প্রকার খাদ্যে হয়ে থাকে। তারপরও যে সব খাবারে বেশি হয় তা হল - দুধ  জাতীয়  খাদ্য, হাস-মুরগীর ডিম, লাল.বাদাম জাতীয় খাবার, গরুর গোস্ত, ইলিশ মাছ, পুই শাক, বেগুন, সালফাইট, মনোসোডয়াম গ্লুটামেট খাবারের কৃত্রিম রং ইত্যাদি।  à¦–াবারের সাথে প্রচন্ড এলার্জি হলে তাকে এনাফাইলেকসিস বলে- যা থেকে মৃত্যুও হতে পারে।

 

মূলত খাবার, খাবারের সাথে দেয়া বাড়তি রং বা কেমিক্যাল হাঁপানির  বৃদ্ধিতে সারসরি তেমন ভুমিকা রাখে না। তবে শতকরা ৫% লোকের ক্ষেত্রে  এরুপ ঘটতে পারে।  যদিও তা সরাসরি হাপানি বৃদ্ধি করে না বরং এলার্জিক রিএকশান বা কেমিক্যাল ইনটলারেন্স (অসহনীয়তা) থেকেই হয়।

যখন কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী অংশ কোন বস্তুর প্রতি বেশি হারে বিক্রিয়া করে নিক্রিয় করার চেষ্টা করে তখন ঐ ব্যক্তির  ঐ বিশেষ বস্তুতে এলার্জি বিস্তারিত

-->

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

আর্থ্রাইটিস এবং খাদ্যাভ্যাস

 

খাবারের মাধ্যমে যদিও আর্থ্রাইটিস রোগ ভাল হয় না, তবু কিছু কিছু  গেটে বাত খাবারের উপর নির্ভর করে। যেমন অস্টিও আর্থ্রাইটিস ও  রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের জন্য মাছের  তেল উপকারী ।  অন্যদিকে গাউট জাতীয় আর্থ্রাইটিসের  à¦œà¦¨à§à¦¯ মদ্যপান দায়ী ।  আবার এইসব রোগের লক্ষণ ও ব্যাথায় গ্লুকোজএমাইন ও কনড্রইটিন নামক  খাদ্য পরিপূরক (ঔষধ বা  খাদ্যরুপে) ভাল কাজ করে । অর্থাৎ এমন কোন  যাদুকরী খাবার নেই যা আর্থ্রাইটিস সম্পুর্ন ভাল করবে, তবে কিছু কিছু খাবার বেশি খাওয়া বা বাদ দেয়ার মাধ্যমে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়।

 

 

শরিরের এক বা একাধিক হাড় জোড়ার ব্যাথা, প্রদাহ বা নড়াচড়ার সমস্যা সম্পর্কিত প্রায় শতাধিক রোগ বা কারণের সামষ্টিক নাম হল আর্থাইটিস। স্বাস্থ্যকর পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সব ধরণের আর্থাইটিসের কিছু উপকার পাওয়া যায় ।

 

খাদ্যের ব্যাপারে সাধারণ নির্দেশাবলী:

 à¦†à¦°à§à¦¥à¦¾à¦‡à¦Ÿà¦¿à¦¸à§‡à¦° রোগীর খাদ্যাভ্যাসের জন্য সাধারণ নির্দেশনা হল :

-   আদর্শ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।

-   মারাত্মক ডায়েটিং বা একদম না বিস্তারিত

-->

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

পুরুষদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

 

 

সুস্থ থাকতে কে না চায়। আমরা সবাই চাই যেন অসুস্থ না হই। আর এই সুস্থ থাকার জন্য এবং অসুস্থ হবার পূর্বেই যেন সতর্ক হওয়া যায়। এ কারণে আমদের সবার নিয়মিত ¯^v¯’¨ পরীক্ষা  বা  হেলথ চেক আপ করানো দরকার। ডাক্তাররা বিভিন্ন লক্ষণ বা রিপোর্ট দেখে কিছু জটিল রোগ  প্রারম্ভিক অবস্থায় ধরে আপনাকে সতর্ক করতে এবং জটিল রোগ হবার ঝুঁকি কমাতে  সাহায্য করতে পারেন। যেমন- হৃদরোগ, ডায়বেটিস এমনকি কিছু কিছু ক্যান্সারও প্রারম্ভিক অবস্থায় ধরতে পারলে এবং  সঠিক চিকিৎসা হলে পুরোপুরি আরোগ্যলাভ সম্ভব।

যখন আপনি হেলথ চেকআপের জন্য ডাক্তারের নিকট যাবেন, ডাক্তার আপনার পূর্বের বা বর্তমান অন্যান্য রোগের ইতিহাস, পারিবারিক রোগের ইতিহাস এবং আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকা, অভ্যাস, ব্যায়াম, কাজ এমনকি ধুমপান নিয়েও আলোচনা করতে বা জানতে চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে। আর আপনি সব কিছুর হিসেবে কোন রোগের জন্য হাই রিস্ক/সম্ভাবনাময় বিবেচিত হন। সেক্ষেত্রে পরবর্তিতে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।

 

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিস্তারিত

-->

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

মহিলাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

 

সুস্থ থাকতে কে না চায়। আমরা সবাই চাই যেন অসুস্থ না হই। আর এই সুস্থ থাকার জন্য এবং অসুস্থ হবার পূর্বেই যেন সতর্ক হওয়া যায়। এ কারণে আমদের সবার নিয়মিত ¯^v¯’¨ পরীক্ষা  বা হেলথ চেক আপ করানো দরকার। ডাক্তাররা বিভিন্ন লক্ষণ বা রিপোর্ট দেখে কিছু জটিল রোগ  প্রারম্ভিক অবস্থায় ধরে আপনাকে সতর্ক করতে এবং জটিল রোগ কবার ঝুঁকি কমাতে  সাহায্য করতে পারেন। যেমন- হৃদরোগ, ডায়বেটিস এমনকি কিছু কিছু ক্যান্সারও প্রারম্ভিক অবস্থায় ধরতে পারলে এবং  সঠিক চিকিৎসা হলে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ সম্ভব।

যখন আপনি হলেথচেকআপের জন্য ডাক্তারের নিকট যাবেন, ডাক্তার আপনার পূর্বের বা বর্তমান অন্যান্য রোগের ইতিহাস, পারিবারিক রোগের ইতিহাস এবং আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকা, অভ্যাস, ব্যায়াম, কাজ এমনকি ধুমপান,মদ্যপান, মাসিক ও যৌন অবস্থা নিয়েও আলোচনা করতে বা জানতে চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে। আর আপনি সব কিছুর হিসেবে কোন রোগের জন্য হাইরিস্ক/সম্ভাবনাময় বিবেচিত হন। সেক্ষেত্রে পরবর্তিতে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরীক্ষা :

বিস্তারিত

-->

14-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ফুল ব্লাড কাউন্ট বা সিবিসি  

CBC/FBC

 

ফুল ব্লাড কাউন্ট বা রক্তের সম্পূর্ণ  পরিমাপ পরীক্ষাটি দ্বারা মূলত রক্তের সাধারণ সমস্যা অর্থাৎ রক্তের বিভিন্ন কোষের সংখ্যার তারতম্য পরীক্ষা করা হয়। রক্তে মূলত তিন ধরনের কোষ থাকে যেমন- লোহিত রক্তকনিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা ও অনুচক্রিকা। বিভিন্ন কারণে রক্তে এই কোষগুলির সংখ্যার তারতম্য দেখা দেয়। তাই ফুল ব্লাড কাউন্ট পরীক্ষাটি দ্বারা অনেক ধরনের রোগ নির্ণয়, অসুস্থ্যতা বা ইনফেকশনের মাত্রা বুঝা  যায়। আর যখন কোন রক্তকোষের সংখ্যার তারতম্য / অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তখন চিকিৎসকগণ রোগীর অবস্থার  ভিত্তিতে অন্যান্য পরীক্ষা করতে বলেন।

 

রক্ত পরীক্ষার ধাপসমূহ:

 à¦à¦‡ পরীক্ষার জন্য সাধারণত কোন পূর্ব প্রস্তুতির দরকার হয় না।

1.      সাধারণত রোগীকে চেয়ারে বসিয়ে বা বিছানায় শোয়ানো হয়।

2.     বাহুতে একটি টরনিকোয়েট( ১টি মোটা বান্ড বা ফিতা) বাধা হয়। যার ফলে শিরায় রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

3.     ইঞ্জেকশনের স্থানটি এলকোহল/স্পিরিট দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যাতে ইনফেকশন না হয়।

4.     ডাক্তার/নার্স/প্যাথলজিস্ট শিরার ভেতর সিরিঞ্জ এর সুই ঢুকিয়ে সিরিঞ্জে রক্ত নিয়ে তা সি, বি, সি ভায়ালে নিবেনবিস্তারিত

-->

11-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

ব্লাড প্রেসার/রক্তচাপ

 

রক্ত ধমনীর ভেতের দিয়ে সমস্ত শরীরে প্রবাহিত হবার সময় ধমনীর দেয়ালে যে পার্শ্বচাপ দেয় তাকেই রক্তচাপ/ ব্লাড প্রেসার বলে। সুস্থ শরীরে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক রক্তচাপ  ১২০/৮০ যা মি:মি: পারদ উচ্চতা হিসেবে ধরা হয়। উচ্চ রক্তচাপ  একটি মারাত্মক রোগ, যা নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ প্রকাশিত হয় না। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

