About us    Contact us Find us on:    Facebook Twitter YouTube

মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

13-08-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

              à¦¸à§à¦¬à¦šà§à¦›à¦²à¦¤à¦¾

 

স্বচ্ছলতা কেবলমাত্র রোগ কিংবা অসুস্থতার অনুপস্থিতি নয়। ইহা একজন ব্যাক্তির দৈহিক, মানসিক, আবেগ সংক্রান্ত এবং সামাজিক স্বাস্থ্য বিষয়গুলোর একটি জটিল সমন্বয়| আপনার নিজের সম্পর্কে এবং আপনার জীবন সম্পর্কে কিভাবে আপনি অনুভব করেন তার সাথে স্বচ্ছলতা সম্পর্কিত।

স্বচ্ছলতা সুখ এবং জীবনের সন্তোষ্টির সাথে জোরালোভাবে যুক্ত। সংক্ষেপে, আপনার নিজের এবং আপনার জীবন সম্পর্কে আপনি কেমনভাবে অনুভব করেন স্বচ্ছলতা তেমনভাবে বর্ণনা করতে পারে।

 

যে সকল বিষয়সমূহ স্বচ্ছলতাকে প্রভাবিত করে।

আপনার  জীবনের প্রত্যেক বিষয় আপনার স্বচ্ছল অবস্থাকে প্রভাবিত করে। সুখ তদন্ত করে গবেষকগণ খুঁজে পেয়েছেন যে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো একজন ব্যাক্তির স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি করে।

·        একজন পার্টনারের সাথে সুখী অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।

·        ঘনিষ্ট বন্ধুদের নেটওয়ার্ক

·        উপভোগ্য এবং সম্পন্ন ভবিষ্যৎ।

·        পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ।

·        নিয়মিত শরীর চর্চা।

·        পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিয়ন্ত্রণ।

·        পর্যাপ্ত ঘুম।

·        আধ্যাত্মিক এবং ধর্মী বিশ্বাস।

·        মজা করা শখ করা এবং অবসর খোঁজা ।

·        স্বাস্থ্য- স্ব মুল্যায়ন

·        আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী।

·        বাস্তব সম্মত এবং অর্জনযোগ্য লক্ষ্যসমূহ।

·        উদ্দেশ্য এবং অর্থের মানসিকতা।

·        অধিকারের মানসিকতা।

·        পরিবর্তনে খাপ খাওয়ার মানসিকতা। 

·        ন্যায় এবং গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করা।

যে সকল বিষয়সমূহ পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত

যে সকল বিষয়সমূহ স্বচ্ছলতাকে প্রভাবিত করে সেগুলো পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত। যেমন- একটি চাকুরী কেবল অর্থই প্রদান করে না, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, বন্ধুত্ব এবং অধিকারের মানসিকতাও প্রদান করে। কিছু বিষয় অন্যগুলোর অভাবে ক্ষতিপূরন প্রদান করে। উদাহরন স্বরুপ, বন্ধুত্বের অভাবে একটি উত্তম বিয়েকে ক্ষতিপূরন করতে হয়, এদিকে দৈহিক অসুস্থতার সাথে মিল রাখতে বা সন্ধি  করতে ধর্মীয় বিশ্বাস একজন ব্যাক্তিকে সহায়তা করতে পারে।

 

সম্পদ মূল কোন কিছু নয়

অর্থ স্বচ্ছলতার সাথে সম্পর্কিত, কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ জীবিকার অবস্থা উন্নিত করে এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে। আয়ের সাথে সুখ- স্বাচ্ছন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে, কিন্তু কেবলমাত্র একটি পয়েন্টে।

অনেক লোক বিশ্বাস করে যে  সম্পাদ হলো সূখ- স্বাচ্ছন্দের প্রথম পথ। কিন্তু ইহা সত্য নয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, ইহা আমাদের ব্যাক্তিগত সম্পর্কের গুণ, আমাদের ব্যাংক ব্যালেন্সের সাইজ বা পরিমাণ নয়, আমাদের স্বচ্ছলতা অবস্থার উপর যার একটি বৃহত্তম প্রভাব আছে।

অর্থ সুখের চাবিকাঠি তা বিশ্বাস একজন ব্যাক্তির স্বচ্ছলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যেমন- একজন ব্যাক্তি যিনি অতিরিক্ত সময়েও প্রচুর কাজ করতে চায় সে ব্যাক্তি তার পরিবারকে, তার বন্ধুকে এবং অবসরের জন্য   পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না।

দীর্ঘ কর্ম সময়ের যুক্ত চাপ একজন ব্যাক্তির জীবন যাপনের সন্তুষ্টি হ্রাস করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রিয় কোন কারো সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্কের মত  বাহ্যিক  à¦²à¦•à§à¦·à§à¦¯à¦•à§‡ মূল্য দেয় তাদের তুলনায় যে সকল লোকজন অর্থ এবং খ্যাতির মত  বাহ্যিক  লক্ষ্যের দিকে ছুটে চলে তারা বেশী উদ্বিগ্ন,  হতাশাগ্রস্ত |

 

স্বচ্ছলতা রহস্যময় হতে পারে

স্বচ্ছলতা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তা পেতে কিছুটা  কঠিন বলে মনে হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একটি আমেরিকান গবেষণায় দেখা গেছে যে, চারজন প্রতিবাদীর মধ্যে একজন হতাশাগ্রস্ত , এবং পাঁচ জনে মাত্র একজন সুখী-বাকীরা সুখী নয়। স্বচ্ছলতার একটি সামপ্রতিক অস্ট্রেলিয়া ভোক্তা গবেষণায় নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো দেখা গেছে:

·        শতকরা ৫৮ জন ইচ্ছা পোষন করে তারা তাদের স্বাস্থ্য এবং স্বচ্ছলতা উন্নয়নে তারা যদি আরো বেশী সময় পেত।

·        ১৮ বছরের নীচের শিশু সহ ৭৯ শতাংশ পিতামাতা ইচ্ছা পোষন করেন তারা তাদের স্বাস্থ্য এবং স্বচ্ছলতা উন্নয়নে তারা যদি আরো বেশী সময় পেত।

·        ৮৩ শতাংশ লোক প্রডাক্ট কিংবা সার্ভিসের জন্য আরো বেশী অর্থ প্রদান করতে প্রস্তুত, যা তাদের স্বচ্ছলতারঅনুভূতি বৃদ্ধি করে।

 

জাতীয় স্বচ্ছলতার পরিমাপ

লোকসংখ্যার মধ্যে স্বচ্ছলতা পরিমাপ করা কঠিন, কারণ স্বচ্ছলতার ব্যাখ্যা বেশী ব্যাক্তিগত বা স্বতন্ত্র। আপনার জীবন সম্পর্কে আপনি কেমন অনুভব করেন, আপনি দেখেন তার উপর যা অনেক বেশী নির্ভর করে। কথায় আছে যে, একজন ব্যাক্তির সমস্যা অন্য একজন ব্যাক্তির চ্যালেঞ্জ।

জীবীকা অবস্থার উপর তালিকা রাখার উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়ান গবেষকগণ স্বচ্ছলতা পরিমাপ করতে চেষ্টা করেন। স্বচ্ছলতা পরিমাপে একটি সচরাচর উপায় হলো একটি একটি বিশেষ বিষয়ের মাধ্যমে প্রভাবিত ব্যাক্তিদের গণনা। এ ব্যাপারে  কি পরিমাণ লোক  অনুসরন ধরে রাখতে সহায়তা করেছেন এতে সহায়তা করতে, তাদের:

·        ক্যান্সার আছে

·        একা, বিবাহিত কিংবা তালাকপ্রাপ্ত

·        নিয়মিত ভিত্তিতে অনুশীলন করা

·        ধুমপান কিংবা ড্রিংঙ্ক করা

·        বেকার সুবিধাসমূহের উপর

·        অপরাধের শিকার

·        পড়তে কিংবা লিখতে অসমর্থ

 

লোকসংখ্যার

13-08-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

টিকার কারনে ডায়বেটিস হবার ঝুকি

 

ডায়বেটিস এমন একটি রোগ যেখানে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী  থাকে। মানব শরীরে শক্তি উৎপাদনের জন্য রক্তে গ্লুকোজের প্রয়োজন। ইনসুলিন নামক হরমোন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা প্যানক্রিয়াস/আমাশয় থেকে তৈরী হয়। টাইপ-১ ডায়বেটিস বা ইনসুলিন  নির্ভর ডায়বেটিস ম্যলিটাস (IDDM) এখনই হয় যখর প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন তৈরীকারী কোষ নিজস্ব শারিরিক বিক্রিয়ায় নিঃশেষ হয়ে যায়। বাচ্চাদের ডায়বেটিস মূলত এই ধরনেরই হয়।

 à¦•à¦¿à¦›à§ বিজ্ঞানী ধারণা করেছেন যে, IDDM ধরনের ডায়বেটিস হবার সাথে কয়েকটি ভ্যাক্সিন  যেমন -MMR, Hib, DPT ইত্যাদির  সম্পর্ক রয়েছে। এর বক্তব্যের ফলে  জনসাধারণের অনেকে ভীত হয়ে টিকা দেয়া বন্ধ রাখার কথা ভাবছেন। কিন্তু টিকা না দিলে বাচ্চার ঐ সমস্ত রোগের ঝুকি থেকে যায় বিধায়, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ।

 

থিওরীর উৎসঃ

বিজ্ঞানীরা কিছু প্রাণীর উপর পরীক্ষামূলক গবেষনায় তাদের উপর  বিভিন্ন টিকা দেয়ে দেখতে পেয়েছেন যে, কিছু কিছু টিকা কোন কোন প্রানীর প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন তৈরীকারী বিটা সেলের সথে ইমিউন  ক্রিয়েশন করে নিষ্ক্রিয় করে দেয় ফলে প্রাণীটির IDDM টাইপ ডায়বেটিস হয।

 

গবেষনার পদ্ধতিগত সমস্যাঃ

অন্যান্য গবেষকগণ এই গবেষনা পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, এ ক্ষেত্রে  এনথ্রাক্স টিকা ব্যবহার করা হয়েছে যা মানুষকে প্রায় দেয়াই হয় না। তাছাড়া মানুষ ও পশুর শারিরিক  গঠন পদ্ধতিও অনেক ভিন্ন। এ ছাড়াও ঐ পরীক্ষণগণ যুক্তি দিয়েছিলেন যে,  উন্নত বিশ্বে টিকা গ্রহণের হার বেশী বলে ডায়বেটিস টাইপ-১ বেশী । কিন্তু তিনি ডায়বেটিস-১ হবার  অন্য কারণ বা ফ্যাক্টরগুলিকে হিসেব করেন নি।

 

অন্যান্য গবেষনার ফলাফলঃ

বিতর্কিত  হবার কারণে ১৯৯৯ ইং সালে আরেকটি গবেষনা করেন । সেখানে মানব শিশুর উপরই পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানে হোপাটাইটিস-বি, হিব পোলিও, ডি পি টি ইত্যদি টিকা দেয়া হয়। কিন্তু আবার ২০০১ সালে আরেকটি গবেষনা পত্রে প্রকাশিত হয় যে, বাচ্চাদের টিকা দেবার সাথে টাইপ-১ ডায়বেটিস হবার কোনো বিশে যোগসুত্র নেই ।

ভিন্ন সিডিউলে টিকা দিনঃ

প্রথম গবেষকরা মনে করেন এত  ছোট বয়সে টিকা না দিয়ে একটু বড় বয়সে বাচ্চার টিকা দিলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি  হ্রাস পায়। কিন্তু যেহেতু কোনো সমস্যা নেই বরং দেরীতে দিলে ছোট বয়সে বড় বড় রোগ হবার ঝুঁকি আছে, সেহেতু অযথা দেরী করার বা  ভিন্ন  সময় দেয়াটা  যুক্তিযুক্ত নয়।

    তবে যে সব বাচ্চাদের ডায়বেটিস আছে (জন্মগত) তাদের অবশ্যই  সাধারণ টিকা দেবার পাশপাশি প্রতি বছর হিব ভ্যাক্সিন এবং ১ ডোজ নিউমোকক্কাস ভ্যাক্সিন- ১২ মাস বয়সে, আরেকটি ডোজ ৪-৫ বছর বয়সে -অতিরিক্ত  গ্রহণ করতে হবে যাতে মারাত্মক পর্যায়ে না যায় ।

 

ডায়বেটিস-১ হবার সম্ভাব্য কারণঃ

টিকা নয় বরং অন্যান্ন যে কারনে হতে পারে তা হল

ক. ইনফেকশন : কোনো কোনো গবেষকগণ শীতের শুরু এবং শীতকালে বিশেষ কোনো ভাইরাসের আক্রমণে ডায়বেটিস হবার সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন।

খ. গরুর দুধ : গবেষনায় দেখা গেছে বুকের দুধ খাওয়া বাচ্চার চেয়ে  গরুর দুধ খাওয়া বাচ্চার ডায়বেটিস হবার ঝুঁকি বেশী।

গ. নাইট্রেট : যে সকল খাবার পানিতে নাইট্রেট বেশী -ডায়বেটিস হবার ক্ষেত্রে ঝুঁকিও বেশী ।

 

যা মনে রাখতে হবেঃ

·         টাইপ-১ ডায়বেটিস- অটোইমিউন রিএকশনের কারণে বিটা সেল নষ্ট হবার জন্য হয়।

·         টিকা গ্রহণের সাথে টাইপ-১ ডায়বেটিস হবার কোনো সম্পর্ক নেই ।

 

29-06-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

ফ্যাটিগ বা ক্লান্তিবোধ

 

 à¦«à§à¦¯à¦¾à¦Ÿà¦¿à¦— মানে ক্লান্তিবোধ, ঘুম ঘুম ভাব এবং শক্তি বা কার্য ক্ষমতা কমে যাওয়া। ক্লান্তিবোধ অসুস্থ্যতার কারনে হয়ে থাকে। আবার অবসাদ থেকেও ক্লান্তিবোধ হতে পারে। শরীরে ক্লান্তিবোধ থাকলে, শরীরের মাংসপেশীগুলো স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কাজ করতে পারে না। এটি একজন ব্যক্তি নিজে নিজেই অনুভব করতে পারে। যেমন : সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় সহজেই হাপিয়ে ওঠে। অথবা ভারী ব্যাগ বহন করে হাপিয়ে ওঠে। শারীরিক ক্লান্তিবোধ করে যে,সে বিছানা থেকে উঠে প্রতিদিনের  কাজে যেতে পারে না। অতিরিক্ত ক্লান্তি-বোধ থাকলে ব্যক্তির প্রতিদিনের কাজ এবং অভ্যাসে সেটি প্রকাশ পায়। অনেক সময় ক্লান্তিবোধ কম খেলে,অধিক শরীরিক পরিশ্রম করলে,দুঃশ্চিন্তা করলে,ঘুম কম হলেও হয়। তবে সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরের ভেতর সমস্যার জন্য ক্লান্তিবোধ হয়,সেক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যখন সঠিক ঘুম,পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমেও ক্লান্তিবোধ দূর হয় না, তখন চিকিৎসকের মাধ্যমে কারণ উদ্ভাবন করতে হবে।

 à¦²à¦•à§à¦·à¦£à¦ƒ-

ক্লান্তিবোধ থেকে শারীরিক মানসিক এবং আবেগপ্লুত অনেক লক্ষণ দেখা দেয়। যেমনঃ-

·        দীর্ঘ ক্লান্তিবোধ এবং ঘুম ঘুম ভাব।

·        মাথা ব্যথা

·        মাথা ঘোরা

·        মাংসপেশীতে ব্যাথা

·        মাংসপেশীর দুর্বলতা

·        সিদ্ধান্ত-হীনতা

·        গম্ভীর হয়ে থাকা

·        বিরোক্তিবোধ 

·        চোখ এবং মাথার সমন্বয় ঘটাতে না পারা 

·        ক্ষুধামন্দা 

·        রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া 

·        ঝাপসা দেখা 

·        দ্রুত ভুলে যাওয়া 

·        অমনোযোগী 

·        অবাস্তব জিনিষ দেখা।

 à¦•à¦¾à¦°à¦£ সমূহঃ

যে সব কারণ ক্লান্তিবোধ তরান্বিত করে সেগুলো হলঃ

১। মেডিকেল কারণঃ-

মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ,শরীরের ভেতর অসুস্থ্যতার একটি চিহ্ন। কিছু অসুখের কারনেও ক্লান্তিবোধ তরান্বিত হয়।যেমন-

·        সর্দিজনিত সংক্রামক রোগ 

·        রক্তশূণ্যতা  

·        ঘুমের সমস্যা  

·        হাইপোথাইরয়েডিসম  

·        হেপাটাইটিস

·        টিউবারকুলসিস  

·        দীর্ঘদিনের ব্যাথা   

·        সিলিয়াক ডিজিজ    

·        পারকিনসন ডিজিজ      

·        এইচ.আই.ভি-এইডস

·        থাইরয়েড ডিসঅর্ডার,

·        ডায়াবেটিস ইত্যাদি।

 à§¨à¥¤ জীবন নির্বাহ জনিত কারণঃ- অনিয়মিত ঘুম,অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং অস্বাস্থ্য্যকর অভ্যাস।

 à§©à¥¤ আবেগজনিত মানসিক চাপঃ- মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে ক্লান্তিবোধ একটি কমন চিহ্ন। মানসিক চাপ, দুঃশ্চিন্তা,দুঃখ,বিরক্তিবোধ,নড়াচড়া না করা ইত্যাদি কারনেও হয়।

 à¦œà§€à¦¬à¦¨ নির্বাহ জনিত কারণঃ-

১। ঘুম কম হওয়াঃ-

একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির রাতে ৭ ঘন্টা ঘুম দরকার। এরচেয়ে ঘুম কম হলে শরীরে ক্লান্তিবোধ দেখাদেয়।

২। অতিরিক্ত ঘুমঃ-

দীর্ঘ সময় বা ১১ ঘন্টার অধিক সময় ঘুমও শরীরে ক্লান্তিবোধ তৈরী করে।

৩। এলকোহল এবং ওষুধঃ-

এলকোহল হলো একরকম উপশমকারী ওষুধ যেটি শরীরের নার্ভাস সিস্টেমকে ধীর গতির করে দেয়। এতে করে সাধারণ ঘুমের পরিবর্তন ঘটে। তাছাড়া সিগারেট,ক্যাফেইন ইত্তাদি নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে ঘুমের পরিবর্তন ঘটায়।

৪। ঘুমের বিঘ্ন ঘটলেঃ

ঘুমের বিঘ্ন ঘটার নানা কারণ রয়েছে যেমনঃ অতিরিক্ত শব্দ, ছোট বাচ্চা রাতে জেগে গেলে, নাক ডাকে এমন পার্টনার,অআরামদায়ক শোবার ঘর।

প্রতিদিন ব্যয়াম নাকরা

৫। অধিকাংশ সময় বসে থাকার অভ্যাসঃ-

শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে, শরীর অসুস্থ্য থাকে এবং সুন্দর জীবন অতিবাহন ব্যাহত হয়। ফলে ক্লান্তিবোধ হয়। শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘুম ভালো হয়।

 

নিম্নমানের খাদ্যতালিকাঃ

অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাবার বা অপুষ্টিকর খাবার শরীর সঠিক পরিমানে জ্বালানি বা পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না,ফলে শরীরের কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং ক্লান্তিবোধ হয়। চকলেট বার বা ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় সাময়িকের জন্য শক্তি উৎপন্ন করে,যা খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায় এবং ক্লান্তিবোধকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যায়।

