About us    Contact us Find us on:    Facebook Twitter YouTube

সুস্থ্য যৌনজীবন

13-08-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

দ্রুত বির্যপাত

 

যৌনমিলনের সময় বীর্যপাতের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে পুরুষ সঙ্গীর সময়ের পূর্বেই বীর্যপাত হয়ে যাওয়াকে দ্রুত বীর্যপাত বা প্রি-ম্যাচুর ইযাকুলেশন বলে। এরকম ঘটনা যে কারও বা যে কোন সময়ই হতে পারে, কিন্তু যদি প্রায়শই এরকম হয়, তখনই তা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ধরা যায়।

      প্রি-ম্যাচুর ইযাকুলেশন পুরুষদের খুবই কমন একটি যৌন সমস্যা এবং এর ফলে যৌন জীবন বাধাগ্রস্থ হয়, অশান্তি ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা শুরু থেকেই হয়, আবার কারও ক্ষেত্রে স্বাভাবিক যৌনমিলনের  বহু বছর পরে দেখা দেয়। কারও কারও  ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাত হয় শুধু শারীরিক স্পর্শ, Pz¤^b ইত্যাদির কারণেই, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে লিঙ্গ প্রবেশের সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়।

        মাঝে মাঝে দ্রুত বীর্যপাত স্বাভাবিক। যদি নিয়মিতই দ্রুত বীর্যপাত ঘটে, সে ক্ষেত্রেই এটি একটি সমস্যা কেননা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণেই প্রি-ম্যাচুর ইমাকুলেশন হতে পারে। যেমন- খুব দ্রুত এবং প্রকৃত সময়ের পূর্বেই মিলন হলে বা প্রথম যৌন মিলনেরকালে অথবা দীর্ঘদিন মিলন করলে দ্রুত বীর্যপাত হওয়াটা স্বাভাবিক| তাই মাঝে মাঝে এরকম হওয়ার মানে এই নয় যে, পুরুষ সঙ্গীর যৌন সমস্যা আছে।

 

 

কারণ :

সাধারণত প্রি-ম্যাচুর ইমাকুলেশনের কারণ হিসেবে সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যাকেই প্রধান্য দেয়া হয়। তবে, যাদের শুরু থেকে সব সময়ই এ সমস্যা হয় তাদের ক্ষেত্রে কারণ হেসেবে মস্তিস্কে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ বা মাত্রার তারতম্য দেখা যায় যা বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সাইকোলজিকাল কারণ সমূহই মূলত দায়ী, যেমন-

o       বিষন্নতা, উৎকন্ঠা বিশেষত নিজের ক্ষমতা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা।

o       দ্রুত বীর্যপাত হয় কিনা এই নিয়ে বেশি টেনশন করলে।

o       লিঙ্গে ব্যাথ্যা বা ক্ষতি হয় কিনা এই ভয় থাকলে।

o       ছোটবেলা থেকে যৌন সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা পোষণ করলে।

o       ধর্মীয় অনুশাসন, সংস্কার।

o       প্রচন্ড মানষিক চাপ, স্ট্রেস।

o       ¯^vgx-¯¿xi মধ্যে সম্পর্ক ঠিক না থাকলে।

 

চিকিৎসা :

এ রকম সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। তবে কিছু কিছু পদ্ধতি পালন করলে উপকার পাওয়া যায়।

 

ক) দি মাস্টার এন্ড জনসন মেথড :

আবিষ্কারকের নামে  যিনি এ সম্পর্কিত গবেষণা করেছেন, তার নির্মিত পদ্ধতিকে এই নাম দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিটি হল নিজের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। অর্থাৎ পুরুষ সঙ্গী প্রায়শই যৌন মিলনের ঠিক চরম মুহুর্তে নিজেকে বের করে নিয়ে, বিশ্রাম নিবে। বার বার মিলনের অবস্থায় যাবে ও বিরত দিবে। এতে করে তিনি সেই অবস্থাকে চিহ্নিত করতে পারবেন যাকে বলে পয়েন্ট অব নো রিটার্ন। এই ধরনের ব্যায়াম বা প্রাকটিস একা একাই বা যৌন সঙ্গীর সহায়তা নিয়েও করতে পারেন।

 

খ) কেসেল এক্সারসাইজ :

 à¦à¦‡ ব্যায়মের দ্বারা পেলভিক ফ্লোর এর  মাংসপেশীকে (অন্ডকোষ ও পিছনের অংশ পায়ুপথ পর্যন্ত) দৃঢ় করা হয়। প্রস্রাব করার ঠিক মাঝপথে চাপ দিয়ে বন্ধ করতে হলে যে মাংসপেশীসমূহকে সংকুচিত করতে হয়, সেগুলির ব্যায়ামই হল কেসেল এক্সারসাইজ। এই পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে হবে প্রস্রাব শেষ করার পর, মূত্রথলি খালি থাকাবস্থায়। নিয়ম হলো ঐ মাংসপেশীসমূহকে জোরে ১ম সেকেন্ড করে সংকুচিত করে ধরে রাখা। এই নিয়মে দশবার করে দিনে ৩ বার।

 

গ) সাইকোথেরাপী :

এ ফলে যৌনভীতি, পদ্ধতি, স্ট্রেস ও দুঃশ্চিন্তা কমে যায়, সফলতা পাওয়া যায়।

 

ঘ) এস. এস. আর. আই ও এন্টিডিপ্রেসেন্ট : ডিপ্রেশনে থাকলে এই জাতীয় ঔষধ ব্যবহারে বীর্যপাত cÖjw¤^Z হয় এবং বিষন্নতাও কমে। তবে সাথে  ব্যায়াম ও সাইকোথেরাপী নিতে হবে।

 

যা যা মনে রাখতে হবে:

 à§§à¥¤ প্রি-ম্যাচুর ইযাকুলেশন পুরুষদের খুবই কমন একটি যৌন সমস্যা এবং এর ফলে যৌন জীবন বাধাগ্রস্থ হয়, অশান্তি ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

২। প্রি-ম্যাচুর ইমাকুলেশনের কারণ হিসেবে সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যাকেই প্রধান্য দেয়া হয়।

৩। কিছু কিছু পদ্ধতি যেমনঃ দি মাস্টার এন্ড জনসন মেথড , কেসেল এক্সারসাইজ পালন করলে ও প্রয়োজনে সাইকোথেরাপী এবং এস. এস. আর. আই ও এন্টিডিপ্রেসেন্ট এর ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

 

13-08-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

নিরাপদ যৌন মিলন

 

যে যৌন মিলনে যৌনবাহিত রোগ দ্বারা আক্রান্ত হবার ঝুঁকি সবচেয়ে কম, সে প্রকারের যৌনমিলনকে নিরাপদ যৌনমিলন বা সেফ সেক্স বলা যায়। সাধারণভাবে বললে নিরাপদ যৌন মিলন হল তাই যেখানে যৌনসঙ্গীর মধ্যে কোন প্রকার রক্ত, সিমেন বা বীর্য বা যোনীপথের রস এর সংস্পর্শ হয় না। সঠিক নিয়মে যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করলে যৌনমিলন অনেকটা নিরাপদ হয়।

অনিরাপদ যৌন মিলন হলে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত রোগ যেমন- গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া বা এইডস হবার ঝুকি থাকে, তেমনি অনাকাংখিত গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তবে কোন যৌন মিলনই কোন পদ্ধতিতেই শতভাগ নিরাপদ করা সম্ভব নয়, তাই তুলনামূলক বা সর্বোচ্চ নিরাপদ মিলনই আমাদের কাম্য।

 

নিরাপদ যৌনমিলনের উপায় : 

কেবলমাত্র ১জন  সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক করা ও উভয়েই সকল প্রকার যৌনবাহিত রোগমুক্ত থাকলেই সেফ সেক্স সম্ভব। কিন্তু যদি একাধিক সঙ্গী থাকে বা কোন ১ জনের কোর যৌন রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিরাপদ মিলনের জন্য

ক. সংক্রামণমুক্ত হওয়া :

যৌন রোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা নেয়া এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যৌনমিলন বন্ধ রাখা।

খ. সঠিক নিয়মে  কনডম ব্যবহার করা :

এতে অধিকাংশ যৌনবাহিত রোগ ও অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ করা সম্ভব।

গ. ভ্যাজাইনাল কনডম, গ্লাভস ইত্যাদি ব্যবহার করা।

 

কনডম ব্যবহার কি ১০০ ভাগ নিরাপদ ?

সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলেও তা ১০০ ভাগ নিরাপত্তা দিতে পারে না, †Kbbv

ক. কনডম আবৃত্ত অংশের বাইরের ইনফেকশন ছড়াতে পারে, যেমন­ জেনিটাল ওয়ার্ট অন্ডকোষে থাকতে পারে যা কনডম দ্বারা আবৃত হয় না।

খ. স্ক্যাবিস, পিউবিক লাইস ঘনিষ্টভাবে অবস্থানের কারণে ছড়ায়। কনডম দ্বারা প্রতিরোধ হয় না।

গ. কনডম সঠিক তাপমাত্রার  সংরক্ষণ না করলে তা ছিড়ে যেতে বা ছিদ্র হতে পারে। অথবা সঠিক মানের ওয়াটার বেস লুব্রিকেন্ট ব্যবহার না করলে ছিড়ে বা তেল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করলে কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।

 

ঝুকিপূর্ণ যৌন মিলন:

o       একাধিক যৌন সঙ্গী থাকা।

o       কনডম ব্যবহার করা ছাড়া যৌন মিলন।

o       যোনীর বাইরে বীর্যপাত করলেও প্রাম্ভিক তরল নিঃসরনের মধ্য দিয়ে জীবাণু বা শুক্রানু চলে যেতে পারে।

o       কনডম পুন: ব্যবহার করলে বা মেয়াউত্তীর্ন কনডম ব্যবহার

o       সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে বা কনডম ছিড়ে যাবার পরও মিলন অব্যাহত থাকলে।

o        à¦•à§‹à¦¨à¦­à¦¾à¦¬à§‡ শরীর রক্ত-রক্ত মিলিত হলে।

o       শরীর নি:সৃত পদাথ ©(রক্ত, বীর্য, যোনীপথের তরল) অন্য সংগীর শরীরে (মুখ, যোনী, পায়ুপথে) প্রবেশ করলে।

 

ঝুঁকিপূর্ণ মিলনের রিস্ক ফ্যাক্টর সমূহ :

o       মাতাল অবস্থায় থাকলে।

o       উত্তেজক বা নেশা জাতীয় ঔষধ সেবন করলে।

o       শুধু ১ বার কিছু হবে না -  à¦à¦®à¦¨ মনে করলে।

o       যৌনী রোগ থাকলে বোঝা যেত -  সেভেবে  নি:শ্চিন্ত থাকলে।

 