            মানুষের শরীরে রক্তচাপ/ব্লাড প্রেসার সব সময় এক রকম থাকে না, শরীরের প্রয়োজন অনুসারে এটি পরিবর্তিত হয়। বয়স, শরীরের অবস্থান  শ্বাস-প্রশ্বাস, কাজকর্ম, ব্যায়াম, ঘুম, মানসিক দুঃশ্চিন্তা ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর রক্তচাপ পরিবর্তিত হয়। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্টএট্যাক, স্ট্রোক, হার্টফেউলর, কিডনির সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।

 

কিভাবে মাপা যায়: 

চিত্র: স্ফিগমোম্যানোমিটার

সাধারণত  স্ফিগমোম্যানোমিটার নামক   সাহায্যে হাতের রক্তনালীর(ধমনীর) রক্তচাপ মাপা হয়। আদর্শ অবস্থায় বসে বা শায়িত  অবস্থায় মাপা উত্তম। রক্তচাপ ২টি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয় যেমন-১২০/৮০ । বিস্তারিত

-->

11-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

রক্তের গ্রুপ

 

রক্তে গ্রুপ মূলত (ABO) এ,বি,ও সিস্টেম ও রেসাস  à¦Ÿà¦¾à¦‡à¦ª (Rhesus) সিস্টেমের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। রক্তের লোহিত কনিকায় এ ও বি এন্টিজেনের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে ৪ ধরনের রুক্তে গ্রুপ বিদ্যমান। যেমন-এ, বি, এবি, এবং ও।  প্রত্যেক  গ্রুপে রেসাস টাইপের ভিত্তিতে  D এন্টিজেনের উপস্থিতি/অনুপস্থিতির  ভিত্তিতে)পজিটিভ বা নেগেটিভ এই ২ ধরনের হতে পারে। ফলে রক্তের গ্রুপ হতে পারে মোট ৮ ধরনের। এই ২ ধরনের সিস্টেম ছাড়াও বিজ্ঞানীরা মোট ৩০০ রকমের ফ্যাক্টর বের করেছেন যা একেক মানুষে একক রকম । তবে তাদের  প্রভাব খুব কম।

 

এবিও সিস্টেম :

এই সিস্টেমে মোট ৪ ধরনের গ্রুপ হতে পারে। একজন ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ এক জোড়া  à¦œà¦¿à¦¨ দ্বারা  à¦¨à¦¿à§Ÿà¦¨à§à¦¤à§à¦°à¦¿à¦¤ যার একটি আসে পিতা অপরটি  মাতার কাছ থেকে।

 

প্রতিটি গ্রুপ একটি বিশেষ ধরনের জটিল রাসয়নিক বস্তুর(এন্টিজেন)  উপস্থিতির জন্য হয়, যা রক্তের লোহিত কনিকার আবরনে অবস্থান করে।

রক্তে শুধু   à¦ এন্টিজেন থাকলে গ্রুপ এ,  

বি এন্টিজেন থাকলে গ্রুপ হয়  à¦¬à¦¿,  

বিস্তারিত

-->

11-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

পানি-জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

 

 

পানি মানব শরীরের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ । শরীরে পানি জমা থাকে না। বিধায় প্রতিদিন পরিস্কার পানি শরীরে দরকার হয় বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়া জন্য । পানির অভাবে  বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধরা  খুব দ্রুত পানি শূন্যতায় ভোগে । পর্যাপ্ত পানি পান না করলে কিড্‌নীতে পাথর হওয়া বা প্রস্রাবে ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও হতে পারে।

মানুষের শরীর ১-২ সপ্তাহ খাবার ছাড়া বাঁচলেও পানি ছাড়া  ১-২ দিনের বেশী বাঁচা সম্ভব না। শরীরের ৫৫-৭০  ভাগই হল পানি। রক্ত, খাদ্যপাচক রস, প্রস্রাব, লাসিকার মূল উপাদান হল পানি । এমন কি মাংস চামড়া, চর্বি ও হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পানি। শরীর থেকে নিয়মিত ঘাম, প্রস্রাব, শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায়  বলে এবং শরীরের পানি জমা করে রাখার কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন আমাদের বিশুদ্ধ পানি পান করতে হয। প্রতিদিন কি পরিমাণ পানি পান করতে হবে তা নির্ভর করে শরীরের বিপাক,

11-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ধুমপান ত্যাগ করার কিছু কৌশল

 

ধুমপান একটি মারাত্মক বদঅভ্যাস এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। শরীরের এমন কোনো অঙ্গ নেই যেখানে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। এসব জেনেশুনেই অনেকে ধুমপান করেন, আর নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করে অকাল মৃত্যুকে ডেকে আনেন। একজন ধুমপায়ী ধুমপান করার সময় নিজের যতটুকু ক্ষতি করেন, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেন যিনি পাশে বসে থাকেন তার। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তার একটি অধিকার-বহির্ভূত কাজ। বছরে ৩০ লাখ লোক ধুমপানের কারণে অকালে মৃত্যুবরণ করে।

 

বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় কয়েক হাজার রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি ক্যান্সার রোগ সৃষ্টির জন্য সরাসরি দায়ী। তাছাড়া, নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড-নামক যে দুটি ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে, সেগুলো মানুষের শরীরে নানা রকম

মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এসব রোগের  মধ্যে রয়েছে:

 

ক্যান্সার:

ফুসফুস, স্বরযন্ত্র¿, গলনালী, জিহ্বা, মুখগহ্বর, ঠোঁট, ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সারের জন্য ধুমপানই প্রধানত দায়ী।

হৃদরোগ:

ধুমপান হার্ট এটাকের একটি অন্যতম কারণ

স্ট্রোক:

স্ট্রোকের অনেক কারণের মধ্যে ধুমপান একটি প্রধান কারণ। ধুমপানের ফলে মস্তিস্কের রক্তনালী ও রক্তপ্রবাহে যে A¯^vfvweK অবস্থার সৃষ্টি হয় তার পরিণতিতে স্ট্রোক হয়ে থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ:

ধুমপানের ফলে শরীরে গৃহীত নিকোটিন হৃৎকম্পন (হার্টবিট) স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং অনেকের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে।

ফুসফুসের অন্যান্য রোগ:

ক্রনিক ব্র্‌ঙ্কাইটিস, এমফাইসিমা, কর-পালমোনালী, ইত্যাদি মারাত্মক রোগ ধুমপানের ফলে হতে পারে।

রক্তনালীর বিশেষ রোগ:

বিড়ি-সিগারেটের নিকোটিনের ফলে রক্তনালীর মাংসের সংকোচন হয় এবং রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ফলে বার্জাস ডিজিজ নামক মারাত্মক রোগ হতে পারে। এ-রোগে অনেক সময় পা বা হাত কেটে ফেলে দিতে হয়।

বুদ্ধি এবং অনুভূতির ওপর ধুমপানের প্রভাব:

ধুমপানের মাধ্যমে শরীরে গৃহীত কার্বন মনোক্সাইড শরীরের বিভিনড়ব অঙ্গে রক্ত চলাচলে এবং অক্সিজেন সরবরাহে যে বিঘড়ব ঘটায় তার ফলে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তিতে অসুবিধাসহ বুদ্ধিমত্তা এবং বিচার বিবেচনায় ও বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভবতী মা ধুমপান করলে অকালে গর্ভপাত, গর্ভস্থিত শিশুর মৃত্যু এবং শিশুর জন্ম-ওজন কম হতে পারে।

 

তাৎক্ষণিক প্রভাব:

নাক ও চোখ জ্বালা-করা এবং পানি-পড়া; মাথা ভারভার-লাগা বা মাথা-ধরা।

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব:

ধুমপায়ীর মতই হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, ইত্যাদি হতে পারে। অধিকন্তু ব্রঙ্কাইটিস এবং এজমার  à¦°à¦¾à¦—ীদের রোগের মাত্রা বেড়ে মারাত্মক পর্যায়ে যেতে পারে।

 

শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। সুতরাং বড় কাউকে ধুমপান করতে দেখলে সে-ও ধুমপানে অভ্যসত্ম হতে পারে এবং এর পরিণতিতে স্কুল ফাঁকি-দেওয়া, মিথ্যাবলা, লেখাপড়ায় অমনোযোগী-হওয়া, এমনকি মাদকাসক্তও হয়ে যেতে পারে। ধুমপায়ীদের কাছে-থাকা শিশুদের কান-পাকা রোগ, শ্বাসনালীর নানাবিধ রোগসহ বুদ্ধিমত্তার বিকাশে ভাটা পড়তে পারে। জলন্ত অবস্থায় পরিত্যক্ত বিড়ি-সিগারেট থেকে মারাত্মক অগ্নিকান্ড ও দুর্ঘটনা ঘটতে দেথা যায়।

 

ধুমপান ছেড়ে দিলে কী কী উপকার পাওয়া যায়:

সুস্থ, প্রাণবন্ত ও দীর্ঘ জীবন মুখের দুর্গন্ধ ও অর্থের অপচয় থেকে মুক্তি সুস্থ মাড়ি ও পরিচ্ছন্ন দাঁত ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ইত্যাদি মারাত্মক রোগের আশংকা অনেক কমে-যাওয়া