 

পৃথক পৃথক ঘটনাবলীঃ

ব্যক্তিগত অসুস্থ্যতা বা ব্যাথা, পরিবারের কারও অসুস্থ্যতা,অতিরিক্ত বাধ্যবাধকতা,যেমন: দুটি চাকরি একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া,এগুলো ক্লান্তি বোধকে ত্বরান্বিত করে।

 

কর্মক্ষেত্রের কারণসমূহ:

১। শিফট কাজ:

মানব দেহ এমনভাবে তৈরী যে,রাতে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত। এই বৈশিষ্ট্য  মস্তিস্কের একটি ছোট অংশ,যা সারকাডিয়ান  ক্লক নামে পরিচিত, তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যারা শিফটিং কাজে নিয়োজিত তাদের সারকাডিয়ান  ক্লকে বিঘ্ন ঘটে এবং ঘুমে বিঘ্ন ঘটে।

২। কর্মক্ষেত্রের দূর্বল পরিবেশ:

কাজের সময় অনেক দীর্ঘ হলে, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শব্দ মানসিক বা কাজের চাপ বেশি হলে,বার বার কাজের সময় পরিবর্তন,একঘেয়েমি পরিবেশ,কারও সাথে কারও বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক না থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলো কান্তিবোধ সৃষ্টি করে।

৩। কর্মক্ষেত্রে চাপ:

কাজে অসন্তুষ্টি,অতিরিক্তি কাজের চাপ,

বাসা বা সহকর্মীর সাথে সু-সম্পর্ক না

থাকা -ইত্যাদি ক্লান্তিবোধ সৃষ্টি করে।

৪। বেকার:

আর্থিক চাপ,অকৃতকার্য হওয়া, অনেকদিন চাকুরি খুজে না পাওয়া ইত্যাদি থেকে মানসিক দুশ্চিন্তা,কষ্ট ও ক্লান্তিবোধ হয়।

৫। সাইকোলোজিক্যাল কারণ:

দেখা যায় সাইকোলজিকাল  শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে কারণে ক্লান্তি বোধ হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

- ডিপ্রেসন বা অবসাদ: অবসাদগ্রস্তদের প্রধান বৈশিষ্ট হলো অনেকদিন ধরে মন খারাপ করে থাকা এবং আশাহীনতায় ভোগা। আর  à¦…বসাদগ্রস্ত দীর্ঘসময় ক্লান্তি-তে ভোগে।

- দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ: যারা অনেকদিন ধরে চিন্তিত থাকে একবং শরীর মানসিক চাপ বহন করে তারই ক্লান্তিতে ভোগে।

দুঃখ: ভালবাসা হারিয়ে ফেললে ব্যক্তি জীবনে দুঃখ নেমে আসে,সে অবসাদগ্রস্থ হয়। নিতান্ত একা হয়ে যায় এবং ক্লান্তিতে ভোগে।

 

রোগ চিহ্নিত করণ: 

ব্যাক্তি বিশেষে বিভিন্ন ধরনের  লক্ষণ থাকে। এর কারনে রোগ চিহ্নিত করণ অনেকটাই কঠিন। তবে চিকিৎসকগণ রোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। যেমনঃ

রোগীর ইতিহাস: সমপ্রতি  ঘটনা। যেমন: বাচ্চা প্রসব, যে কোন অপারশেন বা অন্য কোন চিকিৎসা নিয়েছে কিনা তার ইতিহাস জেনে নিতে হবে।

শারীরিক পরীক্ষা:  শারীরিক কোন চিহ্ন আছে কিনা,তা চিকিৎসক দেখবেন এবং জীবন অতিবাহন খাদ্যাভাস সসম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন।

পরীক্ষাসমূহ: রক্ত,প্রস্রাব

29-06-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

স্মৃতিভ্রংশ (ডিমনেশিয়া)

 

স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়া হলে মানুষের দৈনন্দিন কার্যকরণের ক্রমাবনতি ঘটে। প্রধান কারণ হলো, এলঝেইমারস্‌ রোগ। তবে অন্যান্য কারণেও স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে, যেমন-পারকিনসন্স রোগ এবং হান্টিংটন্স রোগ। স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, ভ্রম, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, নিরুৎসাহ, নিজেকে গুটিয়ে রাখা ইত্যাদি উপসর্গগুলো প্রাথমিকভাবে দেখা দেয়।

 

যে কোন মানুষের ডিমেনশিয়া হতে পারে:

ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই বৃদ্ধ। তবে এও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, অধিকাংশ বৃদ্ধ লোকেরই ডিমেনশিয়া হয় না। ইহা বয়স বাড়ার কোন স্বাভাবিক অংশ নয় এবং যে কোন মানুষের হতে পারে। কিন্তু ৬৫ বছরের পর বেশী দেখা যায়।

 

প্রধান উপসর্গসমূহ:

o       ক্রমশ স্মৃতি লোপ

o       ভ্রম

o       ব্যক্তিত্ব ও আচরণের পরিবর্তন

o       নিরুৎসাহ

o       দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন ক্ষমতার লোপ

 

শ্রেণী বিভাগ ও কারণ:

বিভিন্ন প্রকার স্মৃতিভ্রংশ হয়। যেমন-

o       এলঝেইমারস্‌ রোগ-স্মৃতিভ্রংশ রোগের প্রধান কারণ হলো -অ্যালঝেইমারস্‌ রোগ (৫০-৭০%)। ইহা একটি ক্রমশ অধ:পতিত অসুখ যা মস্তিষ্কে আক্রান্ত করে।

o       রক্তসঞ্চালনজনিত স্মৃতিভ্রংশ-মস্কিষ্কে রক্ত সঞ্চালনজনিত সমস্যার কারণে স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে।

o       পারকিনসন্স রোগ- ইহা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্রমশ অসুস্থ্যতা বৈশিষ্ট্যগুলো-কম্পন, হাত ও পায়ের আড়ষ্টতা, উচ্চারণে বিঘ্ন ইত্যাদি। পারকিনসন্স রোগের শেষ পর্যায়ে এসে স্মৃতিভ্রংশ হয়।

o       এলকোহল সম্পর্কিত স্মৃতিভ্রংশ-অধিক পরিমাণে এলকোহল পানে স্মৃতিভ্রংশ হয়। এলকোহল পান থেকে বিরত থেকে ইহা প্রতিরোধ করা যায়।

o       এইডস সম্পর্কিত ডিমেনশিয়া -HIV ভাইরাসের কারণে হয়। কিন্তু সকল এইডস্‌ রোগীর স্মৃতিভ্রংশ হয় না।

o       হান্টিংন্স রোগ- ইহা একটি জন্মগত, অধ:পতিত মস্কিষ্কের রোগ যা শরীর ও মন উভয়র উপর প্রভাব ফেলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা দেয়।

 

রোগ নির্ণয়:

স্মৃতিভ্রংশ রোগ নিশ্চিতভাবে নির্ণয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্মৃতিভ্রংশ নির্ণয়-

o        à¦•à¦¿à¦›à§ অবস্থা  থেকে নিজেকে পৃথক করবে যা ডিমেনশিয়ার  উপসর্গ ভেবে ভুল হতে পারে। যেমন-অবসাদ, ব্যথা, অথবা সংক্রমণ।

o       যত দ্রুত সম্ভব ভবিষ্যত  পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তাতে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে সহায়তা করে।

o       আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারকে সহায়তায় কার্য্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করে।

 

ডিমেনশিয়ার ন্যয় অন্যান্ন রোগ

কিছু অবস্থা আছে যা স্মৃতিভ্রংশের মত উপসর্গ প্রদর্শন করে। এবং চিকিৎসা করালে তা প্রায়ই সেরে যায়। যেমন-

o       ভিটামিনের অভাব এবং হরমোনজনিত সমস্যা।

o       অবসাদ

o       ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

o       সংক্রামণ

o       মস্তিষ্কের টিউমার।

 

ডিমেনশিয়া কি জন্মগত?

বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া জন্মগত রোগ নয়। তবে কোন কোন রোগ জন্মগত হয়, যেখান থেকে ডিমেনশিয়া হতে পারে।

 

সাহায্যার্থে কি করা যায়?

অধিকাংশ ধরনের ডিমেনশিয়ারই এখন পর্যন্ত কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নাই এবং একেবারে ভালো হয়ে যায় না। তবে কিছু ঔষধ ও বিকল্প চিকিৎসার মাধ্যমে উপসর্গের  তীব্রতা কমানো যায়। স্মৃতিভ্রংশ মানুষের সাহায্য অত্যাবশ্যকীয়। পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সাহায্য তাকে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহায্য করে।

রোগের শুরুতেই সাহায্য পেলে তা পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করে।যেমনঃ-

ক) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা-

অর্থনৈতিক বিষয়াবলী ব্যবস্থাপনার জন্য, দলিলপত্রে স্বাক্ষর করা, কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা অভিভাবক হিসাবে কোন গুরুত্বপূর্ণ কার্যসম্পাদন করতে পারা।

খ) তথ্য পাওয়া-

স্মৃতিভ্রংশ সম্পর্কে জানা-কি অপেক্ষা করছে সামনে। জানা থাকলে তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধারণা দেবে।

গ) সাহায্যের আবেদন-

অন্যের সাহায্য তাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে।

ঘ) ব্যবহারিক সাহায্য-

বাড়িতে বা দিবা যত্ন কেন্দ্রে সাহায্যের ব্যবস্থা করলে তা ইতিবাচক পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।

 

যা মনে রাখতে হবেঃ

·        স্মৃতিভ্রংশ হলে একজন মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্ষমতার ক্রমাবনতি ঘটে।

·        স্মৃতিভ্রংশের অনেক কারণ রয়েছে। তারমধ্যে এলঝেইমার রোগ অন্যতম।

·        রোগটি জন্মগত নয়, তবে বয়স বাড়লে বেশি হতে দেখা যায়।

 

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

আপনার সমস্যা নিয়ে আলোচনা আপনাকে সহায়তা করে

আপনি যদি আপনার সমস্যা নিয়ে কথা না বলেন আপনি দেখবেন যে আপনার স্তুপীকৃত টেনশন কিংবা অনুভূতি এমন ভাবে হঠাৎ করে প্রকাশিত হয় যা হতাশাজনক কিংবা সঠিক নয়।

শিশু এবং টিনেজারগণ তাদের সমস্যা এবং দুশ্চিন্তা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসের সাথে কারো কাছে কথা বলতে পারে। শিশুরা পরিবারের সমস্যাবলী, স্কুল, ওষুধ এবং এলকোহল, কিংবা নির্যাতন নিয়ে হয়ত কথা বলতে চাইতে পারে।

আপনি কেমন অনুভব করছেন সে সম্পর্কে লোকজনের সাথে কথা বলা কঠিন হতে পারে। আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন যে তারা আপনার অনুভূতিগুলো সিরিয়াসভাবে গ্রহণ করবে না। এ ব্যাপারেও আপনি হয়ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকতে পারেন যে তাদের কাছে আপনার সমস্যাগুলো বলার পর কি ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

 

আপনি আস্থা রাখতে পারেন এমন কারো সাথে বললে ইহা সহায়ক  হতে পারে।

আপনি আস্থা রাখেন এমন কারো কাছে হতাশাজনক কোন কিছু সম্পর্কে কোন কিছু নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা আপনাকে সহায়তা করতে পারে:

 

·        সমস্যা হালকা করতে কিংবা সমস্যাটি আরো পরিষ্কারভাবে পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করতে।

·        সমস্যাটি নতুন কিংবা আলাদাভাবে দেখতে।

·        আপনার মধ্যে গড়ে ওঠা টেনশন থেকে মুক্তি দিতে পারে। যা সমস্যা সৃষ্টি করছে সেই পরিস্থিতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য উহা সহায়ক হতে পারে।

·        আপনি একা নন তা খুঁজে বের করতে। আপনি হয়ত দেখবেন যে অন্যান্য অনেক লোক আপনার  অনূভূতিগুলো শেয়ার বা ভাগাভাগি করছে।

·        পূর্বে আপনি ভাবেননি এমন কোন অপশন কিংবা সমাধান শনাক্ত করতে।

 

কথা বলার জন্য সঠিক ব্যাক্তিকে খুজুনঃ

যার সাথে আপনি কথা বলতে চান তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা একটি গুরুত্বপূর্ন প্রথম ধাপ। আপনার অনুভব করা  প্রয়োজন যে আপনি যার সাথে কথা বলতে যাচ্ছেন তার উপর আপনার আস্থা থাকতে হবে। বেশ কিছু সংখ্যাক পরামর্শদাতা আছেন যারা যুবকদের সাথে কিংবা পরিবারের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা আছে। বিশেষ এরিয়ায় তারা পরামর্শ প্রদান করতে পারেন, নিম্নে তা বর্ণিত হলো:

·        মানসিক স্বাস্থ্য

·        এলকোহল এবং অন্যান্য ড্রাগ

·        গর্ভবতীতা

·        পারিবারিক বিষয়সমূহ

·        স্কুল এবং ভবিষ্যৎ

·        নির্যাতন (দৈহিক, যৌন কিংবা আবেগ সংক্রান্ত নির্যাতন)।

 

আপনার অনুভূতি সমাধানের অন্যান্য পন্থা। 

আপনার অনভূতি প্রকাশের জন্য বিভিন্ন পন্থা খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ন। আপনার মধ্যে গড়ে ওঠা টেনশন মুক্ত করতে ইহা আপনাকে সহায়তা করতে পারে এবং শ্রেয়তর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সহায়তা করতে পারে। আপনি কিভাবে অনুভব করেন তা প্রকাশ করার বেশ কিছু সংখ্যক পন্থা বা উপায় আছে:

 

·        আপনি কিভাবে অনুভব করেন সে সম্পর্কে লিখুন- আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার একটি উপকারী বা দরকারী পন্থা হতে পারে। কিছু লোক ডায়েরী অন্যান্য জিনিস তাদের কাছে রাখে তাদের মাথায় যা-ই আসুক না কেন তা লিখে রাখার জন্য। আপনাকে যা-ই বিরক্ত করুক না কেন সে সম্পর্কে  আপনি চাইলে একটি গল্পও লিখতে পারেন।

·        খেলাধূলা করা-উপদ্রুব করার জন্য কিংবা রোমাঞ্জ অনুভব করার জন্য কিংবা চিৎকার করার জন্য খেলাধূলা আপনাকে অনেক সুযোগ প্রদান করতে পারে।

·        নিজে নিজে বা ছবি আকা স্কুলে ভর্তি হয়ে ছবি আকা শিখতে পারেন।

·        ম্যাগাজিন থেকে প্রীয় বিষয় কেটে নিয়ে সংগ্রহে রাখতে পারেন।

·        গান গাওয়া, গান শুনা বা নাচার অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন।

 

যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে:

 

১। আপনি যদি আপনার সমস্যা নিয়ে কথা না বলেন আপনি দেখবেন যে আপনার স্তুপীকৃত টেনশন কিংবা অনুভূতি এমন ভাবে হঠাৎ করে প্রকাশিত হয় যা হতাশাজনক ।

২। আপনার সমস্যা নিয়ে বিশ্বস্থ কারও সাথে কথা বললে তা আপনার মধ্যে গড়ে ওঠা টেনশন থেকে মুক্তি দিতে পারে।

 

 

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

আত্নসম্মান

 

আত্নসম্মান হলো আপনার নিজের সম্পর্কে আপনার বিচার বা মতামত। প্রত্যেকেই কখনও না কখনও আস্থাহীনতায় ভূগেন, তবে যেসব ব্যক্তির আত্নসম্মানবোধ কম তারা বেশিরভাগ সময়েই নিজেকে অসুখি ও দূর্ভাগা মনে করেন। আত্নসম্মান বোধ শক্তি কম হলে হতাশা ও দুশ্চিন্তা সহ আরও অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

 

নিজেকে আপনি যেভাবে বিচার করেন তাই আপনার আত্নসম্মানবোধ। যেসব ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে সম্মানবোধ ভালো তারা নিজেরা নিজেদেরকে ভালোবাসেন ও নিজেদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে জানেন। প্রত্যেক ব্যক্তিই বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আস্থাহীনতায় ভূগলেও যাদের নিজ সম্মানবোধ কম তারা বেশিরভাগ সময়েই নিজেকে অসুখি ও দূর্ভাগা মনে করেন। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আত্নসম্মানবোধ বাড়াতে দরকার মনোযোগ ও প্রতিদিন নিয়োমিত চর্চা করা।

 

যদি নিজ আত্নসম্মানবোধ উন্নতি করার ক্ষেত্রে আপনার কোন সমস্যা থাকে অথবা দূর্বল আত্নসম্মান বোধের কারনে সৃষ্ট হতাশা বা বিষন্নতার মত কোন রোগে ভূগে থাকেন তবে সে সম্পর্কে তথ্য, পরামর্শ ও অন্যত্র ভালো চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হউন।

 

দূর্বল আত্নসম্মানবোধের বিভিন্ন চরিত্র

 

আচরনগতভাবে একজন দূর্বল আত্নসম্মানবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি নিম্নরুপ হয়ে থাকেনঃ

নিজেরা খুব জটিল ধরনের হন

নিজেদের ইতিবাচক গুনাবলীগুলো কাজে লাগান না অথবা অবহেলা করেন

নিজের দৃষ্টিতে নিজেকে তুচ্ছ বলে গন্য করেন

নিজেদের সম্পর্কে বলতে সব সময় নেতিবাচক শব্দ যেমন- অপদার্থ, ভোম্বল, বিশ্রী বা বাজে ইত্যাজি ব্যাবহার করেন      

নিজে নিজেকে গালাগালি করে সব সময় নেতিবাচক ও জটিল সব কথাবার্তা বলতে থাকেন (একে  আত্তপ্রলাপ বলে)    

তারা সব সময়েই মনে করেন যা কিছু জীবনে তারা পেয়েছেন এর জন্য তাদের ভাগ্যই দায়ি, এতে তাদের নিজেদের কোন অবদান নেই  

সব কাজকর্ম ভূল হতে থাকলে তার জন্য আগপাছ কোন কিছু চিন্তা না করে বা এর জন্য দায়ি অন্যান্য ব্যক্তিদের আচরনের কথা অথবা আর্থিক ব্যাপারের কথা না ভেবে নিজেই নিজেকে গালাগাল দিতে থাকেন   

কোন ব্যক্তি তাদের সম্পর্কে ভালো কোন কথা বললে তারা তাকে বিশ্বাস করতে পারে না।

 

দূর্বল আত্নসম্মানবোধ ও জিবনের মূল্যবোধ

 

দূর্বল আত্নসম্মানবোধ বিভিন্নভাবে একজন ব্যক্তির জিবন সম্পর্কে তার মূল্যবোধ কমিয়ে দিতে পারে, যেমনঃ   

নেতিবাচক উপলব্ধি-

সব সময়েই নিজেকে গালমন্দ করতে থাকলে তার ফলে নিজের মধ্যে জেদি মনোভাব সহ দু:খ, হতাশা, উদ্বেগ, ক্রোধ, লজ্জা বা অপরাধবোধ জেগে উঠতে পারে।  

সম্পর্কের সমস্যা-

যেমনঃ  à¦¸à¦™à§à¦—ি তাদের সাথে অযাচিত আচরন করলেও তারা তাদের সব রকম অন্যায্য আচরন সহ্য করেন, কারন তারা বিশ্বাস করেন যেহেতু তাদেরকে কেউ ভালোবাসতে পারে না বা তারা ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য নয় তাই এসব মেনেও অবশ্যই তাদেরকে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব অর্জন করতে হবে। আবার উল্টো দিকে যাদের আত্নসম্মানবোধ কম তারা যে কোন সময়ে অন্যের প্রতি ক্রদ্ধ হয়ে উঠতে পারেন বা অন্যের সাথে মারামারিতে লেগে যেতে পারেন।           