প্রচলিত ভুল ধারনা :

o       মিলনের পূর্বে এত চিন্তা করলে আনন্দ নষ্ট হবে।

o       যৌনরোগ থাকলে দেখেই বোঝা যায়।

o       ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মনে হবে কারও নিশ্চয়ই রোগ আছে।

o       কনডম কেনা ঝামেলা বা ব্যবহারে তৃপ্তি নষ্ট হয়।

o       সমকামীতায় যৌনরোগ হয় না ইত্যাদি।

o       বীর্যপাতের পূর্বে লিঙ্গ বের করে ফেললে ভয় নেই।

নিরাপদ যৌনমিলনের বাধা অতিক্রম করার উপায়

 

o       দেখেই যৌন রোগ বোঝা যায় -এ  ধারণা ত্যাগ করা । কেননা, এইচ.আই.ভি বা ক্ল্যামাইডিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখে বোঝার উপায় নেই।

o       কনডম ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া, কাছে রাখা, ঝামেলা মনে না করা

o       যৌন রোগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

o       যৌনরোগ হওয়া মানেই সে নিকৃষ্ট, খারাপ এই ধারণা ত্যাগ। করা, কেননা এটি অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতই।

o       কনডমের সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি শিখে নেয়া।

o       যৌন রোগের পরীক্ষা করা ও থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া।

o       একজন সঙ্গীর সাথেই যৌনমিলন করা, বিশ্বস্ত থাকা।

 

যা যা মনে রাখতে হবে :

১। যে যৌন মিলনে সঙ্গীরদের মধ্যে কোন প্রকার দেহরস, রক্ত বীর্য বা যোনীরসের সংপর্শ ঘটে না, সেটিই নিরাপদ যৌনমিলন।

১। বহু সঙ্গী ত্যাগ করে ১জন সঙ্গীর সাথেই মিলন করলে ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে যৌনরোগ হয় না বললেই চলে।

৩। সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার ও যৌনরোগের দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করলে নিরাপদ মিলন করা যায়।

 

13-08-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

Puberty  à¦¬à§Ÿ:সন্ধিকাল

 

বয়:সন্ধিকাল হল জীবনের এমন একটি সময়, যখন শরীরের যৌন অংগসমূহ এবং প্রজনন ক্ষমতা পূর্ণতা লাভ করে। অর্থাৎ এই সময়ে মানুষ আরেকটি মানব সন্তান জন্ম দেবার ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। তবে এই বয়:সন্ধিকালে যে সব বাহ্যিক পরিবর্তন দেখা দেয়, তারও আগে থেকে শরীরে বিশেষ কিছু হরমোন তৈরী হতে থাকে। ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হরমোনের পরিমাণ বা মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয় এবং এরই প্রভাবে শরীরে বাহ্যিক বেশ কিছু পরিবর্তন শুরু হয়।

    এই বয়সন্ধিকাল সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে ১১ বছর বয়স থেকে, এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ১২ বছর থেকে শুরু হয়। আর বাহ্যিক শারীরিক পরিবর্তন ১১-১৪ বছরের (মেয়েদের ক্ষেত্রে) এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৩-১৬ বছরে প্রকাশিত হয়। আর শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে মানসিক অর্থাৎ ইমোশনাল পরিবর্তনও শুরু হয়।

 

মেয়েদের মধ্যে বংসন্ধিকালের প্রভাব:

বয়সন্ধিকালে একটি মেয়ে তার শরীরে যে সব পরিবর্তন লক্ষ্য করবে তা হল :

ক. লম্বা হওয়া :

এই সময়ে দ্রুত লম্বা হয়।

খ. শরীরের  ভাজ :

কোমর চিকন ও হিপ চওড়া হওয়া

গ. স্তন বড় হওয়া :

এ সময়ে স্তন তৈরী হওয়া ও বড় হতে শুরু হয়।

ঘ. লোম গজানো:

বগলে ও যৌনাঙ্গে লোম গজাতে শুরু করে। আর পা বা হাতের লোম ঘন বর্ণ ধারণ করে।

ঙ. যোনীপথে নিঃসরন:

যোনীপথে সাদা রং এর নিঃসরন হতে পারে, যা একেবারেই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।

চ. মাসিক রক্তস্রাব :

প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে যোনীপথে রক্তস্রাব হবে। মূলত জরায়ুর ভেতরের আবরণটি মাসে ১ বার পরিবর্তিত হয়। পুরোনো মাসের আবরণ পরতে থাকে, ফলে রক্তক্ষরণ হয়। স্বাভাবিক ভাবে ৩-৫ দিন ব্যাপি। অনেক সময় প্রথমবার মাসিক হবার পূর্বে সাদা নিঃসরণ হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দুই মাসিকের মাঝে ১ বার সাদা নিঃসরন হতে পারে। ঠিক কবে বা কতদিন পর পর হবে, তা সঠিকভাবে আগে থেকেই বলা সম্ভব না, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ২৮-৩০ দিন পর পর হয়। অনেকের মাসিক শুরু হবার আগে তলপেটে হালকা ব্যাথা হয়, অনেকের মুখে ব্রন উঠে। তবে প্রথম দিকে, শুরুর ১ বছর মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। এতে দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই।

    এই সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরী। তাই স্যানিটারী প্যাড ব্যবহার করতে পারে। তবে অবশ্যই দিনে ২-৩ বার পরিবর্তন করতে হবে। কারণ নিয়মিত পরিবর্তন না করলে, প্যাড থেকে জীবাণু ঢুকে  à¦Ÿà¦•à§à¦¸à¦¿à¦• শক সিনড্রোম নামক জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

 

ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন:

 

বয়সন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে যে সব পরিবর্তন লক্ষণীয় তা হল:

ক. লম্বা ও মাংসল দেহ :

এ সময় ছেলেরা দ্রুত j¤^v হয়, শক্তিশালী হয়, সেই মাংসল হয়।

খ.  যৌনাঙ্গ:

লিঙ্গ ও অন্ডকোষ আকারে বড় হতে খাকে। তবে একটি অন্ডকোষ  অন্যটি থেকে বড় বা ছোট হতে পারে এবং সাধারণত বাম দিকেরটি ডান দিকের থেকে কিছুটা নিচের দিকে থাকে। অনেকে তার লিঙ্গের আকারের ব্যাপারে দুশ্চিন্তায় ভোগে। বিশেষত ছোট হলে। তবে খুব ছোট না হলে যৌন ক্রিয়া, যৌনশক্তি, সন্তান জন্মদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোন সমস্যা করে না।

গ. লোম: 

এই বয়সে যৌনাঙ্গে, পায়ে বুকে এবং মুখে পশম গজাতে থাকে। শুরুতে চিকন পশম হলেও ধীরে ধীরে তা মোটা শক্ত ও কালো হতে থাকে।

ঘ. কন্ঠস্বরের পরিবর্তন:

গলার স্বরের পরিবর্তন হতে থাকে, কন্ঠ মোটা হয়।  ভাঙ্গা ভাঙ্গা হয়।

ঙ. স্বপ্নদোষঃ   

এই সময় ঘুমের মধ্যে লিঙ্গ থেকে বীর্য বের হয়। সাধরণত ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে বীর্য রেবিয়ে আসে, প্রস্রাব নয়। এটি শারীরিক বৃদ্ধির একটি স্বাভাবিক ঘটনা, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবার কোন কারণ নেই।

চ. ইরেকশন অফ পেনিস :

এই সময় হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই অধবা ভীত সন্ত্রস্ত হলে বা উত্তেজিত হলে লিঙ্গ সোজা হয়ে যেতে পারে। এটি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।

ছ. স্তনের পরিবর্তন: কারও কারও বেলায় স্তন একটু বড় হতে পারে, যা কিনা হরমোনের প্রভাবে হয়। তবে সাধারণত বেশি বড় হয় না এবং এমনিতেই চলে যায়।

 

ইমোশনাল বা মানসিক পরিবর্তন:

এই সময় হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে মানসিক পরিবর্তন হতে থাকে। যেমন:

ক. শারীরিক পরিবর্তননে মানিয়ে নেয়া: হঠাৎ করে শরীর বড়দের মত আচরণ করা অথবা অন্য বন্ধুদের মত শরীর গঠিত না হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারে।  তাছাড়া এই সময় নিজেকে দেখতে কেমন লাগে, অন্যের চোখে ভাল লাগা ইত্যাদি অনুভূতি তৈরী হয়।

খ. ঘন ঘন মুডের পরিবর্তন:

এই বয়সে শরীরে এক সাথে অনেক হরমোন আসার কারণে ঘন ঘন মুডের পরিবর্তন হতে পারে। খুবই আনন্ত উল্লাস, আবার খুব অভিমান অথবা প্রচন্ড রাগ ইত্যাদি হতে পারে। পরিবারের অন্যান্যরা এই মানসিক পরিবর্তনকে ভিন্নভাবে দেখতে পারে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কারন হল- হঠাৎ হরমোনের প্রভাব, যা সময় পার হলে ঠিক হয়ে আসে।

গ. শরীরের শাক্তি উদ্দামের উঠানামা: 

এই সময় কখনও কখনও খুব কর্মঠ, এনার্জেটিক আবার কখনও কখনও খুব দূর্বল বোধ হতে পারে।

ঘ. চিন্তার পরিবর্তন :

এই সময় মানুষ ভিন্নভাবে চিন্তা করতে শেখে। এতদিন বাবা বা এর কথা মত বিশ্বাস, চিন্তা গড়ে উঠলেও এই সময়ে এসে নিজস্ব ধ্যান-ধারণা, চিন্তা মোরালিটি তৈরী হতে পারে। এই সময় অনেক ক্ষেত্রে গভীর চিন্তা মাথায় আসে, যেমন: আমি কে? কোথা থেকে আসলাম কেন? পৃথিবী কিভাবে চলছে, কে চালাচ্ছে আমাকে? পরে কি হবে ইত্যাদি। এটি সব নিজ থেকেই একটি ভিন্ন মানুষের উৎপত্তি হয়, যার চিন্তা, রুচি, চাহিদা ভিন্ন।

 

পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পক ©:

এই সময় নিজেকে স্বাবলম্বি ভাবতে ইচ্ছা করে, নিজে নিজে সব করতে ইচ্ছা করে। আবার বাবা মার এর অবাধ্য হতেও ইচ্ছা করে না বা ছেড়ে যেতে বা তাদের সাহায্য ছাড়া চলার কথাও ভাবা যায় না। অর্থাৎ এ সময়টি হলো শিশুকাল ও পূর্ণ যৌবনের মাঝামাঝি, তাই কখনও নিজেকে বড় মনে হয়, আবার কখণও কখণও শিশুও মনে হয়। তাই এই সময়ে অনেকে বড়দের মত অনেক ঝুঁকিপূর্ণ করতে চায়।

    আমাদের সমাজে অনেকেই এই বয়সের এই মানসিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তরুন তরুনীদের বিপথে নেবার চেষ্টা করে। আর বাবা মা চায় সন্তান যেন খুব ঝুঁকির মধ্যে বিপদে না পড়ে। অন্যদিকে সন্তান নিজেকে বড় এবং আত্মনির্ভরশীল ভাবে। এক্ষেত্রে প্রায়ই বাবা মার সাথে সন্তানের দ্বন্দ শুরু হয়, মনোমালিন্য হয়। তাই এই সময়টি দুই পক্ষকেই ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে।

বিস্তারিত

-->

13-08-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

ট্রাইকোমোনিয়াসিস

 

ট্রাইকোমোনিয়াসিস একটি যৌনবাহিত রোগ। ট্রাইকোমোনিয়াসিস ভ্যাজিনালিস নামক জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের ফলে এই রোগ হয়ে থাকে।