বিড়ি-সিগারেট কেনার টাকা বেঁচে যাওয়ায় তা সংসারের প্রে য়াজনীয় কাজে লাগাবার সুযোগ সৃষ্টি

 

ধুমপান ছাড়ার জন্য আপনার ইচ্ছাই যথেষ্ট। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কাজটা অত সহজ নয়। তবে ধুমপান ত্যাগের ব্যাপারে দৃঢ় মনোবল এবং প্রতিজ্ঞা অবশ্যই দরকার। ইচ্ছা করলে আপনি ধূমপান একদিনেই ছেড়ে দিতে পারেন অথবা আসেত্ম-আসেত্মও ছাড়তে পারেন। যেভাবেই ছাড়তে চান, আপনাকে একটা নির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঠিক করে নিতে হবে। আর সেটি যেন ২-৩ সপ্তাহের বেশি না-হয়। ধুমপান ত্যাগের প্রক্রিয়া হিসেবে নিচে কিছু উপায় বাতলে দেওয়া হলো:

১। আপনি যদি প্রত্যহ ১৫টা বিড়ি-সিগারেট খান তবে সিদ্ধানত্ম নিন রোজ একটা কম খাবেন।

২। কখনো একসঙ্গে এক প্যাকেট বিড়ি-সিগারেট কিনবেন না; একটি-একটি করে কিনবেন।

৩। বিড়ি-সিগারেট ধরালে কয়েক টান দিয়ে যথাস্থানে ফেলে দিবেন নতুন বিড়ি-সিগারেট ধরাবার আগে হিসাব করে দেখুন আপনার প্রতিজ্ঞামাফিক আজ আর তা খাবার কথা কি না।

৪। আপনার সঙ্গে আপনার কোনো বন্ধুকেও বিড়িসিগারেট ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করুন আপনি কারো সঙ্গে বিড়ি-সিগারেট ছাড়ার ব্যাপারে বাজি ধরুন।

৫। বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার কথা মনে হলে বিড়িসিগারেট না-ধরিয়ে মুখে একটু ভাজা ধনে কিংবা মহুরী নিয়ে চিবাতে থাকুন

৬। প্রতিদিন একটি-একটি করে বিড়ি-সিগারেট কম খেতে-খেতে আপনার নির্ধারিত ধূমপান ত্যাগের দিন আসলে আর একটিও খাবেন না

৮। ধুমপান ত্যাগের দিন বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেট, ছাইদানী, দিয়াশলাই, jvBUviGme ময়লা- আবর্জনার সঙ্গে ছুঁড়ে ফেলে দিন ৯। এরপর ধুমপানের ইচ্ছা হলেই এর ক্ষতিকর দিকগুলোর কথাগুলো মনে করম্নন এবং  à¦¯à§‡à¦¸à¦¬ জায়গায় ধুমপান হয় না এমন জায়গায় কিছুটা সময় কাটান [যেমন লাইব্রেরি, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, হাসপাতাল বা অন্য কোনো ধুমপানমুক্ত এলাকা]।

১০। ধুমপায়ীদের এড়িয়ে চলুন।

 

এরপরও যদি পূনরায় আপনি ধুমপান শুরম্ন করেন, তবে হতাশ হবেন  à¦¨à¦¾à¥¤ পূনরায় আগের মতই দিন-তারিখ ঠিক করে নতুন সংগ্রামে নামুন। জয় আপনার একদিন হবেই ।

11-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

ব্যাকটেরিয়া জীবানুমুক্ত করার দ্রব্যাদি

 

          প্রতিদিন পত্রিকা টেলিভিশনে হাত, ঘর, কাপড় ইত্যাদি জীবানুমুক্ত করার বিভিন্ন উপাদানের অজস্র বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আর তা দেখে সাধারণ মানুষজন তা ব্যবহারে উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু বাস্তবতা হল এসব দ্রব্যাদি ইনফেকশন প্রতিরোধে যতটা না কার্য্যকর, তার চেয়ে ব্যক্তির ¯^v¯’¨ সচেতনতা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সাধারণ সাবান ও ডিটারজেন্ট এর ব্যবহার অনেক বেশি ফলপ্রসু। উপরন্তু এসব জীবানুনাশক দ্রব্যের অযাচিত ব্যবহারের ফলে মাল্টি এন্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতির উদ্ভব হচ্ছে। যাদের ক্ষেত্রে অনেক এন্টিবায়োটিক কাজ করছে না। তাই নির্দিষ্ট কারণ ও ক্ষেত্র ছাড়া অযথাই অতিরিক্ত সচেতনতার উদ্দেশ্যে এসব জীবানুনাশক বস্তুকে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

 

জীবানুনাশক বস্তু কি কি?

 

সাবান, ডিটারজেন্ট, হ্যান্ডলোশন, ডিসইন ফেকট্যান্ট, গ্লাস ক্লিনার, উইন্ডো ক্লিনার, বিভিন্ন জীবানুনাশক সেপ্র, মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট, বিভিন্ন রাসয়নিক দ্রব্য, এলকোহল প্যাড, ভিজা টিস্যু ইত্যাদি।

এদের মধ্যে অনেক গুলোতে জীবানুনাশকে রাসয়নিক দ্রব্য যেমন- টাইক্লোসান থাকে। হাসপাতালে এসবের ব্যবহার কাম্য হলেও বাসা বাড়িতে সব সময় অনেকগুলিই নিঃপ্রয়োজন।

 

এন্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্ট-সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা:

অনেক ব্যকটেরিয়ার একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য হল যখন কোন প্রতিকুল পরিবেশে পড়ে, তখন বিভিন্নভাবে আত্মরক্ষা করে, এবং সাথে সাথে ঐ প্রতিকুল রাসায়নিক পদার্থের বিরুদ্ধে নিজেদের শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাই পরবর্তিতে যখন আবার রাসয়নিক পদার্থ বা ঔষধ ব্যবহার করা হয়, তখন ঐ ব্যাকটেরিয়া ঐ ঔষধে  রেসিসট্যান্ট হওয়ায় বেঁচে থাকতে পারে, এমনকি রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

অনেক গবেষনায় দেখা গেছে যে, অযাচিতভাবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারের মত এন্টি মাইক্রোবিয়াল ক্লিনিং  প্রোডাক্ট ব্যবহারে রেসিসট্যান্ট জীবানু তৈরী হয়। এর কারণ-

Ø     প্রোডাক্টাগুলোতে সঠিক মাত্রায় জীবানুনাশক নেই অথবা সঠিকভাবে ব্যবহার হয়না। ফলে জীবানুগুলি মারা যায়না। বরং রেসিসট্যান্ট হয়।

Ø     সব ব্যাকটেরিয়া একটি ধরনের জীবানুনাশকে মারা যায় না। বেশিরভাগ মারা গেলেও কিছু প্রজাতি বেঁচে থাকে ও বংশ বিস্তার করে। এরাই পরবর্তিতে রেসিসট্যান্ট হয়।

Ø     উপরন্তু এসব রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ইনফেকশন সাধারণ এন্টিবায়োটিকে নির্মূল হয় না। সমাজে মারাত্মক  রোগের সৃষ্টি করে।

Ø     সঠিক মাত্রায়  গোলানো বা মিশানো না হলেও বা যতক্ষণ রাখার দরকার ততক্ষন না রাখলে জীবানু রেসিসট্যান্ট হতে পারে।

 

সব জীবানুই ক্ষতিকর নয়

          প্রকৃতিতে হাজার লক্ষ প্রজাতির জীবানু আছে। এর মধ্যে অধিকাংশই উপকারী। মাত্র কিছু প্রজাতি ক্ষতিকর। যেমন- আমাদের মুখ, গলা, পেটের ভেতরে অনেক জীবানু আছে যারা হজমে সাহায্য করে। চামড়ায় অনেক জীবানু থাকে যারা একটি আবরন তৈরী করে রাখে যাতে ক্ষতিকর  জীবানু বসতে না পারে। তাই যখন এন্টিমাইক্রোবিয়াল পদার্থ ব্যবহার করা হয়, বিস্তারিত

-->

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

হাটা- একটি উত্তম ব্যায়াম :

 

সুস্থ দেহ  কার না কাঙ্খিত। কে না চায় যৌবনকে ধরে রাখতে? কিন্তু  এই অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় কি? তবে নিরোগ ও সুস্থ থাকার উপায় বের করা হয়েছে অনেক। এ  ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে নিয়ত সুস্থ থাকার । সর্বশেষ আবিষকৃত কয়েকটি টিপস্‌  এখানে দেয়া হলো-

       দেহ সুস্থ থাকার স্বার্থে প্রথমেই ব্যায়াম প্রসঙ্গে। এ জন্য হালকা ব্যায়াম অপরিহায্য। এ যুগে অনেকেই এ বিষয়ে সচেতন হয়েছেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। বিশেষ করে যারা স্থুলকায়  তারাই বেশী করে উপলদ্ধি করছেন। আর যারা স্লিম ফিগারের অধিকারী তারা একবারো উদাসীন । কিন্তু ঈর্ষর্ণীয় ফিগারকে দীর্ঘ্যস্থায়ী করতে হলে এরোবিকস জাতীয় ব্যায়াম ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই ।

 

 

সু- স্বাস্থ্যের জন্যু হাটুন :