চেষ্টা করতে ভয় পাওয়া-

এসব ব্যক্তি তাদের সামর্থ্য ও যোগ্যতা সম্মন্ধে সন্ধিহান তাই কঠিন পরিস্থিতি এরিয়ে চলেন।

ভূল শোধরানো -

কোন ব্যক্তি নিজের মধ্যে কোন দোষ বা ত্রুটি দেখতে পেলে তা  শোধরানোর জন্যএমনভাবে ব্যতিব্যাস্ত হয়ে ভূল শুধরে নিজেকে অতি-বিজয়ী হিসাবে জাহির করেন যাতে করে প্রকৃত অর্থে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ পায়।

অন্যের কথা শুনার বা নেতিবাচক মনোভাবের ভয় -

যেখানে অনেক মানুষ সমবেত হয় যেমন খেলাধুলা, বিনোদন বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মত আয়োজনে যাওয়া থেকে তারা বিরত থাকে কারন তাদের ভয় মানুষ হয়তো তাদেরকে ভালো চোঁখে দেখবে না। এসব ব্যক্তিরা অন্যদের কাছ থেকে সাবধানে এরিয়ে চলে ও নিজেকে কলুষিত বলে মনে করে এবং বার বার এমন সব কাজে জরিত হয় যার জন্য লোকজন তাদেরকে পছন্দ করতে পারে না।          

আস্থা কম থাকা -

কম আত্নসম্মান বোধ সম্পন্ন ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই নিজেদেরকে হতভাগা বলে ধরে নিয়েছেন ফলে তারা মনে করেন জিবনের কঠিন পরিস্থিতিগুলো মোকাবেলা করা তাদের পক্ষে খুবই কঠিন। 

নিজের প্রতি যত্ন নেয়ার অভাব -

এসব ব্যক্তিদের নিজের প্রতি যত্নের এত অভাব থাকে যে তারা নিজে নিজেকে অবহেলা করে নিজের নৈতিক স্খলন ঘটান, যেমন- অতিরিক্ত মদ পানে আসক্ত হন।  

আত্নসংহারমূলক আচরন -

দূর্বল আত্নসম্মানবোধ একজন ব্যক্তিকে তার নিজের জন্য ক্ষতিকারক সব কর্মকান্ডের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যেমন- খাওয়া দাওয়া গ্রহনে নিয়ম না মানা, নেশাগ্রস্থ হওয়া বা আত্তহত্যার দিকে ঝোকা।       

 

কারন সমূহ

দূর্বল আত্নসম্মানবোধের বহু কারনের মধ্যে কিছু কারন নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

১। বার বার সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া বা আর্থিক দৈন্যতার কারনে কঠিন জিবন পার করা; 

২। সঙ্গি-সঙ্গিনী, পিতা-মাতা বা অফিসের কারও কাছ থেকে বাজে ব্যাবহার পেলে বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের স্বীকার হলে,

৩। বার বার শারীরীক অসুখ বিসুখ যেমন স্থায়ী ব্যাথা, গুরুত্বর অসুখ বা শারীরীর পঙ্গুত্তের মত ইত্যাদি রোগে ভূগলে; 

৪। মানুষিক অসুস্থতা যেমন- দুশ্চিন্তা বা বিষন্নতার মত রোগে ভূগলে।

 

উল্লেখিত সমস্যাগুলোর জন্য সহায়তা নিন

 

জিবনে বার বার সমস্যা ও প্রতিকুলতার আঘাত নৈতিকতার স্খলন ঘটায় এবং এগুলোকে আত্নসম্মানবোধ জনিত সমস্যার সাথে সম্পর্কিত বলে ধরা যেতে পারে। সুতরাং সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া, উদ্বেগ দুশ্চিন্তা ও আর্থিক সমস্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।   

১। নিজে নিজের সাথে ইতিবাচক কথা বলুন -

নিজের সাথে এমনভাবে আচরন করুন যেন আপনিই আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। সহায়তাপূর্ন ও নমনিয় মনোভাব নিয়ে চলুন এবং পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করুন। কোন ভূল করে ফেলল তার জন্য নিজের উপর ক্রদ্ধ হবেন না।  

২। নিজে নিজের সাথে নেতিবাচক কথাবার্তাকে ভূল প্রমান করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হউন  -

আপনি সব সময়ে নিজে নিজের সমালোচনা করতে থাকেন, এই অভ্যাস থামান এবং আপনার এই সমালোচনা সত্যি কিনা তা জানতে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রমানের দিকে তাকান। (যদি আপনি মনে করেন যে আপনি বস্তুনিষ্ঠ হতে পারছেন না তাহলে আপনার কোন বিশ্বস্ত বন্ধুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে তার মতামত নিন)। তখন আপনি বুঝবেন নিজের সম্পর্কে আপনি যেসব নেতিবাচক কথাবার্তা বলতেন তার বেশিরভাগই ভূল।   

৩। অন্যের সাথে নিজের তুলনা করবেন না - একটি কথা মেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন যে, প্রতিটি মানুষই ভিন্ন ভিন্ন এবং প্রতিটি মানব জিবনের মূল্য নিহীত থাকে তার নিজ অধিকারের মধ্যে। কষ্ট হলেও নিজেকে মেনে নিতে স্বচেষ্ট হউন।       

 

৪। ইতিবাচক বিষয়গুলো গ্রহন করুন - উদাহরন স্বরুপ, কেউ প্রসংশা করলে তা উরিয়ে দেবেন না বা নিজের অর্জনকে ফাও ভাগ্য বলে দুরে ঠেলে দেবেন না অথবা নিজের ইতিবাচক গুনগুলোকে তুচ্ছ করে দেখবেন না।  

৫। আপনার বিশেষ বিশেষ গুনগুলোর কদর করতে শিখুন -

প্রতিদিন নিজেকে নিজের ভালো গুনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিন। এগুলোর একটি তালিকা তৈরী করুন এবং মাঝে মধ্যে তালিকার দিকে তাকান। (আপনার যদি মনে হয় আপনি আপনার সম্পর্কে ভালো কোন কিছু ভাবতে পারছেন না তাহলে এই বিষয়ে আপনার বিশ্বস্ত কোন বন্ধুকে বলে তালিকা তৈরীতে তার সহায়তা নিন।)     

৬। আগে যা হয়েছে ভুলে যান -

অতীতের ঘাত প্রতিঘাত ও হতাশা বঞ্চনার কথা মনে না রেখে বর্তমান জিবনের প্রতি মনোনিবেশ করুন। 

৭। প্রতিদিন নিজেকে একটি ভালো কথা বলুন -

বেশ কিছু   à¦‰à§Žà¦¸à¦¾à¦¹ উদ্দিপ্তকরন কার্ড কিনুন এবং প্রতিদিনের শুরুতে একটি করে নতুন কার্ড পড়ুন এবং কার্ডের বার্তা দিনের সার্বক্ষনিক সময়ে নিজের সাথে রাখুন।   

৮। দু:শ্চিন্তা বন্ধ করুন -

দু:শ্চিন্তা  হলো ভবিষ্যত সম্পর্কে ভয় বা অস্থিরতা। একটি কথা মেনে নিবেন- ভবিষ্যত দেখা বা ভবিষ্যত বদলানো আপনার পক্ষে সম্ভব নয় এবং আপনি এখন যেখানে যে অবস্থায় আছেন সেখানেই আপনার সকল চিন্তা ভাবনাগুলো ধরে রাখার চেষ্টা করুন।        

৯। আনন্দ মজা উপভোগ করুন -

প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে বিভিন্ন আনন্দঘন অনুষ্ঠান ও কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করুন।

১০। খোলাখুলি হউন -

অন্যের কাছে নিজের প্রয়োজন, দরকার, মনোভাববিস্তারিত

-->

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

নেতিবাচক আবেগ- নিয়ন্ত্রণ করার ইঙ্গিত

 

রাগ, বিষন্নতা, হিংসা এবং ঘৃণা  নেতিবাচক আবেগ হিসাবে অভিহিত, কারন এগুলোর প্রভাবে আপনার আত্ম বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনার নিজের সম্পর্কে এবং অন্যান্যদের সম্পর্কে আপনাকে হতাশ অনুভব করতে সহায়তা করে। নেতিবাচক আবেগ সমাধান করার কিছু সাধারন কৌশল আছে।

নেতিবাচক আবেগকে এমন কোন অনূভূতিতে বর্ণনা করা যেতে পারে, যা আপনাকে হতাশ এবং বিষন্ন করার কারন হয়। এই সব আবেগ আপনার নিজেকে এবং অন্যান্যদেরকে অপছন্দ করায়, এবং আপনার আত্মবিশ্বাস ছিনিয়ে নেয়।

যে সকল আবেগ নেতিবাচক হতে পারে তা হলো, ঘৃণা, রাগ বা মেজাজ, হিংসা এবং বিষন্নতা। তথাপি, সঠিক প্রসঙ্গে এই সব অনুভূতি সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক। নেতিবাচক আবেগসমূহকে আমরা আমাদের মধ্যে কত সময় প্রভাবিত করতে দেয় এবং কিভাবে এগুলোকে আমরা প্রকাশ করি তার উপর নির্ভর করে সেগুলো আমাদের জীবনের আনন্দ-ফূর্তিকে মলিন বা কর্দমাক্ত করে দিতে পারে।

 

নেতিবাচক আবেগসমূহ ধরে রাখার ফল হলো ক্রমাগতভাবে নিচের দিকে  প্রবাহিত হওয়া।

নেতিবাচক আবেগসমূহ আমাদের চিন্তা শক্তি থামিয়ে দেয় এবং যুক্তিসংগত আচরনে বাধা সৃষ্টি করে এবং পরিস্থিতি সমূকে এগুলোর সত্যিকার অবয়বে বা দৃশ্যে বা উদ্দেশ্যে দেখতে বাধা সৃষ্টি করে।  এই সকল যখন ঘটে তখন আমরা যা দেখতে চায় তখণ তা-ই দেখার প্রবণতা জাগে এবং যা আমরা স্মরন করতে চায় কেবলমাত্র তা-ই স্মরন করার প্রবণতা দেখায়। ইহা কেবলমাত্র রাগ বা জেদ কিংবা দু:খকে দীর্ঘায়িত করে এবং জীবনকে উপভোগ করা থেকে বিরত রাখে।

এইগুলো যত দীর্ঘায়িত হবে আপনার সমস্যাও তত সুপ্রতিষ্টিত হবে।   অযথাযথভাবে নেতিবাচক বা নেগেটিভ আবেগ নিয়ে কোন কিছু সম্পন্ন করতে গেলে তা ক্ষতিকর হতে পারে।

 

আবেগ জটিল প্রতিক্রিয়া

আবেগ হলো মনস্তাত্ত্বিক (যা আমরা চিস্তা-ভাবনা করি) এবং জীব বিদ্যা m¤^Üxq (যা আমরা অনুভব করি)। হরমোন এবং কেমিক্যাল অবমুক্ত করে আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক আমাদের চিন্তা-ভাবনায় সাড়া দেয়, যা উত্তেজনা বা জাগরিত অবস্থার মধ্যে আমাদেরকে প্রেরণ করে। হোক তা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক সকল আবেগ এভাবেই আসে।

ইহা একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং নেতিবাচক অনুভূতি সমাধান করার দক্ষতা আমাদের নেই। তাই যখন আমরা এগুলোর মুখোমুখি হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।

 

কিভাবে নেতিবাচক আবেগসমূহ সমাধান করবেন

নেতিবাচক আবেগসমূহ সমাধান করার বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ কৌশল আছে। এগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

·        আপনার মনে বারবার ঐ জিনিসগুলো  রেখে জিনিসগুলোকে অনুপাতের বাইরে প্রবাহিত দেবেন না।

·        বাস্তব সম্মত হতে চেষ্টা করুন-ইহা গ্রহণ করুন যে বাজে অনুভূতি কদাচ বা খুবই অনিবার্য বা এড়ানো যায় না এবং আপনার নিজেকে শ্রেয়তর করতে বিভিন্ন উপায়ের কথা ভাবুন।

·        রিলাক্স করুন- পড়া, হাঁটা এবং বন্ধুর সাথে আলাপ-আলোচনার মত আমোদজনক কার্যক্রম ব্যবহার করুন।

·        শিক্ষা নিন- কিভাবে দু:খ, লোকসান এবং রাগ বা জেদ আপনাকে অনুভব করায় তা লক্ষ্য করুন এবং যাতে আপনি আগাম প্রস্তুত হতে পারেন তার জন্য কোন ঘটনাসমূহ ঐ সব অনূভূতি বা ফিলিংসের জন্ম দেয় তা লক্ষ্য করুন।

·        অনূশীলন করা- শরীর চর্চা কার্য আপনার চাপের মাত্রা হ্রাস করে এবং নেতিবাচক আবেগসমূহের সাথে অপেক্ষাকৃত উত্তম নিয়ন্ত্রণে  বা পরিচালনায় আপনাবে সক্ষম করে।

·        অতীত থেকে সরে আসুন- অবিরামভাবে নেতিবাচক ঘটনাসমূহ কাছে টানলে আপনাকে বর্তমান থেকে দূরে সরিয়ে রাখে এবং তা আপনাকে বাজে কিছু অনুভব করাবে।

 

যে সকল জিনিস মনে রাখতে হবে তা হলো

 

·        সঠিক প্রসঙ্গে রাগ বা জেদ, দু:খ, বিষন্নতা কিংবা হিংসা  স্বাভাবিক|

·        নোতিবাচক আবেগসমূহ আপনার মধ্যে দীর্ঘ সময় বিদ্যমান থাকলে তা আপনার জীবনের আনন্দ থামিয়ে দিতে পারে।

·        বিদ্যমান নেতিবাচক অনুভূতিসমূহ  নিয়ন্ত্রণ বা  সংযত করতে  নিয়ন্ত্রণ কৌশল সহায়তা করতে পারে।

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

অবসাদ - সিজেনাল এফেকটিভ ডিসঅর্ডার :

 

প্রচন্ড শীতের মাসে যে অবসাদ দেখা যায়- সিজেনাল এফেকটিভ ডিসঅর্ডার বাএসএডি।  à¦šà¦¿à¦•à¦¿à§Žà¦¸à¦¾à¦° মধ্যে আছে - এন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষুধ, সাইকোথেরাপি ও ফটোথেরাপি উজ্জল আলোকে চিকিৎসা। একে ঋতুকালীন অবসাদ বা শীতকালীন অবসাদ ও বলা হয়। যে সব দেশে প্রচন্ড সূর্যের তাপ থাকে সেদেশে এসএডি  à¦•à¦® হয় -যেমন অস্ট্রেলিয়া। সাধারণত বসন্তে তারা ভাল অনুভব করে।

এসএডি র সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যেহেতু অবসাদ সাধারণত শীতকালে বেশি হয় তাই কোন কোন ডাক্তার মনে করেন সূর্যের অনুপস্থিতি কোন কোন মানুষের ব্রেইনের রসায়নে পরিবর্তন ঘটায়।

 

তবে যে সব ফ্যাক্টর দায়ী তা হল :

১। সূর্যের আলোতে  জিনের প্রভাব :

কিছু প্রাণী যেমন- ভাল্লুক শীতকালে শীতনিদ্রায় থাকে। গবেষনায় দেখা যায়- সূর্যরশ্মির স্বল্পতা মানুষের  উপরও প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, কেউ কেউ অন্যদের থেকে একটু বেশিই  আক্রান্ত হয়। এটা সাধারণত জীনের সমস্যার জন্য হয়।

২। সার্কাডিয়ন রিদম :

এটা ব্রেনে বিদ্যমান এবং দেহের ঘুমন্ত ও জাগ্রত অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। এ নিয়ন্ত্রণ সূর্য রশ্মির উপর নির্ভর করে। কোন কোন লোকের ক্ষেত্রে দিনের স্বল্পতা সার্কাডিয়ান বিস্তারিত

-->

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

সিজোফ্রেনিয়া

 

সিজোফ্রেনিয়া হলো এমন একটি রোগ যা মানুষের মস্তিস্কের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করে, অর্থাৎ মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা, অনুভুতি ও কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়। এটি এক ধরনের মানসিক রোগ। সারা বিশ্বে শতকরা ১ জন লোক নিজ জীবনে কখনও কখনও এই রোগে আক্রান্ত হয়। সঠিক চিকিৎসা না হলে সিজোফ্রেনিয়ার রোগীর যে সব লক্ষণ দেখা দেয় তাকে সাইকোসিস বলে। এমতাবস্থায, রোগী তার চারপাশে সম্পূর্ণ ভিন্ন জগৎ দেখতে পায়, যা তাকে ভীত করে বা ডিস্টার্ব করে। সে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে যা তার স্বাভাবিক জীবন-যাপনকে Aস্বাভাবিক করে তোলে। কেউ কেউ এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও অনেকে দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগে থাকেন।

সাইকোসিসের লক্ষণসমুহ :

§        দ্বিধাগ্রস্থ বিক্ষিপ্ত চিন্তা

§        ডিলিউশন- ভ্রান্ত বিশ্বাস

§        হ্যালুসিনেশন- রোগী এমন কিছু দেখে, শুনে বা গন্ধ পায় যা বাস্তবে নেই।

 

 

রোগের কারণ :

এর প্রকৃত কারণ জানা যায় নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে জন্মগত বা বাংশগত সম্পর্ক থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং বিছু কিছু ঔষধের কারণে (মারিজুয়ানা) ঔসব রোগীদের ক্ষেত্রে (যাদের জন্মগতভাবে রোগ হবার সম্ভাবনাময়) এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে দেখে যায়।

চিকিৎসা :

যেহেতু রোগের প্রকৃত কারণ সঠিকভাবে নির্নিত হয়নি, তাইসম্পূর্ণ চিকিৎসাও এখনও অনাবিষকৃত রয়ে গেছে। তবে পূর্বের চেয়ে বর্তমানে চিকিৎসার ফলাফল অনেক অনেক ভাল। যত দ্রুত মানসিক চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া যায়, তত দ্রুত ও তত বেশি উন্নতি লাভ করা যায়।

চিকিৎসা করে রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল না হলেও রোগের লক্ষণগুলি থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।

·        ঔষধ মস্তিস্কের রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

§        পারিপার্শ্বিক সাহায্য সহযোগীতা- কাউন্সেলিং, সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান, সঠিক কাজ, যথাযথ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ একই ধরনের রোগীর দ্বারা মানসিক উন্নতি।

ঔষধের পাশাপাশি পরিবেশ আশেপাশের মানুষজন, শিক্ষা, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির গুরুত্ব অনেক বেশি।

 

যা মনে রাখতে হবে :

§        সিজোফ্রেনিয়া মস্তিস্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম, চিন্তা, অনুভূতিকে পরিবর্তন করে দেয়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির কাজে এই পৃথিবী অন্যদের থেকে ভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়।

§         à¦°à§‹à¦—ীর সাইকোসিস হয়, যার লক্ষণ হল রোগী এমন কিছু শুনে, দেখে, গন্ধ বা স্বাদ পায় বা এমন চিন্তা করে বা মনে করে যা বাস্তবে নেই।