 à¦¸à¦¾à¦§à¦¾à¦°à¦£à¦¤ মহিলারা এ রোগে আক্রান্ত হয, পুরুষদের তেমন কোন রোগ লক্ষণ প্রকাশিত হয় না, তবে তারা জীবাণুর বাহক হিসেবে কাজ করে। এই রোগে মহিলাদের যোনী পথে জ্বালা পোড়া, চুলকানিসহ অতিরিক্ত নিঃসরন ঘটে। তবে গর্ভাবস্থায় এই রোগ হলে অপরিণত অল্প ওজনের শিশু জন্ম লাভ করার আশংকা থাকে।

 

রোগ লক্ষণসমূহ :

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেবল মহিলাদের মাঝেই রোগ লক্ষণ দেখা দেয়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে  তেমন লক্ষণ দেখা  নাও দিতে পারে। সাধারণত যে সব লক্ষণ নিয়ে রোগীরা আসে-

তা হলো:

§        যোনীপথে  হলুদাভাব সবুজ রং এর ফেনা,ও নিঃসরন।

§        বাজে গন্ধযুক্ত নিঃসরন।

§        যোনীপথ ও বহিঃ যৌনাঙ্গে চুলকানী, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি।

পুরুষেরা জীবাণুর বাহকরূপে কাজ করে। তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশিত হয় না। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া ও  মূত্রনালী দিয়ে wbt¯^ib বের হয়।

 

রোগ নির্ণয় : 

মহিলাদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি নিঃসরন নিয়ে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আর পুরুষদের wbt¯^ib থাকলে তা সংগ্রহ করে পরীক্ষা নতুবা প্রস্রাব পরীক্ষা করে জীবাণুর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।

চিকিৎসা :

ট্রাইকোমোনিয়াসিসের জন্য নিম্নোক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

১। মেট্রোনিডাজল -২ গ্রাম ঔষধ ১ বার খাবারের সাথে

২। টিনিডাজল-২ গ্রাম ১ বার খাবারের সাথে।

এই ঔষধের ফলে বমিভাব, পেটে অস্বস্তি এবং জিহ্বায় তিতা স্বাদ অনুভূত হতে পারে। তবে তা দ্রুত কেটে যায়।

 

পুনঃইনফেকশন প্রতিরোধ করা :

পরিপূর্ণ চিকিৎসা করার পর আবারও ইনফেকশন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নিতে হবে। তবে পুনঃইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই দুজনকেই (অর্থাৎ যোন সঙ্গী সহ) চিকিৎসা করতে হবে। তার লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক। তাছাড়া পুরোপুরি রোগ সারা না পর্যন্ত যৌনমিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে এবং পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে।

 

যা যা মনে রাখতে হবে :

1.      ট্রাইকোমোনিয়াসিস হল ট্রাইকোমোনাস নামক পরজীবী ঘটিত একটি যৌনবাহিত রোগ।

2.     এই রোগে হলদে সবুজ রং এর দুর্গন্ধযুক্ত নিঃসরন হয় ও যোনীপথে বহিঃযৌনাঙ্গে চুলকানি হয়।

3.     আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন-সর্ম্পক যুক্ত সবারই এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।

4.     রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত যৌনমিলন বন্ধ রাখতে হবে নতুবা কনডম ব্যবহার করতে হবে।

 

 

26-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

শুক্রাশয়ের বিভিন্ন রোগ

      শুক্রাশয়ের ক্যান্সার ছাড়াও নানা ধরনের রোগ বা আঘাতের ফলে ক্ষত হতে পারে। এছাড়াও শুক্রাশয়ে খুব সহজেই রক্তনালীর প্যাচসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন টেস্টিকুলার টরশন। অনেক ক্ষেত্রে অপারেশন এর প্রয়োজন হয়। কোন হার বা মাংসপেশী দ্বারা সুরক্ষিত নয় বলে এতে সহজেই আঘাত জনিত সমস্যা হয়ে থাকে।

 

শুক্রাশয় বা টেস্টিসঃ

শুক্রাশয় হল পুরুষ জননাংগ যা শুক্রানু ও পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরী করে।প্রত্যেক পুরুষের শরীরে দুই পায়ের সংযোগ স্থলে, পুরুষাংগের নিচে শুক্রাশয়ের থলির ভেতরে এদের অবস্থান। সংখ্যায় দুটি, আকারে অনেকটা গোলাকার। এর আয়তন- ৫´à§©´à§¨ সে.মি. সঠিকভাবে শুক্রানু তৈরীর জন্য শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ২° সে. কম তাপমাত্রা প্রয়োজন বলে তা পেটের বাইরে পাতলা আবরন যুক্ত থলির মধ্যে অবস্থান করে।

শুক্রাশয়ের আঘাত জনিত সমস্যাঃ মাংসপেশী বা হাড় দ্বারা আবৃত থাকে না বিধায় সহজেই আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে। আঘাতের ফলে শুক্রাশয় ছিড়ে যেতে পারে, রক্ত ছিড়ে বা প্যাচ লাগতে পারে। যেমনঃ

বিস্তারিত

-->

26-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

প্রজনন তন্ত্র

 

পুরুষ ও স্ত্রী প্রজনন তন্ত্র মূলত প্রজন্ম অর্থাৎ বংশ বিস্তারের জন্য বিশেষভাবে সুগঠিত। স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের wW¤^vk‡q ওভাম (wW¤^) তৈরী হয় এবং পুরুষ শুক্রাশয়ে শুক্রানু তৈরী হয়। যখন ডিম্ব বা ওভাম শুক্রানু দ্বারা  নিষিক্ত হয়, তখনই নতুন ভ্রুন তৈরী হয়। এ ছাড়াও শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ে (ওভারী) যথাক্রমে পুরুষ ও স্ত্রী হরমোন তৈরী হয়।

 

স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রঃ

স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের মূল অংশগুলি হল-

 

ক. যোনীপথ (ভ্যাজাইনা) :  

এটি একটি ক্যানাল বা গর্তের মত স্থান যা মাংশপেশী দ্বারা গঠিত এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৭.৫ সে.মি. (৩ইঞ্চি)। এটি জড়ায়ুর মুখ গতে নিচের দিকে বহিঃ জনননাঙ্গ বা আলবা পর্যন্ত বিস্তৃত।

 

খ. জরায় (উউটেরাস) :

এটিও মাংশপেশী  নির্মিত একটি অংশ, অনেকটা তিন কোনাকার উল্টানো কোনিক্যাল ফ্লাস্কের মত দেখতে, এর ভেতরের আবরণকে বলে এন্ডোমেট্রিয়া, এর প্রবেশপথ যোনীপথের সাথে যুক্ত, যাকে সার্ভিক্স বলে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ছিদ্রপথকে অস বলে এবং উল্টাদিকে প্রসস্ত অংশকে ফান্ডাস বলা হয়।

 

গ. ফ্যালেপিয়ান টিউবঃ

দুটি টিউব বা নালী জড়ায়ুর দুই পাশ হতে ২ দিকে বিস্তৃত দৈর্ঘ প্রায় ১০ সে.মি.। এর এক মাথা জড়ায়ুর সাথে যুক্ত, অপর মাথা wW¤^vk‡qi কাছাকাছি এসে উন্মুক্ত। এর মূল কাজ হল পরিপক্ক wW¤^†K জড়ায়ুর ভেতরে নিয়ে আসা।

ঘ. ওভারি (ডিম্বাশয়) :

২ পাশে ২টি ছোট, চ্যাপ্টা-গোলাকার গ্রন্থি, সেখানে ডিম্ব তৈরী হয় এবং সাথে সাথে সেক্স হরমোন তৈরী হয়।

 

মাসিক রক্তস্রাবঃ

ডিম্বাশয় থেকে নির্গত সেক্স হরমোন এবং মস্তিকের মধ্যে অবস্থিত পিটুইটারী গ্রন্থি মূলত মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত গড়ে এই মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়। ১ বার মাসিক হয়ে যাবার পর ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের নিঃসরন বেড়ে যায় এবং এই হরমোনের প্রভাবে জড়ায়ু আভ্যন্তরীণ আবরনী কলা (এন্ডোমেট্রিয়াম) সংখ্যায় ও আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। চক্রের মাঝামাঝি পর্যায়ে পরিপক্ক ডিম্বক, ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হয়। যদি সঠিক সময়ের মধ্যে ডিম্ব নিষিক্ত হয়, তবে তা জড়ায়ু এন্ডোসেটিয়ামে গ্রন্থি হয়ে যায় ও ভ্রুনে বড় হতে থাকে। যদি নিষিক্ত হতে না পারে, সে ক্ষেত্রে  প্রোজেস্টরন হরমোনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে এবং এন্ডামেট্রিয়ামের অংশ খসে পড়তে থাকে। এ সময় রক্তপাত হয়, যা মাসিক রক্তস্রাব নামে পরিচিত এবং একইভাবে চক্র চলতে থাকে। কিন্তু ডিম্বানু নিষিক্ত হয়ে গেলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

 

 

ওভাম বা ডিম্বঃ

মেয়ে শিশু গর্ভে থাকা অবস্থাতেই তার ডিম্বাশয় তৈরী হয়ে যায়। বয়ঃসন্ধিকালে পৌছানোর সময় থেকেই প্রতি মাসে কিছু কিছু ডিম্বানু বড় হতে এবং পরিপক্ক হতে থাকে। প্রতিটি ডিম্ব ২৩টি ক্রোমোজম থাকে। এই ডিম্ব নিঃসরণ চলতে থাকে  মেনোপজ পর্যন্ত। তার পরে ডিম্বাশয় থেকে আর কোর হরমোন নিঃসৃত হয় না, আর কোন ডিম্ব  à¦ªà¦°à¦¿à¦ªà¦•à§à¦• হয় না ও নিঃসৃত হয় না।

 

পুরুষ প্রজনন তন্ত্রঃ

নিম্নোক্ত অঙ্গ নিয়ে পুরুষ প্রজনন তন্ত্র গঠিত-

ক. পেনিস/লিঙ্গঃ

পেনিস বা লিঙ্গ বিশেষ ধরনের ইরেকটাইল টিস্যু দিয়ে গঠিত যা সোজা হতে পারে। বিশেষ ভাবে তৈরী এই টিস্যু, যার মধ্যে প্রচুর রক্ত চলাচল ও জমা থাকতে পারে এবং তাকে দৃঢ় করতে পারে। এর মধ্যখান দিয়ে মুত্রনালী প্রবাহিত। একই পথে মুত্র নির্গত হয় এবং প্রজননের সময় র্স্পাম বা বীর্য নির্গত হয়।

 

খ. টেস্টিস/শুক্রাশয়ঃ

২টি ছোট, গোলাকার গ্রন্থি যা অন্ডকোষ নামক চামড়ার থলিতে অবস্থিত এখানে বীর্য ও সেক্স হরমোন তৈরী হয়। মহিলাদের ডিম্বাশয় পেটের ভেতরে থাকলেও পুরুষ শুক্রাশয় বাইরে, তার কারণ বাইরে তাপমাত্রা কম যা কিনা শুক্রাণু তৈরীতে সাহায্য করে।

 

গ. এপিডিডাইমিসঃ

প্রতিটি শুক্রাশয়ের পেছন দিকে অনেকগুলি ছোট ছোট টিউবের মত নালীযুক্ত যা প্রস্তুতকৃত শক্রাণুকে বের করে জমা করে রাখে।

 