কথায় বলে ওয়াকিং ইজ দা বেস্ট এক্সারসাইজ । হঁটার সত্যিই কোন বিকল্প নেই। শুধু অসুখ-বিসুখেই নয়, সুস্থ শরীরের জন্যও নিয়মিত হাঁটা খুবই প্রয়োজন। হটার ফলে পায়ের গঠন ভালো থাকে। পেটের ভেতরকার পেশী ও ফুসফুসেরর রীতিমত উপকার হয়। রক্ত চলাচল ভালা হয়। পেট পরিষ্কার হয়। অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি হিসেবে শরীরে জমে যায় অনেক সময়। এই চর্বিও  ঝরতে থাকে হাঁটার ফলে। হৃৎপিন্ডের রক্তবাহী শিরাগুলোতে মেদ জমে শিরা সরু হয়ে গেলে হুৎপন্ডে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহে বাধা পায় । এতে হার্ট এটাকের  সম্ভাবানা দেখা দেয়। হাঁটাহাটির  ফলে মেদ ঝরলে এই সম্ভাবনাও কমে যায়। মেদ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা ব্রংকিয়াল এজমা প্রভৃতি অসুখের ক্ষেত্রে হাঁটা খুবই জরুরী। গর্ভবর্তী মায়েদের ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক হাঁটাহাটি রীতিমত উপকার সাধন করে। এতে রক্ত চলাচল ভালো হয় ও প্রসব স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। স্ত্রীরোগের বহু উপসর্গ যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পানি কম  খাওয়া, হজম ও হওয়া ইত্যাদির দরুন জড়ায়ু বা wW¤^vk‡q অনেক সময় চাপ পড়ে, ব্যাথা হয়। এই উপসর্গগুলো অনেকাংশে চলে যায় নিয়মিত হাঁটলে। ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগের ক্ষেত্রেও এই রক্ত চলাচলের জন্যই হাঁটাটা জরুরী। তাই সবাই সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার তাগিদের এরোবিকস অভ্যাস শুরু করুন। এরোবিকসের মধ্যে হাঁটাই হলো সবার জন্য সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। প্রায় সবাই হাঁটতে পারেন। সেটা পুরুষই হোক বা ষাটোর্দ্ধ নারী, গর্ভবর্তী নারী, সাধারণত যে কোন বয়সের নারী, ডায়বেটিস অথবা আরথ্রাইটিস অথবা হার্ট এটাক কিংবা বাইপাস সার্জারির পর ভালো হয়েছেন, তারাও হাঁটতে পরেন।

 

       এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ৭০ শতাংশ পুরুও ও ৮০ জন নারী, যারা বয়সভিত্তিক কর্মক্ষমতার নিচে অবস্থান করছেন, তাদের করোনারী হৃদরোগে মৃত্যুহার বেশী। আরেকটি সমীক্ষায় দেখা যায়, মাঝারী মাত্রায় এক মাইল হাঁটলে ৫০ শতায়শ পুরুষ মহিলা বয়সভিত্তিক কর্মক্ষমতা কাঙ্খিত পর্যায়ে ফিরে আসে এবং হৃদরোগে মৃত্যুর হার হ্রাস পায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সব ব্যক্তি দৈনিক দেড় মাইল হাঁটেন তাদের হার্ট এটাকের সম্ভাবনা, যারা দৈনিক ১/৪ মাইল সময় হাঁটেন তাদের তুলনায় অর্ধেক । অপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫-৬০ বছর বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে যারা দৈনিক ১৫/২০ মিনিট হাঁটেন তাদের উচ্চ রক্তাচাপ কমে ১২ শতাংশ এবং যারা দৈনিক ২১ মিনিট অথবা তার বেশী সময় ধরে হাঁটেন তমবে তাদের উচ্চ রক্তচাপ কমে ৩০ শতাংশ । বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটলে আপনার হৃদরোগেজনিত সমস্যাও অনেকাংশে কমে যায়। তাই প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটুন। হাঁটুন দ্রুতলয়ে যাতে হার্ট কিছুক্ষণের জন্য দ্রুত স্পন্দিত হয় এবয় নিঃশ্বাস কিছু সময়ের জন্য ঘন ঘন বয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে বুক ধড় ফড়  না করে এবং নিঃশাবাস যেন বন্ধ হয়ে না আনে।

 

কখন হাঁটবেন :

     ভোরবলোয়ই হাঁটার উত্তম উপযুক্ত সময়, কারণ  সকাল বেলা পরিবেশ থাকে দূশণমুক্ত। তাই শ্বাসের মাধ্যমে পাই বিশুদ্ধ অক্সিজেন। যাদের সকালে সময় নেসই তারা সন্ধ্যা বেলা হাঁটতে পারেন।

 

কোথায় হাঁটবেন :

    সমতল জায়গায় হাঁটতে পারলে ভালো হয় । উঁচু   নিচু রাস্তা বা মাঠে না হেঁটে সমতল রাস্তায় চলতে চেষ্টা করুন।

 

কিভাবে হাঁটবেন :

     দ্রুতলয়ে হাঁটতে হবে। যাতে হার্ট একটু স্পন্দিত হয় এবং শরীর থেকে ঘাম ঝরে। হাঁটবেন একটু ছন্দে আকারণে থামবেন না একনাগাড়ে হাঁটুন।

    

কতটুকু হাঁটবেন :

     সাধারণত ঘন্টায় তিন কিলোমিটার হাঁটা যায়। আর দ্রুত হাঁটলে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটা যায়। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। যারা প্রথম হাঁটা শুরু করবেন তারা ১৫ মিনিট করে  একদি অন্তর অন্তর একদিন হাঁটবেন। আস্তে আস্তে হাঁটার সময় বাড়িয়ে ৬০ মিনিটে নিয়ে যাবেন। কিছু দূরন হাঁটার পর যদি ক্লান্ত হয়ে যান তাহলে জোর হরে হাঁটার প্রয়োজন নেই।

হাঁটার ভঙ্গি :

     হাঁটার ভঙ্গি সঠিক না হলে খুব তাড়াতাড়ি পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। হাটার আগে সোজা হয়ে দাড়ান। কান, হাত, wbZ¤^, হাটু ও গোড়ালির গাঁট এক লাইনে রাখুন। মাথা সোজা, চিবুক ভিতরের দিকে ফিরিয়ে সামান্য উঁচু করে দাড়ান। তার পর হাঁটা শুরু করুন। সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটা ঠিক নয়।

 

হাঁটার পোশাক:

যেকোনো সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা পোষাক বেছে নিন। সেটা হতে পারে কোন টি-শার্ট, প্যান্ট অথবা ঢিলেঢালা কোনো সালোয়ার কামিজ।

কেমন জুতা পরবেন:

     ফিতা লাগানো কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। কিনে নিন আরামদায়ক হিলবিহীন কাপড়ের জুতা।পায়ের যে আঙ্গুলটি সবচেয়ে লম্বা, সেটা থেকে হাফ ইঞ্চি বড় জুতো  কেনা বাঞ্ছনীয়। ক্ষয়ে যাওয়া জুতা পরে কখনো হাঁটাহাটি উচিত নয়।

     হাঁটার সুফল :

·        নিয়মিত হাঁটায় বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতা হ্রাস পায়।

·        মস্তিস্কের উৎকর্ষ সাধন এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়ে।

·        নিদ্রাহীনতা দূর হয়।

·        ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

·        ক্ষতিকর কলেষ্টোরলের মাত্রা কমে গিয়ে এইচডিলেরর মাত্রা  বাড়ে। 

·        রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়নন্ত্রণে  থাকে।

 

কাজেই প্রতিদিন সবাই হাঁটার অভ্যাস করুন। হাঁটার সময়টুকু প্রতিদিনের রুটিনের তালিকার সাথে জুড়ে দিন। এ কথা সত্যি যে,  সুস্থ দেহ সুস্থ মনের পূর্ব শর্ত। আর মন ভালো থাকলে সব ভলো। তাই আসুন ভালো থাকার প্র্যাকটিস করি। তবে হাঁটার সময় একটা বিষয়ে খেয়ল রাখা দরকার অধিক কায়ক্লেশ বা ওভার স্ট্রেন করে হাঁটা উচিত নয়। বিস্তারিত

-->

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

কিশোরীদের জন্য ব্যায়ম

 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটু মেয়ে শিশু যখন যৌবনে পদার্পন করে তখন তার উচ্ছলতা, চাঞ্চল্য কমিয়ে দেয়। আগের মত ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি করে না। কিন্তু সুস্থ্য সবল দেহের জন্য প্রতিদিন নিয়মিত পরিশ্রম করা দরকার। এক্ষেত্রে মা বাবা সচেতনতার সাথে তাদেরকে কর্মঠ রাখুন।

            শারিরিক শ্রম, ব্যায়াম সম সময়ের সব বয়সের সবার জন্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাড়ন্ত বয়সের মেয়েদের জন্য যারা  সমসাময়িক        ছেলেদের চেয়ে কম পরিশ্রমী। এ সময়ে হঠাৎ দেহের পরিবর্তন, লেখাপড়ার চাপ, সামাজিক সংস্কৃতি নিরাপত্তাজনিত কারণে মেয়েরা অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়ে, আর ব্যায়াম থেকেও দূরে থাকে। কিন্তু এ বয়সের মেয়েদের আরও পরিশ্রমী ও ব্যায়ামে নিয়মিত হওয়া দরকার।

 

নিয়মিত ব্যায়ামের সুফল:

-         শারিরিক শক্তি ,দম বৃদ্ধি করে ও মজবুত করে।

-        ওজন সঠিক রাখে।

-        শরীরকে ফিট রাখে।

-        দু:শ্চিন্তা, বিষন্নতা প্রতিরোধ করে।

-        মানসিক শক্তি, দৃঢ়তা গঠনে সাহায্য করে।

-        বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে আন্তরিকভাবে চলতে পারে।

-   

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

শারিরিক কাজ -এর গুরুত্ব

 

শারিরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের দ্বারা  আপনার শারিরিক  উন্নয়ন যেমন সম্ভব, তেমনি উহা কিছু জটিল রোগ হবার হাত থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে। এমনকি বিষন্নতা ও উদ্বিগ্ন হওয়ার মত মানসিক রোগ। শারিরিক পরিশ্রম  আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আনায় সাহায্য করবে এবং বয়সকালে হাড়ের ক্ষয়রোগ হবার ঝুকি কমাবে।

ব্যায়াম ও শারিরিক পরিশ্রমের সুফল এখন আর অজানা নয়। উহা অনেক কঠিন জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচানোর সাথে সাথে সুস্থ ¯^vfvweK আনন্দময় জীবন যাপনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কেবলমাত্র ৩০ মিনিট সময় খরচ করেই আপনি এত উপকার ভোগ করতে পারেন।

 

নিয়মিত শারিরিক পরিশ্রমের কিছু সুফলঃ

 

আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করেন তার ফলে -

·        আপনার হার্ট এটাকের ঝুকি কমাবে ।

·        আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখবে।

·        রক্তে কোলেষ্টেরলের পরিমাণ কম রাখবে।

·        ডায়াবেটিস (টাইপ-২) ও কয়েক প্রকার ক্যান্সার হবার ঝুকি কমাবে।               

·        রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করবে।

·        দৃঢ় মাংসপেশী, শক্ত হা‌ড় গঠন করবে ।

·        ভবিষ্যতে হাড়ের ক্ষয়রোগ( অস্টিও পরোসিস) এর ঝুকি কমাবে ।

·        হার্টএটাক  পরবর্ত্তি আরোগ্য লাভে সহায়ক ।

·        আপনি অনেক সুস্থ ও স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন, মানসিক প্রশান্তি থাকবে এবং ভালো ঘুম হবে।

 

মনের সুস্থ্যতায় শারিরিক পরিশ্রমঃ

 

         বেশ কিছু  গবেষণায় প্রমানিত যে, ব্যায়াম -মানসিক দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে। কিভাবে করে তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও ভাবা হয় যে, বিশ্রাম আপনার দুশ্চিন্তাগুলিকে দূরে রাখে, এবং আপনাকে কর্মব্যাস্ত রাখার মাধ্যমে প্রনিনিয়ত দুঃখবোধ থেকে ফিরিয়ে রাখে।আর ব্যায়ামের সময় আরও অনেকের সাথে আপনার পরিচয় ঘটে, যা সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। মনকে চাঙ্গা  রাখে, সুন্দর ঘুম হতে সাহায্য করে। আর সাথে সাথে ব্যায়ামের ফলে মস্তিকে কিছু রাসয়নিক বস্তুর মাত্রা যেমন সেরোটোনিন, এন্ডোরফিন এবং স্ট্রেস হরমোন  নিয়ন্ত্রন রাখার মাধ্যমে মানসিক দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা কমায়।

 

প্রতিদিন নূন্যতম ৩০ মিনিট ব্যায়ামঃ

 

সু-স্বাস্থ্যের জন্য এবং কিছু জটিল রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য স্বাস্থ্য-গবেষক, চিকিৎসকগণ প্রতিদিন নূন্যতম ৩০ (ত্রিশ)মিনিট শারিরিক কসরত/ব্যায়াম করতে বলেন। এ ব্যাপারে গাইড লাইনে বলা আছে-

-   যখনই  নড়াচড়া বা কোথাও যাওয়া বা পরিশ্রমের কাজ আসে তাকে একটি সমস্যা মনে না   à¦•à¦°à§‡ বরং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহকারী/উপকারী মনে করুন।

-   à¦¸à¦¬ সময় কর্মচঞ্চ্‌ল, কর্মঠ থাকুন। গাড়ি ব্যবহারে পবিবর্তে হাটা বা সাইকেল চালানো পছন্দ করুন।

-   প্রতিদিন নিয়মিত অন্তত ৩০(ত্রিশ) মিনিট  হাটা (মধ্যম জোরে) বা ব্যায়ামের ব্যবস্থা করুন।

-   যদি সম্ভব হয় (প্রতিদিন  আরও কিছু অতিরিক্ত ভারী পরিশ্রম (অন্তত ১০ মিনিট) করার অভ্যাস  করুন। যা আপনাকে আরও সুগঠিত ও মজবুত  করবে।

-   যদি একত্রে ৩০ মিনিট  সম্ভব না হয় তাহলে অল্প করে ( অন্তত ১০ মিনিট করে) কয়েকবারে করার চেষ্টা করুন।

মনে রাখবেন - কিছু না করার চেয়ে অল্প করা ভাল, আর বেশি করা অল্প করার চেয়ে ভাল।

 

নিজেকে কর্মঠ করার উপায়ঃ

 

দৈনন্দিন কাজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনলেই আপনি আগের চেয়ে বেশি পরিশ্রমী হতে পারেন যেমনঃ

-   রিক্সায় চড়ার পবিবর্তে ১০ মিনিট হেটে  যান।

-   কোথাও গেলে গন্তব্যের কিছুক্ষণ পূর্বেই নেমে বাকি পথ হেটে পার হন।

-   বাচ্চাকে স্কুলে নিতে গাড়ির পরিবর্তে হেটে যান।

 

যে সময় ডাক্তারের পরামর্শ জরুরী t-  

 

·        যদি বয়স ৪০ বা তার অধিক হয়।

·        ব্যায়ামে যদি বুকে ব্যাথা হয়।

·        ব্যায়াম করলে হঠাৎ অজ্ঞান বা  অবশ হয়ে যান।

·        মাঝারি ধরনের পরিশ্রমে বুক ভারী, দম বন্ধ হয়ে আসে ।

·        হার্টের রোগী হন বা হবার ঝুকির মধ্যে থাকেন ।

·        যদি মনে করেন আপনার হার্টের সমস্যা আছে।

·        যারা গর্ভাবস্থায় আছেন।

 

 

যে বিষয়গুলি মনে রাখা অত্যান্ত জুররী :

 

1.      প্রতিদিন অন্তত ৩০(ত্রিশ)মিনিট হাটা/ ব্যায়ামের লক্ষ্য ণির্ধারণ করুন।

2.      প্রতিটি পরিশ্রমের কাজকে একটি সুযোগ মনে করুন।

3.      প্রতিদিন অল্প অল্প কঠোর ব্যায়ামের অভ্যাস করুন যা আপনাকে আরও সুঠাম দেহের অধিকারী করবে।

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

মহিলাদের শারিরিক পরিশ্রম/ব্যায়াম

 

আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলারা তাদের স্বামী,সংসার,ছেলেমেয়ে তদুপরি চাকরী সবমিলে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে, তাদের ব্যায়াম করাটাই একটা বিলাসিতা। তার উপর এর প্রয়োজণীয়তা, উপকারীতা সম্বন্ধেও জ্ঞানের অনেক অভাব। তারপরও একটু সচেতন হলে এত  ব্যস্ততার মাঝেও দৈনন্দিন কাজের  ফাকে ব্যায়াম করা  যা‌য়। আর দৈনন্দিন কাজের ধরন ও প্রক্রিয়ায় সামান্য পরিবর্তন এনেও শারিরিক পরিশ্রমের সুফল ভোগ করা সম্ভব। যদিও সময়ের স্বল্পতা, আর্থিক সমস্যা  এবং আগ্রহের অভাব সবই এক্ষত্রে বাধা -তদুপরি কিছু নিয়ম মানলে ও সচেতন হলে এসব বাধা সত্ত্বেও ব্যায়াম করা সম্ভব ।

পুরুষদের তুলনায় মহিলারা ব্যায়ামে আরও কম আগ্রহী। বিশেষত: উচ্চ ও মধ্যবর্তী শ্রেণী । আর এই ব্যায়ামের অভাবে বা শারিরিক পরিশ্রমের  ঘাটতির কারণে মহিলারা অসংখ্য অসুখ বিসুখ, হৃদরোগসহ ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এবং পরিবর্তিতে অষ্টিও পরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়রোগে ভুগছেন।

 

মহিলারা  যে কারণে ব্যায়াম করেন :

-         শারিরিক সুস্থতা রক্ষা

-         মজা করে

-         আনন্দ পাওয়া

-         ওজন কমানো

-         বিস্তারিত

-->

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

পুরুষদের শারিরিক পরিশ্রম/ব্যায়াম

 

আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বে পুরুষরা বিশেষত ৩০-৫০ বছর বয়সী পুরুষেরা তাদের বাসা, অফিস ও অন্যান্য কাজ নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকেন যে, ব্যায়াম করাটা যেন বিলাসিতা। আর শারিরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের  অভাবে তাদের মেদসহ নানাবিধ শারিরিক সমস্যা ও রোগ হয় এমনকি হৃদরোগ ও ক্যান্সার হবার ঝুকি বেড়ে যায়। ব্যায়ামকে দৈনন্দিন কাজের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করানো যদিও খুব দরকারী কিন্তু অসম্ভব নয়। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যাদের বয়স ৪০ এর অধিক, যাদের হৃদরোগ  আছে বা অন্য শারিরিক দূর্বলতা আছে বা বহুদিন ব্যায়াম করেননি তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্র্শ নিয়ে ব্যায়াম শুরু করা উচিত।

বাধাসমূহ :

সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম

১. সময়ের স্বল্পতা :

যেহেতু সবাই বাসা, অফিস পরিবার নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত, প্রতিদিন ব্যায়ামের সময় বের করা কঠিন।

২. আগ্রহের অভাব :

মানুষ মাত্রই আরামপ্রিয় । তাই খুব প্রয়োজনে বাধ্য না হলে ব্যায়ামের প্রতি কারও আগ্রহ দেখা যায় না।

৩. গুরুত্বের বিস্তারিত

-->

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

শারিরিক পরিশ্রম -আপনার জন্য যেটি

 

ব্যায়ামের ক্ষেত্রে ঐ ধরনের ব্যায়ামটাকেই পছন্দ করুন, যাতে আপনি আনন্দ পান । আগ্রহ করে করতে পারেন।  হাটা, সাতরানো. দৌড়ানো, সাইকেল  চালানো, বাসায়  ব্যায়ামের  যন্ত্র  দিয়ে বা ব্যায়ামের সিডি দেখে

-যেভাবে আপনার পছন্দ হয়  আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। আর একা একা যদি খারাপ লাগে, তাহলে বাইরে গ্রুপের সাথে বা জিমে গিয়েও ব্যায়াম করা যায় । যখনই আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করাকে আপনার দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসাবে নিতে  চান, পরবর্তি ধাপই হবে আপনার পছন্দের ব্যায়ামটি নির্বাচন করা। আপনার সময়, সুযোগ এবং লাইফ স্টাইলের সাথে সমন্বয় করেই নির্ধারণ করুন  আপনার ব্যায়ামের পদ্ধতি ।

আর অবশ্যই নতুন কোন ধরনের ব্যায়াম করার আগে  আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন বিশেষ করে যদি

-         বয়স ৪০ বা তদোর্ধ হয় ।

-         হার্টের অসুখ থাকে -অনেক মোটা।

-         অনেকদিন ব্যায়াম করেননি বা

-         দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে উঠেছেন।

 

আপনার স্বভাব কি ধরনের  :

আপনি কি খুব ফর্মাল নিয়মে নাকি সাদমাটাভাবেবিস্তারিত

-->

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সতর্কতা

 

ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সতর্কতা গ্রহণ একান্ত জরুরী। যা আপনাকে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে আপনাকে সুস্থ রাখবে। ব্যায়ামের সময় আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই জেনে নেবেন- কোন ধরনের যন্ত্র কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, ওয়ার্ম আপ করা, গরম থেকে নিজেকে রক্ষা, পানি পান কার ও শরীরের চাপ সহ্য করা ইত্যাদি সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  ব্যায়ামের সময় এর থেকে আঘাত পেলে উপকারীতার বদলে আরও  সমস্যা বাড়বে । তাই ব্যায়ামের উপকারীতা পেতে হলে ব্যায়াম ঘটিত আঘাত থেকে বেচে থাকতে হবে।

 

আঘাত পাবার ঝুকি কমানোর উপায় :

-         শারিরিক অবস্থা বিচার করে আপনার জন্য যুতসই ব্যায়াম নির্ধারণ করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। স্পোটর্স মেডিসিন ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিষ্ট এর পরামর্শ নিন ।

-         সঠিক জামা, জুতা এবং অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহার করুন ।

-         প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।

-         ব্যায়ামের শুরুতে ওয়ার্ম আপ করে নিন।

 

যত্ন নিন এবং খেয়াল করুন : 

১। অসতর্কতা অথবা  শরীরের সমস্যাকে গুরুত্ব না দেবার কারণে অনেকের সমস্যা হয়। তাই  à¦…বশ্যই  ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নতুন প্রোগ্রাম যুক্ত করবেন ।

২। প্রতি  সপ্তাহে ২ দিন নূন্যতম ২ দিন রেস্ট নিন । শরীরকে বিশ্রাম দিন।

৩। আপনার শরীরের অবস্থা হিসেব করে ব্যায়াম করুন। শারিরিক ফিটনেস বাড়তে কিছু সময় লাগে। খুব  দ্রুত ব্যায়াম করলে বা বেশ কঠিন ব্যায়াম করে দ্রুত ফল পেতে চাইলেই আঘাতের ঝুকি বাড়ে। তাই তাড়াহুড়ো করবেন না বরং নিয়মিত করুন ।

৪। কখনও কোথাও আঘাত পেলে অবশ্যই বিশ্রাম নিন। এতে দ্রুত সেরে উঠবেন, নইলে ব্যায়াম  চালিয়ে  গেলে কোষ মাংসপেশীর ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

 

যে অবস্থার সাথে সাথে ব্যায়াম বন্ধ করতে হবে:

-         অসুবিধা বা ব্যাথ্যা অনুভব করলে।

-         বুকে ব্যাথ্যা হলে, বা ঘাড়ে ব্যাথ্যা হলে অথবা থুতনীতে ব্যাথা যা হাত দিয়ে  নিচে নামছে বা পিঠে দুই হাতের মাঝখানে ব্যাথ্যা হলে

-         প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট হলে।

-         বুক ধরফড় করা খুব দ্রুত হৃদস্পন্দন হলে।

 

ব্যায়ামের শুরুতে ওয়ার্ম আপ করা :

-         ৫ - ১০ মিনিট সময় নিয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানো

-         ব্যায়ামের সময় যে সব মাংসপেশী ব্যস্ত থাকবে সেগুলিকে গরম করা ।

-         একটু দ্রুত হাটা বা জগিং করার মাধ্যমে ওয়ার্ম আপ করা যায় ।

-         মাংসপেশীগুলিকে টান টান করা। অবশ্যই তা ওয়াম আপের পর করতে হবে।

 

ব্যায়ামের শেষে শরীর শীতল করা :

-         ব্যায়ামের শেষের ৫ মিনিট গতি কমিয়ে দিন। হাল্কা ভাবে জগিং করতে থাকুন।

-         শেষে ৫-১০ মিনিট মাংসপেশীকে  একটু টান টান করুন।

-         এটি মাংসপেশীকে নরম হতে সাহায্য করে, কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

 

প্রচুর পানি পান করুন :

আপনি কি জানেনপ্রতি ঘন্টা ব্যায়ামের কারণে আপনার শরীর থেকে  এক থেকে দেড় লিটার পানি বের হয়ে  যায় । পানিশূন্যতার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো অবসাদ, যা কর্মক্ষমতা ধীর করে দেয়। অধিক পানিশূন্যতায় মাংপেশীতে খিচ ধরতে পারে, এমনকি হিট ষ্টোক হতে পারে। এক্ষেত্রে :

-         ব্যায়ামের কয়েক ঘন্টা আগে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।

-         যদি সঠিকভাবে পানি খাওয়া হয় তা হলে ব্যায়ামের কিছুক্ষণ পূর্বেই আপনার প্রচুর পরিমাণে স্বচ্ছ প্রস্রাব হবে। না হলে বুঝতে হবে পানি স্বল্পতা রয়েছে।

-         ব্যায়াম শুরুর ১ ঘন্টা আগে অন্তত: আধা লিটার পানি পান করুন।

-         ব্যায়াম চলাকালীন প্রতি ১৫ মিনিটে অন্তত: ১৫০ মিলিগ্রাম আধা গ্লাস পানি পান করুন।

-         ব্যায়ামের শেষেও পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

 

গরম আবহাওয়ায় ব্যায়াম :

গরম আবাহাওয়ায় ব্যায়াম শরীরের  উপর অধিক চাপ প্রয়োগ হয়। ব্যায়ামের সময় শরীর ঠিকমত ঠান্ডা রাখতে না পারলে এক্ষেত্রে হিট ষ্ট্রোক হবার সম্ভাবনা থাকে। শুধু ঘাম হলেই গা  ঠান্ডা হয় না । গা  ঠিকমত ঠান্ডা না হলে যে সমস্যাগুলি হতে পারে তা হল -  বিরক্তি, অস্বস্তি—, দূর্বলতা , মাথাব্যাথা, বমিভাব, মাংশপেশির খিচুনী।  এজন্য যা যা করা দরকার :

-         ব্যায়ামের পূর্বে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

-         পাতলা, হালকা এবং  ঢিলেঢালা  জামা পড়ে ব্যায়াম, সরাসরি  রোদ থেকে রক্ষার জন্য ফুলহাতা জামা, প্যান্ট সানগ্লাস, হ্যাট ব্যবহার করুন। ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।

-         দিনের  ঠান্ডা সময় যেমন খুব সকালে বা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করুন ।

-         থেমে থেকে ব্যায়াম করুন, ১৫ মিনিট পর পর বিশ্রাম নিন, পানি পান করুন এবং প্রস্রাবের দিকে লক্ষ্য করুন। ¯^”Q পরিষ্কার প্রচুর প্রস্রাব কাম্য।