§        সঠিক চিকিৎসা ও পারিপার্শ্বিক সহায়তা পেলে রোগী অনেকটাই রোগ লক্ষণ মুক্ত থাকতে পারে।

 

 

 

 

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

সন্তান প্রসবের পর বিষন্নতা

 

 

 

বিবাহের পর সন্তান লাভ প্রতিটি দম্পতিরই কাম্য। দীর্ঘ নয় মাস গর্ভে ধারণ করার পর সন্তানের জন্মদানের পর মা এর সাথে সাথে পুরো পরিবারেই আনন্দের বন্যা বয়ে আসে। কিন্তু কখনও কথনও দেখা যায়, সন্তান প্রসবের পর মা এর মনে প্রচন্ড এক বিষন্নতা হয়-মেডিকেলের ভাষায় যার নাম -পোস্টন্যাটাল ডিপ্রেশন।

          সন্তান জন্ম দেবার কিছুদিন বা কয়েক সপ্তাহ বা মাস খানেক পরে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভকালীন বিষন্নতা দেখা দেয়, যাকে বলে এন্টিনেটাল ডিপ্রেশন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা এমনিতেই চলে যায়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা মারাত্মক মানসিক সমস্যার রূপ নেয় এবং পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। এ অবস্থায় চিকিৎসা ও মনোবল দরকার।

 

লক্ষণ নির্ভর করে রোগের মাত্রার উপরঃ  গবেষনায় দেয়া যায় শতকরা ১৫% মহিলা অর্থাৎ প্রতি ৮ জন মা এর মধ্যে ১ জনের এ ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। হঠাৎ করে অথবা ধীরে ধীরে এই বিষন্নতা তৈরী হতে পারে। বিষন্নতা তৈরী হতে পারে।

 

বিষন্নতার মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের লক্ষণ দেখা যায়। যেমন-

-         মানিসক দৃঢ়তা, মনোবল, আত্মনির্ভরশীলতায় ঘাটতি।

-         অপরাধবোধ, অপূর্ণতাবোধ।

-         জীবন অর্থহীন মনে হয়, দুঃশ্চিন্তা হয়।

-         সমাজ ও পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট।

-         অল্পতেই উত্তেজিত, ivMvwš^Z বা কান্না আসা।

-         ঘুমের সমস্যা, ঘুমের সময় পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া।

-         উদ্বিগ্নতা, প্যানিক এটাক, বুক ধড়ফড় করা।

-         ক্ষধা কমে যাওয়া, যৌন চাহিদা কমে যাওয়া।

-         কোন কিছুতে মনোসংযোগের অভাব, আগ্রহের অভাব।

-         যৌবন শেষ হয়ে গেছে, নিজের প্রতি অন্যের আগ্রহ কমে গেছে -এমন বোধ হওয়া।

যে কারণে এমন হয়ঃ

এর প্রকৃত কারণ সঠিকভাবে নির্ণয় হয়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় এতে ভূমিকা রাখে। যেমনঃ

শারীরিক পরিবর্তনঃ

সন্তান প্রসব শরীরের উপর চাপ ফেলে। তাছাড়া সন্তান প্রসবের পর শরীরে প্রেগন্যান্সি বা গর্ভকালীন হরমোন হঠাৎ করে হ্রাস পায়। বাচ্চার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত -এ নানাবিধ কারণে বিষন্নতা তৈরী হয়।

মানসিক/আবেগের পরিবর্তনঃ

নতুন শিশুর সাথে সম্পর্ক তৈরী, মাতৃত্ব অনুভূতি, ¯^vgxi সাথে পরিবর্তিত আচরণ, নিজস্ব  ¯^vaxbZv, চলাফেরা, ঘুম ইত্যাদি সন্তানের কারণে পরিবর্তিত হওয়া এ সব কিছুই মানসিক বিষন্নতা তৈরী করতে পারে।

সামাজিক চাহিদাঃ

সমাজ, আত্বীয়-স্বজন, মুরুব্বী সবাই নতুন মা থেকে অধিক যত্ন, পরিবর্তিত আচরণ আশা করে। বন্ধু বান্ধবের সান্নিধ্য, খেয়াল খুশি মত চলা ফেরায় বাধার সৃষ্টি করে। হঠাৎ এ ধরণের চাপ বিষন্নতা সৃষ্টি করে।

পোস্ট ন্যাটাল ডিপ্রেশনের প্রভাবঃ

স্বামী খুবই আন্তরিক, সহযোগী মনোভাব সম্পন্ন ও দায়িত্বশীল হলেও পি, এন, ডি হতে পারে। সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এমন হতে পারে যে, এই সম্পর্ক আর আগের মত হবে না। তাছাড়া কখনও কখনও মা নিজেকে সমাজ থেকে এমনিক বাচ্চা থেকেও দূরে রাখতে চায়। এটি মূলত বিষন্নতার প্রভাব। যদিও অনেকে মনে করে যে মা ভাল না, মা এর ভালবাসা কম, কিন্তু তা ঠিক নয়।

তাই এই অবস্থায় জীবনের কোন বড় সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। সমাজ, পরিবার ও জীবন সঙ্গীকেও ব্যাপারটি অনুধাবন করতে হবে। কিছু সময় পার হলে যখন পি, এন, ডি কেটে যাবে, তখন মা আবার  আগের রূপে ফিরে আসবে।

স্বামী ও স্ত্রীর করণীয়ঃ

এই রোগে অর্থাৎ পিএনডি র  প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের মধ্যেও বিস্তার লাভ করে এবং যখন দুজনই  à¦ªà¦¿à¦à¦¨à¦¡à¦¿ -তে ভোগে তখন, তাদের মধ্যকার দাম্পত্য সম্পর্ক চরম খারাপ পর্যায়ে চলে যায়। তাই দম্পতিযূগলকে যে যে বিষয় মনে রাখতে হবে তা হলঃ

-         পি, এন, ডি সম্পর্কিত জ্ঞান নিতে হবে, বুঝতে হবে।

-         বুঝতে হবে যে, তাদের এই সমস্যা পি, এন, ডির জন্য অন্য কিছু নয়।

-         নিজেদের মধ্যেকার যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

-         অন্যের আচরণকে সহজভাবে নিতে হবে, তাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে।

-         বিষন্নতা কাটানোর বৈজ্ঞানিক উপায় যেমনঃ রিলাক্সেশন, শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া, ব্যায়াম ইত্যাদি অনুশীলন করতে হবে।

-         মাঝে মাঝে বাচ্চা ছাড়া নিজের বাইরে কিছুক্ষণ সময় কাটানো।

 

সঙ্গী বা সঙ্গীনীর করণীয়ঃ

-         ধৈর্য্যশীল হওয়া, আন্তুরিক হওয়া।

-         মন দিয়ে, গুরুত্বের সাথে তার কথা শোনাবিস্তারিত

-->

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

প্যানিক এটাক

 

 

প্যানিক এটাক -এর অন্য নাম এংজাইটি এটাক -যা সাময়িক প্রচন্ড উত্তেজনা বা উদ্বিগ্নতা বা প্রচন্ড ভয়ের ফলে দেখা দেয় ও শারীরিকভাবেও ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে হৃদস্পন্দন প্রচন্ডভাবে বৃদ্ধি পায়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হয়, মাথা ঝিম ঝিম করে, ভয়ে পা কাঁপতে থাকে ও মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়। এই সমস্যা হঠাৎ করেই, অনাকাঙ্খিতভাবে এমনকি কোন বাহ্যিক কারণ ছাড়াই হতে পারে। এটি সাধারণত খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয় তবে এর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব কয়েক ঘন্টাও থাকতে পারে।

          এ ধরনের সমস্যায় অনেকেই জীবনেই ঘটে থাকতে পারে। গবেষনায় দেখা যায় যে, এক তৃতীয়াংশ ব্যাক্তি জীবনে কখনও না কখনও এ ধরণের প্যানিক এটাকের ¯^xKvi হয়েছেন। এই সমস্যা সাধারণত এমনিতেই কেটে যায়, তবে যদি কারও বার বার হয়, তাহলে তার স্বাভাবিক  à¦•à¦¾à¦œà¦•à¦°à§à¦®, চলাফেরা বাধাগ্রস্থ হতে পারে।

 

প্যানিক ডিসঅর্ডারঃ

অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যখন সে অসুস্থ থাকে বা প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকে তখন তার প্যানিক এটাক হয়। কিন্তু যদি এটি বার বার হতে থাকে, তখন তাকে প্যানিক ডিসঅর্ডার বলা হয়। এটি এক ধরণের মানসিক সমস্যা এবং ব্যক্তি  এ ধরণের এটাকের ভয়ে ভীত থাকে।

 

লক্ষণসমূহঃ প্যানিক এটাকে লক্ষণসমূহ হল-

-         প্রচন্ড রকমের  বিপদ, শংকা।

-         উদ্বিগ্নতা ও অসংলগ্ন কথা বলা।

-         মরে যাবার ভয়ে, পাগল হয়ে যাবার ভয়।

-         অস্থিরতা, মাথা ফাকা ফাকা মনে হওয়া।

-         হাত, পা কাঁপা, ঝিম ঝিম করা।

-         প্রচন্ড ঘাম, পা কাঁপা, মুখ চোখ গরম হয়ে উঠা।

-         বুকের মধ্যে চাপ অনুভব করা, হৃদকম্পন বেড়ে যাওয়া

-         শ্বাসকষ্ট, শ্বাসের গতি বৃদ্ধি পাওয়া।

-         মুখ শুকিয়ে আসা, বমি বমি ভাব।

-         মাংসপেশী শক্ত হয়ে উঠা।

-         চারপাশের পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন অনুভব করা, সব কিছু অবাস্তব মনে হওয়া।

 

কারণঃ  à¦¯à¦–ন মানুষ হঠাৎ কোন বিপদে পড়ে তখন শরীরে কিছু রাসায়নিক পদার্থ তৈরী হয় যা তাকে ঐ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য সাহায্য করে। যেমন- হঠাৎ সাপ দেখলে লাফ দিয়ে বা দৌড়ে পালানো। এড্রেনালিন হরমোন এর অন্যতম। এই হরমোনের প্রভাবে হৃদকম্পন বেড়ে যায়, শ্বাস দ্রুত হয় অর্থাৎ শরীরকে পালাতে সহায়তা করার

বিষয়গুলি তৈরী হযে যায়।

কিন্তু প্যানিক এটাকে কোন বিপদ ছাড়াই হঠাৎ এই ধরণের ভয় হয় ও রাসয়নিক পদার্থ তৈরী হয় এবং তা ঘুমের সময় বা টিভি দেখার সময়ও হতে পারে। যে সব ক্ষেত্রে এ ধরণের সমস্যা হতে পারে-

- ক্রনিক (দীমেয়াদী) স্ট্রেস

- একিউট স্ট্রেস

- অভ্যাসগত দ্রুত প্রশ্বাস

- প্রচন্ড শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম।

- অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন (চা, কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত উত্তেজক পানীয়) গ্রহণ

- কিছু শারীরিক অসুস্থতা।

- গরম, গুমোট, ভীড়যুক্ত পরিবেশ।

- এলকোহল, ঘুমের ঔষধ।

 

করণীয়ঃ

এ ধরণের সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে। কেননা এ ধরণের সমস্যা কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য হতে পারে। যেমন- ডায়বেটিস, হাপানী, মধ্যকর্নের প্রদাহ, হাইপার থায়রয়েডিজম, হার্টের অসুখ, সন্তান প্রসবের পরবর্তি হাইপার থায়রয়েডিজম ইত্যাদি। এ ছাড়াও প্যানিক এটাক কমাবার জন্য কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেমন-

-         নিজের এই সমস্যার দিকে খুব বেশি নজর না দেয়। বার বার প্যানিক এটাকের ভয়, যেন না হয়, ভয় পাব না পাব না ইত্যাদি মনে করলে  বার বার হবার সম্ভবনা বেশি হয়। তাই এসব করা যাবে না।

-         নিজেকে বোঝাবার চেষ্টা করুন যে, এ ধরনের প্যানিক এটাকে সাময়িক অসুস্থ্যতা বোধ হয় কিন্তু শারীরিক কোন ক্ষতি হয়নি এবং হয় না। তাই অতি দুঃশ্চিন্তার কোর কারণ নেই।

-         বার বার নিজ সমস্যার কথা চিন্তা না করে ভিন্ন দিকে চিন্তা প্রবাহিত করুন।

-         এ ধরণের সমস্যায় অস্থির না হয়ে বসে থেকে দেখুন কয়েক মিনিটেই সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এতে আত্মপ্রত্যয় বাড়বে।

 

চিকিৎসাঃ

যদি কোন রোগের জন্য এ সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে ঐ রোগের চিকিৎসা করা আর যদি উদ্বিগ্নতার কারণে হয় (এংজাইটি ডিসঅর্ডার) সে ক্ষেত্রে

-         ঔষধ

-         সাইকোথেরাপী

-         স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টেকনিক অবলম্বন

-         সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার কৌশল

-         রিলাক্সেশন টেকনিক

-         ব্যায়াম, ঘুম, খাদ্যাভ্যাস এর পরিবর্তন

-         সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করতে হবে।

 

 

 

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

Depression (অবসাদ)

 

অবসাদ এমন একটা বিষয় যার ফলে মনে হতাশা ও বিষন্নতায় ভরপুর থাকে। শুধুমাত্র মন খারাপ মানেই অবসাদ নয়। ঔষধ এবং মানসিক কাউন্সিলিং দ্বারা অবসাদের চিকিৎসা করান যায়। সকলেরই মন খারাপ হয়, যখন সে কিছু হারায় বা দুঃখ পায়।কিন্তু যখন তা মারাত্বক রুপ নেয়, স্বাভাবিক কাজ কর্ম ব্যহত হয়, তখন তাকে অবসাদ বলা হয়। এটা খুবই মারাত্মক রোগ। এর ফলে ব্রেনের ভারসম্য নষ্ট হয়।

            অবসাদ গ্রস্থতা খুবই স্বাভাবিক| প্রতি চারজন মহিলার একজন এবং প্রতি ছয় জন পুরুষের একজন তাদের জীবনের কোন না কোন ক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্ত হয়। কেবল মাত্র ২০ শতাংশ ব্যক্তি সঠিক ভাবে চিহ্নিত হয়।

 

উপসর্গ সমূহ :

একজন লোক অবসাদগ্রস্থ হয় যখন -

o       সে দুঃখ অনুভব করে, দুঃখ পায়।

o       বেশির ভাগ সময় নিঃসঙ্গ থাকে।

o       যে সমস্ত বিষয়ে আগে আনন্দ পেত সে সমস্ত বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

o       উপসর্গ সমূহ দুই সপ্তাহের বেশী স্থায়ী হয়।

অবসাদের উপসর্গ বিভিন্নরকম হতে পারে। প্রত্যেকেরই বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু উপসর্গ গুলো যখন ভয়াবহ এবং দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। তখন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় -

·        ধীর গতি বা অস্থির ভাব।

·        কর্তব্যে অবহেলা এবং নিজের প্রতি উদাসীন।

·        পরিবার ও সঙ্গ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া।

·        হতাশা ও দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পরা।

·        কোন কিছুতেই আনন্দ লাগে না।

·        অস্বাভাবিক ব্যবহার।

·        অবসাদগ্রস্তকে অস্বীকার করা।

·        অনিশ্চিয়তায় ভুগতে থাকা।

·        আত্ম নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়া।

·        আত্মহত্যার চিন্তা স্থায়ী হওয়া।

·        না বোধক চিন্তা/কথা যেমন - আমি পারব না, এটা আমার ভূল, বেঁচে থেকে কি লাভ?

·        বিষন্নতা, নিরাশা এবং রিক্ততা।

·        নিজেকে দোষী ভাবা।

·        স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশী ঘুমানো।

·        সব সময় দুর্বল লাগা।

·        অকারণে মাথা ব্যাথা, পিঠে ব্যাথা।

·        হজমে সমস্যা, বমি বমি ভাব।

·        ক্ষুধামন্দা / খাইতে ইচ্ছা না করা।

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

অবসাদ কাটিয়ে উঠা :

 

সুস্থ্য জীবন যাপনের জন্য ডিপ্রেশন অবসাদ আবশ্যিকভাবে কাটিয়ে উঠা দরকার। কিন্তু যদি এতে খুব দ্রুত হস্তক্ষেপ করা হয়, তাহলে এর মাত্রা ও লক্ষণ সমূহ আরও খারাপ হয়ে দেখা দেয়। অবসাদ কাটিয়ে উঠতে  à¦¸à§à¦¬à¦¾à¦¸à§à¦¥à§à¦¯ সম্মত জীবনযাপন, পুষ্টিসম্মত খাবার এবং ঘুম সাহায্য করে। তবে, মারাত্মক অবসাদের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন। অবসাদকে ট্যাকল্‌ করার জন্য প্রয়োজন যত দ্রুত সম্ভব লক্ষণসমূহকে চিহ্নিত করা এবং সেগুলো যেন মারাত্মক পর্যায়ে না যায়, সেদিকে নজর দেয়া।

 

অন্যদের সাথে কার্যক্রম সম্পাদন:

যখন একজন ডিপ্রেশনে ভূগেন, তখন সে দেখবে যে যে কাজগুলোতে সে আগের অনেক আনন্দ পেত, এখন সেগুলোতে আর আনন্দ পায় না। তখন তার মনে হয়, এ কাজগুলোতে হয়তো সে আনন্দ পাবে না, অথচ যদি সে কাজগুলো করত, দেখতো যে তার ধারনার চেয়েও অনেক বেশি আনন্দ পাচ্ছে। যদি কাজ আনন্দের সাখে করা না যায় তাহলে ডিপ্রেশন থেকে সেরে উঠা কঠিন হয়। এজন্য আনন্দের সাথে কার্যক্রম বাড়াতে হবে।

o       যে কাজগুলো করতে আনন্দ পাবে, সেগুলোর সংখ্যা বাড়াতে হবে।

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

কগ্‌নেটিভ বিহেভিয়ার †_ivwc(CBT)

কগ্‌নেটিভ বিহেভিয়ার থেরাপী (CBT) এক প্রকার  মনোচিকিৎসা যা মানুষের অপকারী ও অসুস্থ চিন্তার অভ্যাস, অনুভূতি ও আচরণ পরিবর্তনে সহায়তা করে। দুশ্চিন্তা, অবসাদ হীনমন্যতা, নিয়ন্ত্রনহীন রাগ, কোন খারাপ বস্তুতে আসক্তি ও অন্যান্য সমস্যার  à¦šà¦¿à¦•à¦¿à§Žà¦¸à¦¾à§Ÿ CBT  à¦¦à§‡à¦“য়া যেতে পারে। সাইকোথেরাপী বা মনোচিকিৎসা হলো আবেগীয় ও মানসিক সমস্যার এক ধরনের চিকিৎসা। এখানে রোগী একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ,  মনোবিদ বা পরামর্শদাতার সাথে কথা বলে।

CBT ব্যবহারের আওতা:

  • দুশ্চিন্তা
  • দুশ্চিন্তাঘটিত পীড়া যেমন- সামাজিক ভয়।
  • অবসাদ
  • হীনমন্যতা
  • নিয়নস্ত্রণহীন রাগ
  • অহেতুক ভয়।
  • আসক্তি-যেমন-ধুমপান, এলকোহল পান, নেশা জাতীয় ঔষধ ইত্যাদি।
  • নিদ্রাহীনতা
  • বিবাহ বা সম্পর্ক সমস্যা
  • শিশু বা বয়ঃসন্ধিকালের আবেগ ও আচরণগত সমস্যা।