ঘ. ভাসডিফারেন্সঃ এপিডিডাইমিস গুলো একত্রিত হয়ে ২ পাশে ২টি মোটা নালী তৈরী করে যাকে ভাস ডিফারেন্স বলে। এটি শুক্রাণু বহন করে নিয়ে যায়।

 

ঙ. প্রোস্টেট গ্লান্ডঃ

মূত্র থলীর নিচে অবস্থিত ১টি গ্রন্থি, যার মধ্য দিয়ে মূত্রনালী বের হয়। সেমিনাল ভেসিকলের সাথে এটিও এক ধরনের তরল নিঃসরন করে যা বীর্যকে পাতলা ও পুষ্টি জোগায়।

শুক্রাণুঃ

স্পার্ম বা বীর্য হল পুরুষ প্রজনন কোষ। এর মধ্যে ২৩টি ক্রোমোজম থাকে। এটির কাজ হল ডিম্বকে নিষিক্ত করা। এটি পিতার বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। ১টি বীর্য দেখতে অনেকটা ছোট ব্যাঙাচীর মত। যা দৈর্ঘ প্রায় ৬০ মাইক্রন (১ মাইক্রন হল ১ মি.মি এর ১০০০ ভাগের ১ ভাগ) এর ১টি গোলাকার মাথা ও ১টি j¤^v লেজ আছে যার মাধ্যমে এটি দ্রুতগতিতে সাতার কাটতে পারে এবং ডিম্বের দিকে এগিয়ে যায়।

 

প্রজনন তন্ত্রের সাধারণ সমস্যাঃ

মহিলাদের ক্ষেত্রে-

ক. এন্ডামেট্রিসসিসঃ

জড়ায়ুর ভেতরের আবরণী কলার সমস্যা।

খ. ফাইব্রয়েডঃ

জড়ায়ুর মাংসের টিউমার (ক্যান্সার নয়)

গ. পেইনফুল পিরিয়ডঃ

বিভিন্ন কারণে, মাসিকের সময় অতিরিক্ত ব্যাথা হওয়া।

ঘ. ইনফার্টিলিটিঃ

বিভিন্ন কারণে জন্মদানে অক্ষম হওয়া (যেমনঃ ডিম্ব নিঃসরনে সমস্যা)।

ঙ. প্রি-মেনস্ট্রয়াল সিনড্রোমঃ

মাসিকের পূর্বে মানসিক, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

চ. সেক্সচুয়ালী ট্রান্সমেটেড ডিজিজঃ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়।

 

পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ

 à¦•. ইমপোটেন্সঃ 

লিঙ্গ উত্থান ও ধরে রাখতে না পারা।

খ. ইনফার্টিলিটিঃ

বিভিন্ন কারণে (যেমনঃ বীর্যের সংখ্যা পরিমাণ কম) প্রজননে অক্ষম।

গ. প্রোস্টেটের সমস্যা

ঘ. সেক্সচুয়ালী ট্রান্সমিটেড ডিজিজঃ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস দিয়ে হয়।

 

যা মনে রাখতে হবেঃ

1.      ডিম্বাশয়ে ডিম্ব আর শুক্রাশয়ে শুক্রাণু তৈরী হয়।

2.     ডিম্বানুর সাথে শুক্রানু নিশিক্ত হয়ে মানব ভ্রুন তৈরী করে।

3.  &

26-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা

শুক্রাশয়ে শুক্রানু তৈরী হয়। শুক্রানু পরিপক্ক হতে প্রায় ৭০ দিন সময় লাগে। শুক্রাণু তৈরীতে শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ ডিঃসেঃ কম তাপমাত্রা প্রয়োজন। যে কারণে শুক্রাশয় শরীরের ভেতর না অবস্থান করে বাইরের দিকে অন্ডথলীতে অবস্থান করে। শুক্রাণু হল পুরুষ প্রজনন কোষ, যার একমাত্র কাজ হলো ডিম্বানুকে নিষিক্ত করা। শুক্রানু পুরুষের জেনেটিক তথ্য, বৈশিষ্ঠ্য ধারণ করে এবং পরবর্তি প্রজন্মে পৌছে দেয়।

 

         

একটি বালক যখন কৈশরে পদার্পন করে, অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে পৌছায় তখন থেকেই ধীরে ধীরে তার শরীর, অবয়ব, কাঠামো, বৈশিষ্ঠ্য, চিন্তা-পূর্ণবয়স্ক পুরুষের মত হতে থাকে যা কিনা পুরুষ হরমোনের প্রভাবে বিশেষত টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে হয়। এই টেস্টোস্টেরনও মূলত শুক্রাশয়ে তৈরি হয়। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু করে বাকি পুরো জীবনেই এই হরমোন তৈরী হতে থাকে।

পুরুষ প্রজনন তন্ত্রের অংগসমূহঃ

পুরুষ হরমোনঃ

হরমোন হল এক ধরণের রাসয়নিক পদার্থ যা  শরীরের গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন  এবং রক্তের মাধ্যমে অন্যস্থানে পৌছে সেখানে কাজ করে। যে সকল হরমোন পুরুষ বৈশিষ্ঠ্য ধারণে সাহায্য করে তাদেরকে সাধারণভাবে এন্ড্রোজেন হরমোন বলে। অর্থাৎ এসব হরমোনের প্রভাবে পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা তৈরী হয় এবং বাহ্যিক আকৃতি, মোটা গলা, গায়ে পশম, মাংসল শক্ত হয়। এই হরমোন মূলত শুক্রাশয়ে তৈরী হয়। টেস্টোরন শরীরে পরিবর্তিত হয়ে আরও কার্যকর হরমোন ডাই হাইড্রো-টেস্টোস্টেরন তৈরী করে। এ ছাড়াও ডাইহাইড্রোক্রপি এন্ডাস্টেরন (DHEA) এবং এর সালফেট  (DHEAS)  à¦¨à¦¾à¦®à¦• দূর্বল এন্ড্রোজেনিক হরমোন শরীরের অন্যান্য স্থানে যেমন- এড্রেনাল গ্ল্যান্ড, লিভার, কিডনীতে তৈরী হয়।

 

হরমোনের চেইন অব কমান্ডঃ

শরীরের সকল হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিস্কের মধ্যখানে অবস্থিত পিটুইটারী গ্রন্থি। পিটুইটারী গ্রন্থি থেকে নির্গত ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH)  à¦à¦¬à¦‚ লুটিনাইজিং হরমোনের (LH) এর প্রভাবে শুক্রাশয় থেকে শুক্রানু ও টেস্টোস্টেরন তৈরী নিয়ন্ত্রিত হয়।

          তবে পিটুইটারী থেকে হরমোন নিয়ন্ত্রণ মূলত হাইপোথ্যালামাস নামক মস্তিষ্কের বিশেষ অংশ থেকে সিগন্যাল পাবার উপর নির্ভর করে। হাইপোথ্যালামাস থেকে যে বিশেষ হরমোন তা নিয়ন্ত্রণ করে তার নাম হল  গোনাডোট্রপিন রিলিজিং হরমোন।

          তাই এই বিস্তৃত হরমোনের চেইন অব কমান্ডে যদি কোথাও কোন সমস্যা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন এর নিঃসরনে সমস্যা স্থায়ী হয়। যেমন- পিটুইটারী টিউমার, হাইপোথ্যালামাসের টিউমার অথবা শুক্রাশয়ের সমস্যা -যে কোনটির  ফলেই টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক নিঃসরন নষ্ট হতে পারে।

শুক্রানুঃ

সুস্থ, পূর্ণবয়স্ক পুরুয়ের শুক্রাশয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ বিলিয়ন শুক্রানু তৈরী হয়। শুক্রাশয়ের ভেতরে সেমিনিফেরাস ষ্টিবিউলে  শুক্রানু তৈরী হয়। এরা  যথর পরিপক্ক হয, তখন এপিডিডাইমিসে গমন করে। তৈরী হওয়া পূর্নাঙ্গ শুক্রানুর এপিডিডাইমিসে অবস্থান করতে মোট ৭০ দিন সময় লাগে।

প্রতিটি শুক্রানু প্রতি মিনিটে প্রায় ৩ সে.মি. পথ পাড়ি দিতে পারে। এর অতি ক্ষুদ্র আকৃতি ও গঠনের ফলেই এত দ্রুত চলাচল সম্ভব। পুরুষের প্রতিবারের বীর্য স্খলনে প্রায় ১০ কোটি শুক্রানু শাকে, তবে কেবল ১টি মাত্র শুক্রানুই ডিম্বানুকে নিষিক্ত করতে পারে।

 

অন্ডকোষের কাজঃ

 

শুক্রানু তৈরীতে যেহেতু কম তাপমাত্রার প্রয়োজন এবং ১টি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োজন, এই কাজটি করে অন্ডকোষ। এখানে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের ভেতরের চেয়ে ৩ ডিঃসেঃ কম তাপমাত্রা বিরাজ করে যা কিনা শুক্রানু তৈরীতে সহায়ক। তবে কোন কারণে তাপমাত্রা বেড়ে বা কমে গেলে, শুক্রাশয়ের চারপাশে অবস্থিত অসংখ্য রক্তনালী প্রবাহিত যা ঐ স্থানটিকে যথাক্রমে ঠান্ডা বা গরম রেখে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখে।  খুব ঠান্ডা হলে অন্ডকোষের চামড়া কুচকে শুক্রাশয়কে শরীরের নিকটবর্তি করে গরম করে, আর গরম হলে তা ঝুলে পড়ে শরীর থেকে দুরে রাখে।

 

পুরুষ প্রজনন তন্ত্রের সমস্যাঃ

পুরুষ গঠন তন্ত্রে সাধারণ যে সমস্যাসমূহ দেখা দেয় তা হল-

- শুক্রাশয়ের ক্যান্সার

- এন্ড্রাজেন (টেস্টোস্টেরন) এর অভাব

 

যা মনে রাখতে হবেঃ

১. পুরুষ শরীরের গঠনগত বৈশিষ্ট্য যৌন ক্ষমতা, মানসিকতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে এন্ড্রোজেন নামক হরমোন-যার অন্যতম হল টেস্টোস্টেরন।

২. পুরুষ শুক্রাশয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি শুক্রানু তৈরী হয়, সাথে সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসৃত হয়।

৩. শুক্রানু পুরুষ জীন ধারণ করে এবং এর একমাত্র কাজ হল ডিম্বকে নিষিক্ত করা।

 

 

 

26-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

প্রস্টেট গ্ল্যান্ড

 

প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড হল পূরুষ প্রজনন তন্ত্রের একটি অংশ। এটি পূরুষ দেহে মূত্রথলির ঠিক নিচে অবস্থিত। এর মধ্যখানে প্রস্রাবের নালী প্রবাহিত। এটি এ ধরনের ক্ষারীয় তরল নিঃসরন করে যা  শুক্রানুকে খাদ্য জোগায় এবং নালী পথে দ্রুত বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।

 

 

প্রোস্টেট গ্রন্থি মূলত ২ ভাগে বা ২ দফায় বড় হয়। প্রথম বার বয়ঃসন্ধিকালে সেক্স হরমোনের প্রভাবে হয়। এই সময় প্রোটেস্ট গ্রন্থি প্রায় ২০ গ্রাম ওজনের হয়। ২য় দফায় ৪০ -এর পরে আরেক দফা বড় হতে পারে।  à¦ªà§à¦°à§‹à¦¸à§à¦Ÿà§‡à¦Ÿà§‡ মূলত ৩ ধরনের রোগ হতে পারে, যেমন: প্রোস্টেট বড় হওয়া (ক্যান্সার নয়) প্রোস্টেটের প্রদাহ এবং প্রোস্টেটের ক্যান্সার।