-         এলকোহল বা  চা, কফি ব্যায়ামের আগে বা  পরে খাবেন না, কেননা এগুলি শরীর থেকে পানি বের করে।

 

ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম :

ঠান্ডা আবহাওয়ায় মাংসপেশীতে আঘাত পাবার সম্ভাবনা থাকে -তা‌ই

-   যথোপযুক্ত গরম কাপড় পরিধান করুন। মোটা ভারী কাপড়ের চেয়ে পাতলা একাধিক কাপড়      à¦ªà§œà¦²à§‡ বেশী গরম লাগবে।

-         বেশিক্ষন সময় নিয়ে ওয়ার্ম আপ করুন।

-         ঠিকমত পানি পান করুন।

 

সঠিক জামা,

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

ব্যায়াম একটি নিত্যদিনের কাজ

 

প্রতিদিনকার নিয়মিত কাজের মধ্য দিয়ে আপনি আপনার ব্যায়ামের কাজটি করে নিতে পারেন। ঘরের সাধারণ কাজ, মাঠ বা দোকানের কাজ বা দোকানে যাওয়া, বাজার করা, সিড়ি বাওয়া, খেলাধূলা, বাচ্চাদের সাথে নিয়ে খেলা, হাটা, ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরী পুড়িয়ে আপনি আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে  পারেন। কর্মঠ জীবন-যাপন করা সু-স্বাস্থ্যের একটি অন্যতম উপাদান । সু-স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের প্রতিদিন যত উপায়ে সম্ভব কর্মব্যস্ত থাকার চেষ্টা করতে  হবে।

 

প্রতিদিনকার স্বাভাবিক কাজকর্মে শারিরিকভাবে কর্মব্যস্ত  থাকার মাধ্যমে আমরা ব্যায়ামের উপকারিতাগুলোর  পেতে পারে। ১০ মিনিট করে করে সারাদিন মোট ৩০ মিনিট হলেই আমরা শারিরিকভাবে অনেকটা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি। যা কিনা জিমনেসিয়ামে টানা ৩০ মিনিট করেও পাওয়া যায় । মানুষের দেহ সুন্দরভাবে বানানো যাতে সে অনেক কাজ করতে পারে কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন  মানুষকে অলস ও অকর্মন্য বানিয়ে  দিয়েছে।

 

গাড়ি/রিকসার ব্যবহার কমান

-  à¦•à¦¾à¦›à§‡à¦‡ বাজার, হেটে যান।

-  à¦¬à¦¾à¦¸à¦¸à§à¦Ÿà¦ª পর্যন্ত হেটে যান, পাবলিক বাস ব্যবহার করুন।

-  গন্তব্যস্থলের কিছু পূর্বেই নেমে  যান, বাকিটা পথ হেটে যান।

- নিজের গাড়ি, মটর-সাইকেল নিজেই ধুয়ে ফেলুন।

         

বিস্তারিত

-->

09-01-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

বাচ্চাদেরকে শারিরিক ভাবে পরিশ্রমী ও কর্মঠ করে গরে তুলুন

           

শুধু বড়দের নয়, শারিরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম বাচ্চাদের জন্যও অতি গুরুত্বপূর্ণ, উপকারী।  ব্যায়াম তাদেরে মোটা হওয়া থেকে রক্ষা করবে, অবসাদ ও বিষন্নতা  থেকে দুরে রাখবে, শরীর সুগঠিত করে তার ঘুম শক্তি. মনোবল বুদ্ধি করবে। বাচ্চরা এমনিতেই খেলাধূলা বা দৌড়াদৌড়ি পছন্দ করে। তাই এটিকে নিরুৎসাহিত না করে বরং এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং সারা জীবন যাতে তারা এটি ধরে রাখে সেদিকে আগ্রহ বা মানসিকতা গড়ে তুলুন।

 

 

উপকারীতা :

-         শরীরের হৃদযন্ত্রের কার্য্যক্রম বৃদ্ধি করে, সুস্থ্য রাখে।

-         ওজন ঠিক রাখে।

-         শরীর, হাড় মাংস সুগঠিত করে।

-         ঘুম ভালো হয়।

-         আত্মশক্তি, আত্মপ্রত্যয়, দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।

-         মনোযোগী হতে সাহায্য করে।

-         শরীরের ভারসাম্য রক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

-         বন্ধু-বান্ধব তৈরী ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়।

 

কতক্ষণ ব্যায়াম প্রয়োজন :

৫-১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের প্রতিদিন নূন্যতম ১ ঘন্টা ব্যায়াম জরুরী । তবে আরও বেশিবিস্তারিত

-->

13-12-2012 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

 

শারিরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের দ্বারা  আপনার শারিরিক  উন্নয়ন যেমন সম্ভব, তেমনি উহা কিছু জটিল রোগ হবার হাত থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে। এমনকি বিষন্নতা ও উদ্বিগ্ন হওয়ার মত মানসিক রোগ। শারিরিক পরিশ্রম  আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আনায় সাহায্য করবে এবং বয়সকালে হাড়ের ক্ষয়রোগ হবার ঝুকি কমাবে।

ব্যায়াম ও শারিরিক পরিশ্রমের সুফল এখন আর অজানা নয়। উহা অনেক কঠিন জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচানোর সাথে সাথে সুস্থ ¯^vfvweK আনন্দময় জীবন যাপনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কেবলমাত্র ৩০ মিনিট সময় খরচ করেই আপনি এত উপকার ভোগ করতে পারেন।

 

নিয়মিত শারিরিক পরিশ্রমের কিছু সুফল ঃ

 

আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করেন ুতার ফলে -

* আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমাবে ।

* আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখবে।

* রক্তে কোলেষ্টেরলের পরিমাণ কম রাখবে।

* ডায়াবেটিস (টাইপ-২) ও কয়েক প্রকার ক্যান্সার        à¦¹à¦¬à¦¾à¦° ঝুকি কমাবে।

* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করবে।

* দৃঢ় মাংসপেশী, শক্ত হা্‌ড় গঠন করবে । 

* ভবিষ্যতে হাড়ের ক্ষয়রোগ( অস্টিও পরোসিস) এর ঝুকি কমাবে ।

* হাট এ্যাটাক  পরবর্ত্তি আরোগ্য লাভে সহায়ক ।

* আপনি অনেক সুস্থ ও ¯^v”Q›` বোধ করবেন, মানসিক প্রশান্তি থাকবে এবং ভালো ঘুম হবে।

 

মনের সুস্থ্যতায় শারিরিক পরিশ্রম ঃ

 

         বেশ কিছু  গবেষণায় প্রমানিত যে, ব্যায়াম -মানসিক দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে। কিভাবে করে তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও ভাবা হয় যে, বিশ্রাম আপনার দুশ্চিন্তাগুলিকে দূরে রাখে, এবং আপনাকে কর্মব্যাস্ত রাখার মাধ্যমে প্রনিনিয়ত দুঃখবোধ থেকে ফিরিয়ে রাখে।আর ব্যায়ামের সময় আরও অনেকের সাথে আপনার পরিচয় ঘটে, যা সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। মনকে চাঙ্গা  রাখে, সুন্দর ঘুম হতে সাহায্য করে। আর সাথে সাথে ব্যায়ামের ফলে মস্তিকে কিছু রাসয়নিক বস্তুর মাত্রা যেমন সেরোটোনিন, এন্ডোরফিন এবং স্ট্রেস হরমোন  নিয়ন্ত্রন রাখার মাধ্যমে মানসিক দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা কমায়।

 

 

প্রতিদিন নূন্যতম ৩০ মিনিট ব্যায়ামঃ

 

my-¯^v‡¯’¨i জন্য এবং কিছু জটিল রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য ¯^v¯’¨-M‡elK, চিকিৎসকগণ প্রতিদিন নূন্যতম ৩০ (ত্রিশ) মিনিট শারিরিক কসরত/ব্যায়াম করতে বলেন। এ ব্যাপারে গাইড লাইনে বলা আছে-

-   যখনই  নড়াচড়া বা কোথাও যাওয়া বা পরিশ্রমের কাজ আসে তাকে একটি সমস্যা মনে না   à¦•à¦°à§‡ বরং ¯^v¯’¨ সুরক্ষায় সহকারী/উপকারী মনে করুন।

 à¦¸à¦¬ সময় কর্মচঞ্চ্‌ল, কর্মঠ থাকুন। গাড়ি ব্যবহারে পবিবর্তে হাটা বা সাইকেল চালানো পছন্দ করুন।

-   প্রতিদিন নিয়মিত অন্তত ৩০(ত্রিশ) মিনিট  হাটা (মধ্যম জোরে) বা ব্যায়ামের ব্যবস্থা করুন।

-   যদি সম্ভব হয় (প্রতিদিন  আরও কিছু অতিরিক্ত ভারী পরিশ্রম (অন্তত ১০ মিনিট) করার অভ্যাস  করুন। যা আপনাকে আরও সুগঠিত ও মজবুত  করবে।

-   যদি একত্রে ৩০ মিনিট  সম্ভব না হয় তাহলে অল্প করে ( অন্তত ১০ মিনিট করে) কয়েকবারে করার চেষ্টা করুন।

মনে রাখবেন - কিছু না করার চেয়ে অল্প করা ভাল আর বেশি করা অল্প করার চেয়ে ভাল।

 

নিজেকে কর্মঠ করার উপায়ঃ

 