এ ছাড়াও আরো অনেক মানসিক সমস্যায় CBT ব্যবহৃত হয়।

 

চিন্তা, অনুভূতি ও আচরনের সমন্বয়ে মানুষের জীবনমাণ উন্নয়নে উৎসাহিত করাই হলো CBT  à¦à¦° প্রধান দর্শন।

যেমন - কেউ যদি চিন্তা অন্যরা তাকে সবসময় বিরক্তিকর ও বোঝা হিসেবেই চিহ্নিত করে, সেখান থেকে অত্যন্ত লজ্জাশীলতা তৈরী হতে পারে যা সামাজিক ভয় পর্যবশিত হয়। এই বিশ্বাসের ফলে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে সে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন অনুভব করে। তখন তার তোতলামো, ঘেমে যাওয়া এবং অন্যান্য অস্বস্থিকর  à¦‰à¦ªà¦¸à¦°à§à¦— দেখা দেয়।

নিজের চিন্তা, অনুভূতি ও আচরণ সমূহকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এটা বোঝানোই  হলে CBT  à¦à¦° লক্ষ্য

CBT  à¦¦à§à¦Ÿà¦¿ প্রয়োগ কৌশলের সমন্বয় :

CBT  à¦…সহযোগীতামূলক ও অসুস্থ চিন্তা ও আচরণসমূহের পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দেয়। ইহা দুই ধরনের চিকিৎসার সমন্বয় :

কগ্‌নেটিভ থেরাপী বা জ্ঞানগত চিকিৎসা এবং বিহেভিয়ার থেরাপী বা আচরণগত চিকিৎসা। উভয়ে প্রয়োগ কৌশলের মৌলিক বা বিশ্বাস হলো সুস্থ চিন্তার মাধ্যমে সুস্থ অনুভূতি ও সুস্থ আচরণ তৈরী।

কগ্‌নেটিভ থেরাপী:

ত্রুটিযুক্ত ও বিকৃত চিন্তা ধ্বংসাত্বক অনুভূতি ও আচরণ তৈরী করে। যেমন - যদি কেউ চিন্তা করে যে, সে প্রেমে ব্যর্থ ও সামাজিকভাবে অসম্মানীত এবং লাজুক আচরণ করে, তাহলে এই ত্রুটিযুক্ত চিন্তার বিরুদ্ধে কগ্‌নেটিভ থেরাপী কাজ করে। কয়েকটি কৌশল আছে। একটি কৌশল-রোগীকে কিছু প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে বলুন যে, তিনি ভালবাসার উপযুক্ত নয়। তাকে বুঝিয়ে বলুন বন্ধু বান্ধব, পরিবার, সমাজের অনেকেই ভালবাসে এবং তাদের সম্মান করে। এই উদাহরণগুলো তাকে বাস্তবতা করতে ও তার মিথ্যা বিশ্বাস দুর করতে সাহায্য করে। একে কগ্‌নেটিভ থেরাপী বলে। রোগী ত্রুটিযুক্ত চিন্তাগুলোকে চিহ্নিত করতে পারেন এবং তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন। বিকৃত চিন্তার পরিবর্তে অধিকতর বাস্তবভিত্তিক চিন্তা করতে পারেন।

বিহেভিয়ারাল থেরাপী:

আচরণগুলো পরিবর্তনের কৌশল শিক্ষাই হলে বিহেভিয়ারাল থেরাপীর উদ্দেশ্য। যেমন - একজন কোন এক সামাজিক অনুষ্ঠানে খুব লাজুক আচরণ করছে, কারণ নিজের সম্পর্কে তার খুব ঋণাত্বক ধারণা রয়েছে। তার সামাজিক দক্ষতা কম থাকতে পারে। বিহেভিয়ারাল থেরাপী  তাকে সহায়ক আচরণ করতে শেখায়। রোগী মতবিনিময় দক্ষতা অর্জন করে যা তারা এই থেরাপীর সময় চর্চা করে এবং শেখে। ঋণাত্বক চিন্তাগুলোর পরিবর্তে নিজেদেরকে উপভোগ করতে শেখে। CBT  এর সাফল্য হার ভাল। কারণ ইহা খুব  দুটি কার্যকরী কৌশলের সমন্বয় করেছে।

থেরাপী থেকে যা আশা করেন:

চিকিৎসার নির্দিষ্টতা নির্ভর করে মানুষের সমস্যার ধরনের উপর যদিও

CBT এর আদর্শ ধাপ নিম্নরূপ:

সমস্যা নির্ধারণ:

একটি নির্দিষ্ট ফর্মে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরদানের মাধ্যমে তা রোগীকে পূরণ করতে বলবেন। নির্দিষ্ট সময় পর পর তা পূণরায় করতে বলবেন। এতে চিকিৎসক রোগীর সমস্যা নির্ধারণ ও উন্নতির মাত্রা নির্ণয় করতে পারবেন এবং কোন উপসর্গের দিকে বেশী মনোযোগ দিতে হবে তা বুঝতে পারবেন।

রোগীর শিক্ষা:

চিকিৎসক রোগীকে তার সমস্যা সম্পর্কে জানার জন্য লিখিত জিনিস (যেমন-বই)পড়তে দিবেন। নির্দিষ্ট সমস্যা সম্পর্কে ভাল বোঝাপড়া, তার অদৃশ্য ভয়কে দূর করে এবং দুশ্চিন্তা ও ঋণাত্বক অনুভূতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।

লক্ষ্য নির্ধারণ:

চিকিৎসক রোগীকে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যের তালিকা দিবেন যা তাকে অর্জন করতে হবে চিকিৎসার মাধ্যমে। লক্ষ্য অর্জনে কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে হবে।

কর্মকৌশলের অনুশীলন:

চিকিৎসকের সাহায্যে রোগীকে নতুন কর্মকৌশলের অনুশীলন করতে বলবেন। যেমন- নির্দিষ্ট ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে কোন সামাজিক অবস্থাতে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। যা তাকে বাস্তববাদী হতে সহায়তা করবে।

বাড়ির কাজ:

রোগীকে তার চিকিৎসায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করাতে হবে। যেমন- চিকিৎসক রোগীকে ডাইরী রাখতে বলবেন এবং রোগীর দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারিক কর্মকৌশল গুলো লিখে চিকিৎসককে দেখাতে বলবেন।

ঔষধ প্রয়োগ:

সব সময় ঔষধের প্রয়োজন পড়ে না। দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ঔষধের মত CBT ও বেশ কার্যকরী। তবে রোগী ও চিকিৎসক মিলে সিদ্ধান্ত নিবেন- ভাল ফলাফল পাওয়ার জন্য ঔষধ অথবা CBT উভয়ই ব্যবহার করবেন।

যে জিনিসগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে:

  • যে  কোন প্রকার মস্তিস্কের  রোগ বা আঘাত যা চিন্তাশক্তিকে ব্যহত করছে সেখানে এটি  ভাল চিকিৎসা নয়।
  • CBT তে রোগীর সক্রীয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

·        ভাল ফলাফল পেতে রোগী ও চিকিৎসককে এক সঙ্গে নিবিড় ভাবে কাজ করতে হয়।

·        আরোগ্য পেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

যা মনে রাখতে হবে:

·        CBT এক ধরনের মনোচিকিৎসা যা অসহযোগীতা মূলক ও অসুস্থ আচরনের চিন্তাগুলোর  পরিবর্তনে সহায়তা করে।

·        CBT নিজিকে সহায্য করার জন্য ব্যবহারিক কিছু কর্ম কৌশলের সমষ্টি যা জীবন মানের উন্নয়ন ঘটায়।

·        অবসাদ ও দুশ্চিন্তা দূরীকরনে ঔষধের মত CBT ও একটি কার্যকরী চিকিৎসা।

 

 

 

 

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা মায়ালজিক এনকেফালোমাইলাইটিস

ক্লান্তি ও বেশকিছু উপসর্গ বিশিষ্ট অসুস্থ্যতাকে ক্রোনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা  à¦®à¦¾à§Ÿà¦¾à¦²à¦œà¦¿à¦• এনকেফালোমাইলাইটিস বলে। যে কোন বয়সের মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। উপসর্গগুলো হলো দীর্ঘস্থায়ী দূর্বলতা, ক্লন্তি, ব্যথা, গঠাৎ ঘুম ভাঙ্গা এবং বুক ধড়ফড় করা । মায়ালজিক এনকেফালো মাইলাইটিস বলতে বুঝায় মাংস পেশীর ব্যথা এবং মস্তিস্ক ও স্না‌য়ুরজ্জুর প্রদাহ। ভাইরাস সংক্রমণ, বিষক্রিয়া, আঘাত ইত্যাদির পর হঠাৎ করে বা ধীরে ধীরে মায়ালজিক এনফালোমাইলাইটিস শুরু হয়। রোগের তীব্রতা একেক জনের একক রকম হয়। কেউ মোটামুটি কাজ চালিয়ে যেতে পারে, আবার কেউ শয্যাশায়ী হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর অনেকে আরোগ্য লাভ করে আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে।

উপসের্গর রকম:

দীর্ঘস্থায়ী দূর্বলতা ও ক্লান্তিই হলো ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা মায়ালজিক এনকেফালো মাইলাইটিস এর প্রধান উপসর্গ। যে কোন ধরণের চেষ্টা বা পরিশ্রমের পর অস্বাভাবিক ক্লান্তি যা উপসর্গ হিসাবে দিখা দিতে ২৪ ঘন্টারও বেশী সময় নিতে পারে এবং এই ক্লান্তি হতেও A¯^vfvweK বেশী সময় লাগে। অন্যান্য উপসর্গসমূহ:

-    ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া

-    ব্যথা

-    দাড়ানো অবস্থায় রক্তচাপ কমে যাওয়া ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া

-    বুক ধড়ফড়

-    বমি বমি ভাব

-    আলো, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ, খাদ্য, রাসয়নিক দ্রব্য, ঔষধ ইত্যাদির উপর অতিসংবেদনশীলতা।

-    গলা ব্যথা

-          ওজন পরিবর্তন-অতিমাত্রায় কমে /বেড়ে যাওয়া

-          অতিশীত বা অতি গরম অনুভব।

কারণ অজানা:

ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা মায়ালজিক এনকেফালো মাইলাইটিস এর একমাত্র কারণ এখনও অজানা। কিন্তু গবেষনায় দেখা গেছে নিম্নবর্ণিত নিয়ামক গুলো এই অবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত-

·  রোগ প্রতিরোধ, স্নায়ুবিক ও হরমোনের প্রতিক্রিয়া

·  ভাইরাস ও অন্যান্য জীবানূর সংক্রমণ

·  রক্তচাপ, রক্তসঞ্চালন ও হৃদপিন্ডের ত্রুটি।

·  পরিপাক তন্ত্রের ত্রুটি।

·  জৈব রাসায়নিক ত্রুটি।

রোগ নির্নয়ে কোন পরীক্ষা নাই:

সঠিকভাবে ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা মায়ালজিক এনকেফালোমাইলাইটিস নির্ণয়ে কোন পরীক্ষা এখন পর্যন্ত নাই। উপসর্গগুলো ৬ মাস চলার পর এবং  à¦…ন্যান্য অসুবিধাগুলো বাদ দিয়ে রোগ নির্ণয় করা হয়।

ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা মায়ালজিক এনকেফালো মাইলাইটিস এর প্রভাব :

ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা মায়ালজিক এনকেফালো মাইলাইটিস এ আক্রান্ত মানুষ বিভিন্নভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে। যেমন- স্বাভাবিক  à¦•à¦¾à¦œ কর্ম,  à¦…ধ্যবসায়, সামাজিক কাজকর্ম ইত্যাদি। এতে তার অর্থনৈতিক অবস্থায়ও প্রভাব পড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সাধারণ দূর্বলতা ও ME/CFS এর অতি ক্লান্তি এর তফাৎ সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকায় ME/CFS যুক্ত রোগীর অসুবিধাগুলো আরো বেড়ে যায় এবং রোগ নির্ণয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

যা মনে রাখতে হবে:

-          প্রধান উপসর্গসমূহ- অতি সংবেদনশীলতা, দীর্ঘস্থায়ী দূর্বলতা এবং তা হতে মুক্তি না পাওয়া।

-          সঠিক কারণ অজানা। কিন্তু গবেষনার দেখা গেছে আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক ধরনের শারীরিক অসুবিধা থাকে।

-          এই রোগ একেবারে ভালো হয় না। তবে, চিকিৎসায়  à¦‰à¦ªà¦¸à¦°à§à¦—গুলোর কিছু  উপপশম ঘটায়।

-          নিজেকে প্রশিক্ষিত  করা, সাহায্য করা, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাহায্যে উপসর্গগুলোর উপপশমের মাধ্যমে এই অবস্থা থেকে নিজের উত্তোরন গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

28-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

উদ্বিগ্নতা / এংজাইটি ডিসঅর্ডার

 

            উদ্বিগ্নতা এক ধরনের মানসিক বা  মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। মূলত এটি একটি নয় বরং কিছু সংখ্যক রোগের একত্রে সাধারণ নামকরণ। এর মধ্যে আছে সাধারণ উদ্বিগ্নতা, সামাজিক ভয় ভীতি বা বিভিন্ন ধরনের অতিমাত্রায় ভীতি সমস্যা O.C.D (অবসেসিভ কম্পালেসিভ ডিসঅর্ডার) এমনকি কোন আঘাত বা দূর্ঘটনার পরবর্তি মানসিক চাপ সঠিক চিকিৎসা না হলে পরবর্তিতে এ রোগ বিষন্নতায়  রূপ নেয় যা অতি মারাত্মক সমস্যা।

            এই সমস্যাগুলি আমাদের সমাজের খুবই ব্যাপক। গবেষনায় দেখা যায় শতকরা ২০-২৫ ভাগ লোকই কোন না কোন ধরনের উদ্বিগ্নতায় ভূগছেন। যা চিকিৎসা দরকার। আরও ২০-২৫ ভাগ লোক খুব সামান্য ধরনের উদ্বিগ্নতায় ভোগেন। (যেমন- তেলাপোকা বা মাকড়সা দেখলে ভীত হওয়া) যার তেমন চিকিৎসার প্রয়োজন নাই।

যে কোন উদ্বিগ্নতা বা ভীতিই কি মানসিক সমস্যা?

প্রত্যেকেই জীবনে কখনও না কখনও বা প্রায়ই বিভিন্ন কারণে ভীত হন, উদ্বিগ্ন হন। এটি কোন রোগ নয়, বরং উপকারী কেন না তা বিপদকে মোকাবেকলা করতে সাহায্য করে। কিন্তু যখন কেউ সামান্যতেই অতিরিক্ত ভীত বা উদ্বিগ্ন হন এবং যা বাড়তে থাকে ও তার স্বাভাবিক কাজ কর্মে সমস্যা করতে থাকে তখনই তাকে Anxity Disorder বলা হয়। এ সব রোগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগী যে কারণে খুব উদ্বিগ্ন-বাস্তবে এত উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই।

লক্ষণসমূহ:

এ রোগের প্রধান লক্ষণ হল-ভীতি এবং এমন ভীতিকর চিন্ত যা রোগীকে অবসাদগ্রস্থ করে স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়াও-

Ø      প্রচন্ড ভয় বা ভীতি (Panic Attack) অথবা ভীতি হবার ভয়।

Ø      ভয়ে কাপুনি, ঘাম, অজ্ঞান হয়ে পড়া, দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস, দ্রুত হৃদকম্পন, বমিভাব, শ্বাস কষ্ট|

Ø      দূরে দূরে থাকার প্রবনতা-ভয় হতে পারে এমন সব বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন।

Panic Attack-চরম ভাবে ভীত হওয়া :

            কোন একটা কারণে বা কোন কারণ ছাড়াই চরম ভয় পাওয়াকে প্যানিক এটাক বলে। এই রোগে এটি প্রায়শই ঘটে। এর লক্ষণসমূহ হল:

Ø      শ্বাসকষ্ট।

Ø      মাথা ঝিমঝিম করা।

Ø      দ্রুত হৃদকম্পন।

Ø      হঠাৎ শ্বাস আটকে যাওয়া, কথা বলতে কষ্ট হওয়া।

Ø      বমি বমি ভাব ।

কারণ:

এর প্রকৃত কারণ জানা না থাকলেও ভাবা হয় যে, এটি মূলত মাস্তিস্কে এক ধরনের রাসয়নিক বিক্রিয়ার ফলাফল। প্রচন্ড ভয় পেলে বা মানসিক চাপে থাকার ফলে, ভয়ের কথা চিন্তার ফলে মস্তিস্কে যে রাসয়নিক ক্রিয়া হয় তার তারই ফলশ্রুতিতে শরীরেও কিছু রিএকশান হয় (ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন) যেমন-শ্বাস কষ্ট, দ্রুত হৃদকম্পন। অনেকে এতই ভীত হয় এবং হবার ফলে এসব শারীরিক পরিবর্তনের ফলে তারা ভাবে যে, তারা বোধ হয় মারা যাবে এবং খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। সাধরণত এসব রোগীরা এমন সাধারণ বিষয় ও ঘটনা এড়িয়ে চলতে চান, যে সব করলে তাদের  প্যানিক এটাক হবে বলে তারা মনে করেন এবং এর ফলে তাদের ভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা তৈরী হয়।

প্রকারভেদ:

উদ্বিগ্নতা তখনই রোগের পর্যায়ে পড়ে যখন তা একেবারেই অযৌক্তিক, মাত্রাতিরিক্তি হয় এবং অতি দীর্ঘসময়কাল ধরে বিরাজ করে এবং  সর্বোপরি যখন তা ¯^vfvweK কাজ কর্মে অন্তরায় হয়ে দাড়ায়। এটি বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন-

Ø      সাধারণ উদ্বিগ্নতা সমস্যা (জেনারেল এংজাইটি ডিসঅর্ডার)

Ø      সোশাল ফোবিয়া-বিভিন্ন সামাজিক কাজ করতে ভয়।

Ø      এগোরা ফোবিয়া-উন্মুক্ত স্থানে ভয় পাওয়া।

Ø      ক্লাস্ট্রফোবিয়া-বন্ধ স্থানে ভয়।

Ø      প্যানিক ডিসঅর্ডার

Ø      অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার।

Ø      পোস্টমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার

জেনারেল এংজাইটি ডিসঅর্ডার: সামান্য ও সাধারণ বিষয় নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন ও দুঃখ পাওয়া এই  à¦°à§‹à¦—ের লক্ষণ। উদ্বিগ্ন হতে পারে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে, স্বাস্থ্য  à¦¨à¦¿à§Ÿà§‡ কাজকর্ম বা টাকা পয়সা ইত্যাদি নিয়ে। যদি কারও এসব সমস্যা প্রায় প্রতিদিনই হয় এবং তা ৬ মাসের বেশিদিন ধরে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং যদি ঐ ব্যক্তি কোনভাবেই তার এই অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা কমাতে না পারেন তবে ঐ ব্যক্তিকে জেনারেলাইজড এংজাইডি ডিসঅর্ডার রোগী হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।

সোশাল ফোবিয়া:

এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি সব সময় এই ভয়ে থাকে যে, সমাজের অন্যঅন্য ব্যক্তিরা তাকে হেয়ভাবে দেখছে। এ জন্য ঐ ব্যক্তি সবাব সামনে কোন কাজ করতে ভয় পায়। যেমন- অনেকের সামনে কথা বলা, সবার সাথে বসা খাওয়া, দলবেধে খেলাধূলা, দেয়াল লিখন এমনকি পাবলিক টয়লেট ব্যবহারও সমস্যা ও ভীতি এবং ফল স্বরূপ ঐ ব্যক্তি সকল সামাজিক কাজকর্ম এড়িয়ে চলতে চায়।