 

বয়সের সাথে সাথে প্রোস্টেটের সমস্যা:

সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রস্টেটের সমস্যা শুরু হয়। গড়ে ৫৫ বছর পূরুষদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগের এবং ৭০ বছর বয়সী পূরুষদের শতকরা ৫০ ভাগেরই প্রোস্টেটের সেমস্যা দেখা দেয়। তাই ৫০ বছর হলেই পূরুষেদের প্রস্টেটের চেক আপ করানো দরকার। বিশেষত, প্রস্টেটের সমস্যা আছে, তাদের আরও আগে থেকেই চেকআপ করা জরুরী। কেননা অনেক সময় রোগ শুরু হলেও লক্ষণ প্রকাশিত হয় না।

 

লক্ষনসূহ :

প্রেস্টেট সমস্যার একেবারে শুরুতে প্রায়শই তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশিত হয় না। তাছাড়া প্রেস্টেটের অবস্থার উপরও লক্ষণ নির্ভর করে। সাধারণত যে সব সমস্যা দেখা দেয়, ত হলো:

-         প্রস্রাব করতে সমস্যা, যেমন:  প্রস্রাব শুরু হতে দেরী হওয়া

-         বার বার প্রস্রাবের বেগ হওয়া, বিশেষত রাতে

-         প্রস্রাব করার পরও মনে হয় যে, সে পুরোপুরি খালি হয় নি

-         প্রস্রাব করার সময় যন্ত্রণা হওয়া।

-         প্রস্রাবের সাথে সাথে রক্ত যাওয়া (প্রোস্টেটের সমস্যা ছাড়াও অন্য কারণে রক্ত যেতে পারে)

 

প্রোস্টেটের নানা রোগঃ

১। প্রোস্টাটাইটিস ( প্রোস্টেটের প্রদাহ):

ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ইনফেকশন হলে হয়, যদিও ব্যাকটেরিয়া ছাড়া অজানা কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রদাহ হয়। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত হলে যথাযথ এন্টি বায়োটিকে ভাল হয়, কিন্তু ব্যাকটেরিয়া ঘটিত না হলে চিকিৎসা করা কঠিন।

খ) প্রোস্টেট বড় হওয়া (ক্যান্সার নয়):

সাধারণত একে বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া বলে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। প্রোস্টেট বৃদ্ধি পেয়ে অনেকক্ষেত্রে প্রস্রাবের বাধার সৃষ্টি করে। যদি হঠাৎ করে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় তাকে একিউট ইউনারী রিনটেনশন বলে যা খুবই কষ্টদায়ক এবং অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে প্রস্রাবের রাস্তায় নল ঢুকিয়ে (ইউরিনারী ক্যাথেটারাইজেশন) প্রস্রাব বের করতে হয়।

 

তবে অল্প কিছু ক্ষেত্রে ক্রনিক  রিটেনশন হয়, অর্থাৎ প্রস্রাব থলিতে জমে থাকে কিন্তু রোগী ব্যাথা পায় না। এতে প্রস্রাবের থলীর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং ধীরে ধীরে কিডনী নষ্ট হতে থাকে।

 

৩। প্রেস্টেট ক্যান্সার:

বিশ্বব্যাপী সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষদের প্রতি ৯ জনে ১ জনের প্রোস্টেট ক্যান্সার আছে।

এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা নেই। তবে বয়স বেশি হলে পরিবারে প্রেস্টেট ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এই ক্যান্সারে শুরু দিকে ক্যান্সার কোষগুলি প্রোস্টেট গ্লান্ড এর ক্যাপসুলের ভেতরই অবস্থান করে, কিন্তু

যখন ক্যান্সার আরও গভীর হয়, সে ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে হাড়ের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে।

চিত্রঃ  প্রোস্টেট ক্যান্সার

 

রোগ নির্ণয় :

রোগ নির্ণয়ের জন্য শারীরিক পরীক্ষা,

·        পায়ু পথে আঙ্গুল দিয়ে প্রস্টেট এর পরীক্ষা (ডি,আর,ই),

·        রক্ত পরীক্ষা,

·        প্রোস্টেট থেকে নিঃসরনের পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফী,

·        প্রস্রাবের নিঃসরণের পরীক্ষা (ইউরিনারী ফ্লো) এবং

·        প্রোস্টেট থেকে মাংস নিয়ে (বায়োপসী) পরীক্ষা।

চিত্রঃ ডি,আর,ই

চিকিৎসা:

রোগের ধরনের উপর নির্ভর করে।  

 

১। প্রোস্টেটের প্রদাহ:

এন্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা।

২। বিপিএইচ (প্রোস্টেটের বৃদ্ধি):

প্রথমে ঔষধের মাধ্যমে প্রোস্টেটের মাংস গ্রন্থির বৃদ্ধি রোধ করে ছোট করার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তিতে অপারশেনের মাধ্যমে প্রস্রাবের  নালী মোটা করা হয়, যেটুকু প্রেস্টেটের চাপে চিকন হয়ে গিয়েছিল।

৩। ক্যান্সার: 

প্রেস্টেটের ক্যান্সারের ধরন, অবস্থা বা পর্যায়ের উপর নির্ভর করে কখনও কখনও অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। আবার প্রয়োজনে সার্জারী, রেডিওথেরাপী, হরমোনথেরাপি  à¦†à¦¬à¦¾à¦° কখনও কোমোথরাপী দেয়া হয়।

 

যা মনে রাখার মত:

১। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড হল পূরুষ প্রজনন তন্ত্রের একটি অংশ যা পূরুষ দেহে মূত্রথলির ঠিক নিচে অবস্থিত।

২ । প্রোস্টেটে মূলত ৩ ধরনের রোগ হতে পারে, যেমন: প্রোস্টেট বড় হওয়া (ক্যান্সার নয়) প্রোস্টেটের প্রদাহ এবং প্রোস্টেটের ক্যান্সার।

৩। রোগ নির্ণয়ের জন্য পায়ু পথে আঙ্গুল দিয়ে প্রস্টেট এর পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, প্রোস্টেট থেকে নিঃসরনের পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফী, ইউরিনারী ফ্লো এবং প্রোস্টেট থেকে মাংস নিয়ে বায়োপসী পরীক্ষা করা হয়।

 

 

26-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

ভ্যাজাইনাল থ্রাস

 

মহিলাদের জননাংগে (যোনীপথে) প্রাকৃতিক ভাবেই ক্যানডিডা এলবিকানস নামক ছত্রাক স্বাভাবিক অবস্থায় সামান্য মাত্রায় বিরাজ করে। কিন্তু যদি এই ক্যানডিডা যোনীপথকে আক্রান্ত করে, প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে ইনফেকশন করে, তখন সে অবস্থাকে বলে ভ্যাজিনাল থ্রাস। যার অন্য নাম হল ভ্যাজিনাল ক্যানডিডিয়াসিস, এবং ভ্যাজিনাল মানিলিয়াসিস।

 

এই রোগটি এতই কমন যে, শতকরা ৭৫ ভাগ মহিলা তাদের জীবনে এক বা একাধিক বার এতে আক্রান্ত হয়ে থাকবেন। সাধারণত এটি রোগটি তেমন মারাত্মক হয়না, কেবল কিছু কিছু লক্ষণ ও সমস্যা দেয়া দেয় এবং সঠিক চিকিৎসা হলে সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়।

 

লক্ষনসমূহঃ

যারা ভ্যাজিনাল থ্রাসে আক্রান্ত হয় তাদের সাধারণত নিচের লক্ষণগুলি দেখা দেয়-

-         যোনীপথে  à¦…স্বস্তি , চূলকানি, জ্বালাপোড়া।

-         ঘন, সাদা রং এর নিঃসরন, ইস্ট এর গন্ধযুক্ত।

-         যোনীপথ ও বহিঃজননাংগ লাল হয়ে ফুলে উঠা।

-         প্রস্রাবের সময় ও যৌনমিলনের সময় জ্বালা যন্ত্রণা করে, কাটা কাটা লাগে।

 

রোগ নির্ণয়ঃ

রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসক যোনীপথ ও জননাংগের অবস্থা পর্যক্ষেণ করবেন এবং সেখান থেকে সাদা নিঃসরন নিয়ে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করতে পাঠাবেন।

কেন হয়?

ভ্যাজিনাল থ্রাস কোন যৌনবাহিত রোগ না। মূলত ক্যানডিডা ছত্রাকের অতিমাত্রায় বৃদ্ধি ও বিস্তারের কারণেই এই রোগ।

ছত্রাকের বিস্তার যে যে কারণে তা হলঃ

-         এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার

-         জন্মবিরতিকরণ পিল গ্রহণ।

-         ডায়বেটিস

-         গর্ভাবস্থা

-         মাসিকের সময় পরিবর্তন।

-         কিছু শারিরিক অসুস্থ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।

-         বহিঃজননাংগে, চামড়ায় ছত্রাকের ইনফেকশন ইত্যাদি।

তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ সব কারণ না থাকলেও থ্রাস হয়ে থাকে।

 

চিকিৎসাঃ

ক্যানডিডা এলবিক্যানস এর সংখ্যা ও ইনফেকশন কমিয়ে লক্ষনসমুহ নির্মূল করার জন্য নিম্নোক্ত চিকিৎসা দেয়া হয়।

-         এন্টিফাংগাল ক্রিম বা ভ্যাজাইনাল পেসারী (বিশেষ ধরণের ট্যাবলেট); এগুলি যোনীপথের ভেতরে ব্যবহার করা হয়। ১-৬ দিন মাত্রা অনুযায়ী। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছুদিন পর ২য় দফা চিকিৎসা করতে হতে পারে।

-         মুখে খাবার ঔষধঃ  ফ্লুকোনাজল জাতীয় মুখে খাবার ক্যাপসুল। তবে এটি গর্ভবতি মহিলাদের জন্য প্রয়োজ্য নয়।

তবে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, এমনিতেই অল্পদিন পর সেরে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়ঃ

ভ্যঅজিনাল থ্রাস প্রতিরে ধে যা করবনে-

1.      টয়লেট ব্যবহারের পর পানি ব্যবহারের সময় সামনে থেকে পিছন দিকে ধুবেন। নতুবা পিছন থেকে ধুলে মলদ্বারের ছত্রাক জীবাণু সামনে যোনীপথে ইনফেকশন করবে।

2.     জননাংগ ধোয়ার সময় সাবান ব্যবহার না করে বিকল্প কিছু ব্যবহার করুন। যেমন- সরবোলিন যুক্ত বা ছাড়া)

3.     এন্টিসেপটিক বা পারফিউম জাতীয় কিছু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন (জননাংগে)।

4.     পারফিউমযুক্ত টয়লেট পেপার বা স্যানিটারী প্যাড ব্যবহার করবেন না।

5.     খুব টাইট ফিটেড প্যান্ট অথবা সিনেথেটিক টাইট আন্ডারওয়ার পর পরিহার করুন।

6.     পরিধেয় কাপড়, আন্ডারওয়ার ধোবার জন্য সাধারণ ডিটরজেন্ট ব্যবহার করুন। কেমিকেল যত কম ব্যবহার করা যায়।

 