দৈনন্দিন কাজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনলেই আপনি আগের চেয়ে বেশি পরিশ্রমী হতে পারেন যেমনঃ

-   রিক্সায় চড়ার পবিবর্তে ১০ মিনিট হেটে  যান।

-   কোথাও গেলে গন্তব্যের কিছুক্ষণ পূর্বেই নেমে বাকি পথ হেটে পার হন।

-   বাচ্চাকে স্কুলে  নিতে গাড়ির পরিবর্তে হেটে যান।

 

যে সময় ডাক্তারের পরামর্শ জরুরী t-  

 

যদি বয়স ৪০ বা তার অধিক হয়। -   ব্যায়ামে যদি বুকে ব্যাথা হয়।

-   ব্যায়াম করলে হঠাৎ অজ্ঞান বা  অবশ হয়ে যান।

-   মাঝারি ধরনের পরিশ্রমে বুক ভারী, দম বন্ধ হয়ে আসে ।

-   হার্টের রোগী হন বা হবার ঝুকির মধ্যে থাকেন ।

-   যদি মনে করেন আপনার হার্টের সমস্যা আছে।

-   যারা গর্ভাবস্থায় আছেন।

 

 

যে বিষয়গুলি মনে রাখা অত্যান্ত জুররী :

 

1.           প্রতিদিন অন্তত ৩০(ত্রিশ)মিনিট হাটা/ ব্যায়ামের লক্ষ্য ণির্ধারণ করুন।

2.            প্রতিটি পরিশ্রমের কাজকে একটি সুযোগ মনে করুন।

3.            প্রতিদিন অল্প অল্প কঠোর ব্যায়ামের অভ্যাস করুন যা আপনাকে আরও সুঠাম দেহের অধিকারী করবে।


 

12-10-2013 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

গর্ভাবস্থায় খাদ্য

 

গর্ভাবস্থায় শরীরে বাড়তি খাবারের যেমন দরকার হয়, তেমনি কিছু বিশেষ খাদ্য উপাদানের (প্রাটিন , আয়রন, ফলিক এসিড, আয়োডিন) বিশেষ চাহিদার সৃষ্টি হয়। তাই গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকায়  শুধু বেশী ক্যালরীযুক্ত খাবার নয় বরং বিশেষ পুষ্টিকর ও খাদ্য উপাদানের দিকে সতর্ক দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। যেমন : গর্ভাবস্থার শুরু থেকে প্রথম তিন মাস পর্যন্ত স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমান ফলিক এসিড গ্রহণ করলে শিশুর জন্মগত ক্রুটি (নিউরাল টিউব ডিফেক্ট স্পাইনোবাইফিডা) হবার ঝুকি অনেক কমে যায়। আবার গর্ভাবস্থায় অনেকের সকালে বমি হয় যা শুকনো খাবার (স্নাকস) খেলে অনেকটা কম হয়। তাই গর্ভাবস্থায় শুধু ক্ষুধা নিবারনই না বরং নিয়মিত ওজন বৃদ্ধির জন্য পরিমাণমত খাদ্য গ্রহণ করা দরকার। পুরো গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার ১০-১৩ কেজি ওজন বৃদ্ধি হওয়াটা স্বাভাবিক |

          নানাবিধ খাবার খেলে আমাদের দেহের ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ চাহিদা পূর্ণ হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কিছু কিছু বিশেষ ভিটামিন বা খনিজ লবনের অধিক চাহিদার সৃষ্টি হয় যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

 

প্রসূতি মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

-  প্রচুর পরিমাণে ফল শাকসব্জি,  ডাল শস্য।

-  পরিমিত পরিমাণ অল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার ।

-  সামান্য পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার, চিনি ও লবন।

-  মাছ, মাংস মুরগী।

-  শুকনো ডাল, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার, সবুজ, হলুদ শাকসব্জি।

 

১। ফলিক এসিড (ফলেট):

ফলেট (খাবারের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় ফলিক এসিড) একটি বি-গ্রুপের ভিটামিন । যা বিভিন্ন  ধরণের খাবারে বিদ্যমান। স্বাভাবিক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সাথে সাথে গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রথম ৩ মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত কিছু পরিমাণ ফলিক এসিড গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর দ্বারা গর্ভস্থ শতকরা ৭০ ভাগ শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (যেমন: স্পাইনা বাইফিডা) প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাভাবিক খাবারে  নূন্যতম   ০.৬ মি:গ্রা: ফলিক এসিড থাকলেও গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ৪ মি:গ্রা: ফলিক এসিড গ্রহণ করা দরকার।

 

যে সব খাকারে ফলিক এসিড থাকে : 

ক) বেশী পরিমাণে থাকে :

শুকনো শিমের বিচি, বাধা কপি, ফুলকপি, কমলা, কমলার রস, লাল গম, শস্য, পাউরুটি ।

খ) পরিমিত পরিমাণে থাকে :

আলু, টমেটো, বাদাম,  স্ট্রবেরি ইত্যাদিতে ।

 

কলিজায়  প্রচুর ফলিক এসিড থাকা সত্ত্বেও গর্ভাবস্থায়  শুরুর তিন মাসে খেতে বলা হয় না। তার কারণ সেখানে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে।

২। আয়রন :

গর্ভাবস্থায় খাবারে আয়নের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কারণ পেটের মধ্যে বাড়ন্ত শিশু তার নিজের বৃদ্ধির জন্য মায়ের শরীর থেকে আয়রন সংগ্রহ করে। যদিও গর্ভাবস্থায় মাসিক বন্ধ থাকার কারণে শরীর থেকে রক্ত ও আয়রনের ঘাটতি কমে যায় -তবুও অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য আয়রনযুক্ত খাবার  অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা জরুরী। এবং সাথে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকা দরকার যা আয়রনের হজমে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন নূন্যতম ২৭ মি:গ্রা: আয়রন গ্রহণ খাবারের সাথে গ্রহণ করতে হবে যা গর্ভাবস্থায় ছাড়া অন্যান্য মহিলার দৈনিক গ্রহণের ৫০% ভাগ ( ৯ মি:গ্রা:) বেশী। তবে শরীরের গর্ভবস্থা পূর্বেও যদি আয়রনের অভাব থাকে তাহলে আরও অধিক পরিমাণে তা গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, কারণ মাত্রাতিরিক্ত আয়রন শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

৩। আয়োডিন  :

আয়োডিন শরীরে থাইরয়েড নামক হরমোন তৈরীর জন্য দায়ী, যা কিনা শিশু ও মায়ের শরীরের বৃদ্ধি ও মানসিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরে আয়োডিনের অভাব থাকলে শিশুর মারাত্মক বৃদ্ধিহীনতা অথবা  ক্রিটিনিজম নামক রোগ হতে পারে।

          সামুদ্রিক খাবার, সামুদ্রিক মাছ, শৈবাল আয়োডিনের একটি  ভাল উৎস। আয়োডিনযুক্ত  লবন ও শরীরে  আয়োডিনের  চাহিদা পূরণে সাহায্যকরে।

 

৪। ভিটামিন : কেবলমাএ কিছু বিশেষ গ্রুপের গর্ভবতীদের ভিটামিন গ্রহণ জরুরী

-  যারা সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী।

-  অল্প বয়সী মা -যারা খাদ্যগ্রহণে ঘাটতি  রয়েছে।

-  যারা নেশাগ্রস্থ (তামাক, সিগারেট, মদ)।

-  স্থুলকায় যারা ওজন কম রাখতে খাদ্য কম গ্রহণ করে।

-  অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৫। ভিটামিন -এ :

গর্ভকালীন সময়ে শরীরে ভিটামিন-এ গ্রহণে বাচ্চার জন্মগত ক্রটি হবার সম্ভাবনা থাকে। যদি শরীরে ভিটামিন-এ  এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন: দুধ, মাছ, মাংস ইত্যঅদি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করাই যথেষ্ঠ ।

 

৬। ক্যালসিয়াম : (অধিক গ্রহণ কি জরুরী?) ২০০৬ সালের  আগ পর্যন্ত গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার  কথা বললেও পরবর্তী গবেষনায় জানা যায় যে, স্বাভাবিক খাবার থেকেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পুরণ করা সম্ভব। যদিও গর্ভকালীন শেষের ২ মাসে বাচ্চার হাড় ও  দাতের গঠনে মায়ের শরীর থেকে অনেক ক্যালসিয়াম খরচ হয়ে যায়,তবে সাথে সাথে মা এর খাবারের ক্যালসিয়াম হজমশক্তি বেড়ে খাবার কারণে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের প্রয়োজন হয় না। ১৯-৫০ বছর বযসী মহিলাদের প্রতিদি;ন ১০০০ মি:গ্রা: এবং ১৯ এর কম  ও ৫১ এর উর্দ্ধ মহিলাদের প্রতিদিন ১৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম গ্রহণই যথেষ্ট (গর্ভাবস্থায় হোক বা না হোক)।

দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য, দুধ,পনির, ছানা , গুড়া মাছ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।

 

দুইজনের জন্য খাদ্য গ্রহণ :

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস অতিরিক্ত খাবার না লাগলেও পরবর্তী ৬ মাসে প্রতিদিন স্বাভাবিক চাহিদার চেয়ে অন্ত ৬০০ কি:জু খাবার বেশী খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন বেশী পরিমাণ ফল (