অন্যান্য বিশেষ ভীতি: 

কোন কোন ব্যক্তির কোন বিশেষ বিষয়ে অযথাই অকারণে দীর্ঘস্থায়ী ভীতি থাকে। কোন বিশেষ ব্যক্তিকে বা প্রাণীকে বা কোন স্থানকে ভয় হতে পারে এবং এই ভীতি এতই বেশি হতে পারে যে, রোগী অজ্ঞান হয়ে বা প্যানিক এটাক হতে পারে। রোগী কুকুর, তেলাপোকা, মাকড়শা, রক্ত, ঝড়বৃষ্টি, পানি বা নদী ইত্যাদি দেখেও ভয় পেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা নিজেরা ও বোঝেন যে এই ভীতির কোন বাস্তব কারণ নেই এবং ভীতি মাত্রাতিরিক্ত। তবু তারা ভয় পায় এবং সে সব বিষয় বা স্থানে যেতে ভয় পায় এবং ঘরকুনো হয়ে থাকে।

অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার: এ ধরনের রোগীদের মনে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত, অনাকাঙ্খিত চিন্তা জোর করে চলতে থাকে। রোগীরা বিভিন্ন বাড়াবাড়িমূলক কাজ করেন যেমন- দীর্ঘসময় ধরে হাত ধুতে থাকে,

অনেকক্ষণ ধরে অনেকবার সাবান দিয়ে গোসল করা। কাপড় বার বার সাবান দিয়ে দরজা লাগানো হয়েছে কিনা তা বার বার গিয়ে পরীক্ষা করা। বাথরুমের কল বন্ধ কিনা বার বার গিয়ে দেখা ইত্যাদি। এসব ব্যক্তিরা নিজেরাও নিজেদের আচরনের ব্যাপারে অস্বাভাবিকতা টের পান কিন্তু কমাতে পারে না।

পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার: বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা যেমন- সড়ক দূর্ঘটনা, আগুন

লাগা বা অতীতের কোন দূর্ঘটনা বা শারিরিক লাঞ্ছনা ইত্যাদির পরে ব্যক্তির মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই দুঃখ, ক্ষোভ, ঘৃণা ইত্যাদি জন্মে, কিন্তু যখন  বহুদিন পরও ঐ ব্যক্তির মনে ঘটনার চেয়েও বেশি পরিমাণে দুঃখ, ক্ষোভ, ঘৃণা ও ভয়ের সৃষ্টি করে এবং স্বাভাবিক  à¦•à¦¾à¦œà¦•à¦°à§à¦® ব্যাহত করে, তখন ঐ রোগী পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে ভুগছেন।

অতি উদ্বিগ্নতার খারাপ ফলাফল: অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা বা এংজাইটি ডিসঅর্ডারের ফলে ব্যক্তি সমাজ, পরিবার ও বন্ধুবান্ধব থেকে আলাদা-একঘরে হয়ে পড়ে এবং অনেক সময় ডিপ্রেসন বা বিষন্নতায় ভোগে। ধীরে ধীরে রোগী লেখাপড়া, বিস্তারিত

-->

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

আত্মহত্যা -প্রতিরোধে করণীয়

আমাদের সমাজে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। নানাবিধ কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সবচেয়ে শংকার দিক হলো, আত্মহত্যার প্রবণতা মধ্যবয়সেই বেশি, অর্থাৎ ২০-৩৫ বছরের মধ্যে এবং এর প্রবণতা ধনী, গরীব সব সমাজের মধ্যেই প্রকট। যখন কেউ আত্মহত্যা করার চিন্তা করে, প্রায়ই সে কাউকে না কাউকে তার আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করে তাকে। তাই এ ধরণের  লক্ষণ বা পরিকল্পনা  কখনও কানে আসলে অবশ্যই তা সিরিয়াসভাবে গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেশি যৌক্তিক চিন্তা না করার ভালো। আর এই প্রবণতা রোধ করার জন্য শুধু মানসিক চিকিৎসক এর প্রয়োজন তা ঠিক নয় বরং সুস্থ স্বাভাবিক যে কেউ ঐ ব্যক্তিকে ইমোশনাল ও কার্যকর সহায়তা দিয়ে তা রোধ করতে পারে।

 

আত্মহত্যা ঘটানোর কিছু সতর্ককারী সংকেত বা লক্ষণঃ

আত্মহত্যা সম্পর্কে পূর্ব থেকেই ধারণা পাওয়া খুব সহজ নয়। তবে ব্যক্তির স্বাভাবিক আচরণের মধ্যে পার্থক্য ও তার এসব কাজ কর্ম যা তার পরিচিতদের সাথে অস্বাভাবিক বা দূর্বোধ্য মনে হয়,  এটিকে আত্মহত্যার লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়। এ ছাড়া কিছু আচরণ যেমন-

-         পূর্বে আনন্দ পেত বা আগ্রহ ছিল এমন বিষয়ে আগ্রহীন হয়ে পড়া।

-         ভাল অবস্থা, অবস্থান, লাভ ইত্যাদি বিসর্জন দেয়া।

-         দামী কোন কিছু নষ্ট করা, দিয়ে দেয়া।

-         পোশাক পরিচ্ছদ, সৌন্দর্যের প্রতি একেবারে ভাবলেষহীন হওয়া।

-         হঠাৎ শরীর শুকিয়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া।

-         ব্যক্তিত্বের আমূল পরিবর্তন।

-         বন্ধু বান্ধব, আড্ডা, সামাজিকতা থেকে বাইরে চলে যাওয়া।

-         দূর্ঘটনা ঘটানো, নিজের ক্ষতি করার মনোবৃত্তি।

-   একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকলে পরবর্তিতে আবার করার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

          ইত্যাদিকে আত্মহত্যার লক্ষণ হিসেবে নিতে হবে।

শতকরা ৮০ বাগ ব্যক্তিই আত্মহত্যা করার আগে কাউকে না কাউকে তার পরিকল্পনার কথা বলে থাকে।

 

যে যে কারণে আত্মহত্যা করে, মূলতঃ

প্রচন্ড মানসিক চাপই আত্মহত্যার মূল কারণ। হঠাৎ বড় ধরণের মানসিক চাপ, বা দীর্ঘদিনের কোন মানসিক চাপে বিপর্যস্ত হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিভিন্ন কারণে এ ধরণের সমস্যা হতে পারে, যেমন-

-         অতি প্রিয়, কাছের কোন মানুষের মৃত্যু হলে, সম্পর্ক ছেদ হলে।

-         কাজকর্ম পরীক্ষা,  চাকরি ইত্যাদিতে ব্যর্থ হলে।

-         সম্পর্কে ভাঙ্গন, দুরত্ব সৃষ্টি হলে।

-         পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়দের সাথে কোন কারণে মতবিরোধ ও দূরত্ব তৈরী।

-         কাছের কোন ব্যক্তি, বন্ধু, আত্মীয়ের আত্মহত্যার ঘটনা।

-         নিজের মান সম্মানের প্রচন্ড হানী ঘটলে।

 

কিভাবে সাহায্য করবেনঃ

-   আত্মহত্যা  প্রবণ ব্যক্তির প্রতি আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল হতে হবে।

-         মন দিয়ে তার কথা শুনতে হবে।

-         আপনি যে তার প্রতি কেয়ারিং তা তাকে বোঝাতে হবে।

-         তাদের ভয়, আশংকা, দূঃশ্চিন্তাকে হেসে উড়িয়ে দেয়া যাবে না।

-         তাদেরকে সান্তনা দিন, কিন্তু ব্যাপারটা ঐখানেই শেষ তা ভাববেন না।

-         তাদের আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি করা ইচ্ছা আছে কিনা বের করে চেষ্টা করুন।

-         আত্মহত্যার পরবর্তি পরিণতি তার পরিবার বা সমাজের উপর প্রভাব বোঝানোর চেষ্টা করুন।

-         তাদের কাছে মারণাস্ত্র, বিষাক্ত পদার্থ, ঔষধ আছে কিনা যাচাই করুন।

-         যদি বেশি সম্ভাবনা থাকে সে ক্ষেত্রে তাদেরকে একা রাখবেন না।

-         অন্যদেরকেও ব্যাপারটা অবগত করুন।

-         মানসিক রোগের চিকিৎসক, সাইকোপিস্টের শরনাপন্ন হোন।

-         তার সমস্যা সমাধানে চেষ্ট হোন, কোথায় সাহায্য পাবে জানিয়ে দিন।

-         প্রয়োজনে যোগাযোগ করার নাম্বার, ঠিকানা দিয়ে রাখুন।

যা করা যাবে নাঃ

-         তাদেরকে এড়িয়ে চলা।

-         তাদের কথায় মাঝখানে নিজের কথা

     বলতে থাকা।

-         তাদের উপর বিরক্ত হওয়া, রাগারাগি করা।

-         অবস্থা অনুযায়ী কাজ না করা।

-         অতিরিক্ত উপদেশ না দেয়া।

 

প্রচলিত ধারণা

বাস্তবতা

১। যারা আত্মহত্যার কথা বলে তারা আসলে করে নাবিস্তারিত

-->

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

কিশোর কিশোরীদের হাতাশা-

 

গবেষনায় দেখা গেছে প্রতি ৫ জন কিশোর কিশোরীর মধ্যে ১ জন হতাশায় ভূগে অর্থাৎ শতকরা ৫%। মানসিক চাপ, যা বয়স্কদের চেয়ে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। তারা অতি দ্রুত হতাশ এবং হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাদের কেউ কেউ আত্মহত্যার দিকেও ঝুঁকে যায়।

যদি কেউ হতাশায় ভূগেন, তার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা খুবই কঠিন। এ ক্ষেত্রে বন্ধু, বান্ধব, তার পরিবার ভাল ভূমিকা রাখতে পারেন।

 

অবসাদের রকমভেদ-

 à¦ªà§à¦°à¦§à¦¾à¦¨à¦¤ তিন ধরনের-

১। ডিপ্রেস মুড-

মানসিক আঘাত পেলে এ রোগ সকলের ক্ষেত্রে হতে পারে। সাধারণত এ রোগ প্রতিদিনকার কার্যক্রমে সমস্যা করে। রোগীরা যদি তাদের সমস্যাগুলি অন্য কারো সাথে শেয়ার করে বা যে কাজ করলে আনন্দ পায় তা করলে এ রোগ ভালো হয়ে যায়।

 

২। ডিসথাইমিয়া-

মৃদু ধরনের অবসাদ। ইহা একজন তরুনের ক্ষেত্রে এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাদের কাজকর্মে উৎসাহ থাকে না, দূর্বল হয়ে পড়ে, মনোযোগের অভাব দেখা যায়, খাবার এবং ঘুমানোর ক্ষেত্রে ইহা ভয়াবহ আকারেও হতে পারে।

৩। মেজর ডিপ্রেসিভ এপিসোড-

এটা সাধারণত ২ সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। চরম মানসিক চাপ যেমন- কারো মৃত্যু কিংবা সম্পর্কের ভাঙ্গনের ফলে এটা ঘটে। কখনও কখনও এর কারণ খুজে পাওয়া যায় না। এর বিভিন্ন উপসর্গ এবং চিহ্নের মধ্যে রয়েছে-

·        ঘুমাতে সমস্যা।

·        হতাশাগ্রস্থ হওয়া।

·        একাকী থাকা।

·        ঔষধের ও এলকোহলের ব্যবহার বেড়ে যায়।

·        স্বাস্থ্য সম্পর্কে অতি মাত্রায় হতাশ।

·        সব সময় মাথা ব্যথার অভিযোগ করা।

·        নিজের সম্বন্ধে যত্নবান না হওয়া।

·        আত্মহত্যাকরার চেষ্টা

 

হতাশা

হতাশা যে কাউকে গ্রাস করতে পারে, কিন্তু তরুনদের এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশি থাকে-

·        তাদের আত্মীয়ের মধ্যে কেউ হতাশায় ভুগে।

·        তাদের উপর অত্যাধিক চাপ থাকে।

অত্যধিত চাপ বলতে পরিবারের মধ্যে ভাঙ্গন, পরীক্ষায় ফেল, সামাজিকভাবে একাকী, মা-বাবা মারা যাওয়া, দূর্ঘটনা সম্পর্কের ভাঙ্গন বা অন্যত্র বাস করা।

 

আত্মহত্যার ঝুঁকি-

হতাশা বয়স্কদের থেকে  তরুনীদের ক্ষেত্রেও বেশি হয়। তরুন-তরুনীরা তাদের ব্যাপারটা অনেক বড় করে দেখে এবং মনে করে তাদের সমস্যার কথা কেই বুঝে না এবং তারা তাদেরকে পৃথিবীর একা মনে করে।

যে সমস্ত বিষয় তারা নিজের জীবনের সাথে খুবই গুরুত্ব দিয়ে করে তা হলো-

·        আত্মহত্যার কথা বলা বা হুমকি দেয়া।

·        ব্যক্তি যদি একাকী থাকে এবং আগের এ রকম এর প্রবণতা থাকে।

·        হতাশাগ্রস্থ থাকার পর হঠাৎ করে খুবই উদ্যোমী এবং প্রফুল্লু হয়ে পড়া।

 

কিভাবে সাহায্য করা যায়

যখন তরুন-তরুনীরা হতাশায় ভুগেন তখন তারা কারো কাছ থেকে সাহায্য নেন না এবং সাহায্য করতে গেলে প্রত্যাখান  à¦•à¦°à§‡à¥¤

যা যা করা যায় তা হল-

১. গুরুত্বের সাথে তাদের অবসাদকে দেখতে হবে।

২. অফুরন্ত ভালবাসা এবং মনযোগী হতে হবে।

৩. তাদের আবেগ সম্পর্কে তারা কি বলতে চায় তা ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে।

৪. যে সমস্ত বিষয়ে আনন্দ পায় তা করতে উৎসাহ।

 

 

৫. কোন স্বার্থ© ছাড়াই সাহায্য করার জন্য ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দেয়া যায়।

৬. যদি আত্মহত্যার বিষয়ে কোন কথা বলে তবে এটাকে গুরুত্বের সাথে মোকাবেলা করা যদি এটা তাদের মতের বিপক্ষে যায় তারপরও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. বাড়িতে কোন বিপদজনক বস্তু না রাখা।

৮. সন্তানের সাথে পিতামাতার সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একে ধরে রাখা প্রয়োজন।

৯. কাছের লোকের সাহায্য নেয়া।

 

মনে রাখা প্রয়োজন:

·        যুবক-যুবতীদের ক্ষেত্রে হতাশা সব সময় বুঝা যায় না।

·        তরুন-তরুনীরা হতাশায় আচ্ছন্ন হলে তারা সব সময় সাহায্য নেয় না এবং সাহায্য প্রত্যাখান করে ও গোপ্ন করে।

·        অফুরন্ত ভালবাসা ও গুরুত্বের সাথে তাদের অবসাদকে দেখতে হবে।

 

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

বাচ্চাদের অন্ধকার ভীতি

 

 

অনেক শিশু অন্ধকারকে ভয় পায়। বাচ্চাদের শোবার রুটিন বা ঘুমের রুটিন ছিন্ন হলে সাধারণত ভয় বেশিপায়। এ রকম অনেক পদ্ধতি আছে, যাতে করে অভিভাবকগণ সহজেই তাদের বাচ্চাদের এই ভয় দূর করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ডিম লাইট, কিছু জিনিস যেগুলো শান্তনা দেয় যেমন- খেলনা বা টেডি পুতুল সাহায্য করতে পারে। বাচ্চাদের ভয় পাওয়াটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে, তবে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে করে এটি বিকটাকারে বাচ্চাদের মধ্যে থেকে যায়। কিছু দু:শ্চিন্তা থেকেও বাচ্চারা ভয় পায়, যেমন- বাবা-মার দূরত্ব বা সেপারেশন, ব্যাথা পাওয়া, হাসপাতালে ভর্তি থাকা। যেসব বাচ্চারা টলে টলে হাটে স্কুলে যাওয়া আগের বয়সের বাচ্চরা সাধারণত অপরিচিত জিনিস দেখলে ভয় পায়। বাচ্চাদের অবাস্তব চিন্তা বা কল্পনা এবং  অদক্ষতা  তাদেরকে বাস্তাব এবং উদ্ভট চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য করতে দ্বিধাগ্রস্ত করে। এর মানে হলো বাচ্চারা ভাবে উদ্ভট কিছু তাদের বিছানার নীচে বা ওয়াড্রবের মধ্যে লকিয়ে থাকে এবং লাইট নিভানোর পর সেগুলো বের হয়ে আসে।

যদি আগে লক্ষ্য না রাখা যায়, তাহলে বাচ্চাদের ভয় বেড়ে যাবে ।এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের অভিভাবকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

ভীরু শিশু বা বাচ্চা:

কিছু কিছু বাচ্চারা অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় বেশি ভীরু এসকল কারণের মধ্যে রয়েছে:

-বংশগত কারণ:

কিছু বাচ্চা বংশতগতভাবে অনেক বেশি সংবেদী এবং আবেগপ্রবণ হয়, তারা বেশি ভয় পায়।

-অভিভাবকের একজন চিন্তিত থাকলে: বাচ্চারা তাদের অভিভাবক গণের কাছ থেকেই শিখে, দেখে, চলে। যদি অভিভাবক একজন সার্বক্ষনিকভাবে দূঃশ্চিন্তা গ্রস্ত থাকে, তাহলে বাচ্চার মধ্যে ভয় ঢুকে যায়।

-মানসিক চাপ:

কিছু ঘটনা যেমন- বাবা-মার দূরত্ব, হাসপাতালে ভর্তি বা ব্যাথা পাওয়া।

 

অনুভূতিশীল হতে হবে :

বাচ্চাদের অন্ধকারকে ভয় পাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সহানুভূতির সঙ্গে পরিচালিত করতে হবে। যদি কেউ নিজে ছটবেলায় অন্ধকারে ভয় না পায়, তাহলে সে তার বাচ্চাদের ভয় পাওয়ার অনুভীতিকে না বুঝে রাগারাগি করে । এতে অভিভবকগণের দুঃশ্চিন্তা দিন দিন বেড়ে যায়। বকাচ্চাদের ভয় কাটানোর ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ  হলো তাদের ভয়কে সহানুভূতির সাথে দেখতে হবে।

 

বাচ্চাদের সাথে কথা বলতে হবে:

-         বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করতে হকে, তারা আসলে কি দেখে ভয় পায়।

-         বাচ্চাদের বোঝাতে হবে যে, তাদের ভয়টা বাবা-মা অনুভব করতে পেরেছে এবং বুঝেছে।

-         বাচ্চাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, তারা নিরাপদে আছে এবং এরকম বিকটাকার কিছু নেই।

-         যদি বাচ্চারা অনধিকার প্রবেশ জনিত কারণে ভয় পায়, তাহলে তাদেরকে বাড়ীর সিকিউরিটি দেখাতে হবে একবং দরজা তালা সাবধানে দিতে হবে। কখনো যেন বাচ্চারা ভেতরে থেকে লক হয়ে না যায়। এতে বাচ্চা অতিমাত্রায় ভয় পেয়ে যে কোন জরুরী অবস্থথার সৃষ্টি হতে পারে।

-         বচাচ্চাদের জিজ্ঞেস করতে হবে যে, সে কি করলে সে সুরক্ষিত মনে করবে এবং তাদেরকে নিজেরাও সুরক্ষিত রাখার প্রস্তাব দিতে হবে। যেমন: ঘুমানোর সময় বিছানার খেলনা নিয়ে ঘুমাতে পারে।