যৌনমিলনঃ

থ্রাশ যেহেতু যৌনবাহিত রোগ না, তাই এ অবস্থায় যৌনমিলনে বাধা নেই। তবে এ সময় ব্যাথা, জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকারক ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। আর পুরুষ সঙ্গীরও জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই কনডম ব্যবহার করা শ্রেয়। তবে যোনীপথে ব্যবহৃত ঔষধ কনডমকে দূর্বল করতে পারে, ছিদ্র হতে পারে, তাই যৌনমিলনের পরে ঔষধ ব্যবহার করুন।

 

একই লক্ষণের অন্যান্য রোগঃ

যোনীপথে আরও কিছু রোগ হযে থাকে যার লক্ষনসমুহ অনেকটা থ্রাসের মতই। তাই সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা জরুরী। তাই নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যদি-

-         থ্রাসের ব্যাপারে নিশ্চিত না হন।

-         যদি এরকম থ্যাস বার বর হতে থাকে (চিকিৎসার পরেও)।

-         অস্বাভাবিক রক্তপাত বা তলপেটে ব্যাথা থাকে।

-         থ্রাসের চিকিৎসার পরও সমস্যার সমাধান না হয়।

 

রিকারেন্ট থ্রাসঃ

যদি বার বার ভ্যাজিনাল থ্রাস,অথবা থ্রাসের চিকিৎসায় সুস্থ না হন, সে ক্ষেত্রে অন্যান্য সমস্যা যেমন- যৌনবাহিত কোন রোগ, ডায়বেটিস বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা আছে কিনা বা থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। তবে যদি ভ্যাজিনাল থ্র্যাস হয় তবে খুব বেশি দুঃশ্চিন্তার কিছু নাই, কেননা এতে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না বা পুরষ সংগীরও কোন ক্ষতি হয় না।

যা মনে রাখতে হবেঃ

-         যোনীপথে ক্যানডিডা এলবিক্যান্স নামক ছত্রাকের মাত্রারিতিরিক্ত বৃদ্ধি, বিস্তার হলে তাখে ভ্যাজাইনাল থ্রাস বলে।

-         এন্টিফাংগাল ভ্যাজিনাল ক্রিম বা পেসারী ব্যবহারের ফলে থ্রাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও লক্ষণ প্রশমন করা যায়।

-         কিছু নিয়ম কানুন ও সাবধানতা মেনে চললে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

-         এটি কোন যৌনবাহিত রোগ নয় এবং এতে স্বাস্থ্যের কোন দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয় না।

24-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

সিফিলিস

     সিফিলিস হল এক ধরনের যৌনবাহিত রোগ। সাধারণভাবে এর তেমন কোন লক্ষন দেখা যায় না। ট্রেপনেমা প্যালিডাম নামক জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়। ইহা পুরুষ এবং মহিলাদেরও হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির খুব ঘনিষ্ঠ সংষ্পর্শে, চামড়ার সাথে ঘষা লাগলে রোগটি ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্কের ফলে রোগটির বিস্তার ঘটে এবং যৌনাঙ্গে, মলদ্বারে বা মুখে ঘা বা ক্ষত হতে পারে। পুরুষ পুরুষ যৌন মিলনের ফলে রোগটি দ্রুত বিস্তার ঘটছে পৃথিবীতে।

     আক্রান্ত হবার পরপরই চিকিৎসা শুরু করলে সহজেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগের তেমন কোন লক্ষণ না থাকায় মানুষ সচেতন হয় না। পরে যখন রোগ বিস্তার লাভ হয়, ঠিকমত চিকিৎসা না হয়, তবে তা ক্রনিক সিফিলিসে রূপ নেয়, মস্তিষ্ক ও হৃদরোগ হয়।

 

লক্ষণ সমূহ :

সিফিলিসের ৩টি স্টেজ বা ধাপ আছে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ধাপে সংক্রমণ হয়ে থাকে এবং অবস্থাভেদে লক্ষণ প্রকাশিত হয়। সিফিলিসের লক্ষণ থাকা অবস্থায়যৌন মিলনে এইচ. আই. ভি ইনফেকশনের ঝুকি বেশি।

ক) ১ম স্টেজ বা ধাপ (৪-১২ সপ্তাহ) : অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অবস্থায় কোন লক্ষণ না থাকার কারনে রোগ ধরা যায় না। তবে এক্ষেত্রে সাধারনত যৌনাঙ্গে- (পুরুষের লিঙ্গে, মহিলাদের ভালবা, মলদ্বারে বা মুখের কাছে) ঘা বা ক্ষত দেখা দেয়। এই ঘা

-         চামড়ার ভাজের ভেতর থাকতে পারে।

যেমন: মলদ্বারের ভিতরে, জরায়ু মুখে,

সে কারণে দৃশ্যমান নাও হতে পারে।

-         সাধারণত এ ঘা এ ব্যাথা থাকে না।

-         সাধারণত জীবাণু দ্বারা ইনফেকশনের ৩-৪ সপ্তাহ পরে হয়, তবে ১-১২ সপ্তাহের মধ্যে যে কোন সময় হতে পারে।

-         সাধারণত ৪ সপ্তাহে সম্পূর্ণ ঘা শুকিয়ে যায়।

     এই অবস্থায় বিস্তারিত

-->

16-04-2019 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

এস. টি. ডি/ এস. টি. আই

 à¦¸à§‡à¦•à§à¦¸à¦šà§à§Ÿà¦¾à¦²à§€ ট্রান্সমিটেড    ডিজিজ/ইনফেকশন à¦¬à¦¾ যৌনবাহিত à¦°à§‹à¦—  à¦¹à¦² এমন জীবাণু ঘটিত রোগ যা যৌনমিলনের ফলে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে বিস্তার লাভ করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবি দ্বারা এই রোগ হতে পারে।

এই রোগসমূহের মধ্যে অন্যতম হল

 

  • গনোরিয়া,
  • সিফিলিস,
  • ক্ল্যামাইডিয়া ইনফেকশন  
  • ক্যানডিডা ইনফেকশন
  • হার্পিস,
  • স্ক্যাবিস,
  • পিউবিক লাইস,
  • হেপাটাইটিস এবং এইচ. আই, ভি (এইডস)।

 

    যৌন সক্রীয় প্রত্যেক নারী বা পুরুষের এই রোগ হতে পারে। বিশেষত যারাই নিরাপদ যৌনমিলন করে না, তাদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।

অনেকে মনে করেন যে, আমার কোন  à¦¯à§Œà¦¨ রোগ নেই, থাকলে বোঝা যেত। কিন্তু অনক রোগেরই লক্ষণ সব সময় প্রকাশিত হয় না বা দেখেই বোঝা যায় à¦¨à¦¾ à¥¤à¦…ন্যদিকে একাধিক যৌন সঙ্গী থাকলে বা কোন সঙ্গীর যৌন রোগ থেকে থাকলে এবং সঠিক নিয়মে কনডম   à¦¬à§à¦¯à¦¬à¦¹à¦¾à¦° না করলে যে কারও এই রোগ হতে পারে।

 

যে যে কারণে যৌন রোগ ছড়ায় :

মূলত যে সব যৌন কার্যকলাপ দ্বারা যৌনবাহিত রোগ বেশি ছড়ায় তা হলো-

ক) ভ্যাজাইনাল সেক্স : যোনী পথে মিল করা।

খ) এনাল সেক্স : পুরুষ বা মহিলা সঙ্গীর পায়ু-পথে মিলন করা।

গ) ওরাল সেক্স : মুখ দিয়ে à¦¯à§Œà¦¨à¦¾à¦™à§à¦— স্পর্শ করা।

ঘ) ওরাল এনাল সেক্স- à¦®à§à¦– দিয়ে à¦ªà¦¾à§Ÿà§ পথ  স্পর্শ করা।

 

 

 

 

যৌন রোগের লক্ষণ :

অনেক ধরনের যৌন রোগ আছে যা তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতেই পারে না যে সে যৌন রোগের বাহক এবং নির্দ্ধিধায় যৌন মিলনের ফলে তার এই রোগ অন্যকেও আক্রান্ত করে। তবে সাধারণভাবে যে সব রোগ লক্ষণ তৈরী করে, তা মূলত যৌনাঙ্গ ও তৎপাশ্ববর্তি স্থানেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত নিম্নের লক্ষণসমূহ দেখা যায়-

o       পুরুষ লিঙ্গ, যোনীপথ বা মলদ্বার থেকে পুজ নি:সরণ।

o       প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করা।

o       যৌন মিলনের সময় ব্যাথা অনুভব করা।

o       অস্বাভাবিকভাবে যোনীপথে রক্ত যাওয়া।

o       যৌনাঙ্গে উচু উচু বা আলগা ফোলা চামড়া বা অংশ

o       যৌনাঙ্গে চুলকানি।

o       যৌনাঙ্গে ঘা, ব্যাথা, জ্বালাপোড়া

o       যৌনাঙ্গে লালচে দাগ, রেশ।

রোগ নির্ণয়ঃ

 à¦¯à¦–নই কোন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় দ্রুততার সাথে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।                                                                                                                                         à¦…নেকের ধারণা  যৌন রোগের জন্য চিকিৎসা নেয়া লজ্জার অথবা অস্বস্তিকর, কিন্তু সাধারণত সামান্য প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা করেই অনেক ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করা যায়। আর রোগের শুরুতেই চিকিৎসা নিলে দ্রুত আরোগ্য হয়, জটিলতা  হ্রাস পায়।

নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা করা প্রয়োজন

        à¦¨à¦¤à§à¦¨ কোন যৌন সঙ্গী বা প্রফেশনাল যৌনসঙ্গীর সাথে অনিরাপদ মিলন করলে।

o       à¦¸à¦™à§à¦—ীর যৌন রোগ থাকতে পারে à¦¯à¦¦à¦¿ এমন  à¦¸à¦¨à§à¦¦à§‡à¦¹ হয, 

o       অপ্রত্যাশিত বা অনাকাঙ্খিতভাবে যৌনমিলন হয়ে গেলে

o       যে সব দেশে এইচ.আই.ভি জীবাণুর প্রাদুর্ভাব, সে রকম দেশে অনিরাপদ যৌনমিলন হয়ে থাকলে।

 

প্রতিরোধের উপায় :

কেবলমাত্র ১জন  সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক করা ও উভয়েই সকল প্রকার যৌনবাহিত রোগমুক্ত থাকলেই সেফ সেক্স সম্ভব। কিন্তু যদি একাধিক সঙ্গী থাকে বা কোন ১ জনের কোর যৌন রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিরাপদ মিলনের জন্য-

ক. সংক্রামণমুক্ত হওয়া : যৌন রোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা নেয়া এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যৌনমিলন বন্ধ রাখা।

খ. সঠিক নিয়মে  কনডম ব্যবহার করা : এতে অধিকাংশ যৌনবাহিত রোগ ও অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ করা সম্ভব।

গ. ভ্যাজাইনাল কনডম, গ্লাভস ইত্যাদি ব্যবহার করা।

কনডম ব্যবহার কি ১০০ ভাগ নিরাপদ ?

সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলেও তা ১০০ ভাগ নিরাপত্তা দিতে পারে à¦¨à¦¾

ক. কনডম আবৃত্ত অংশের বাইরের ইনফেকশন ছড়াতে পারে, যেমন­ জেনিটাল ওয়ার্ট অন্ডকোষে থাকতে পারে যা কনডম দ্বারা আবৃত হয় না।

খ. স্ক্যাবিস, পিউবিক লাইস ঘনিষ্টভাবে অবস্থানের কারণে ছড়ায়। কনডম দ্বারা প্রতিরোধ হয় না।

গ. কনডম সঠিক তাপমাত্রার  সংরক্ষণ না করলে তা ছিড়ে যেতে বা ছিদ্র হতে পারে। অথবা সঠিক মানের ওয়াটার বেস লুব্রিকেন্ট ব্যবহার না করলে ছিড়ে বা তেল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করলে কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।

 

সঠিকভাবে কনডম ব্যবহারের জন্য :

o       ভাল ব্রান্ডের কনডম ব্যবহার করা।

o       মেয়াদ উত্তীর্ন কিনা তা দেখে নেয়া।

o       সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দুরে রাখা, ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করা।

o       ওয়াটার বেইসড লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা।

o        à¦¤à§‡à¦², ভ্যাসলিন, লোশন ব্যবহার না করা।

o       মাত্র ১ বার ব্যবহার করা, পুণ: ব্যবহার না করা।

 

চিকিৎসা :

যৌন রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে অধিকাংশই খুব সহজে চিকিৎসা করা যায়। যেমন-

ক) ব্যকটেরিয়া ইনফেকশন : এন্টিবায়োটিক à¦¦à¦¿à§Ÿà§‡ চিকিৎসা করতে হয়। à¦¤à¦¬à§‡ ডাক্তারের  পরামর্শ  ছাড়া কখনোই এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু এবং থামানো যাবে না à¥¤

 

খ)  পরজীবি : ঔষধযুক্ত মলম বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা।

 

গ) ভাইরাস : অধিকাংশ ভাইরাসজনিত রোগের কোন চিকিৎসা নেই, তবে দমন বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়  à¦¡à¦¾à¦•à§à¦¤à¦¾à¦°à§‡à¦°  পরামর্শ  à¦®à¦¤à§‹ চললে à¥¤

 

যা যা মনে রাখতে হবে :

১। যৌনভাবে সক্রিয় যে কোন পুরুষ বা মহিলার যৌনরোগ হতে পারে।

২। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে, সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করলে অনেক যৌনরোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

৩।  যৌনরোগ আছে কিনা তার জন্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া ও দ্রুত চিকিৎসা নেয়া জরুরী।

 

24-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

স্ক্যাবিস

 

সারকোপটি স্ক্যাবিস নামক পরজীবী দ্বারা চামড়ায় স্ক্যাবিস রোগ হয়। অতি ক্ষুদ্রাকার এই মাইটগুলি চামড়ার মধ্যে গর্ত করে সেখানে ডিম পাড়ে। ঐ ডিম থেকে বাচ্চা বের হয় ও শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের চামড়া ঐ পরজীবির আক্রমণে লাল হয়, চুলকায় ছোট ছোট ঘামাচির মত ফোস্কা হয়।

     আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে (প্রয় ২০ মিনিট) এই পরজীবী ছড়িয়ে পড়ে। মানব শরীরের বাইরে এই পরজীবী ২৪-৩৬ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়, বিছানা ও চাদর ইত্যাদির মাধ্যমে তা অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। সারা বিশ্বেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব আছে, ঘনবসতি ও ¯^v¯’¨ সচেতনতার অভাব থাকলে তা বেশি ছাড়ায়।

লক্ষণসমূহ:

স্ক্যাবিশের মূল লক্ষণসমূহ nj

§        মারাত্মক চুলকানি, বিশেষত রাতে ও গরম পনিতে গোসলের পর

§        হাতে, আঙ্গুলের ফাঁকে, লিঙ্গে দৃশ্যমান ছোট ছোট গর্ত

§        ছোট, পরিষ্কার পানিযুক্ত ঘামাচির মত ফোস্কা

§        লাল লাল দাগ দেখা যেতে পারে।

বাচ্চাদের বেলায় মুখ, হাত ও পায়ের তালুতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।

রোগের  বিস্তার :

সাধারণত আক্রান্ত হবার ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। তবে পূর্বে আক্রান্ত হযে থাকলে ২-৩ দিনের মধ্যেও লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসা করার ২৪ ঘন্টার পর আর আক্রান্ত ব্যক্তি রোগ ছড়ায় না।

 

রোগ নির্ণয় :

সাধারণত লক্ষণ দেখে, চামড়ায় ছোট ছোট ঘামাচির মত ফোস্কা ও চামড়ায় ছোট গর্ত দেখেই রোগ নির্ণয় করা যায়। চামড়া থেকে আবরণ নিয়ে মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষা করে পরজীবী ও ডিম দেখার তেমন প্রয়োজন হয় না।

 

চিকিৎসা :

স্ক্যাবিসের জন্য তৈরী পারমেথ্রিন জাতীয়

 à¦”ষধ ব্যবহার করলেই রোগ ভাল হয় তরে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।

§        গোসলের পর গা ভালভাবে মুছে লাগাতে হবে।

§        চোখ, মুখ, নাক মাথা ছাড়া সমস্ত শরীরে পাতলা আরবণে ক্রিম লাগাতে হবে।

§        ঔষধ কমপক্ষে ১২ ঘন্টা গায়ে থাকতে হবে ও পরে গোসল করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

§        হাত বা কোন অংশ ধুতে হলে সাথে সাথে আবার লাগাতে হবে।

§        এক সপ্তাহ পর একবই নিয়মে আর এক বার ব্যবহার করতে হতে পারে, যাতে নব্য সৃষ্ঠ মাইট মারা যায়।

 

এ QvovI

o       গত ২ দিনে ব্যবহার করা কাপড়, তোয়ালে, বিছনার চাদর ইত্যাদি গরম পানিতে ধুতে হবে।

o       বাড়ীর সবাইকে একত্রে মলম ব্যবহার করতে হবে, যদিও আপাতত: আক্রান্ত মনে না হয়।

o       চুলকানি ২-৩ সপ্তাহ থাকতে পারে, যদিও সফলভাবে চিকিৎসা করা হয, কেননা চুলকানি হয় শরীরের রি-একশনের কারণে। এ জন্য এন্টিহিস্টাসিন ঔষধ প্রয়োজন হতে পারে।

যাদের বিশেষ চিকিৎসা `iKvi

§        ২ বছরের কম বয়সী শিশু।

§        গর্ভবতী মহিলা।

§        অতি বৃদ্ধ ও সংবেদনশীল ত্বকধারী ব্যক্তি।

§        যদি ছোট ছোট ফোস্কাগুলিতে পুজ জমে সে ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হবে।

যা মনে রাখতে হবে -

o       সারকোপটি স্ক্যাবিস নামক ছোট উকুন জাতীয় পরজীবি দ্বারা স্ক্যাবিস হয়।

o       মারাত্মক চুলকানি হয় ও হাতে, পায়ে, যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ঘামাচির মত হয়।

o       আক্রান্ত ব্যক্তির ঘরের সবার এমনকি  à¦¯à§Œà¦¨à¦¸à¦™à§à¦—ীরও চিকিৎসা করতে হবে।

 

24-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

গনোরিয়া

 

পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই সবচেয়ে কমন যৌনবাহিত রোগ হল গনোরিয়া। তবে গনোরিয়া থেকে মহিলাদের PID (পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ) এমনকি বন্ধাত্ত দেখা দিতে পারে। অথচ মহিলাদের ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ প্রকাশ নাও করতে পারে । পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রনা ও পুঁজ পড়তে পারে। নেইজেরিয়া গনোরি নামক ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন হলে গনোরিয়া হয়।

 à¦šà¦¿à¦¤à§à¦°à¦ƒ নেইজেরিয়া গনোরি

 

গনোরিয়ায় যৌনাঙ্গ আক্রান্ত হবার সাথে সাথে গলা বা মলদ্বারও আক্রান্ত হতে পারে। যৌন মিলনের ফলে এই রোগ বিস্তার লাভ করে।

 

রোগ লক্ষণঃ

পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রসাবের সময় জ্বালা যন্ত্রনা করা ও মুত্রনালী দিয়ে পুঁজ বের হওয়া ইত্যাদি দেখা দিলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই কোন রোগ লক্ষণ প্রকাশিত হয় না তাই রোগ দীর্ঘদিন অবস্থান করে। তবে মাঝে মাঝে - যোনী পথে অস্বাভাবিক নি:সরণ এবং প্রসাবের সময় যন্ত্রনা হতে পারে।

 

বন্ধাত্ব ও PID হবার ঝুঁকিঃ

যদি সঠিক চিকিৎসা করা না হয়, সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন রোগ থাকার ফলে PID দেখা দিতে পারে, যা পরবর্তীতে বন্ধাত্বের কারণ।

 

PID এরবিস্তারিত

-->

24-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

জেনিটাল ওয়ার্ট

 

যৌনবাহিত রোগের মধ্যে জেনিটাল ওয়ার্ট খুবই কমন। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) নামক ভাইরাস দ্বারা এটি হয়। আবার এই ভাইরাসের বিশেষ প্রজাতি দ্বারা জরায়ু মুখে সংক্রমন হলে জরায়ু মুখের ক্যান্সারও হতে দেখা যায়। প্রায় শতাধিক প্রজাতি থাকলেও অল্প কিছু প্রজাতি যৌনাঙ্গকে আক্রমণ করে। মূলত যৌনাঙ্গের এবং মলদ্বারের আশেপাশের ইনফেকশন বেশী হয়। এছাড়াও যৌনপথের ভেতরে এবং মূত্রনালী এবং মলদ্বারের ভেতরেও ইনফেকশন ছড়াতে পারে।

 

লক্ষণঃ

জেনিটাল ওয়ার্ট হল চামড়ায় তৈরী হওয়া ব্যাথাহীন কিছু বর্ধিতাংশের ন্যায়।

এগুলি চ্যাপ্টা, খাড়া, এক বা একাধিক হতে পারে, এমনকি একসাথে গুচ্ছা করে তৈরী হয়ে ফুলের মত দেখাতে পারে। আবার কখনও কখনও ইনফেকশন থাকলেও কোন বর্ধিতাংশ তৈরী হয় না অথচ রোগী জীবাণু বহন করে।

 

কীভাবে ছড়ায়ঃ

মূলত এই ভাইরাস যৌনসংযোগের সময় সরাসরি সংষ্পর্শে ঘটলে জীবাণু ছড়িয়ে পরে।

 

চিকিৎসাঃ

চিকিৎসার দ্বারা জেনিটাল ওয়ার্ট অর্থাৎ চামড়ার বর্ধিতাংশ সরানো সম্ভব, কিন্তু ভাইরাস থেকে যেতে পারে। চিকিৎসার মধ্যে নিম্নের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা যায়।

ক) ক্রায়োথেরাপিঃ

তরলনাইট্রোজেন (যা অত্যন্ত ঠান্ডা) দ্বারা ওয়ার্টকে জমিয়ে বরফের মত শক্ত করে ভেঙ্গে ফেলা হয়।

খ) পোডোফাইলোটক্সিনঃ

এটি ক্রিম বা মলমের আকারে পাওয়া যায়। বাসায় নিজে নিজেই ব্যবহার করা যায়, তবে গর্ভবতী মহিলাদের ব্যবহার করা নিষেধ।