-          

 

অন্যান্য ভয়:

অন্য কোন দুঃখবোধ থেকে ভয় এসেছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে। যেমন: কিছু কিছু বাচ্চারা মারাত্বমক ভয় পেয়ে যায়, যখন তাদের বাবা-মাকে আলাদা হয়ে যেতে দেখে অথবা মারা যেতে দেখে। এ দুঃখবোধ যখন আরও খারাপের দিকে যায়, যখন তারা অন্ধকারে একা একা থাকে।

 

সাধারণ সাজেশন:

-         বাচ্চাদের ঘুমের সময়সূচী এমনভাবে করতে হবে যেন যে ঘুমিয়ে আনন্দ পায় এবং আরাম পায়।

-         বাচ্চার ঘরে ডিম লাইট লাগানো যেতে পারে। তাছাড়া হলরুমে বা এমন কোন স্থানে লাইট লাগানো যায়, যাতে বাচ্চার ঘরে আলো ঢুকতে পারে।

-         বাচ্চাদের ভয় দূর করার জন্য এমন ব্যবস্থা করা উচিত যাতে তার নিয়ন্ত্রন থাকে। যেমন: বেড সুইচ ব্যাবহার করলে, সে নিজেই লাইট অফ করতে পারে, আবার জ্বালাতে পারে। লাইট কম ভোল্টেজের হলে ভালো হয়।

-         বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখতে দিতে হবে। যেমন: টিভিতে ভয়ের সিনেমা, ভয়ের কোন দৃশ্য- যা দেখে বাচ্চারা ভয় পেতে পারে, তা যত সম্ভব না দেখানো।

-         রাতে থাকার ঘরের চারপাশ, ড্রইং রূম কেমন থাকে তা দেখতে হবে। বিশেষত আলোতে বা ছায়াতে কোন ছবি বা অবয়ব সৃষ্টি করে কিনা, যাতে বাচ্চারা ভয় পেতে পারে- তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

-         প্রতিদিনের শরীরচর্চা মানসিক  চাপ কমাতে পারে। বাচ্চারা যদি সারাদিন প্রচুর খেলাধূলা করে, তাহলে মানসিক চাপ কমে যায়।

-         বাচ্চাদের ভয় পাওয়া নিয়ে অন্যদের সামনে  অনেক জোরে হৈ চৈ করা যাবে না, এতে করে বাচ্চারা আরও বেশি চিন্তিত হযে যাবে।

-         বাচ্চাদের ভয় নিয়ে মজা করা যাবে না।

 

অতিরিক্ত হ্যাঁবোধক ব্যবহার:

বাচ্চাদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নিতে হবে, যাতে সে ভয়কে জয়

করতে পারে ।

 

পরবর্তী সাহায্য:

যদি বাচ্চাদের ভয় দীর্ঘায়িত হয় এবং খারাপের দিকে যায় অথবা এমন কিছু ঘটনা বা জিনিস যদি দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়, তখন অভিভাবকগণকে পেশাদারী সাহায্য নিতে হবে। বাচ্চাদের শিখাতে হবে যে, কিভাবে তারা নিজেরাই নিজেদের দুঃশ্চিন্তা পরিচালনা করতে পারে।

 

যেগুলো মনে রাখতে হবে:

-         অনেক বাচ্চারা অন্ধকারকে ভয় পায়।

-         তাদের অনুভূতিগুলোকে অনুভব করতে হবে।

-         বাস্তবতায় এ ক্ষেত্রে বাবা-মাকে বাচ্চাদের সাথে কথা বলতে জবে,  শোবার ঘরে ডিম লাইট লাগাতে হবে এবং ঘুমের সময়সূচী  সঠিক করতে হবে।

 

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

শিশুদের ভয়ের বিষয়:  

 

শিশুরা সহজেই যে কোন অবস্থা বা জিনিস দেখে ভয় পেতে পারে, যেটি দেখে বড়রা ভয় পায় না। মন খারাপ বা চিন্তা বাচ্চাদের ভয়ের একটি কারণ। বাচ্চাদের এ ভয়কে মানোযোগের সাথে দেখতে হবে এবং তারা যাতে এ মন খারাপ কে অতিক্রম করতে পারে, তার জন্য তাকে সাহায্য করতে হবে। যদি বাচ্চাদেরকে জোর করে ভয় পেতে নিষেধ করা হয়, তাহলে সেটি ভয় দুর করবে না। অভিভাবককে তাদের বাচ্চাদেরকে যেগুলোতে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, সেগুলোকে ভয় পাওয়া শেখাতে হবে, যেমন: আগুন, বটি, রাস্তা পার হওয়া। এসব দুঃশ্চিন্তা করা ভালো কারণ। এটি থেকে বাচ্চারা যে কোন ক্ষতিকারক অবস্থা থেকে রক্ষা  পাবে। ভয়ের উৎস মাঝে মাঝে বাচ্চাদের স্বভাব বদলে দেয়, যেমন: খাটের নীচে বিকটাকার কিছু আছে, অথবা জানালা দিয়ে কেউ ঘরে ঢুকবে ইত্তাদি।

 

 

বাচ্চাদের ভয় পাওয়াকে  তিরস্কার করা যাবে না এবং তাদের ভয় পাওয়াকে জোর করে আয়ত্তে আনার কথা বলা যাবে না। বাচ্চাদের ভয়কে দূর করতে হলে তাদের ভয়ের অনুভূতিগুলো জরুরীভাবে দেখতে হবে। তাদের ভয় নিয়ে কথা বলতে হবে, চিন্তা নিয়ে বলতে হবে এবং বাবা-মা সাহায্য নিয়ে তাদের ভয়কে জয় করবে।

 

শিশুদের কমন ভয়ের বিষয়:

যখন কোন শিশু ছয় থেকে সাত মাস বয়সী হয, তখন তার বাবা-মার সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠে। যখন শিশুরা তাদের বাবা-মা  থেকে অল্প সময়ের জন্য আলাদা হয়ে যায়, তখন তারা ভয় পায় এবং  আরও কাঁদতে থাকে। অনুরূপভাবে শিশুরা মাঝে মাঝে অনাগত বা  অচেনা লোকদেরকে দেখেও ভয় পায়। সময়ের সাথে সাথে এই অবস্থাও দূর হয়ে যায়। অচেনা লোকদের দেখে ভয় পাওয়া বাচ্চাদের বের করে আনতে কিছু পরামর্শ:

 

-         যখন বাবা-মা কেউ  বাইরে যান এবং বাচ্চা মন খারাপ করে ফেলে, সেক্ষেত্রে যখন বাসায় থাকবে, তখন বাবা-মা ছাড়া ঘরের অন্য সকলে বাচ্চার সাথে সময় পার করাবে, কথা বলবে।

-         বাচ্চাদের সব সময় বাইরে  যাবার সময়  বলে যেতে হবে এবং ফিরে এসেও দেখা করতে হবে, এতে করে তাদের বিশ্বাস বাড়বে এবং ভয় কম পাবে।

-         বাচ্চাদেরকে নতুন মানুষের কোলে দিতে হবে এবং বাচ্চাকে আশ্বস্ত করতে হবে যে সে নিরাপদ এবং সে নতুন লোকও নিরাপদ।

-         বাচ্চাদের মন খারাপ থাকলে তাদের উষ্ণ আদর দিতে হবে।

 

যে সব শিশু টলে টলে হাঁটে তাদের জন্য কমন ভয়:

বাচ্চারা যখন দুই বা তিন বছর বয়সী হয়, তখন তারা তাদের রাগ প্রকাশ করা শেখে।  এ বয়সী বাচ্চাদের নিয়ে কমন ভয় হলো- তারা তাদের শক্ত আবেগ দিয়ে সবাইকে পরাভুত করে। টলে টলে পড়ে এমন বাচ্চাদের বোঝার ক্ষমতা (বিশেষ করে আকার নিয়ে ক্ষমতা)কম থাকে। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হয়। যেমন:  টয়লেটে পড়ে যাওয়া। এ ধরনের বাচ্চাদের ভয় কাটাতে পরামর্শ:

-         বাচ্চারা কি নিয়ে ভয় পাচ্ছে বা চিন্তা করছে, তা নিয়ে কথা বলতে হবে।

-         তাদের পড়ে যাওয়াকে তিরষ্কার করা যাবে না, কারণ তারা আকার সম্বন্ধে বোঝে না, শরীরের কন্ট্রোল কম।

-         ভয় দূর করার জন্য তাদেরকে জোর করা যাবে না, এটি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।

-         বাচ্চাদেরকে বোঝাতে হবে যে, যে বস্তুটিকে ভয় পায় সে বস্তুটিকে এড়িয়ে চলতে হবে।

 

প্রাইমারী স্কুলে যাওয়ার বয়সী বাচ্চাদের ভয়ের কারণ:

যত বাচ্চা পৃথিবী m¤^‡Ü জানতে শুরু করে, তত তার ভয়ের বিষয়বস্তু বাড়তে থাকে। কিছু ভয় বাস্তব আবার কিছু ভয় কাল্পনিক। কমন ভয়ের মধ্যে রয়েছে অন্ধকার, যুদ্ধ, মৃত্যু, ডিভোর্সী বাবা-মা। এদের জন্য পরামর্শ হলো:

-         বাচ্চাকে বোঝাতে হবে যে,তার বাবা-মা তার ভয়কে আন্তরিকভাবে নিয়েছে।

-         বাচ্চাকে যুদ্ধ, মৃত্যু এগুলো m¤^‡Ü সত্য বলতে হলে এবং তার সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

-         বাচ্চাদেরকে ভয়ের সঙ্গে সাহসের সাথে মোকাবেলা করতে আগ্রহী করে তুলতে হবে, যেমন-কুকুর। বলা যায়, একটি ছবিতে একটি জেন্টেল কুকুর বাঁধা আছে, বাচ্চা আস্তে আস্তে কুকুরের কাছে যাচ্ছে।এতে তার ভয় অনেকটা দূর হবে।

-         বাচ্চাকে নিজে নিজে কিছু কন্ট্রোল শিখাতে হবে। যেমন-কোন বাচ্চা যদি অনাধিকার প্রবেশে ভয় পায়, তাহলে তার সামনে ভালভাবে দরজা, জানালা বন্ধ করতে হবে এবং রাতে সুবিধাযুক্ত রূম ব্যবহার করতে হবে।

-         প্রতিদিনের রুটিন মাফিক জীবন বাচ্চাকে সব ভয় এবং দুঃশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে।

 

যেগুলো মানে রাখতে হবে:

-         মাঝে মাঝে বাচ্চারা এমন সব বস্তু বা অবস্থাকে ভয় পায় যেখানে বড়রা এসব ভয় পায় না।

-         বাচ্চার ভয়কে মজার ছলে দেখা বা বাচ্চাকে জোর করে ভয় কাটানো, এসব অবস্থা পরবর্তীতে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যায়।

-         একজন সহজেই এসব থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। যেমন- তাদের ভয়কে গুরুত্বের সাথে নিয়ে তাদের ভয় সম্বন্ধে কথা বলা ও তাদের মন মত ব্যাবস্থা নেয়া।

 

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

বেড- ওয়েটিং

বা রাতে বিছানায় প্রস্রাব করা

 

 

যে বয়সের পরে শিশুদের রাতে বিছানায় প্রস্রাব করার কথা না সে বয়সের পরে কেউ যদি রাতে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব করে, তবে তাকে বেড-ওয়েটিং বলে। পাঁচ বছর বয়সকে সাধারণত এই বয়স হিসাবে ধরা হয় (যদি না ওই শিশুর প্রস্রাব নালীতন্ত্রের কোনো গঠনগত সমস্যা অথবা স্নায়ুতন্ত্রের কোনো অসুবিধা থাকে)।

 

বেড- ওয়েটিং এর পরিসংখ্যানঃ

৫ বছরের বয়সে (১৫-২০%)

১০ বছর বয়সে (৫%)

১৫ বছর বয়সে (১-২%)

 

ছেলেদের ক্ষেত্রে এই হার মেয়েদের তুলনায় বেশি। ৫ থেকে ১৫ বছর বযসী শিশুদের ক্ষেত্রে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই প্রতি বছর ১৫% হারে কমতে থাকে। ২৫% ক্ষেত্রে রাতের পাশপাশি দিনের বেলাতেও ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব হতে পারে।

 

যেসব রোগে এই সমস্যার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায় -

·        প্রস্রাব নালী তন্ত্রের সংক্রমণ।

·        অকার্যকরী (নিউরোপ্যাথিক) ব্লাডার।

·        প্রস্রাবনালীর মধ্যে অবস্থিত ভাল্ব ( পস্টেরিওর ইউরেথ্রাল ভাল্ব)।

·        ইউরেটারের যথস্থানে অবস্থান না করা( এক্টোপিক ইউরেটার)।

·        ব্লাডারের মাংসপেশির অস্থিতিশীলতা (Instability)

·        দীর্ঘস্থায়ীভাবে বৃক্কের অকার্যকরীতা (CRF)

·        বহুমুত্র রোগ।

 

কারণ বা উত্তেজক সমূহঃ

এই রোগের প্রকৃত কারণ যদিও সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি তবু কিছু সংক্ষ্যক পরীক্ষিত কারণকে এই রোগের জন্য দায়ী করা হয় সেগুলো হল -

·        বংশগত কারণ।

·        মায়ের পেটে শিশুর কম বৃদ্ধি

·        বুকের দুধ না খাওয়ানো

সামাজিক কারণ

·        মা/বাবার বেকারত্ব।

·        মানসিক প্রতিঘাত

শরীরবৃত্তীয় কারণ

·        রাত্রিকালীন অধিক প্রস্রাব হওয়া।

·        কম ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মুত্রথলি।

·        মুত্রশলির মাংসপেশির অস্থিতিশীলতা

·        গভীর ঘুমের অভাব।

 

প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরী পরীক্ষাসমূহঃ

·        প্রস্রাবের রুটিন ও

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য ভারাক্রান্ততা - মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন

 

বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া বলতে স্মৃতির মত মানসিক সক্ষমতার একটি অনিবার্য প্রত্যাখ্যানকে বুঝায় না। গবেষকগণ বিশ্বাস করেন যে, বয়স সম্পর্কিত অনেক পরিবর্তন মনকে প্রভাবিত করে বলে মনে হয় বা ধরে নেয়া হয়, যেমন স্মৃতি হারানো, সত্যিকার অর্থে যা লাইফ স্টাইলের সাথে সম্পর্কিত। ওষুধ এবং অসুস্থতা স্মৃতিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে। দৈহিক ফিটনেস, একটি স্বাস্থ্য-সম্মত খাদ্য নির্দেশনা এবং মানসিব অনুশীলন স্মৃতি শক্তি সহ জ্ঞানগত বা বৌদ্ধিক  কার্যক্রম বজায় রাখতে বা পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।

 

বৃদ্ধ হয়ে বলতে ইহা বুঝায় না যে, আপনার মানসিক সক্ষমতা প্রয়োজনীয়ভাবে হ্রাসকৃত হবে। আমাদের মনকে তীক্ষ্ণ এবং সজাগ রাখতে অনেক কিছু আপনার করার আছে। কিছু না করে বসে থাকলে যেমন পেশী নরম বা আনফিট হয়ে যায়, মস্তিষ্কও তাই।

 

মানসিকতা সক্ষমতার ঘাটতি- ওষুধ কিংবা রোগের মত বিষয়গুলোর কারনে হতে পারে। বয়স্ক লোকেরা তাদের দীর্ঘ অবনতির জন্য যুবক লোকদের থেকে ওষুধের মাত্রা বেশী গ্রহণ করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ (ওষুধের mgš^q) মানসিক সক্ষমতায় প্রভাবিত করতে পারে।

 

কিছু নির্দিষ্ট রোগ যা বৃদ্ধ বয়সে খুব সাধারণ রোগ যেমন: এজমা রোগ, মানসিক সক্ষমতা পতনের বা হারানোর অনেকগুলো কারণের মধ্য ১ টি। কোন জ্ঞানগত পরিবর্তন, যেমন: স্মৃতি শক্তি হারানো ওষুধ কিংবা অসুস্থতার সাথে সম্পর্কিত নয় তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।

 

মস্তিষ্কে  বয়স সম্পর্কিত পরিবর্তন 

মস্তিষ্কে  বয়স সম্পর্কিত কিছু স্বাভাবিক পরিবর্তন নিম্নে অন্তর্ভূক্ত হলো:

·        চর্বি এবং অন্যান্য বস্তু মস্তিষ্কের কোষে (নিউরন) জমা হয়, এর ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলোর কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।

·        মস্তিষ্কের যে সকল কোষ বা নিউরন বৃদ্ধ বয়সে মারা যায় সেগুলো আর প্রতিস্থাপিত হয় না।

·        মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন হারিয়ে বা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ফলে বয়সের সাথে সাথে মস্তিষ্ক বা ব্রেইন ক্ষদ্রতর হয়ে যায়।

·        দুই নিউরোন বা মস্তিষ্ক কোষের মধ্যে বার্তা প্রেরণ বা মেসেজ প্রেরণ অপেক্ষাকৃত ধীর গতিতে সম্পন্ন হয়।

 

মস্তিষ্ক বা ব্রেইন খাপ খাওয়াতে পারে।

বয়সের সাথে সাথে যে ব্রেইন বা মস্তিষ্ক ক্ষ্রদ্রতর বা অপেক্ষাকৃত হালকা হয়ে যাবার কথা, সঠিক যত্ন নিলে তা যুবা ব্রেইন বা মস্তিষ্ক হিসাবে এখনো কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। যদি সুযোগ দেওয়া হয় একটি বয়স্ক ব্রেইন বা মস্তিষ্ক দুই নিউরনের মধ্যে নতুন সম্পর্ক সৃষ্টি করতে পারে। ইহা প্রমাণীত আছে যে, মানসিক সক্ষমতা ব্রেইনের বিভিন্ন অংশের মাধ্যমে সংযুক্ত, যেহেতু কিছু নিউরিন মারা যায় এগুলোর ভূমিকা অন্যান্য নিউরনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়।

 

দৈহিক ফিটনেস বা সুস্থতা খুবই গুরুত্বপূর্ন

কিছু অবস্থা বা পরিস্থিতি বা কার্যক্রম ব্রেইনের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন: স্ট্রোক, যা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত, স্থুলতা এবং নিস্ক্রিয়তা লাইফ স্টাইল বাছাই। আপনি যদি একটি সক্রিয় মন চান সেক্ষেত্রে একটি সক্রিয় শরীর অত্যন্ত প্রয়োজন। এর জন্য নিম্নবর্ণিত পরামর্শ অন্তর্ভূক্ত করা হলো:

·        প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের মাঝারি ধরনে শরীর চর্চা, যা  ব্রেইনে বা মস্তিষ্কে অক্সিজেন আদান-প্রদান বৃদ্ধি করে।

·        তিনবার ১০ মিনিটের শরীর চর্চা তাৎপর্যপূর্ণ ¯^v¯’¨ সুবিধা প্রদানের জন্য যথেষ্ট।

·        নিয়মিত শরীর চর্চা আপনার ব্রেইনের স্মৃতি শক্তি, যুক্তি সংক্রান্ত সক্ষমতা এবং প্রতিক্রিয়া সময় উন্নত করে।

·        আপনার উচ্চতা অনুসারে ¯^v¯’¨ সম্মত ওজন বজায় রেখে স্থুলতার (যেমন: ডায়াবেটিস এবং হৃদ রোগ) জটিলতা সমস্যা পরিহার করুন। 

·        ধুমপান এবং অতিরিক্ত ড্রিংকিং পরিহার করুন।

 

স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ করুনঃ

আপনার ব্রেইনকে সর্বোচ্চ অনুকূলযোগ্য অবস্থায় রাখার জন্য উত্তম পুষ্টি সহায়তা করে। নিম্নে এর পরামর্শ বর্ণিত হলো:

·        এ ব্যাপারে নিশ্চিত হোন যে আপনার খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন বি আছে।

·        গ্লুকোজ হলো ব্রেইনের একমাত্র শক্তির উৎস, তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং অতি কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

·        চর্বি জমে রক্ত নালী সরু হয়ে ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হ্রাস করতে পারে, সুতরাং নিম্ন চর্বিযুক্ত, নিম্ন কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান।

 

আপনার মানসিক ফিটনেস বা সুস্থ্যতা উন্নত করুন।

স্ট্যনফোর্ড ইউনিভার্সিটির (ইউএসএ) এর গবেষকগণ এক গবেষণায় দেখেছেন যে মানসিক চর্চা করার মাধ্যমে সাধারনভাবে স্মৃতি শক্তি হারানো শতকরা ৩০ থেকে ৫০ হারে উন্নিত হতে পারে। ব্রেইন পেশীর মতই- আপনি যদি নিয়মিত এর চর্চা না করেন তবে এর কার্যক্রম বিলুপ্ত  হয়ে যাবে। নিম্নে এর পরামর্শ বর্ণিত হলো:

·        আপনার সামাজিক জীবন রক্ষা করুন এবং প্রাণবন্ত  অনেক আলাপ-আলোচনায় যুক্ত থাকুন।

·        খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন এবং বই পত্র পাঠ করুন।

·        চিন্তাযুক্ত খেলা, যেমন: স্ক্যাবল, কার্ড এবং ট্রিভিয়াল পারসু্রইট খেলুন।

·        একটি বিষয়ের উপর কোর্স করুন, যা আপনাকে আকর্ষন করে।

·        একটি নতুন শখ সৃষ্টি করুন।

·        ভাষা শিখুন।

·        আড়াআড়ি শব্দ রহস্য এবং শব্দের খেলা খেলুন।

·        এমন খেলা খেলুন যা বুদ্ধি এবং স্মৃতিকে  চ্যালেঞ্জ করে, যেমন: দাবা।

·        টেলিভিশনে দেখানো প্রশ্ন এবং উত্তর শো দেখুন এবং প্রতিদ্বন্ধিদের সাথে খেলুন।

·        কাঠের কাজের মত শখসমূহ  ব্রেইনের শূন্যতা সম্পর্কিত  সচেতনতা উন্নিত করে।

·        মেডিটেশন এবং নিয়মিত রিলাক্সেশনের নিয়ন্ত্রণের অধীনে চাপ রাখুন, যেহেতু করটিসলের মত হরমোনের অতিরিক্ত চাপ নিউরনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

 

আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করুন।

উত্তম স্মরন একটি জ্ঞানগর্ভ দক্ষতা।  ব্যর্থ স্মৃতি উন্নিত করার বেশ কিছু পন্থা বা উপায় আছে, এ ব্যাপারে আপনার বয়স কোন বিষয় নয়। নিম্নে এর পরামর্শ অন্তর্ভূক্ত করা হলো:

·        এ ব্যাপারে নিশ্চিত হোন আপনি মনোযোগ প্রদান করছেন যা-ই আপনি মনে করতে চান।, অন্য কোন কিছু নিয়ে ভাবনায় আপনি ব্যস্ত থাকলে, সেক্ষেত্রে আপনি হয়ত: লক্ষ্য করবেন না কোথায় আপনি ঘরের চাবিটি রাখছেন।

·        স্মৃতি ট্রিগার ব্যবহার করুন, যেমন: এসোসিয়েশন কিংবা ছবি

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

স্বাস্থ্য ভারাক্রান্ততা - বিজড়িত থাকুন

 

মানুষ সামাজিক জীব, জীবন সম্পর্কে ভাল কিছু অনুভব করার জন্য অন্যন্যদের সাথে যার যোগাযোগ এবং ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন। এমনকি অবসরে যাওয়ার পর ইহা আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ, কেননা অবসর গ্রহণের পর যখন সামাজিক যোগাযোগ  চলে যায় বা সমাপ্তি ঘটে তখন বিভিন্ন মানসিক সমস্যা শুরু হয়। 

 

অবসর গ্রহণের পর যখন সামাজিক যোগাযোগ যা পূর্বে অস্তিত্ত্ব লাভ করেছিল তা যদি চলে যায় বা সমাপ্তি ঘটে তখন মানুষ অসুস্থ হয়ে পরে। সামাজিক মিথক্রিয়া বা পারস্পরিক ক্রিয়া এবং লোকজনের সাথে সাক্ষাত করা ব্যাক্তির সার্বিক সুস্থতার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু সময় নিম্ন আয়ের বা অসুস্থতার মত বিষয়গুলো একজন লোককে বাড়িতে একাকী রাখতে বাধ্য করতে পারে। তবে বিস্তৃত সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত থাকার প্রচুর পথ আছে, যা একটু চেষ্টার মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন।

 

 

বিজড়িত থাকার উপায়সমূহ

মজা করা, অর্জনের একটি মন মানসিকতা, সামাজিক যোগাযোগ এবং মানসিক সজীবতা বা সক্রিয়তার জন্য আপনার চারপাশের তাৎক্ষনিক বিশ্বের স্পর্শের মধ্যেই থাকুন। কিছু পরামর্শ অন্তর্র্ভুক্ত করা হলো:

 

·        আপনার স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করুন।

·        আপনার বন্ধুবান্ধবদের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন।

·        শ্রেণী কক্ষ, কম্যুনিটি সেন্টার কিংবা সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করুন।

·        একজন সংস্কারক হোন।

·        কম্পিউটারের জ্ঞান অর্জন করুন।

·        আপনার দৈহিক কর্মক্ষমতা বা সক্রিতা বৃদ্ধি করুন।

 

আপনার স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করুন।

কিছু সিনিয়রদের জন্য বিসতৃত সমপ্রদায়ের সাথে অংশগ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য সমস্যা একটি প্রতিবন্ধকতা। এর জন্য নিম্নে কিছু বিষয় অন্তর্ভূক্ত হলো:

 

·        আপনার ডাক্তারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরমর্শ করে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করুন। আপনার অবস্থার শ্রেয়তর পরিচালনার জন্য নিজ সহায়তা আহ্বান করুন।

·        যথাযথ এবং নিয়মিত অনুশীলন  রুটিন বজায় রাখুন। হাঁটুন কিংবা শক্তিশালী প্রশিক্ষণ কিংবা পানিতে ব্যয়াম বা শরীর চর্চা করুন। শরীর চর্চা করুন, দৈহিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন করুন এবং জ্ঞানগত বা বৌদ্ধিক সক্ষমতা যেমন স্মৃতি শক্তি এবং যুক্তি বৃদ্ধি করুন।

·        স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ করুন।

·        ধুমপান করবেন না।

·        এলকোহল গ্রহণ করবেন না।

·        টেলিভিশন দেখা থেকে বিরত থাকুন। দীর্ঘ সময় টিভির সামনে বসে দেহ এবং মনকে নিরব বা মলিন করে ফেলে।

·        পাঠ, আড়াআড়ি শব্দ রহস্য কার্যবলী করে কিংবা স্ক্যবল, সুডুকু কিংবা ট্রিভিয়াল পারস্যুটের মত খেলা সম্পর্কে চিন্তা করে আপনার মস্তিষ্ককে তাজা বা ফুরফুরে রাখুন।

·        জীবন্ত কথোপকথন মস্তিষ্কের জন্য কার্যকর এবং মজার অনুশীলন। আরো বেশী সামাজিক হতে চেষ্টা চালিয়ে যান; D`vniY¯^i“c, চায়ের নিমন্ত্রণ এবং খোশগল্পে অংশ গ্রহণ করার জন্য নিয়মিতভাবে পরিবার এবং বন্ধু বান্ধকদের আমন্ত্রণ জানান।

·        আপনি যদি ক্রমাগতভাবে হতাশা কিংবা দু:খাকুল অনুভব করেন সে ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

 

আপনার বন্ধুবান্ধবদের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন।

বিদ্যমান সম্পর্কে সময়, প্রচেষ্টা এবং ভালবাসা অন্তর্ভূক্ত করা সন্তোষজনক, বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক। যা-ই হোক নতুন বন্ধুত্ব আপনার জীবনকে প্রাণবন্ত করতে পারে এবং নতুন অভিজ্ঞতার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেমনঃ একটি বিশেষ শখের জন্য একজন নতুন বন্ধুর অনুরাগ বা আবিষ্টতা এ ব্যাপারে আপনাকে উৎসাহ প্রদান করতে পারে। আপনার বন্ধুবান্ধবদের সংখ্যা বৃদ্ধির পন্থাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

·        ইতিমধ্যে আপনি যে সকল লোকের সাথে পরিচিত তাদের যে সকল বন্ধুর নাম আপনি শুনেছেন কিন্তু কখনো সাক্ষাত করেননি তাদের সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিতে বলুন ।

·        আপনার পারিপার্শ্বিকতায় একত্রে থাকার জন্য ক্লাব, সংগঠন এবং গ্রুপের জন্য আপনার স্থানীয় পত্রিকাগুলো চেক করুন বা দেখুন। এমন একটি ক্লাবে যোগ দিন , যা আপনার নিজের স্বার্থ কিংবা আগ্রহের সাথে সম মনের লোকজনকে আকৃষ্ট করে।

·        আপনি চেষ্টা করতে চেয়েছেন এমন একটি আগ্রহ বা শখ উন্নয়ন করার জন্য এই সময়কে ব্যবহার করুন, কিন্তু আপনি যখন কর্মরত ছিলেন এবং একটি পরিবারের ভরনপোষনে ছিলেন তখন এই সময়কে ব্যবহার করতে পারেন নি। ঐ সকল শখের একটি বেছে নিন এবং একটি স্থানীয় কোর্সে তালিকা করুন।

·        তা ছাড়া স্বল্প কোর্সে কিংবা ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী সহ আপনার শিক্ষা এবং একই সময় সম মনা লোকদের সাথে সাক্ষাত করুন।

·        আপনার স্থানীয় সমপ্রদায়ে স্বেচ্ছাসেবী কার্য সম্পাদন করুন। আপনার পারিপার্শ্বিকতায় একটি অর্থবহ অবদান করা থেকে স্বেচ্ছাসেবার সংযুক্ত বোনাস ব্যাক্তিগত সন্তোষের একটি মানসিকতা।

 

স্বেচ্ছাসেবীঃ

স্থানীয় অনেক কাউন্সিল, স্বেচ্ছাসেবী কেন্দ্র এবং সম্প্রদায় সংস্থাগুলো যে কাজ করতে যাচ্ছে, তাতে সহায়তা করার জন্য বয়স্ক লোকজনের কাছ থেকে কিছু শোনার ব্যাপারে তারা খুবই আগ্রহী এবং আপনার দক্ষতা এবং জ্ঞান থেকে তারা লাভবান হয়। আপনার সামাজিক সমপ্রদায়ের সাথে জড়িত থাকার জন্য স্বেচ্ছাসেবীতা একটি বড় কাজ গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, অনেক ব্যাক্তিগত সুবিধা আছে, যা স্বেচ্ছাসেবীতা থেকে প্রবাহিত হয়। এর সাথে নিম্নবর্ণিতগুলো অন্তর্ভূক্ত:

 

·        বর্ধমান আত্মবিশ্বাস

·        ব্যাক্তিগত অর্জন এবং সন্তোষের মানসিকতা

·        নতুন দক্ষতা শিখার সুযোগ

·        অন্যান্যদের জীবনের সাথে পার্থক্য সৃষ্টি করে স্বাচ্ছন্দ অনুভব করা।

·        বন্ধুত্ব।

 

শ্রেণী কক্ষ সহায়তাকে সর্বদা স্বাগত জানানো হয়

একটি স্বেচ্ছাসেবী  à¦¸à§à¦¯à§‹à¦— হলো স্থানীয় স্কুল কিংবা হয়ত: আপনার নাতির স্কুল। বিনিময় ছাড়া সহায়তাকারীদের থেকে সহায়তা প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল উভয় থেকেই প্রশংসা করা হয়।

 

শেণীকক্ষে আপনি যে সমর্থন প্রদান করতে পারেন এর মধ্যে পাঠ, গণিত কিংবা শিল্পের মত কারিকিউলাম কার্যক্রম সহ ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা এর অন্তর্ভূক্ত। অন্যান্য †¯^”Qv‡mex কাজের সুযোগ হলো পাঠাগারে কাজ করা কিংবা স্কুল মাঠের উন্নয়ন বা অগ্রগতি করা। ছাত্র-ছাত্রীগণ সিনিয়নদের কাছ থেকে যারা তাদের স্কুলে †¯^”Qv‡mex হয় তাদের কাছ থেকে  ছাত্র-ছাত্রীগণ অনেক সুবিধা লাভ করেন।

 

একজন সংস্কারক হোন

অবসরে যাওয়ার মানে এই নয় যে আপনার ভবিষ্যৎ জ্ঞানের সম্পদ অলসভাবে পড়ে থাকবে। আপনি একজন সংস্কারক হোন, একজন অভিজ্ঞ ব্যাক্তি হোন যিনি কম অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদেরকে তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুধাবন করার ব্যাপারে তাদের সহায়তা করতে পারেন।

বিস্তারিত

-->

27-01-2013 মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য

 

অবসাদ ও বয়স বাড়া

 

অবসাদ, বয়স বাড়ার কোন স্বাভাবিক অংশ নয়। বয়স্ক লোক যারা স্মৃতিভ্রম এ ভুগেন, তারা সাধারণত অবসাদ গ্রস্থতার ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ঔষধ, মনোচিকিৎসা এবং জীবন-যাপন পদ্ধতির পরিবর্তন, ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া যায়। অবসাদ একজন লোকের জীবনমাণ, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক ধ্বংস করে দিতে পারে। মারাত্মক অবসাদ তার আত্মহনন ডেকে আনতে পারে।

 

অবসাদ, বয়স বাড়ার কোন স্বাভাবিক অংশ নয়:

বৃদ্ধ লোক অধিক হারে অবসাদে ভোগে -এমন নয়। সমপ্রতি এক জরীপে দেখা গেছে বয়স্ক লোক যারা ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী ও  নিজের বাড়িতে বসবাস করেন তাদের অবসাদ গ্রস্থতার হার অল্পবয়স্কদের মতই। যদিও এই হার  à¦¸à§‡ সব বয়স্ক লোকদের বেশী, যারা অসুস্থ ও পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসবাস করেন।

 

অবসাদের উপসর্গসমূহ:

প্রতিটি মানুষের জীবনে দুঃখ আসে বিশেষ করে তিনি যদি  বিশেষ কিছু হারান বা মনোস্তাপে ভোগেন। আর অবসাদ হলো দুঃখ বোধের থেকেও বেশী কিছু। এর জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন। অবসাদগ্রস্থ লোকের কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- দুঃখবোধ, অতিরিক্ত ঘুম, ক্ষুধামন্দা, মেজাজ হঠাৎ পরিবর্তন ইত্যাদি যা তাদের-

·        আচরণ

·        চিন্তা/ভাবনা

·        অনুভূতি

·        শারীরিক ভাল/মন্দ ইত্যাদিকে  à¦ªà§à¦°à¦­à¦¾à¦¬à¦¿à¦¤ করে।

 

অবসাদের উপসর্গ দেখা দিলে সাহায্য নিন:

প্রত্যেকেই জীবনের কোন না কোন সময় অবসাদের কিছু উপসর্গের সম্মুখিন হয়। কিন্তু কারো যদি দীর্ঘদিন যাবত উপসর্গগুলো থাকে এবং নীচের উপসর্গগুলোর কমপক্ষে ৩টি উপস্থিত থাকে তাহলে তার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অবসাদের কিছু সম্ভাব্য উপসর্গের উদাহরণ  নীচে  তালিকাভুক্ত করা হলো:

আচরণ গত লক্ষন -

·        কর্তব্যে অবহেলা

·        নিজের খেয়াল না রাখা। যেমন- ঠিকমত খাদ্যগ্রহণ না করা।

·        পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা।

·        যে কোন কাজে অনাগ্রহ।

·        অস্বাভাবিক আচরণ। যেমন-হঠাৎ রাগ/উত্তেজিত হওয়া।

চিন্তা গত লক্ষন -

·        প্রতিনিয়ত আত্মহননের চিন্তা

·        নিজের সম্পর্কে নীচু ধারনা পোষণ।

অনুভূতি গত লক্ষন -

·        অস্বস্তি / অস্থিরতা

·        দুঃখবোধ

·        দুশ্চিন্তা

·        অপরাধবোধ

 

শারীরিক উপসর্গসমুহ-

·        স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি/কম ঘুম।

·        সব সময় ক্লান্তবোধ

·        বদহজম

·        ক্ষুধামন্দা

·        ওজন বাড়া/কমা

·        স্মৃতিভ্রংশ এবং ভ্রম

যে সব লোক অবসাদের ঝুঁকিতে-

কিছু নিয়ামক অবসাদের ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও সব অবসাদের কারণ জানা যায় না।বৃদ্ধলোকের অবসাদের ঝুঁকির নিয়ামক-

·        বিচ্ছিন্নতা, যেমন- পরিবার ও বন্ধুবান্ধব হতে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করা।

·        নার্সিং হোমে থাকা।

·        স্মৃতিভ্রম

·        পরিস্কার নয়।

·        কিছু শারীরিক অসুস্থ্যতা। যেমন- হৃদরোগ,অপুষ্টি,ক্যান্সার,পারকিনসনস রোগ, টাইফয়েড জ্বর ইত্যাদি।

·        কিছু ঔষধ যেমন- বেনজো ডায়াযেপিন, প্রোপ্রানোলোল

·        মদ্যপান।

 

অবসাদ ও চাপ:

শারীরিক ও মানসিক চাপ যে কোন বয়সের মানুষের ঝুঁকি বাড়ায়। বিভিন্ন বয়স্ক মানুষের চাপ তৈরী হয়। যেমন-

·        অবসরে যাওয়া

·        দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা।

·        কাছের লোকের বোঁঝা হিসাবে বেঁচে থাকা।

·        একাকীত্ব।

·        অর্থনৈতিক সমস্যা।

·        খুব কাছের লোকের মৃত্যু।

·        অন্যান্য পারিবারিক সমস্যা।

 

রোগ নির্ণয়:

কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করে রোগ নির্ণয় করা যায়। এর মাধ্যমে অবসাদ সম্পর্কে নিশ্চিত ও উপসর্গরুলোর কারণ পৃথক করা যায়।

·        রোগের ইতিহাস: -

উপসর্গগুলোর তীব্রতা কেমন?

কত দিন যাবত?

সামপ্রতিক শারীরিক কোন বিশেষ পরিববর্তন ঘটেছে কিনা?

·        শারীরিক পরীক্ষা:

·                    কোন শারীরিক অসুস্থ্যতা যেমন রক্ত-স্বল্পতা, টাইফয়েড জ্বর ইত্যাদি আছে কিনা?

·        ঔষধ গ্রহণের ইতিহাস:

 à¦°à¦•à§à¦¤à¦šà¦¾à¦ª কমানোর ঔষধ, ষ্টেà