গ) ইমিকুইমড ক্রিমঃ

এটিও বাসায় নিজে নিজে ব্যবহার করা যায়। দিনে ১ বার ,সপ্তাহে ৩ দিন,এভাবে ৩ মাস। তবে গর্ভবতী মহিলারা বাদে।

ঘ) লেজার বা ডায়াথার্মীঃ

যখন ওয়ার্ট সংখ্যায় প্রচুর থাকে,অথবা অন্য চিকিৎসায় কার্যকর হচ্ছে না,সেক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। হাসপাতালে ভর্তি করে অজ্ঞান করে ডায়াথার্মী ব্যবহার করা হয়।

ঙ) পোগেফাইলিন পেইন্টঃ

অবশ্যই ডাক্তার কর্তৃক ব্যবহার্য। ৪ ঘন্টার বেশী সময় রাখা যাবে না। সপ্তাহে ১ - ২ দিন ব্যবহার করা যাবে। গর্ভকালীন সময়ে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

 

পুনরায় হতে পারেঃ

চিকিৎসার মাধ্যমে ওয়ার্ট সরানো হলেও যা মনে রাখতে হবেঃ

১। দৃশ্যমান বর্ধিতাংশ চলে গেলেও যেহেতু চামড়ায় ভাইরাস থেকে যেতে পারে। তাই ওয়ার্ট আবারও হতে পারে।

২। যদি আবার হয় তার মানে এই না যে, আবার নতুন করে ইনফেকশন হয়েছে।

৩। অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারনে এমনিতেই ওয়ার্ট এবং ভাইরাস নির্মূল হয়ে যেতে পারে।

 

জরায়ু মুখের ক্যান্সার এবং HPV:

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) জরায়ু মুখেও আক্রমণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে জরায়ু মুখে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে শতাধিক প্রজাতির মধ্যে মাত্র কয়েকটি প্রজাতি দ্বারা ক্যান্সার হয়। তবে যে সব ভাইরাস দ্বারা দৃশ্যমান বর্ধিতাংশ (ওয়াট) হয় সে সব প্রজাতির দ্বারা ক্যন্সার হয় না।

প্যাপটেস্টঃ

প্যাপটেস্টের মাধ্যমে মূলত জরাযু মুখের কোষের পরিবর্তন দেখা হয়, যা এক ধরনের স্ক্রিনিং টেস্ট। এটি ক্যান্সারের কোন টেস্ট না,তবে ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জরায়ু মুখের কোষের পরিবর্তন এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়, তবে জরায়ু মুখের অধিক ভেতরের দিকের পরিবর্তনকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণত প্রতি দুই বছর পর পর এই পরীক্ষা করতে বলা হয়।

 

প্রতিরোধের উপায়ঃ

জেনিটাল ওয়ার্ট প্রতিরোধের জন্য কিছু নিয়ম মনে চলা জরুরি।

- ওয়ার্ট দেখা দেয়া মাত্র চিকিৎসা শুরু করা।

- যৌন সম্পর্কের সময় কনডম ব্যবহার করা।

তবে মনে রাখতে হবে,যেহেতু ওয়াট ছাড়াও জীবাণু ত্বকে থাকতে পারে এবং কনডম ব্যবহারে সমস্ত ত্বক আবৃত হয় না,তাই রোগের প্রতিরোধ ১০০ বাগ নিশ্চত করে প্রতিরোধ করা সম্ভব না।

 

যা মনে রাখতে হবেঃ

১। জেনিটাল ওয়ার্ট হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের ফলে সৃষ্টি হয়।

২। দৃশ্যমান ওয়াট বা বর্ধিতাংশ না থাকলেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।

৩। চিকিৎসার পর ওয়াট আবার নতুন করে দেখা দিতে পারে।

 

 

24-02-2013 সুস্থ্য যৌনজীবন

 

জেনিটাল হারপিস

 

জেনিটাল হারপিস একটি কমন যৌনবাহিত রোগ। যেটি হারপিস সিমপ্লেক্স (HSV) নামক ভাইরাস দ্বারা হয়। এটি যৌন মিলন এবং পায়ু পথে মিলনের মাধ্যমে ছড়ায়। অনেক সময় মুখের ঘা (কোল্ডসোর) থেকেও যৌনাঙ্গে সংক্রমন ঘটতে পারে। মুখে যৌন মিলনের মাধ্যমে, যদিও তারা কোল্ড সোর ভাইরাস দ্বারা আগে কখনও আক্রান্ত হয়নি। প্রথম পর্যায় হারপিসের লক্ষণ ঠান্ডা-সর্দি মত হয় এবং এতে যৌনাঙ্গের চারপাশে ফোসকা পড়ে। জেনিটাল হারপিস পুরোপুরি নিরাময় যোগ্য নয়,তবে লক্ষণ সমূহ দূর করা যায় এবং পুনরায় হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে। গর্ভবতী মহিলা যাদের জেনিটাল হারপিস আছে তাদের চিকিৎসকের সরনাপন্ন হওয়া উচিৎ , কারন প্রসবের সময় বাচ্চাতে জেনিটাল হারপিস সংক্রমণ হতে পারে এবং যার ফলে মারাত্মক অসুস্থতা ঘটতে পারে।

 

         

জেনিটাল হারপিস দুই ধরনের ভাইরাস দ্বারা হয়, ১) HSV 1 এবং ২) HSV 2

HSV 1 সাধারনত মুখের চারপাশে হয়, তবে যৌনাঙ্গও হতে পারে। HSV2 সাধারনত যৌনাঙ্গে হয়।  দেখা গেছে যে ৮ জনের মধ্যে ১ জন এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয় এবং শতকরা ৮০ ভাগ লোকই এ সংক্রমন সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকে।

 

এ রোগ চামড়া থেকে চামড়ার সংস্পর্শে ছড়াতে পারেঃ-

হারপিস ভাইরাস চামড়ার সংস্পর্শে ছড়ায় যা যৌনমিলন, পায়ুপথে মিলন এবং মুখে যৌন মিলনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই প্রদাহ যৌনাঙ্গের যে কোন জায়গায় হতে পারে যেমনঃ কুচকিতে,যৌনাঙ্গের উপরিভাগে (পিউবিক এরিয়া),পায়ুপথের আশেপাশে। এই ভাইরাস ফোসকা,ক্ষত বা চামড়ায় ফাটলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে আবার না থাকলেও ছড়াতে পারে। একে ভাইরাল সেডিং বলে। ভইরাল সেডিং এর সময় এই ভাইরাস কারও অজান্তে চামড়ার উপরিভাগ থেকে যৌনাঙ্গের চামড়ার সংস্পর্শে ছড়াতে পারে অথবা মুখ থেকে ছড়াতে পারে।

 

লক্ষণ সমূহঃ-

হারপিসের প্রথম পর্যায়ে সাধারণত ব্যাথা ক্লান্তির সৃষ্টি করে। অন্যান্য লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছেঃ-

সর্দি-জ্বরের মত লক্ষণঃ-

অসুস্থ্য বোধ করা,

মাথা ব্যাথা,

পায়ে এবং কোমড়ে ব্যাথা।

যৌনাঙ্গের চারপাশে ছোট ছোট ফোসকা - ফোসকা ভেঙ্গে গিয়ে অগভীর ব্যথাযুক্ত ক্ষত সৃষ্টি করে যা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।

চামড়া ফেটে যায়।

লালচে অথবা আলাদা আলাদা রঙ থাকে।

 

 

পুনরাবৃত্তি হওয়াঃ-

প্রথম পর্বের চেয়ে পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে সাধারণত কম সময় থাকে এবং কম ব্যাথা থাকে। বরং পুনরাবৃত্তি খুব কম ঘটে এবং মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রদাহ HSV 2 থেকে HSV 1 দ্বারা বেশি হয়।

পুনরাবৃত্তি ত্বরান্বিত হয়ঃ-

·        দুঃশ্চিন্তা

·        মাসিক

·        যৌন ক্ষমতা

·        শারীরিক অসুস্থ্যতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

 

হারপিসের সংক্রমণ চিহ্নিতকরণঃ

হারপিস সংক্রমণ সন্দেহ হলে চিকিৎসক সেই ব্যক্তির আক্রান্ত স্থান থেকে রস বা নিঃসরন (সোয়াব) নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর সাথে সাথে রক্ত পরীক্ষাও করা হয়।

 

চিকিৎসাঃ-

হারপিস ভাইরাস থেকে শরীর মুক্ত করার কোন ওষুধ নেই। চিকিৎসা শুধু উপসর্গ সমূহ দূর করতে এবং পুনরাবৃত্তি না ঘটতে সাহায্য করে। উপসর্গসমূহ দূর করা জন্য-

·        লবন পানি দিয়ে গোসল

·        ব্যাথা নিরাময় এর ওষুধ

·        এন্টি ভাইরাল ওষুধ যেমনঃ এসাইক্লোভির,ভেরাসাইক্লোভির,ফেমিসাইক্লোভির।

উপসর্গ দেখার তিন দিনের মধ্যে এ ওষুধগুলো খেলে এ রোগের প্রকোপ কমানো যায়।

 

পুনরাবৃত্তির প্রতিরোধঃ-

যদি ঘন ঘন আক্রমণ ঘটে, সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন এন্টিভাইরাল ওষুধ গ্রহণ করলে উপসর্গ কমে যাবে।

 

হারপিসের ছড়ানো প্রতিরোধঃ-

যৌন বাহিত রোগের সবচেয়ে ভাল প্রতিরোধ হলো ব্যারিয়ার পদ্ধতি যেমনঃ- কনডম, ফিমেল কনডম এবং ড্যাম্প। হরপিসের সংক্রমণ, উপসর্গ থাকলেও ছড়াতে পারে আবার না থাকলেও ছড়াতে পারে। পুরুষদের কনডম মার্কেট,ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। ফিমেল কনডম এবং ড্যাম্প পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে পাওয়া যায়।

 

জেনিটাল হারপিস হওয়ার পর গর্ভধারণ করলেঃ-

প্রসবকালে হারপিস সংক্রমণ বাচ্চাতে সংক্রমণ হতে পারে এবং মারাত্মক অসুস্থ্যতা তৈরী করতে পারে, যদিও এটি কমন নয়। প্রসবের আগে অবশ্যই এটি দায়ী বা ধাত্রীকে জানাতে হবে যে সে জেনিটাল হারপিসে আক্রান্ত।

 

সহায়তা এবং উপদেশ :

যখন কেউ জানে যে সে জেনিটাল হারপিসে আক্রান্ত তখন সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায় এবং মনে নানাবিধ প্রশ্ন জাগে। সে ক্ষেত্রে জেনিটাল হারপিস সম্পর্কে তাকে সম্পূর্ণভাবে জানতে হবে।  এত করে সে সঠিক চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার জন্য নিরাপদ যৌন মিলনে উদ্ভুদ্ধ হবে।

 

যে গুলো মনে রাখতে হবে :-

১। জেনিটাল হারপিস যৌনমিলন, পায়ুপথে মিলন এং মুখে যৌনমিলনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

২। এ সংক্রমনের পুনরাবৃত্তি খুব কম ঘটে

৩। জেনিটাল হারপিস পুরপুরি নিরাময়ের কোন ওষুধ নেই, তবে চিকিৎসার দ্বারা এর লক্ষণসমূহ এবং পুরাবৃত্তি কমানো যায়।

৪। হারপিসে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে থাকবে।